Wednesday, February 22, 2017
সুস্থ থাকতে ওল কচু
১) ওলের ডগার আঠা লাগালে বোলতা বা ভীমরুলের কামড়ের জ্বালা দূর হয়।
২) নিয়মিত ওলের ডালনা বা ওলভাতে বা শুধুই ওলসেদ্ধ খেলে অর্শ অবশ্যই সারবে।
৩) ওল খাওয়ায় রুচি উৎপন্ন করে।
৪) মিষ্টি ওল তীক্ষ্ণ, উষ্ণ, রুক্ষ ছেদক ও কষযুক্ত। অর্থাৎ এর স্বাদ তীব্র, শরীর গরম করে এবং ফোড়া ফাটিয়ে দেয়, অর্থাৎ ছেদ সৃষ্টি করে।
৫) যে ওল খেলে গলা চুলকোয় সেই কুটকুটে বুনো ওলেরও ওষুধ হিসেবে অনেক গুণ আছে। আয়ুর্বেদের মতে বুনো ওল শ্লীপদ (পায়ের গোদ-হাতির মতো ফোলা পা), আব, খিদে না পাওয়া, শূন্যব্যথা, দাঁতের ব্যথার শোথ রোগের মহৌষধ।
৬) তেঁতুল পাতা দিয়ে একটু সেদ্ধ করে জল ফেলে টক দিয়ে রান্না করলে বুনো ওলও খেতে ভাল লাগে।
৭) যে ওল খেলে চুলকোয় না সেই ভাল জাতের ওল পুরোনো পেটের অসুখ সারিয়ে দেয়। কিন্তু চুলকানি হলে ওল না খাওয়াই ভাল।
৮) ওলের আছে বায়ু ও কফ নাশ করবার গুণ। হজমও হয় সহজেই। রক্তপিত্তের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।
৯) ওলের ডাঁটা ও ওলের কচি শাক দিয়ে তৈরী তরকারি বা ঘন্ট শরীরের পক্ষে খুব উপকার।
১০) বুনো ওল মল রোধ করে, কষায়, হালকা, তীক্ষ্ণ, রুচিকর। কাশি, বমি, বায়ু গোলক বা গুল্মরোগ বা শূল ব্যথা সারায়, কৃমি নাশ করে।
১১) ওল শুকিয়ে গুঁড়ো করে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে খেলে আমাশা সারে।
১২) ওল টুকরো করে কেটে ঘিয়ে ভেজে খেলে অর্শ সেরে যায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment