Tuesday, February 28, 2017
বাথরুমে ফোন? নিজেই বিপদ ডাকছেন
মোবাইল ফোনটা হাতে না থাকলে চোখে অন্ধকার দেখেন অনেকেই। এমনকী, বাথরুমে যাওয়ার সময়ও ফোনটা সঙ্গে নিয়ে যান তাঁরা।
কিন্তু এই অভ্যাস কি সত্যিই স্বাস্থ্যসম্মত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন একেবারেই না। বিশেষত কমোডে বসেই মোবাইল ঘাঁটা তো একেবারেই উচিত না। কারণ, যখনই কমোডে ফ্লাশ করা হয়, জল এবং বর্জ্য পদার্থ থেকে ছিটকে আসা নোংরা পদার্থগুলি বায়ুর মধ্যে মিশে যায়। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। অনেকেই জলের বদলে টিসু পেপার ব্যবহার করেন। সবথেকে বেশি জীবাণু বাসা বাঁধে তার মধ্যে গিয়েই। যদি বিশেষ দরকারে নিজের মোবাইল ফোনটিকে বাথরুমে নিয়েও যান, তাহলেও সেটা টিসু পেপার হোল্ডারের আশপাশে রাখবেন না। তাতে হ্যান্ডসেটে ই-কোলাই, সলমোনেলার মতো জীবাণু জমে। পাশপাপাশি বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, তবু যদি বাথরুমে ফোন নিয়ে যান, তাহলে অ্যালকোহল টিস্যু দিয়ে ফোনটি একবার মুছে নিন।
- আজকাল
Monday, February 27, 2017
পদ্ম বীজের গুণগুলো জেনে নিন
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় অত্যন্ত ভালোভাবে বাঁচতে পারে পদ্ম গাছ। আর পদ্ম গাছের যে বীজ হয়, তা খুবই পুষ্টিকর।
বাংলাদেশে অনেকে এ বীজ অল্পবিস্তর খেলেও তা খুব একটা পরিচিত নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পদ্মবীজ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধী গুণবিশিষ্ট। এ লেখায় তুলে ধরা হলো পদ্মবীজের কিছু গুণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
উপকারিতা
১. পদ্মবীজে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে যে উপাদানগুলো রয়েছে তা দেহের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
২. এর বীজে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। এছাড়া এতে রয়েছে কার্বহাইড্রেট ও কম মাত্রায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এ কারণে এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য যেমন উপকারী তেমন দেহের ওজন কমাতেও সহায়ক।
৩. আয়ূর্বেদিক তথ্যমতে এর বীজ ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে সহায়ক। এটি সামান্য মিষ্টি ও হজমে সহায়ক।
৪. এটি দেহের এসিডিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়া গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, রক্তপাতজনিত সমস্যা ও মাসিকের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। ৫. কিডনির রোগ ও হৃদরোগের জন্যও এটি উপকারি।
৬. সামান্য ঘিয়ের সঙ্গে এটি হালকা ভেজে নিয়ে নতুন মায়েদের খাওয়ানো হয়। এতে শিশুর জন্য দুধ উৎপাদন বাড়ে।
৭. এ বীজ উর্বরতা বাড়ায়।
৮. এতে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। এগুলোর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, আয়রন ও জিংক গুরুত্বপূর্ণ।
৯. এটি দেহের ত্বক সুন্দর করে এবং রক্তের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
ক্যানসার রোধে কী খাবেন
একসময় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়াকে ভাগ্যের লিখন বলেই মেনে নেওয়া হতো। কিন্তু গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ ক্যানসারের ঝুঁকির অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পদ্ধতি, স্থূলতা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তার মানে চাইলে এই প্রাণঘাতককে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তার জন্য চাই ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বর্জন, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস (হ্যাম, বেকন, সসেজ ইত্যাদি), লাল মাংস (গরু, খাসি, ভেড়া) এবং লবণ দিয়ে সংরক্ষণকৃত খাদ্য সরাসরি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। যুক্তরাজ্যের ক্যানসার রিসার্চ ইউকে বলছে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে অন্তত ছয় ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। এগুলো হলো মুখগহ্বর, গলা, কণ্ঠনালি, ফুসফুস, পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্যানসার। আর ফলমূল, শাকসবজি ও আঁশসমৃদ্ধ খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
ক্যানসার প্রতিরোধে চাই একটি সুষম স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। খাদ্যতালিকায় যোগ করুন নানা ধরনের রঙিন শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, গোটা শস্যের তৈরি খাবার ও শিমজাতীয় সবজি। এসবে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই), ফলেট, সেলেনিয়াম, ফ্লাভনয়েড, লাইকোপিনসহ বিভিন্ন উপাদান, যা ক্যানসার রোধে কার্যকর। কী ধরনের খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় তার একটি তালিকা:
* প্রচুর ফলমূল পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
* কমলা, কমলার রস, পেঁপে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
* রসুন, বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ, পেঁয়াজপাতা ও কলি পাকস্থলী, অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যানসার রোধ করে
* ক্যারোটিনয়েডসমৃদ্ধ সবজি, যেমন: গাজর, মিষ্টি আলু, পালংশাক, গাঢ় সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি ফুসফুস, মুখগহ্বর, কণ্ঠনালি ও খাদ্যনালির ক্যানসার রোধ করে
* শর্করাবিহীন সবজি, যেমন: ফুলকপি, ব্রোকলি, শসা, মাশরুম, শিম ইত্যাদি পাকস্থলী ও খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
* ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার, যেমন: কমলা, জাম, মটর, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি খাদ্যনালির ক্যানসার কমায়
* লাইকোপেনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: টমেটো, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
তাই ক্যানসার রুখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের সবুজ ও রঙিন শাকসবজি রাখুন। যতটা সম্ভব কাঁচা ও খোসাসহ খান, অথবা অল্প তাপে রান্না করুন।
ডা. রাহনুমা পারভীন
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, এক্স ফেলো
ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টার, সিঙ্গাপুর
Saturday, February 25, 2017
ওষুধের মিশ্রণ ক্যান্সার ঠেকাবে
একা থাকলে নিরীহ! কিন্তু দুইয়ে মিলে হয়ে উঠতে পারে ঘাতক রোগের ওষুধ। ডায়াবেটিসের ওষুধ মেটফরমিন ও হাইপারটেনশনের ওষুধ সাইরোসিঙ্গোপিনের মিশ্রণ সম্পর্কে এমনই তথ্য জানালেন বিজ্ঞানীরা।
সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব বাসেলের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে, ওই দুই ওষুধের যোগফল ক্যান্সার কোষের বাড়বৃদ্ধি ঠেকিয়ে দিচ্ছে। গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ। তাতে দাবি করা হয়, লিউকেমিয়ার রোগীদের রক্তের নমুনায় প্রয়োগের পাশাপাশি গবেষণাগারে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপরে ওই ‘কম্বিনেশন ড্রাগ’ প্রয়োগ করে সুফল মিলেছে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে মেটফরমিন প্রথম সারির ওষুধ। বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই ওষুধ দেহে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে স্তন, ইউটেরাইন, কোলরেকটাল ও থাইরয়েড ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ে। তাই যারা মেটাফরমিন খেয়ে ওই প্রতিরোধ ক্ষমতা আটকে দেয়, স্বাভাবিকভাবে তাদের ক্যান্সারের প্রবণতা খানিকটা কমে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেটফরমিনের ক্যান্সারপ্রতিরোধী চরিত্রের কথা এখন জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। এটা জানার পর ডায়াবেটিক ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ বিশেষভাবে চালু রাখা হচ্ছে। তবে সাইরোসিঙ্গোপিনের ক্যান্সারপ্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখানকার চিকিত্সকরা তেমন ওয়াকিবহাল নন। এ গবেষণার পর অনেকেই মানছে, সাইরোসিঙ্গোপিন ও মেটফরমিনের মিশ্রণে ক্যান্সারবিরোধী লড়াই আরো সহজ হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
Friday, February 24, 2017
রোগের নাম চিকুনগুনিয়া
ভাইরাসের নাম চিকুনগুনিয়া। ১৯৫২ সালে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় এটিকে বলে চিকুনগুনিয়া, যার অর্থ ‘কোমর বাঁকা’। কেননা, এই সংক্রমণে হাড়ের জোড়া বা সন্ধিতে এত ব্যথা হয় যে রোগীকে কোমর বাঁকা করে হাঁটতে হয়। তবে চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের লক্ষণ বা উপসর্গ ডেঙ্গুজ্বরের মতোই। সামান্য কিছু পার্থক্যও আছে।
জ্বর-ব্যথা-ফুসকুড়ি
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতোই আকস্মিক জ্বর, সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়ি বা দানা হয়। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ডেঙ্গু হলেও শরীর ব্যথা করে, তবে খুব তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। চিকুনগুনিয়ার বিশেষত্ব হচ্ছে, জ্বরের প্রথম থেকেই হাত-পায়ের ছোট গিরা, হাঁটু, কনুই, গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যথা থাকতে পারে। কখনো গিরা ফুলে যেতেও পারে। সকালবেলা হাত-পা জ্যাম হয়ে যাওয়া বা মর্নিং স্টিফনেসও থাকতে পারে, যার কারণে অনেক সময় আর্থ্রাইটিস বা বাতরোগের মতো মনে হতে পারে। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও ব্যথা সম্পূর্ণ সারতে বেশ কিছুদিন লেগে যেতে পারে। এমনকি পাঁচ-ছয় মাসও থাকতে পারে। এই গিরাব্যথাই ডেঙ্গু থেকে চিকুনগুনিয়াকে আলাদা করেছে। তা ছাড়া এতে দানা বেরোলেও ডেঙ্গুর মতো রক্তক্ষরণের ভয় নেই।
বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া
২০০৮ সালে প্রথম বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়ার অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এই রোগের অস্তিত্ব আরও আগে থেকেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে অসংখ্য মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ডেঙ্গুর মতোই চিকুনগুনিয়া এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। জ্বর-ফুসকুড়ি-গিরাব্যথা থাকলে এবং রক্তে ডেঙ্গু অ্যান্টিজেন নেগেটিভ থাকলে চিকুনগুনিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। জ্বরের প্রথম সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করে ও তারপর আইজিএম অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা সম্ভব। তবে এখনো আমাদের দেশে হাতে গোনা দু-একটি ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষা হয়। তবে পরীক্ষা জরুরি, তা নয়। উপসর্গ দেখেই চিকিৎসা করা সম্ভব। অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের মতোই চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসারও মূল লক্ষ্য উপশম। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, জ্বর চলে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকলে ব্যথানাশক ওষুধ, যথেষ্ট বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার এবং তরল খাদ্য গ্রহণই মূল চিকিৎসা। রোগে কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বা জটিলতা হবে না, এটা রোগীকে বোঝাতে হবে। তবে ব্যথার তীব্রতায় অনেকে কষ্ট পেতে পারেন। গিরা ফোলা ও ব্যথা ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে অন্যান্য সমস্যা দূর করার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
প্রতিরোধ
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এর কোনো টিকা নেই। এ ছাড়া একবার হলে আর হবে না, এমন নিশ্চয়তাও নেই। তাই প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। মশার আবাস ধ্বংস করা জরুরি। নগরবাসী ও কর্তৃপক্ষ উভয়কেই সচেতন হতে হবে। জমে থাকা পানি, খোলা ড্রেন, নর্দমা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশারির ব্যবহার, ফুলহাতা জামা ও প্যান্ট পরার মাধ্যমে শিশুদের রক্ষা করতে হবে।
অধ্যাপক খাজা নাজিমুদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
Thursday, February 23, 2017
মানকচুর গুণাগুণ
মানকচু মৃদু বিরেচক অর্থাৎ অল্প মাত্রায় মলকারক, মূত্র বৃদ্ধি করে, শোথ রোগ সারিয়ে তোলে, শরীরে ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে, সহজে হজম হয়, পিত্ত ও রক্তের দোষ নাশ করে।
১) মানকচু শিকড়ের এক টুকরো নিয়ে নালী ঘায়ে ঢুকিয়ে দিলে পুঁজ, রক্ত ও রস সব বেরিয়ে যায় এবং ঘায়ের ক্ষত তিন-চার দিনের মধ্যে সেরে যায়। পচা নালী ঘায়েও এই ওষুধ কাজ দেয়।
২) দু চামচ মানের গুঁড়ো অল্প দুধে মিশিয়ে খেলে জ্বর, পেটের অসুখ ও পিলের রোগ কমে যায়।
৩) মানের শুঁঠ, চালের গুঁড়োতে কিছু দুধ, জল ও আন্দাজ মতো চিনি দিয়ে পায়েস তৈরি করে খেলে পেটের অসুখে উপকার দেয়।
৪) অল্প গরম দুধের পুরোনো মানকচু শুঁঠ মিশিয়ে খেলে শোথ রোগ ও পিলের রোগ কমে।
৫) মানকচুর ডাঁটা আগুনে সেঁকে নিয়ে তার রস কানে দিলে বাচ্চাদের কান পাকা রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৬) পুলটিস লাগিয়ে ফোড়ার মুখ না হলে মানকচু গাছের পচা ডাঁটা জল না দিয়ে শুধুই কেটে নিয়ে তার প্রলেপ ফোঁড়ায় লাগালে ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ রক্ত ইত্যাদি বেরিয়ে যাবে এবং ফোঁড়া সেরে যাবে।
৭) মুখের ভেতর ঘা হলে মানকচু পুড়িয়ে তার ছাই মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
কচু, কচুপাতা, কচুশাক
কচু রক্তপিত্ত (নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া) দূর করে, মল রোধ করে, বায়ুর প্রকোপ দূর করে। কচু শীতল, খিদে বাড়ায়, শরীরের বল বৃদ্ধি করে, মায়েদের স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয়, মলের বেগ কমিয়ে দেয়। কচু খেলে প্রস্রাব বেশি হয় কিন্তু সেইসঙ্গে কফ ও বায়ুও বেড়ে যায়। কচু গাছের শেকড়ে আছে ধাতু বৃদ্ধির শক্তি।
Wednesday, February 22, 2017
এক ডজন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন
১. বন্ধুদের সঙ্গ দিন
নতুন বছরে বন্ধু ও কাছের মানুষদের বেশি করে সঙ্গ দিন। তাদের বিপদে আপদে সহায়তার হাত বাড়ান। তারাও আপনার বিপদে পাশে থাকবে।
২. নিজের প্রয়োজনে খান
অন্য কারো জন্য নয় নিজের প্রয়োজনেই খাবার খান। খাবারের ক্ষেত্রে সর্বদা মনে রাখতে হবে, এটি আপনার প্রয়োজনের অতিরিক্ত যেন কোনোভাবেই না হয়।
৩. নিজের যা আছে তাই কাজে লাগান
বহু সমস্যা সমাধানের উপায় আপনার হাতেই রয়েছে। আর এ উপায়গুলো ব্যবহার করুন। এখন অনেকের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের নানা ফিচারের কথা অনেকেই জানেন না। যদিও এগুলো ব্যবহার করেও বহু কাজ করা সম্ভব।
৪. পেইনকিলারকে না বলুন
অনেকেই নানা কারণে পেইনকিলারের মতো ওষুধ সেবন করেন। এ ধরনের ওষুধ খুবই ক্ষতিকর। তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে এ ধরনের ওষুধ বাদ দিন।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
আপনার বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার নিজেই রান্না করুন। এ খাবারটি কিভাবে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায় সেজন্য মনোযোগী হোন।
৬. ডায়েরি লিখুন
আপনার প্রতিদিনের জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় ডায়েরিতে তুলে রাখুন। এতে আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও সহজ হবে।
৭. বই পড়ুন
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বই পড়ুন। একেবারে যদি সময় না পান তাহলে ঘুমানোর আগে অন্তত ১০ মিনিট হলেও বই পড়ার অভ্যাস গড়ুন।
৮. স্ট্রেচ করুন
প্রতিদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও স্ট্রেচিং করে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব। আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত দিন পার করেন তাহলেও চেয়ারে বসে পা সোজা করে ৩০ সেকেন্ড স্ট্রেচ করতে পারেন।
৯. শাকসবজি ও ফলমূল খান
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। এক্ষেত্রে ৩:৪ মনে রাখতে পারেন। অর্থাৎ প্রতিদিন তিন ধরনের সবজি ও চার ধরনের ফল খান।
১০. পর্যাপ্ত পানি পান
সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। এমনকি আপনার যদি তৃষ্ণা নাও থাকে তার পরেও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
১১. হাঁটুন
হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটুন। এটি আপনাসে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।
১২. যথাসময়ে ঘুম
প্রতি রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। এ ঘুমের সময় যেন সাত থেকে আট ঘণ্টা হয় এ বিষয়টিও নিশ্চিত করুন। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন।
--টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব
সুস্থ থাকতে ওল কচু
১) ওলের ডগার আঠা লাগালে বোলতা বা ভীমরুলের কামড়ের জ্বালা দূর হয়।
২) নিয়মিত ওলের ডালনা বা ওলভাতে বা শুধুই ওলসেদ্ধ খেলে অর্শ অবশ্যই সারবে।
৩) ওল খাওয়ায় রুচি উৎপন্ন করে।
৪) মিষ্টি ওল তীক্ষ্ণ, উষ্ণ, রুক্ষ ছেদক ও কষযুক্ত। অর্থাৎ এর স্বাদ তীব্র, শরীর গরম করে এবং ফোড়া ফাটিয়ে দেয়, অর্থাৎ ছেদ সৃষ্টি করে।
৫) যে ওল খেলে গলা চুলকোয় সেই কুটকুটে বুনো ওলেরও ওষুধ হিসেবে অনেক গুণ আছে। আয়ুর্বেদের মতে বুনো ওল শ্লীপদ (পায়ের গোদ-হাতির মতো ফোলা পা), আব, খিদে না পাওয়া, শূন্যব্যথা, দাঁতের ব্যথার শোথ রোগের মহৌষধ।
৬) তেঁতুল পাতা দিয়ে একটু সেদ্ধ করে জল ফেলে টক দিয়ে রান্না করলে বুনো ওলও খেতে ভাল লাগে।
৭) যে ওল খেলে চুলকোয় না সেই ভাল জাতের ওল পুরোনো পেটের অসুখ সারিয়ে দেয়। কিন্তু চুলকানি হলে ওল না খাওয়াই ভাল।
৮) ওলের আছে বায়ু ও কফ নাশ করবার গুণ। হজমও হয় সহজেই। রক্তপিত্তের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়।
৯) ওলের ডাঁটা ও ওলের কচি শাক দিয়ে তৈরী তরকারি বা ঘন্ট শরীরের পক্ষে খুব উপকার।
১০) বুনো ওল মল রোধ করে, কষায়, হালকা, তীক্ষ্ণ, রুচিকর। কাশি, বমি, বায়ু গোলক বা গুল্মরোগ বা শূল ব্যথা সারায়, কৃমি নাশ করে।
১১) ওল শুকিয়ে গুঁড়ো করে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে খেলে আমাশা সারে।
১২) ওল টুকরো করে কেটে ঘিয়ে ভেজে খেলে অর্শ সেরে যায়।
স্লিম থাকার জন্য এড়িয়ে চলুন ১০ খাবার
খাবারের কারণে আমরা অনেকেই মোটা হয়ে যাই। আর পেটে চর্বি জমে যাওয়া এক্ষেত্রে অন্যতম লক্ষণ।
এ লেখায় তুলে ধরা হলো ১০টি খাবারের কথা, যা পেটের চর্বি গড়তে সহায়তা করে। এ খাবারগুলো এড়িয়ে চললে স্লিম দেহ ও পেট গড়া সম্ভব। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১. অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়
অনেকেই অ্যালকোহল পান করে দেহে বাড়তি মেদ নিয়ে আসেন। যদিও এ ধরনের পানীয় ত্যাগ করাই ভালো। স্বাস্থ্যসচেতনতার জন্যও এটি ক্ষতিকর। কারণ মস্তিষ্কের ওপর অ্যালকোহল প্রভাব বিস্তার করে এবং খাওয়ার পরেও আপনার পূর্ণতার অনুভূতি তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
২. কোমল পানীয়
অনেকেই কোমল পানীয় পানকে ক্ষতিকর নয় বলে মনে করেন। যদিও এতে থাকা চিনি কিংবা কৃত্রিম চিনি আপনার পেটের বাড়তি চর্বির জন্য দায়ী। এমনকি লো-ক্যালরি কোমল পানীয়ও ক্ষতিকর।
৩. চুইং গাম
আপনি যখন চুইং গাম চাবান তখন এটি আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল দেয় যে, একটি খাবার আসছে। আর এজন্য আপনার ক্ষুধাও বেড়ে যায়। ফলে এটি বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে।
৪. বাড়তি লবণ
শুধু চিনি নয়, লবণও আপনার দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী। আর এ কারণে সর্বদা বাড়তি লবণ এড়িয়ে চলা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত লবণ আপনার দেহের বাড়তি তরল বের হতে দেয় না, যা এক পর্যায়ে পেটের চর্বি বৃদ্ধি করে।
৫. অস্বাস্থ্যকর খাবার
ফাস্ট ফুড হিসেবে পরিচিত বেশ কিছু খাবার রয়েছে অস্বাস্থ্যকর তালিকায়। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এসব খাবারের অতিরিক্ত ক্যালরি ও তেল-চর্বি আপনার দেহের আকৃতি নষ্ট করবে। তাই ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।
৬. মেয়োনিজ
আপনি যদি মোয়োনিজ পছন্দ করেন তাহলে এ খাবারটি থেকে সতর্ক হোন। কারণ এ খাবারে ৮০ শতাংশ ফ্যাট রয়েছে। এক্ষেত্রে মেয়োনিজের বিকল্প হিসেবে টমেটো কেচাপ কিংবা অন্য কোনো খাবার বেছে নিন।
৭. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
আলুর মজাদার ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। অনেকেই এতে ক্ষতিকর কিছু দেখেন না। যদিও এতে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আর এটি অন্যান্য ভাজা-পোড়া খাবারের মতোই ক্ষতিকর।
৮. আইসক্রিম
আইসক্রিমে রয়েছে প্রচুর চিনি। এছাড়া এতে রয়েছে আরও কিছু উপাদান, যা পেটের চর্বি তৈরির জন্য পরিচিত। তাই দেহে চর্বি জমাতে না চাইলে এটি ত্যাগ করুন।
৯. যে খাবারে আপনার গ্যাস হয়
অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্রভাবে পেট স্ফীত হয় কিংবা হজমে সমস্যা হয়। আপনার যদি কোনো খাবারে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া হয় তাহলে তা বাদ দিন। অন্যথায় এ খাবারই আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
১০. ‘সুগার ফ্রি’ খাবারের ফাঁদ
অনেক খাবারই মোড়কে ‘সুগার ফ্রি’ লেবেল লিখে রাখেন। যদিও এসব খাবার যে আপনার পেটের চর্বি কমাবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, মিষ্টি খাবার মানেই ক্ষতিকর। তা কৃত্রিম চিনি কিংবা প্রাকৃতিক চিনি যাই হোক না কেন।
Monday, February 20, 2017
মূলোর গুণাবলী
ক) ভাত, রুটি খাওয়ার সঙ্গে মূলো লবণ দিয়ে খেলে রুচি বাড়ে।
খ) কচি মূলোর স্যালাড খেলে খিদে বেড়ে যায়।
গ) মূলোর মধ্যে আছে জ্বর সারাবার গুণ।
ঘ) পিলের রোগে পরম উপকারী।
ঙ) শীতকালে কাঁচা মূলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।
চ) মূলোর শাক বেশি মাত্রায় খেলে প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার হয়ে গিয়ে শরীরের গ্লানি বেরিয়ে যায়।
ছ) অর্শ রোগীরা মূলোর পাতা (শাক) বা মূলো শাকের রস খেলে উপকার পাবেন।
জ) মূলোর চেয়ে মূলোর শাকেরই গুণ বেশি। মূলোর শাক সহজে হজম হয় ও খাওয়া দাওয়ায় রুচি বাড়ায়।
ঝ) মূলোর শাক কাঁচা খেলে পিত্ত বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঘিয়ে বা তেলে সাঁতলে নিয়ে শাক রান্না করে খেলে শরীরের পক্ষে সব দিক থেকে উপকারী।
মূলোর আরোগ্য গুণ
১) শুকনো মূলোর ঝোল রান্না করে এক ঘন্টা অন্তর অাধকাপ করে গরম গরম পান করালে খিঁচুনি সারে।
২) দুপুর বা রাত্রে গুরুপাক ভোজনের পরে মূলোর রসে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমে যায়।
৩) মূলো আর তিল এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর-ফোলা কমে আর যদি ত্বকের নিচে কোনো কারণে জল জমে তাও সেরে যায়। মূলোর পাতার ৫/৬ চামচ রস খাওয়ালেও ফুলো তাড়াতাড়ি কমে যায়।
৪) শুকনো মূলোর স্যূপ খাওয়ালে এবং শুকনো মূলো একটা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে তার সেঁক দিলেও অর্শের কষ্টে আরাম পাওয়া যায়।
৫) মূলো পাতার রসে একটু সোডি-বাই-কার্ব মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং কোন কারণে প্রস্রাব জমে থাকার কষ্ট (মূত্রাবরোধ) দূর হয়। মূলো পাতার রসে সোডা মিশিয়ে খাওয়ালে পাথরি সারে। ৮ চা চামচ মূলোর বীজ আধ লিটার জলে ফুটিয়ে নিয়ে জল কমে অর্ধেক হয়ে গেলে সেই জল পান করালেও পাথরি রোগ (কিডনি বা গলব্লাডারে পাথর হওয়া) সারে।
Sunday, February 19, 2017
রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ৪ সুপারফুড
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চান? তবে খাদ্যতালিকায় কিছু রদবদল করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভালো খাবার সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিছু ব্যায়াম ও খাবারের নিয়মকানুন মেনে চললে সুস্থ থাকার কৌশল রপ্ত করে ফেলতে পারবেন। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এমন এ রকম কিছু সুপারফুড রয়েছে। জেনে নিন সেই খাবারগুলোর কথা:
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায় দৈনিক খাবারের তালিকায় অলিভ অয়েল যুক্ত করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে অলিভ অয়েলে। এতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
বাদাম
প্রতিদিন আখরোট, কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। বাদাম স্বাস্থ্যকর ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বাদামে যেন লবণ বা চিনির প্রলেপ দেওয়া না হয়।
মাছ
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে। কারণ, মাছে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ কমায়। মাছ রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়।
ওটমিল
ওটমিলে দ্রবণীয় আঁশ থাকে বলে তা লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের (এলডিএল) ঝুঁকি কমায়। এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। ওটমিল রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ হওয়ার হার কমায়।
তথ্যসূত্র : জিনিউজ।
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
বাদামপ্রতিদিন আখরোট, কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। বাদাম স্বাস্থ্যকর ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বাদামে যেন লবণ বা চিনির প্রলেপ দেওয়া না হয়।
মাছকোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে। কারণ, মাছে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা রক্তচাপ কমায়। মাছ রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়।
ওটমিলওটমিলে দ্রবণীয় আঁশ থাকে বলে তা লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের (এলডিএল) ঝুঁকি কমায়। এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। ওটমিল রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ হওয়ার হার কমায়।
তথ্যসূত্র : জিনিউজ।
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
Saturday, February 18, 2017
৫টি খাবার যা ডিএনএ ভালো রাখে
বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে ডিএনএর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে ডিএনএর ক্ষয় রোধ করা যায়। খাবারে বাড়তি একটু জিঙ্ক যুক্ত করলে ডিএনএর ক্ষয় ঠেকানো যায়। জিঙ্কযুক্ত খাবার খেলে তাই বুড়িয়ে যাওয়ার গতি কমে। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বাদাম, শিম, দুগ্ধজাত পণ্যে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে।
দেখে নিন আর যে পাঁচ খাবারে জিঙ্ক বেশি থাকে:
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার চিলড্রেনস হসপিটাল অকল্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক জ্যানেট কিং বলেন, ‘খাবারে সামান্য জিঙ্ক বৃদ্ধি আমাদের শরীরে বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, তা দেখে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। এ ফল জিঙ্কের প্রভাবের বিষয় নিয়ে নতুন পরিকল্পনা বিষয়ে আলোকপাত করে।’
শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় মাইক্রো নিয়ট্রিয়েন্ট জিঙ্ক এবং জীবন টিকিয়ে রাখতেও দরকারি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করতে কাজ করে এই উপাদান। বিশ্বজুড়ে অনেক বাড়িতে সাদা চাল আর পরিশোধিত আটা-ময়দা ব্যবহার করা হয়। এতে শক্তি জুটলেও জিঙ্ক থাকে কম। এতে ডিএনএর ক্ষতি হয়। জিঙ্কসমৃদ্ধ কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:
![]() |
| ভেড়ার মাংস |
ভেড়ার মাংসে যদিও চর্বির পরিমাণ বেশি, তবে তবে এটি জিঙ্কসমৃদ্ধ। ১০০ গ্রাম ভেড়ার মাংসে ৮ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
![]() |
| মাশরুম |
ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। কয়েক ধরনের মাশরুম আছে, যাতে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদানও আছে। জিঙ্কের ভালো উৎস এটি।
![]() |
| গাঢ় চকলেট |
জিঙ্কের উৎস হিসেবে ডার্ক বা গাঢ় চকলেট খেতে পারেন। এতে অবশ্য উচ্চ ক্যালরি থাকে। ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটে ৯ মিলিগ্রাম জিঙ্ক পাওয়া যায়।
![]() |
| কুমড়ার বীজ |
কুমড়ার বীজ জিঙ্কের ভালো উৎস। এ ছাড়া এর অন্যান্য গুণও আছে। এটি ভালো ঘুমে ফল দেয়। এতে ওমেগা-৩ আছে, যা রক্তের চিনির মাত্রা ঠিক রাখে। ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীজে ৭ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
![]() |
| কাজুবাদাম |
খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখতে পারেন। এতে জিঙ্ক রয়েছে। ১০০ গ্রাম কাজুবাদামে ৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন
মগজ কি পিছিয়ে পড়ছে যান্ত্রিক বুদ্ধির কাছে?
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কুড়ি বছর আগে ‘ডিপ ব্লু’ নামে এক কম্পিউটার প্রোগ্রাম হারিয়ে দিয়েছিল বিশ্বজয়ী দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভকে। গত বছরের গোড়ায় বোর্ড গেম ‘গো’-এর লড়াইয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রাম ‘আলফা-গো’-এর কাছে হেরেছেন বিশ্বজয়ী লি সেডল। তাহলে মগজাস্ত্র কি পিছিয়ে পড়ছে যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধির কাছে!
বিষয়টিকে মোটেই এভাবে দেখছেন না ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) নিউটন অধ্যাপক মৃগাঙ্ক শূর। তিনি বরং বলছেন উল্টো কথা।
তার মতে, কোনো খেলায় যন্ত্রের কাছে মগজের হার হতে পারে। কিন্তু বুদ্ধির দৌড়ে কম্পিউটার কখনওই টেক্কা দিতে পারবে না মগজাস্ত্রকে। তবে কম্পিউটারের বুদ্ধিতে শান দিতে হলে নিজের মগজটাকেই আরও ভালো করে ঘেঁটে দেখতে হবে মানুষকে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২শ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার এক বক্তৃতায় মৃগাঙ্কবাবু মনে করিয়ে দিলেন, মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে সেই যুক্তিকে কাজে লাগিয়েই কম্পিউটারের প্রোগ্রামকে আরও উন্নত করে তোলা সম্ভব। কিন্তু মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা যত এগোবে ততই এটা স্পষ্ট হবে যে, যন্ত্রের বুদ্ধি কোনোভাবেই ছাপিয়ে যেতে পারবে না মানুষের মগজকে।
এই প্রসঙ্গে কম্পিউটার প্রোগ্রাম ও মস্তিষ্কর তুলনা টানলেন মৃগাঙ্কবাবু। তা হলো, কাজ করতে ‘আলফা-গো’ প্রোগ্রামের লাগে ৩০ হাজার ওয়াট শক্তি। আর মানুষের মগজের দরকার হয় মাত্র ২০ ওয়াট!
প্রবীণ এই স্নায়ুবিজ্ঞানীর বক্তব্য, মানুষের মগজই সম্ভবত এই ব্রহ্মাণ্ডের সব থেকে জটিল যন্ত্র। কেজি দেড়েক ওজনের ওই অঙ্গে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি কোষ। এরকম এক যন্ত্রের সব রহস্য ও কারসাজি পুরোপুরি জেনে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বলা যায়, সেই কাজ শুরু হয়েছে মাত্র। ভারতের কানপুর আইআইটির প্রাক্তন মৃগাঙ্ক বাবু সেই কাজেই ডুবে রয়েছেন বহু বছর ধরে। যার কিছু ঝলক উঠে এল তার বক্তৃতাই।
প্রবীণ স্নায়ুবিজ্ঞানী দেখালেন, আসলে মানুষ যা দেখে ও শোনে, তার সবটা সে বোঝে না। সেই দৃশ্য বা শব্দ মস্তিষ্কের কোষগুলো যেভাবে অনুধাবন করে, শুধু সেটাই প্রকাশ পায়। একজন মানুষ কোন দৃশ্য কখন দেখছে, কত সময় ধরে দেখছে, কেমন তার মানসিক গড়ন- এসবের ওপরেও নির্ভর করে তার প্রতিক্রিয়া।
প্রেসিডেন্সির ২শ বছর পূর্তিতে বক্তৃতা দিচ্ছেন মৃগাঙ্ক শূর
এমনটা অনেক সময়েই হয় যে, কেউ কোনো দৃশ্য দেখছে বা কিছু শুনছে, কিন্তু তা বুঝতে পারছে না। আসলে স্নায়ুসন্ধি দিয়ে তরঙ্গ ঠিকভাবে এক নিউরন থেকে পরেরটায় যেতে পারেনি। এমন কেন হয়, সেটা জানা জরুরি মানুষের চিকিৎসার জন্যেও। কারণ, মস্তিষ্কের অসুখ দিন দিন বাড়ছে।
মার্কিন মুলুকে ৫০ শতাংশ প্রবীণ নাগরিক অ্যালঝাইমার্স রোগে ভুগছেন। বাড়ছে স্নায়ু-মনোরোগের সমস্যা। মৃগাঙ্ক তাই বললেন, ‘মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, কোন সময় তার কী অবস্থা হয়, তা বুঝতে পারলে এই সব রোগের চিকিৎসাও সহজ হয়ে উঠবে।’
সৌজন্যে- এইবেলাডটকম/নীল
Thursday, February 16, 2017
আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে এই ভয়ঙ্কর মাদক
হেঁসেলের উপর এর আধিপত্য অনস্বীকার্য। এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানকার রান্নায় এর ব্যবহার হয় না।
স্বাদের মিষ্টত্বও বজায় রাখে, আবার পদের ভারসাম্যও রক্ষা করে। কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর মাদকের গুণ। যা ধীরে ধীরে আসক্তির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
আপনার কোন পছন্দের খাদ্যের কথা বলা হচ্ছে? চিনি। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন ছোট ছোট স্ফটিকের মতো এই দানাগুলিই আপনার অজান্তে আপনাকে আসক্ত করে চলেছে দিনের পর দিন, এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। অ্যালকোহল, নিকোটিন, গাঁজা, চরস, হেরোইনের মতো মারাত্মক মাদকগুলির মতোই কাজ করে চিনি বা মিষ্টি। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। বেশিরভাগ শিশুই মিষ্টি পছন্দ করে। অনেক সময়ই দেখা যায় এর জন্য তারা বায়না জুড়ে দিয়েছে। পছন্দের জিনিসটি না পেলে তাদের মধ্যে রাগের বহিঃপ্রকাশও দেখা যায়।
রান্নার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্থানেই চিনির ব্যবহার বহুল প্রচলিত। ভূ-ভারতে এমন রান্নাঘর পাওয়া বিরল যেখানে চিনি মজুত নেই। চা কিংবা কফির ক্ষেত্রেও চিনি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয় এবং তা নেশার পর্যায় পৌঁছে যায়। চিনি কম হলে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেন। বৈজ্ঞানিকদের দাবি, এই পর্যায়গুলিই মাদক ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা যায়। মাদকের মতোই মানুষের ভয়ঙ্কর অভ্যাসে পরিণত হয় চিনি। যা অজান্তেই মানুষের শরীরে ঘুণের মতো বাসা বাঁধে এবং তাকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Wednesday, February 15, 2017
পটলের যতগুণ
সুস্থ থাকতে পটল:
* পটলের তরকারি খেলে হজম করবার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
* কাশি, জ্বর ও রক্তের দোষ অর্থাৎ রক্তবিকার সারে।
* এর রস মাথায় লাগালে টাক পড়া বন্ধ হয় ও মাথায় নতুন চুল গজায়।
পটলের গুণ:
* সাধারণত পটল সহজে হজম হয় এবং অন্য খাবার হজমে সাহায্য করে।
* পটল হার্টের পক্ষে ভাল, লঘুপাক, খিদে বাড়ায়, শরীর স্নিগ্ধ করে অথচ গরম।
* কাশি, রক্তবিকার, শ্লেষ্মা বাত ও পিত্ত, জ্বর ও কৃমি সারিয়ে তোলে।
রোগ সারাতে পটল:
১। এলাচ দারুচিনি ও লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
২। তেতো পটলের ক্কাথ তৈরি করে মধু মিশিয়ে খেলে পিত্তজ্বর সারে, তৃষ্ণা নিবারণ হয় আর শরীর জ্বালা কমে।
৩। তেতো পটলের শিকড় সেদ্ধ করে সেই জল চিনি মিশিয়ে খাওয়ালেও পিত্তজ্বরে উপকার হয়।
৪। ১০ গ্রাম ওজনের তেতো পলতা, ১০ গ্রাম ধনে এক রাত এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা এই জল ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিয়ে তিনবার খান - সমস্ত কৃমি নাশ করে।
৫। পটল খেলে ত্বকের রোগেও লাভ হয়। তেতো পটোল ও তেতো নিম পাতার ক্কাথ দিয়ে ফোড়া ধুয়ে নিলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৬। তেতো পটলের পলতা পাতার রস টাকের পক্ষে উপযোগী।
শিশুর আইকিউ বাড়াবে কার্বোহাইড্রেট
শিশুর ওজন বাড়লেই আমরা দায়ী করি কার্বোহাইড্রেটকে। আমরা ভাবি স্বাস্থ্য নষ্টের মূলেই রয়েছে এটি।
ওয়েট মেশিনের কাঁটা একটু বেশির দিকে যেতে থাকলেই ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার যেমন : ভাত, গম, আটা, মটরশুঁটি ইত্যাদি বাদ দেয়ার চেষ্টা করি। আমরা না বুঝে এখানেই সবথেকে বড় ভুলটা করে ফেলি। কারণ সব কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ওজন বাড়ায় না, বরং সেগুলি শিশুর শরীর গঠনে ও আইকিউ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিই :
* ভালো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হজম হতে অনেক সময় লাগে।
* কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারে অনেকক্ষণ পর্য়ন্ত পেট ভরা থাকে। তাই শিশুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ফল, সবজি এবং দানা শস্য জাতীয় খাদ্য।
* প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট, যেমন : সাদা পাউরুটি খুব সহজে হজম হয়ে যায়, ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়।
* প্রোটিন বা ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে যতক্ষণ পেট ভড়া থাকে, কার্বোহাইড্রেট খেলে ততক্ষণ থাকে না। সে ক্ষেত্রে একটু কম করে কার্বোহাইড্রেট খেলেই চলবে। তাহলেই আর ওজন বাড়ার ভয় থাকবে না।
* শিশুরা খুব বেশি খেলাধূলো করেন, তাই তাদের শরীরে শক্তি যোগাতে অবশ্যই প্রচুর পিরমাণে কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে। বড়রা যারা সারা দিনে কম শারীরিক পরিশ্রম করেন, তারা কার্বোহাইট্রেট খাবেন তবে মেপে মেপে।
* শিশুর পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে, এসময় পরিশ্রমের মধ্যে আইকিউ বাড়াতেও ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থাকাটা জরুরি। কারণ এই দুই ধরনের খাবার শরীরকে শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে।
সৌজন্যে- যুগান্তর অনলাইন
Monday, February 13, 2017
মানবদেহের নতুন অঙ্গ আবিষ্কার, সবমিলিয়ে ৭৯টি হলো
মানবদেহের নতুন একটি অঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর নাম মেসেনটারি।
আগে একে শুধু পাচনতন্ত্রের কয়েকটি খণ্ডিত কাঠামো মনে করা হত।
কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, প্রকৃতপক্ষে এটি একটি একক এবং খণ্ডিত নয় বরং একটানা একটি অঙ্গ।
এটি প্রথম আবিষ্কার করেন লিমারিক বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গবেষক জে ক্যালভিন কফি। তিনি বলেন, “যদিও এর কার্যকারিতা কী তা এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি তথাপি এই আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানের পুরোপুরি নতুন একটি ক্ষেত্রের দরজা খুলে গেছে। ”
তিনি বলেন, এই অঙ্গটির নিরিখে আমরা তলপেটের রোগগুলোকে শ্রেণিবিভক্ত করতে পারব।
আমরা এখন এর শারীরস্থান এবং কঠামো নির্ণয় করেছি। এরপর এর কার্যকারিতা নির্ণয় করা হবে। একবার যদি এর স্বাভাবিক কার্যকারিতা বুঝা যায় তাহলে এর অস্বাভাবিক কার্যকারিতাগুলোও বুঝা যাবে। আর তখন রোগ নির্ণয়ও সম্ভব হবে।
আর এগুলো সব একত্রিত করলে মেসেন্টারিক সায়েন্স প্রতিষ্ঠা পাবে।
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে, দ্য ল্যান্সেট নামের মেডিকেল জার্নালে।
এই অঙ্গটি তলপেটের পীড়ায় কী ভুমিকা পালন করে তা আবিষ্কার করতে পারলে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিরও উদ্ভাবন ঘটবে।
১৫০৮ সালে ইতালিয়ান সর্ববিদ্যা বিশারদ লিওনার্ডো দ্য ভিঞ্চি সর্বপ্রথম এই অঙ্গটির বিবরণ দেন। কিন্তু শতশত বছর ধরে এই অঙ্গটিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
এই অঙ্গটিসহ মানবদেহের মোট অঙ্গের সংখ্যা এখন ৭৯ টি হলো।
হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, লিভার, ফুসফুস এবং কিডনি এই পাঁচটি মানবদেহের প্রধান অঙ্গ। এই পাঁচটি অঙ্গই আমাদেরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। কিন্তু এছাড়াও আরো ৭৪টি অঙ্গ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ক্রেডিট- কালের কণ্ঠ অনলাইন
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
সুস্থ থাকতে বেগুন
আমরা জানি প্রত্যেক শাক-সব্জিরই কিছু গুণাগুণ রয়েছে। এপ্রেক্ষিতে আজ বেগুনের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো-
১। কচি বেগুন পুড়িয়ে রোজ সকালে খালি পেটে একটু গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার দরুণ লিভার বেড়ে যাওয়া কমে।
২। লিভারের দোষের জন্যে চেহারায় হলদেটে ভাব এলে তা ক্রমশ কমে যায়।
৩। যাদের ঘুম ভাল হয় না তারা যদি একটু বেগুন পোড়ায় মধু মিশিয়ে সন্ধ্যেবেলা চেটে খান তাহলে তাদের রাতে ভালো ঘুম হবে।
৪। বেগুনের তরকারি, বেগুন পোড়া, বেগুনের স্যূপে রোজ যদি একটু হিং (কবিরাজী দোকানে পাওয়া যায়) ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে বায়ুর প্রকোপ তো কমেই, যদি কারো পেটে বায়ু গোলকের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেটাও কমে যায় বা সেরে যায়।
৫। মহিলাদের অনিয়মিত ঋতু হলে বা কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে তারা যদি শীতকালে নিয়ম করে বেগুনের তরকারি বাজরার রুটি এবং গুড় খান তাহলে উপকার পাবেন। অবশ্য যাদের শরীরে গরমের ধাত বেশি তাদের পক্ষে এটা না খাওয়াই ভাল।
৬। নিয়মিত বেগুন খেলে মূত্রকৃচ্ছ্রতা সারে।
৭। প্রস্রাব পরিস্কার হওয়ার প্রারম্ভিক অবস্থায় কিডনির ছোট পাথরও গলে গিয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
৮। মুরগির ডিমের সাইজের ছোট গোল সাদা বেগুন অর্শের পক্ষে উপকারী।
৯। বেগুনের পুলটিস বাঁধলে ফোড়া তাড়াতাড়ি পেকে যায়।
১০। বেগুনের রস খেলে ধতুরার বিষ নেমে যায়।
Sunday, February 12, 2017
রোমান্টিক ভালোবাসার কল্পকাহিনী আপনার স্বাস্থ্য ধ্বংস করছে!
রোমান্টিক ভালোবাসার ধারণাটি হলো এমন, যেখানে দুজন নারী-পুরুষ পরস্পরের পরিপূর্ণতার জন্য এবং খাঁটি রুপটি অর্জনের জন্য মিলিত হন। এর পরস্পরের সন্ধানে আকুল হয়ে থাকেন।
কিন্তু এই প্রশান্তি খুব কম লোকই পেয়ে থাকেন। কারণ এটি একটি কাল্পনিক ধারণা। সেই গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর সময়কার ধারণা।
গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী যথাযথ যুগলদেরকে একসঙ্গে যুক্ত করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর তাদেরকে কেটে দুই টুকরা করা হয়। এরপর এক অংশ আরেক অংশকে খুঁজে পায় ভালোবাসার আকাঙ্খার মাধ্যমে।
এই মিথ জনপ্রিয় সংস্কৃতি, প্রেম কাহিনী এবং রোমান্টিক কমেডিগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি আমাদের সামাজিক আত্ম-পরিচয়কেও প্রভাবিত করে। এমনকি অনেক সময় আমরা অবচেতনেও আমাদের “হারিয়ে যাওয়া অর্ধেকের” সন্ধান করতে থাকি। কিন্তু বিয়ে বিচ্ছেদের উচ্চ হার থেকে প্রামণিত হয় এমন আদর্শ কোনো জীবন সঙ্গীর ধারণাটি আসলে অবাস্তব।
আজকাল অনেকেই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় তাদের আদর্শ সঙ্গী বা সঙ্গিনীর খোঁজ করেন। এমনকি নিঃসঙ্গতা কাটাতেও অনেকে অনলাইনে ডেটিং, প্রেমালাপ, সেক্সটিং করে সময় কাটান। বাস্তব জীবনে অন্তরঙ্গতার অভাব বা কাউকে হারানোর দুঃখ কাটাতেও অনেকে অনলাইনে ঢু মারেন।
সাইবার দুনিয়ায় আমরা যেমন খুশি তেমনই এবং যা ইচ্ছা করে তাই হতে পারি। এটি আমারেদ আনন্দ দেয়। কিন্তু এটি আমাদেরকে কল্পনা বিলাসে প্রলোভিত করে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অবচেতনে থাকা এবং এমনকি আমাদের অজানা আকাঙ্খাগুলোকেও তাৎক্ষণিকভাবে তুষ্ট করি।
কিন্তু এই ভার্চুয়াল দুনিয়ার প্রতি কেউ সহজেই আসক্ত হয়ে পড়তে পারেন। কারণ বাস্তব দুনিয়ার ভালোবাসা এর সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। ফলে অনেকের জন্যই বাস্তবতায় ফিরে যাওয়া কঠিন এমনকি অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইন্টারনেটে আসক্তি এবং অবিশ্বস্ততা বেড়ে চলার ঘটনা অন্তত তেমনটিই প্রমাণিত হয়।
এর ফলে আবার নানা আবেগগত বিশৃঙ্খলাও দেখা দিতে পারে। যেমন, মানসিক অবসাদ, হতাশা, ক্ষোভ, বেদনা, ঝগড়া-ঝাটি, প্রতিশোধমূলক পর্ন, বিয়ে বিচ্ছেদ, নেশাসক্তি, অতিভোজন বা ভোজনহীনতা। অবসাদ এবং ভগ্ন হৃদয় (প্রেম রোগ) এর সঙ্গে মানসিক (অবসাদ, অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার, ইনসমনিয়া) এবং শারীরিক (ক্লান্তি) স্বাস্থ্যহানির বিষয়টিও বহুল প্রমাণিত।
প্রেমের পরিণতি
দীর্ঘমেয়াদি পরিণতিগুলো খুব কমই পরিচিত, কিন্তু আমরা তা অনুমান করতে পারি। আমরা জানি যে, আমাদের সামাজিক সম্পর্ক এবং চারপাশের পরিস্থিতির গুনগত মান আমাদের মস্তিষ্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সামাজিক অভিজ্ঞতা, বংশগতির অভিব্যক্তি, স্নায়ুজৈবিক পরিবর্তন এবং আচরণের ভিন্নতার মধ্যে একটি গভীর যোগসাজশ আছে। অসংখ্য সাক্ষ-প্রমাণ থেকে এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করা যায় কীকরে সমাজিক পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের মনে প্রবেশ করে এবং আমাদের সন্তান-সন্ততিদেরকেও প্রভাবিত করে। অন্য কথায় আমাদের সামাজিক অভিজ্ঞতার দ্বারা সংঘটিত শারীরিক প্রভাব আমাদের বংশধরদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, যদি আবেগ, সচেতন চিন্তা এবং অবচেতন বিশ্বাসসমূহ আমাদের সামজিক পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয় এবং আমাদের বংশগতিকে প্রভাবিত করে তাহলে রোমান্টিক ভালোবাসার গুজবের সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি পরিণতিটা কী?
এই প্রক্রিয়া যদি মানসিক বিশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এবং প্রেমরোগ (ভগ্ন হৃদয়) থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দুটোকে কী সংযুক্ত মরে করা যায়? বিষয়টি আমরা এখনো পুরোপুরি জানি না।
তবে আমরা এটা জানি যে, সামাজিকভাবে নির্মিত রোমান্টিক ভালোবাসাও বিয়ের ধারণা আমাদেরকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। শিশুকাল থেকেই এগুলোর যাত্রা শুরু হয় এবং আমাদের বয়ঃসন্ধিকাল ও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও তা অব্যাহত থাকে।
গুগলে “রোমান্টিক লাভ” লিখে সার্চ দিন এবং দেখুন কী আসে। আমরা সচেতনে এবং অবচেতনে আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে প্রত্যাশাগুলো গড়ে তুলি। এবং সেগুলো বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করি। কিন্তু এই প্রত্যাশাগুলো যখন বাস্তবে অর্জন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন মানসিক চাপে আক্রান্ত হওয়াটা অনিবার্য হয়ে উঠে। আরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, হৃদযন্ত্র এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এই চাপের প্রভাব সর্বজনবিদিত।
সুতরাং এখনই সময় কাল্পনিক ভালোবাসার পেছনে ছোটা বন্ধ করার। ভালোবাসার তৎপরতাগুলো যারা সেগুলো বিনিময় করে তাদের মতোই বৈচিত্রপূর্ণ। এগুলো অনেক সময়ই হয়তো দেখতে প্রাণহীন মনে হয় কিন্তু প্রকৃতই যত্নশীল। আমরা যদি রোমান্টিক ভালোবাসার এই মিথ ভাঙ্গতে পারি তাহলে আমরা সম্পর্ক বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই বাস্তব প্রত্যাশা লালন করতে সক্ষম হব এবং পরিণতিতে আরো সুখি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারব।
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Saturday, February 11, 2017
রেড মিট থেকে সাবধান
গরু, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাংসকে রেড মিট বা লাল মাংস বলা হয়। এগুলো দেহের নানা ধরনের ক্ষতি করে।
সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন লাল মাংস নিয়মিত খেলে পেটের একটি বিশেষ সমস্যা হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
যারা নিয়মিত লাল মাংস খান তাদের এখনই সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ নিয়মিত লাল মাংস খেলে পেট একটি বিশেষ সমস্যা হয়। এ সমস্যাটির পেছনে সি রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। একে ইনফ্লেমেটরি কেমিক্যাল বলছেন গবেষকরা।
এছাড়া লাল মাংসের আরও কিছু অপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লাল মাংসে টিনিয়া সেলিনাস নামক এক ধরনের প্যারাসাইট থাকে যা অন্ত্র, পাকস্থলী, যকৃত প্রভৃতি জায়গায় প্রবেশ করে আমাদের অসুস্থ করে দেয়। লাল মাংসে থাকে অধিক ট্রাইসেরাইড, কোলেস্টেরল ও পিউরিন তাই হৃদরোগ, বাত, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের লাল মাংস কম খাওয়া উচিত।
এছাড়া অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণ করলে খাদ্যনালি, ফুসফুসে অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত চর্বি থাকায় লাল মাংস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাল মাংস রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ও শরীরের ওজন বাড়ায় এবং স্থূলতা জন্ম দেয়। নিয়মিত লাল মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং বাত রোগ বাড়ে। আর অতিরিক্ত লাল মাংস খেলে রক্তনালির পুরুত্ব বেড়ে যায়, ফলে একিউট করোনারি সিনড্রোম এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে উঠে এসেছে বেশি পরিমাণে লাল মাংস খেলে ৫৮ শতাংশ উপস্থলিপ্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়া প্রত্যেক দিন লাল মাংস খাওয়ার জন্য ১৮ শতাংশ করে এর ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে টানা এক সপ্তাহ লাল মাংস খেলে ঝুঁকি সর্বাধিক হয়ে থাকে।
তাহলে লাল মাংস বাদ দিয়ে প্রোটিনের জন্য কী খাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছ কিংবা মুরগির মাংস খেতে পারেন। আর এতে ২০ শতাংশ ঝুঁকি কমবে।
গবেষণা দলটি এ বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ৪০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৪৬ হাজার ৫০০ পুরুষের ওপর অনুসন্ধান চালান। মূলত ১৯৮৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তাদের স্বাস্থ্যগত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এতে তাদের খাবারের অভ্যাস ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও অনুসন্ধান করা হয়।
এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গাট জার্নালে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
তরকারির ভিটামিন নষ্ট না করবার কয়েকটি উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই তরকারি কুটার নিয়ম জানেন না বা কেউ জানলেও তা করেন না। তাই আজ তরকারি কুটার কিছু নিয়ম জানাবো।
খোসা ছাড়ালে তরকারির খাদ্যগুণ কমে যায়। খোসা ও খোসার নীচেই আছে শরীরের পক্ষে মূল্যবান ভিটামিন ও খনিজ যার পুষ্টিগুণ ভেতরের শাঁসের চেয়ে কম নয়।
তরকারির ভিটামিন নষ্ট না করবার কয়েকটি উপায় হল-
১। তরকারি কুটে নেওয়ার পরে না ধুয়ে তরকারি কুটবার আগেই পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
২। কুটে নেওয়ার পর তরকারি বেশিক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না।
৩। রান্না করার খুব বেশিক্ষণ আগে তরকারি কুটবেন না।
৪। খুব পাতলা পাতলা করে টুকরো করবেন না। তরকারি কুটবার পর যাতে বেশি রোদ-হাওয়ার সংস্পর্শে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৫। লেটুস পাতা জাতীয় একটি শাক ও দু-তিন রকম তরকারি মিশিয়ে নুন ছাড়া স্যালাড খান।
৬। পরিবেশনের ঠিক আগেই স্যালাড তৈরি করবেন।
যাঁরা সুপাচ্য সাদাসিদে খাবার অর্থাৎ ভাত, ডাল, দুধ, ফল, শাকসব্জি খান, কোনো ওষুধপত্র খান না, ধূমপান বা মদ্যপান করেন না তাঁদের বাড়তি কোনো ভিটামিনের পিল বা বড়ি খাওয়ার প্রয়োজনই হয় না। ভিটামিন, খনিজ যা প্রকৃতি থেকে শাকসব্জি, ফল-মূল ইত্যাদির মধ্যে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি খেয়ে ফেললেও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ভয় নেই।
Blog-এর নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে
Blog-এর নাম পরিবর্তনের কারণে আমার সমস্ত post এখন থেকে https://swaasthatika.blogspot.com/ -এর লিংক থেকে পাওয়া যাবে। তাই আগের post (http://tinkudas.blogspot.com/)-এর লিংকগুলো সাপোর্ট করবে না।পাঠকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দু:খিত।
Friday, February 10, 2017
দেহের ওজন কমানোর জাদুকরী পদ্ধতিটি জেনে নিন
অনেকেই দেহের ওজন কমানোর জন্য নানা উপায় অবলম্বন করেন। যদিও এতে সঠিকভাবে কোনো কাজ হয় না।
ফলে ওজন বাড়তেই থাকে। তবে ওজন কমানোর সহজ একটি পদ্ধতি হলো সন্ধ্যার পর আর খাবার না খাওয়া। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
জীবনযাপনে একটি সামান্য পরিবর্তনেই দেহের ওজন কমানো সম্ভব। আর এ পরিবর্তনটি করাও খুব কঠিন নয়।
রাতের খাবার বিকালেই শেষ করুন
গবেষকরা বলছেন ওজন কমানোর এ উপায়টি খুব সহজ হলেও অনেকেই এটি মানতে চান না। এ পদ্ধতিটি হলো, সন্ধ্যার আগেই শেষ করতে হবে রাতের খাবার। আর সবচেয়ে ভালো হয় তা বিকালেই শেষ করলে। এরপর আর কোনো খাবার খাওয়া যাবে না।
সন্ধ্যার পর খাবার না খেলে ক্ষুধা লাগবে না? এক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন, প্রথম দিকে কিছুটা কষ্ট হবেই। তবে আপনি যখন অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন খুব একটা অসুবিধা হবে না।
সম্প্রতি এক গবেষণার আলোকেই কার্যকর এ পদ্ধতিটির কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। এ পদ্ধতিতে দেহের চর্বি কমে যাবে এবং ওজন কমবে।
ওজন কমানোর এ পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে আর্লি টাইম-রেসট্রিকটেড ফিডিং (ইটিআরএফ)। এতে গবেষকরা দেখেছেন, তাড়াতাড়ি দিনের খাবার খেয়ে নিলে দেহের কার্বহাইড্রেট হজম করার পদ্ধতি পাল্টে যায় এবং দেহের ওজন কমে।
এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন, কোর্টনি পিটারসন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। তিনি বলেন, ‘খাবার যদি দিনের একটি অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় তাহলে তাতে ওজন কমানো সম্ভব।’
মানুষের দেহে একটি অভ্যন্তরীণ ঘড়ি রয়েছে। আর বিপাক ক্রিয়া সবচেয়ে ভালো হয় সকালের খাবারে। এ কারণে দিনের প্রথম ভাগে সব খাবার খেয়ে নিয়ে তাতে দেহের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এর আগে প্রাণীদের ওপরেও অনুরূপ বিষয়ে গবেষণা করা হয়। তাতেও উঠে এসেছিল দেহের চর্বির মাত্রা কমাতে তাড়াতাড়ি খাবার কার্যকর।
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল উপস্থাপিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অর্লিন্সে ‘দ্য ওবেসিটি সোসাইটি’র বার্ষিক সম্মেলনে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, February 9, 2017
শরীর সুস্থ রাখতে তেঁতুল পাতা
আজ তেঁতুল ও তেঁতুল পাতার কিছু গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করবো:
১। কচি তেঁতুল পাতা সেদ্ধ করে সেই জল খেলে পেটের অসুখ সারে।
২। কচি তেঁতুলের পাতা বেটে জলে মিশিয়ে খেলে আমাশয় ও পিত্তের জন্যে যে জ্বর হয় সেই জ্বর ও প্রমেহ (যৌনব্যাধি) সারে।
৩। তেঁতুল পাতার পুঁটলি বেঁধে চোখে বুলিয়ে দিতে থাকলে চোখ-ওঠায় আরাম পাওয়া যায়।
৪। তেঁতুলের দশ-বারোটি বীজ জলে ভিজিয়ে ওপরের খোসা ফেলে দিন। দুধে সাদা বীজের শাঁস পিষে নিন। প্রতিদিন সকালে এই শাঁস খেলে শরীর বলবান হবে।
৫। তেঁতুলের বীজের চূর্ণ ও হলুদ গুড়োঁঁ ঠান্ডা জলে মিশিয়ে পান করলে বসন্ত রোগ হয় না অর্থাৎ এটা হাম-বসন্ত ও জলবসন্তের প্রতিষেধক।
৬। তেঁতুল জলে গুলে ছেঁকে নিয়ে চিনি মিশিয়ে পানা তৈরি করে খেলে লু বা গরম লাগার কষ্ট দূর হয়।
৭। তেঁতুলের শাঁস জলে গুলে ছেঁঁকে নিয়ে লবণ মিশিয়ে পান করলে মলের বেগ আসে - অর্থাৎ পায়খানা পরিস্কার হয়।
রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারবেন আপনি কতদিন বাঁচবেন!
এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ পুরো মানবসমাজে বিপ্লব ঘটে যাবে! বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রক্ত পরীক্ষা আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে কেউ কতদিন বাঁচবেন তা অনুমান করা যাবে।
শুক্রবার এজিং সেল নামের জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
৫ হাজার লোকের রক্ত থেকে বায়োমার্কার ডাটা সংগ্রহ করে তা আট বছর ধরে রক্তদাতার স্বাস্থ্যগত উন্নয়নে নিরিখে বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণায় এমন প্যাটার্নগুলো চিহ্নিত করা হয় যেগুলো ভালো এবং খারাপ ভবিষ্যতের নির্দেশক। বিশেষকরে, ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো বার্ধক্যজনিত রোগগুলোর ঝুঁকি নির্ণয় করা হয়।
মোটের ওপর গবেষকরা ২৬টি ভিন্ন ভিন্ন ভবিষ্যদ্বানীপূর্ণ বায়োমার্কার স্বাক্ষর উৎপাদন করেছেন। তার মানে, এখন রোগীরা আগেভাগেই তাদের বাস্তব স্বাস্থঝুঁকিগুলো শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন। ফলে সেগুলো এড়াতে আগেভাগেই আচরণগত পরিবর্তন সাধনেরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন লোকে।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. পাওলা সেবাস্তিয়ানি এবং ড. থমাস পার্লস বলেন, “এই বায়োমার্কার স্বাক্ষরগুলো লোকে কীভাবে বুড়িয়ে যায় তার ভিন্নতার চিত্রায়ন করে, এগুলো স্বাস্থ্যকর বয়োবৃদ্ধি প্রক্রিয়ার পূর্বাভামে প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, জ্ঞানীয় এবং দৈহিক কার্যকারিতায় পরিবর্তন, বেঁচে থাকা এবং বয়স সংশ্লিষ্ট রোগ- হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারেরও পূর্বাভাস দেবে।”
“এটি বুড়িয়ে যাওয়ার আণবিক ভিত্তিক সংজ্ঞায়নের জন্য মঞ্চ স্থাপন করে। যা বহুমুখি ঘুরে বেড়ানো বায়োমার্কার এর তথ্য সংগ্রহ করে যাতে মৃত্যু এবং অসুস্থতার ঝুঁকি সংক্রান্ত স্বাক্ষর উৎপন্ন হয়। ”
তারা আরো বলেন, “ইতিমধ্যেই হৃদরোগের মতো কিছু রোগের ঝুঁকি পূর্বানুমানের জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। ”
“আর এবার আমরা মূলত বুড়িয়ে যাওয়া সংশ্লিষ্ট রোগ এবং লক্ষণগুলোর পদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করছি। ”
তবে এই গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে সংশ্লিষ্ট করে ব্যাপক পরিসরের গবেষণা চালাতে হবে। তার আগে চুড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে না। অর্থাৎ বিষয়টি এখনো সম্ভাবনার পর্যায়েই রয়েছে।
সূত্র: এএনআই, হিন্দুস্তান টাইমস
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Tuesday, February 7, 2017
রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে কী করবেন
বয়সের সঙ্গে বাড়তে থাকে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা। তবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা কঠিন কাজ নয়।
চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া ও মসলা জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। খারাপ চর্বি নিয়ন্ত্রণ করলেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।
উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপানের অভ্যাস, অতিরিক্ত মেদভুঁড়ি, রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি, জেনেটিক কারণ, অলস জীবনযাপন, কায়িক পরিশ্রম কম করে তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার আশংকা থাকে। এছাড়া যাদের এই ঝুঁকি থাকে তাদের কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে থাকা উচিত।
রক্তে খারাপ চর্বি বেড়ে গেলে দুর্বলতা বা অবসাদগ্রস্ত, বুকে ব্যথা, বদ হজম হয়ে থাকে।
পরিবারের বা বাবা-মায়ের হৃদরোগের ইতিহাস এবং আপনার হৃদরোগ হওয়ার মতো ঝুঁকি রয়েছে কি না সেটা জেনে সাধারণত জীবনাচরণ পদ্ধতি পরিবর্তন, চর্বি জাতীয় খাবার বর্জ, শাকসবজী ও ফলমূল খেলে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায় আনা সম্ভব।
এছাড়া কীভাবে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো :
চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার : কোলেস্টেরল কমানোর সহজ উপায় হচ্ছে বেশি কোলেস্টেরলযুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা। তবে শুধু খাবারের কোলেস্টেরলই রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ানোর জন্য দায়ী নয়। সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- মাখন, চর্বিযুক্ত গরুর মাংস ও খাসির মাংসের কলিজা, মগজের পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন : সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাইয়ের তেল খাওয়া যেতে পারে।
ব্যায়াম : শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম শুধু রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় না, উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ (বেশি ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল) ১০ শতাংশ বাড়ায়। জোরে জোরে হাঁটলেও এমন উপকার পাওয়া যায়। নৈশভোজের পর কমপক্ষে ৪৫ মিনিট তাহলে উপকৃত হবেন।
আঁশযুক্ত খাবার : সবজি এবং ফলমূল শরীরের জন্য উপকারী। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলও কমায়। দ্রবণীয় আঁশ পরিপাক নালি থেকে স্পঞ্জের মতো কোলেস্টেরল শুষে নেয়। রক্তচাপ বেশি হলে অতিরিক্ত রসালো জাতীয় ফল না খওয়াই ভালো।
মাছ : মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সাহায্য করে। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এটি রক্ত থেকে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমিয়ে ফেলে। সপ্তাহে অন্তত চার দিন মাছ খাওয়া উচিত। বিভিন্ন উদ্ভিদজাত খাবারেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। যেমন- সয়াবিন তেল, কাঠবাদাম তেল ইত্যাদি।
মদ্যপান পরিহার : অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। মদ সেবন থেকে বিরত থাকুন।
ধূমপান পরিহার করুন : ধূমপানে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরল বা বেশি ঘনত্বের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে।
জন্ম নিয়েন্ত্রণ বড়ি : জন্ম নিয়েন্ত্রণ বড়ি সেবনে নারীদের তলপেটে খারাপ চর্বি জমে। এই বড়ি সেবন পরিহার করলে নারীদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : ইউরিক এসিড যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে হলে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের অবশ্যই জীবনাচরণ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। যদি হৃদরোগের উপসর্গ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে।
ডা. ফাহিম আহমদ রুপম, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, গ্রিনরোড, ঢাকা
সৌজন্যে- যুগান্তর অনলাইন
Monday, February 6, 2017
সারাদিন অলস লাগে? জেনে নিন আলস্য কাটানোর সহজ উপায়
সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না? অথবা অফিসে বা কাজের জায়গায় গিয়েও কাজে এনার্জি পান না? তাহলে কীভাবে আলস্য কাটাবেন, জেনে নিন...
বিছানা ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছে করে না?
১. সারাদিনে বেশি করে জল খান। অথবা এমন খাবার খান যার মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। যেমন বেশি করে সাধারণ স্যালাড অথবা ফ্রুট স্যালাড খেতে পারেন।
২. ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন আপেল, ন্যাসপাতি, বিভিন্ন ধরনের ডাল, পালন শাক ইত্যাদি।
৩. হাল্কা ব্রেকফাস্ট খাওয়ার অভ্যাস করুন। যেমন দুধ, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার খাওয়া উচিত।
৪. দিনে একাধিকবার কফি খাবেন না। কারণ, কফি শরীরের জল শুষে নেয়। সকালে বা দিনের অন্য সময়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি-র সঙ্গে একটু মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিলে চায়ের স্বাদ যেমন বাড়বে, আপনার শরীরের পক্ষেও তা উপকারী হবে।
৫. অকারণে বেশি ভাজাভুজি না খেয়ে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমন্ড, কাজু-সহ বিভিন্ন বাদামের মিক্সচার খেতে যেমন ভাল লাগবে, আপনার শরীরেরও ক্ষতি করবে না।
সৌজন্যে- এবেলা
সুস্থ থাকতে ধনে পাতা
১। ধনে পাতার রস খেলে যে অর্শ থেকে রক্ত পড়ছে তার উপশম হয়।
২। ধনে পাতা বেটে সেই রস পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা চোখে সকাল ও সন্ধ্যেবেলা দিলে চোখের ব্যথায় উপকার হয়।
৩। ধনে পাতার রস বায়ু নাশ করে ও খিদে বাড়িয়ে দেয়। তাই এই পাতা খেলে শরীর ঝরঝরে বা তরতাজা থাকে।
৪। বসন্ত রোগে ধনে পাতার রস চোখে দিলে চোখে বসন্তের গুচি বেরোয় না।
৫। ধনে পাতা চিবিয়ে সেই পাতা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁঁতের মাড়ি দৃঢ় বা মজবুত হয়। দাঁঁতের ঢিলে মাড়ি শক্ত হয়ে যায় এবং রক্তপড়া বন্ধ হয়।
রান্নায় অত্যাধিক ধনে পাতার ব্যবহার ভাল নয়। বলা হয় বেশি ধনে পাতার রস পেটে গেলে রকিশক্তি কমে যায়, দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়, মাথা ঘুরতে থাকে, মনে চাঞ্চল্য উপস্থিত হয় এবং হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। অবশ্য সাধারণত যে পরিমাণে ধনে পাতা খাওয়া হয় তাতে এসব অসুখের আশঙ্কা থাকে না।
Sunday, February 5, 2017
মাত্র এক মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়ার দারুণ কৌশল
ঘুম না আসা খুবই যন্ত্রণাকর একটি ব্যাপার। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করা এবং ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রাত পার করার যন্ত্রণা যারা ভুক্তভুগি তারাই বলতে পারবেন। ঘুম না হওয়ার সবচাইতে প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে মন অস্থির থাকা। আর মন অস্থির হয়ে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ হওয়ার কারণে ঘুম আসতে চায় না একেবারেই। –
রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেন? যতই চেষ্টা করুন না কেন কিছুতেই দু’চোখের পাতায় ঘুম আসে না। জানতেন কি ? মাত্র এক মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন আপনি! ঘুম নিয়ে মানুষের সমস্যার কোন কমতি নেই।বেশীরভাগ মানুষ সময়মত ঘুমাতে পারেন না। বিছানায় শোবার পরও ঘুম আসার কোন খবর থাকে না। যার ফলে দেখা যায় বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। যাই হোক, আমাদের সকলের পর্যাপ্ত পরিমাণ ও সময়মত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করলেই নিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হতে পারে।না, কোনও ম্যাজিক নয়! এমনটাই হতে পারে বলে দাবি করেছেন মার্কিন মুলুকের গবেষকরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকদের দাবি, দৈনন্দিন জীবনে স্ট্রেস ও ইনসোমনিয়ার গলায় গলায় বন্ধুত্ব!একটা থাকলে অন্যটা নাকি এসে যাবেই আপনার জীবনে। আর রাতে ঘুম না আসার পিছনে নাকি যাবতীয় দায় ওই স্ট্রেস-এর। তবে ঘুমোবেন কী করে? তা-ও আবার এক মিনিটে! এক মিনিটে ঘুমোনোর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। কী ভাবে? জেনে নিন তা—
• প্রথমে জিভের ডগাটা রাখুন সামনের দাঁতের সারির মাংসল জায়গায়। পুরো ব্যায়ামের সময় জিভ সেখানেই থাকবে।
• এ বার বেশ জোরে ‘হুশশশ’ শব্দ করে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।
• এ বার মুখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। এ সময় মনে মনে এক থেকে চার গুনুন।
• শ্বাস ধরে রেখে এক থেকে সাত গুনতে শুরু করুন।
• আট গুনে শ্বাস পুরোপুরি ছেড়ে দিন। একই ভাবে ‘হুশশশ’ শব্দ করে শ্বাস ছাড়তে থাকুন।
• এটা হল প্রথম বারের ব্যায়াম। এ ভাবেই মোট চার বার ব্যায়ামটা করুন। গবেষকদের দাবি, এতে স্ট্রেস কমবে। ফলে ঘুমও আসবে তাড়াতাড়ি। মাত্র এক মিনিটেই!
অনেকেই ভাবতে পারেন এই প্রক্রিয়াটি কেন কাজে দেবে বা এই প্রক্রিয়ায় কেন ১ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে আসবে। এই বিশেষ ধরণের নিঃশ্বাসের পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার ফুসফুসের উপরে প্রভাব ফেলে না এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের উপরেও কাজ হয় যা ঘুমাতে সহায়তা করে। আপনি যখন শুয়ে ঘুম না আসা নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন এবং অপেক্ষা করেন তখন আরও বেশী মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় যা আরও বেশী ব্যাঘাত ঘটে। ঘুম যেন এক রহস্য দ্বীপ। আবছা আলো-আঁধারে ঢাকা। ‘ঘুম ঘোরে কে আসে মনোহর?’ আবার, ‘কখনো জাগরণে যায় বিভাবরী।’এ শরীর যার, যে জগতে এর বাস, তার যেন তেমন ভূমিকাই নেই, বিস্মৃত সে এ জগৎ সম্বন্ধে।আমরা সবাই এমন অবস্থায় জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় কাটাই। কাম ক্লিনিকের গবেষক বলেন যখন আমরা দুশ্চিন্তা করি এবং চিন্তা করতে থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব ঘটে। এতে করেই অনেক বেশী ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। যখন এই ৪-৭-৮ নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটি করা হয় তখন অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে ভালো করে পৌছায়। যখন আপনি ৪ সেকেন্ড শ্বাস নেন তক্ষন তা আপনাকে শান্ত করে এবং যখন ৭ সেকেন্ড দম ধরে থাকেন তখন মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌছায়। এরপর আপনি যখন দম ছাড়েন তখন আপনার দেহ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দূর হয়ে যায়। এতে আপনার হার্টবিটও কমে আসবে এবং আপনার দুশ্চিন্তা কমে আসবে। আপনার দেহ ও মন রিলাক্স হবে। আর এ কারণেই ঘুমের উদ্রেক ঘটে। চেষ্টা করেই দেখুন না।
একটি কার্যকরী পদ্ধতি –
জেনে নিন, ঘুম আনার ৭টি বৈজ্ঞানিক কৌশল !
বিভিন্ন জরিপে দেখা যায় শতকরা ৮৬% মানুষ কখনো না কখনো ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রায় ভুগেছে। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করে শুধুমাত্র একটুখানি শান্তির ঘুমের জন্য। শুধুমাত্র ওষুধ নয়, ব্যবহার করা হয় ঘরোয়া টোটকাও। যেমন, বিছানায় যাবার আগে উষ্ণ পানিতে গোসল করা বা গরম দুধ পান করা। এসব করার পরও অনেকের ঘুম আসে না। তাই রইলো কিছু ঘুম আনার কৌশল। নাকের বাম ছিদ্র দিয়ে নিঃশ্বাস নিন : যোগব্যায়ামের এই কৌশলটি আপনার রক্তচাপ কমাবে এবং আপনাকে শান্ত করবে। বাম কাত হয়ে শুয়ে একটি আঙুল দিয়ে নাকের ডান ছিদ্রটি চেপে ধরে বন্ধ করুন। এরপর বাম ছিদ্র দিয়ে আস্তে আস্তে, গভীরভাবে শ্বাস নিন।
পেশির শিথিলতা :
মাংসপেশির শিথিলতা শরীরকে ঘুমের জন্য তৈরি করে তোলে। বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পাড়ুন। গভীর শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। একই সঙ্গে আপনার হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের দিকে চাপ দিন এবং ছাড়ুন। একই ভাবে শরীরের অন্যান্য পেশিগুলো যেমন কাঁধ, পেট, বুক, ঊরু, বাহু ইত্যাদিতে চাপ প্রয়োগ করুন এবং শিথিল করুন।
জোর করে জাগুন :
নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করুন যে জেগে থাকবেন। এতে আপনার মন বিদ্রোহী হয়ে উঠবে। এটাকে বলা হয় ‘স্লিপ প্যারাডক্স’। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকুন এবং বারবার নিজেকে বলতে থাকুন যে আপনি ঘুমাবেন না। এতে কিন্তু কাজ হবে উল্টো! অর্থাত্ আপনি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন।
সারাদিনের পুনরাবৃত্তি :
সারাদিনের প্রতিটি খুঁটিনাটি মনে করার চেষ্টা করুন। কথাবার্তা, দৃশ্যাবলি, শব্দ ইত্যাদি মনে করতে করতে আপনার ঘুমানোর মতো মানসিক অবস্থা তৈরি হয়ে যাবে।
চোখ ঘোরানো :
চোখ বন্ধ করুন এবং আপনার চোখের মণি ঘোরাতে থাকুন। এতে আপনার ঘুমের হরমোন বেড়ে যাবে।
কল্পনা করুন :
দৃশ্য কল্পনা করার মেডিটেশন বেশ কাজে দেয় এ ব্যাপারে। নিজেকে কল্পনা করুন কোনো সুন্দর পরিস্থিতির দৃশ্যে। ফুলের সুবাস নেয়া, ফুলের বাগানে হেঁটে চলা, ঘাসের অনুভব অথবা পায়ের নিচে বালি ইত্যাদি কল্পনা করুন। মন শান্ত হবে এবং ধীরে ধীরে ঘুম চলে আসবে।
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম :
এটি মেডিটেশনের একটি বিশেষ ধাপ। একটি আরামদায়ক অবস্থানে বসুন। চোখ বন্ধ করুন, কাঁধ নামিয়ে দিন, চোয়াল আরামে রাখুন, তবে মুখটা হালকাভাবে বন্ধ রাখুন। নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিন, তবে বুক ভরে নয়, পেট ভরে! এবার মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে অন্তত ছয়বার করুন। এরপর এক মুহূর্ত স্থির হয়ে বসে থাকুন।নিজেকে বলুন, আমি ঘুমের জন্য তৈরি। এর পর ধীরে ধীরে উঠে পড়ুন এবং বিছানায় চলে যান।
সঠিক জায়গায় চাপ প্রয়োগ :
শরীরে এমন কিছু বিশেষ জায়গা রয়েছে যেখানে মৃদু কিন্তু দৃঢ়ভাবে চাপ প্রয়োগ করলে ঘুম আসে। দুই ভ্রূ’র ঠিক মাঝখানে, নাকের একদম উপরের অংশে বুড়ো আঙুল রাখুন। ২০ সেকেন্ড চেপে ধরে রাখুন তারপর আঙুল সরিয়ে
নিন। এভাবে আরো দুবার করুন। এবার বিছানার ধারে বসুন এবং ডান পা উঠিয়ে বাম হাঁটুর ওপরে রাখুন। হাঁটুর
হালকা জায়গাটি খুঁজে বের করুন এবং দ্বিতীয় হাঁটু দিয়ে একইভাবে চাপ দিন। এক পায়ের সাহায্য নিয়ে আঙুল দিয়ে অন্য হাঁটুর উল্টো পিঠের জায়গাটি খুঁজে বের করুন। বুড়ো আঙুল এবং হাতের অন্য চার আঙুল দিয়ে হাঁটুতে মৃদুভাবে চেপে ধরুন।
সজনে পাতার রসের গুণ ও প্রয়োগ
(ক) সজনে পাতার রস খেলে শ্বাসের কষ্ট সারে ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়।
(খ) সজনে পাতার রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে তিন দিন ধরে খেলে পেটের ভেতরের বায়ুর গোলক সেরে যায়।
(গ) সজনে পাতার ক্কাথ তৈরি করে হিং ও শুকনো আদা (শুঁঠ) মিশিয়ে খাওয়ালে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যায়।
(ঘ) বায়ুর প্রকোপের জন্যে যদি কোনো ব্যথা হয় তাহলে সজনে পাতার ক্কাথের সঙ্গে হিং ও শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
(ঙ) সজনের ক্বাথের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দু বার খাওয়ালে পেটের সূক্ষ্ম কৃমি বেরিয়ে যায়।
(চ) সজনে পাতার রস গোলমরিচের সঙ্গে পিষে কপালে লাগালে মাথার যন্ত্রণা দূর হয়।
(ছ) সজনে পাতার রস মাথায় ঘষলে খুসকি দূর হয়।
Saturday, February 4, 2017
কোকেনের মাদকতা মাছে!
বিচিত্র সংবাদ : আনন্দে হোক অথবা দুঃখে, নেশাগ্রস্থ হওয়ার জন্য অনেকেই নানা ধরনের মাদকের উপর নির্ভর করেন৷ কিন্তু ভাবুন তো, একটি মাছ খেলে যদি এলএসডি বা কোকেনের মতো ড্রাগ নেওয়ার অনুভূতি হয়, তাহলে? গল্প নয়৷ পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূলে এমনই এক ধরনের মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ যা আপনাকে চরম নেশাগ্রস্থ করে তুলতে সক্ষম৷ চেটে পুটে একটি মাছ খেলেই আগামী কয়েকদিন ঘোরের মধ্যেই থাকবেন আপনি৷
অর্থাৎ এই মাছ মানুষের শরীরে মদ বা ড্রাগের নেশার মতোই প্রভাব বিস্তার করে৷ সোনালি ও হলুদ রঙের আঁশ বিশিষ্ট এই মাছ দেখতে যতই সাধাসিধে হোক না কেন, এর ক্ষমতা কিন্তু মারাত্মক৷ আরবি ভাষায় মাছটির নামকরণ হয়েছে ‘সারপা সালপা৷’ যার মানে, যে মাছ আপনাকে স্বপ্ন দেখাতে পারে৷ ২০০৬ সালে একটি রিপোর্টে দুটি অদ্ভূত ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল৷
১৯৯৪ সালের ঘটনা৷ এক ব্যক্তি কানে ঘুরতে গিয়ে বেশ তৃপ্তি করে বেকড সারপা সালপা খেয়েছিলেন৷ কিন্তু তারপরেই ঘটে বিপত্তি৷ গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎই দেখেন এক বিরাট প্রাণী তার রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ যদিও বাস্তবে এমন কিছুই ছিল না৷ এটা কেবলই তার হ্যালুসিনেশন৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল৷ ৩৬ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছিলেন তিনি৷ যদিও কোনো ঘটনাই পরে মনে করতে পারেননি ওই ব্যক্তি৷
আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল সেন্ট-ট্রোপেজের ৯০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধার সঙ্গে৷ মাছটি খাওয়ার পর থেকেই তার মনে হতে থাকে তার আশেপাশে আনেক মানুষ চিৎকার করছে৷ পাখিরা ডেকেই চলেছে৷ দুদিন পর ফের স্বাভাবিক হন তিনি৷
মাছটি নিয়ে অবশ্য কম গবেষণা হয়নি৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা এর কারণ মাছের খাদ্য৷ এই প্রজাতির মাছ এমন কিছু খাবার খায় যাতে তাদের দেহে বিষাক্ত ড্রাগ প্রবেশ করে৷ তার ফলেই হ্যালুশিনেসনের শিকার হন মানুষ৷ যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেনি বিজ্ঞান।
এইবেলাডটকম/নীল
দুটি ওষুধের মিশেল ঠেকাবে ক্যানসার!
একা থাকলে নিরীহ! কিন্তু দুইয়ে মিলে হয়ে উঠতে পারে মারণ রোগের ঘাতক ওষুধ! ডায়াবিটিসের ওষুধ মেটফর্মিন এবং হাইপারটেনশনের ওষুধ সাইরোসিঙ্গোপিন সম্পর্কে এমনই তথ্য জানালেন বিজ্ঞানীরা। সুইৎজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব বাসেল-এর এক দল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওই দুই ওষুধের যোগফলে ক্যানসার কোষের বাড়বৃদ্ধি আটকাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। লিউকেমিয়ার রোগীদের রক্তের নমুনার উপরে প্রয়োগের পাশাপাশি গবেষণাগারে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত ইঁদুরের উপরে ওই কম্বিনেশন ড্রাগ প্রয়োগ করে সুফল মিলেছে বলে ওই বিজ্ঞানীদের দাবি।
ডায়াবিটিস প্রতিরোধে মেটফর্মিন প্রথম সারির ওষুধ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওই ওষুধ দেহে ইনসুলিন-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলে স্তন, ইউটেরাইন, কোলো-রেকটাল এবং থাইরয়েড ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে। তাই যাঁরা মেটাফর্মিন খেয়ে ওই প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আটকে দেন, স্বাভাবিক ভাবে তাঁদের ক্যানসারের প্রবণতা খানিকটা ঠেকানো সম্ভব। এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেটফর্মিনের ক্যানসার প্রতিরোধী চরিত্রের কথা ইদানীং সামনে আসছে। এটা জানার পরে ডায়াবিটিক ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ বিশেষ ভাবে চালু রাখা হচ্ছে। ’’ তবে সাইরোসিঙ্গাপিন-এর ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখানকার চিকিৎসক মহল তেমন ওয়াকিবহাল ছিল না। গবেষণাপত্র প্রকাশের পরে অনেকেই মানছেন সাইরোসিঙ্গাপিন একা তেমন প্রভাব না ফেললেও মেটফর্মিনের সঙ্গে তার ক্যানসার প্রতিরোধী চরিত্রটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা সম্ভব।
কার্ডিওলজিস্ট শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এক এক সময়ে এক এক ওষুধ যে কারণে তৈরি হয়, পরে দেখা যায় সেই কারণে ততটা কার্যকরী না হলেও অন্য ক্ষেত্রে তা কার্যকরী হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘গর্ভাবস্থায় বমি আটকানোর ওষুধ পরে ক্যানসারের ওষুধ হিসেবে কাজ দিচ্ছে। অবসাদ কমানোর ওষুধ ধূমপানের প্রবণতা কমাতে কাজ দেয়। এটাও হয়তো অনেকটা তাই। ’’ ক্যানসার চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওষুধটির দাম কম। এমন কম্বিনেশন ড্রাগ ভবিষ্যতে বাজারে এলে ক্যানসার রোগীদের জন্য সুখবর।’’
- আনন্দবাজার
Friday, February 3, 2017
নিমপাতা রোগ প্রতিষেধক
নিমপাতায় আছে বসন্ত রোগের প্রতিষেধকতার গুণ। অনেক অসুখের আক্রমণ থেকে নিমপাতা শরীরকে বাঁচায়। নিমপাতার ঝোল খেলে মুখের রুচি ফেরে। স্বাদে তেতো নিমপাতার আছে জীবাণুনাশক ক্ষমতা।
১। বসন্তকালে নিমপাতা ভাজা খেলে হাম বসন্ত ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, এ কথা আগেই বলা হয়েছে।
২। পাকস্থলীর গন্ডগোলের জন্যে বদহজম হলে অল্প পরিমাণে নিম গাছের ছাল গরম জলে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই জলটা ছেঁকে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩। যাঁরা ডায়বেটিসে ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন সকালে আট দশটা নিমপাতা চার পাঁচটা গোলমরিচ সহ চিবিয়ে খেলে এবং খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ মেনে চললে রক্তে শর্করার মাত্রা কমবে।
৪। অল্প পরিমাণে (প্রায় ছয় ফোঁটা) নিমপাতার রস একটু দুধে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হবে - অস্পষ্ট বা আবছা দেখা চোখে উপকার পাওয়া যাবে।
Wednesday, February 1, 2017
শিশুর অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স কমানো মারাত্মক ক্ষতিকর
শিশুর বিভিন্ন রোগে চিকিৎসকরা প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শুরু করার পর তা নির্ধারিত মাত্রা পর্যন্ত গ্রহণ করা উচিত।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম হলে তা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
অ্যান্টিবায়োটিক অত্যন্ত সংবেদনশীল ওষুধ। তাই এটি প্রয়োগের ব্যাপারে চিকিৎসক ও রোগী উভয়কেই সতর্ক থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত, অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা শুরু হলে তা সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা উচিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যথায় মাঝপথে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দিলে তা শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে এমনকি জীবাণুগুলো আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তোলে।
সম্প্রতি মার্কিন এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ মেডিকেল সেন্টারের (ইউপিএমসি) এ গবেষণায় ৫২০ জন শিশুর ওপর অনুসন্ধান পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল নয় থেকে ২৩ মাস। গবেষকরা জানান, শিশুদের একটি বিশেষ সংক্রমণ বিষয়ে তারা অনুসন্ধান চালান। এতে তাদের নির্দিষ্ট মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে তার দৈর্ঘ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, অল্প সময়ের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ করলে তা প্রায়ই রোগটি সম্পূর্ণ নির্মূল করে না। পরবর্তীতে এ রোগটি আবার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। আর রোগটি পরবর্তীতে সে অ্যান্টিবায়োটিকে প্রায়ই সারে না।
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে।
Subscribe to:
Comments (Atom)






































