Thursday, February 23, 2017
মানকচুর গুণাগুণ
মানকচু মৃদু বিরেচক অর্থাৎ অল্প মাত্রায় মলকারক, মূত্র বৃদ্ধি করে, শোথ রোগ সারিয়ে তোলে, শরীরে ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে, সহজে হজম হয়, পিত্ত ও রক্তের দোষ নাশ করে।
১) মানকচু শিকড়ের এক টুকরো নিয়ে নালী ঘায়ে ঢুকিয়ে দিলে পুঁজ, রক্ত ও রস সব বেরিয়ে যায় এবং ঘায়ের ক্ষত তিন-চার দিনের মধ্যে সেরে যায়। পচা নালী ঘায়েও এই ওষুধ কাজ দেয়।
২) দু চামচ মানের গুঁড়ো অল্প দুধে মিশিয়ে খেলে জ্বর, পেটের অসুখ ও পিলের রোগ কমে যায়।
৩) মানের শুঁঠ, চালের গুঁড়োতে কিছু দুধ, জল ও আন্দাজ মতো চিনি দিয়ে পায়েস তৈরি করে খেলে পেটের অসুখে উপকার দেয়।
৪) অল্প গরম দুধের পুরোনো মানকচু শুঁঠ মিশিয়ে খেলে শোথ রোগ ও পিলের রোগ কমে।
৫) মানকচুর ডাঁটা আগুনে সেঁকে নিয়ে তার রস কানে দিলে বাচ্চাদের কান পাকা রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৬) পুলটিস লাগিয়ে ফোড়ার মুখ না হলে মানকচু গাছের পচা ডাঁটা জল না দিয়ে শুধুই কেটে নিয়ে তার প্রলেপ ফোঁড়ায় লাগালে ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ রক্ত ইত্যাদি বেরিয়ে যাবে এবং ফোঁড়া সেরে যাবে।
৭) মুখের ভেতর ঘা হলে মানকচু পুড়িয়ে তার ছাই মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
কচু, কচুপাতা, কচুশাক
কচু রক্তপিত্ত (নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া) দূর করে, মল রোধ করে, বায়ুর প্রকোপ দূর করে। কচু শীতল, খিদে বাড়ায়, শরীরের বল বৃদ্ধি করে, মায়েদের স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয়, মলের বেগ কমিয়ে দেয়। কচু খেলে প্রস্রাব বেশি হয় কিন্তু সেইসঙ্গে কফ ও বায়ুও বেড়ে যায়। কচু গাছের শেকড়ে আছে ধাতু বৃদ্ধির শক্তি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment