Tuesday, January 31, 2017

সুস্থ থাকতে তেলাকুচো


তেলাকুচোর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। তাই আজকের বিষয় তেলাকুচো।
১। পিত্তির রোগ ও নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া সারায়, বায়ু দূর করে।
২। তেতো তেলাকুচোও মল নি:সরণ করায়। অরুচি নাশ করে। শ্বাসের কষ্ট, কাশি ও জ্বর সারিয়ে তোলে। বমিভাব দূর করে। স্বাদে তেতো হওয়ার জন্যে খিদে বাড়িয়ে দেয়।
৩। রক্তবিকার অর্থাৎ রক্তের দোষ শোধন করে।
৪। বমন করাবার শক্তি আছে।
৫। কফ এবং জন্ডিস রোগ আরোগ্য করে।
৬। এই গাছের মূল বমি করায় এবং জোলাপের কাজও করে।
৭। শোথ রোগ সারিয়ে দেয়।
৮। ডায়বেটিস রোগের পক্ষে তেলাকুচোর পাতা অত্যন্ত উপকারী ও হিতকর। প্রতিদিন নিয়ম করে শুকনো পাতা চূর্ণ বা টাটকা রস খেলে উপকার পাওয়া যাবেই।
৯। তেতো তেলাকুচোর মূলের চূর্ণ খাওয়ালে সঙ্গে সঙ্গে শ্বেত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়।
১০। কোনো কারণে জিভ যদি ফেটে যায় তাহলে তেলাকুচো চিবিয়ে সেই রস মুখে রাখলে উপকার হয়।
১১। বিছে কামড়ালে তেতো তেলাকুচো পাতার প্রলেপ দিলে জ্বালা বন্ধ হয়।
১২। তেতো তেলাকুচোর মূলের একটি বিশেষ উপকারিতা আছে। এটি জোলাপের কাজ করে।
১৩। তেলাকুচো পাতার রস বা পাতার পুলটিস তৈরী করে লাগালে ফোঁড়া সারে। ব্রণও সারে এই পাতার রসে।

বৈজ্ঞানিক মতো: তেলাকুচোর প্রভাব জননেন্দ্রিয় ও মূত্রাশয়ের ওপর বেশি। শরীর স্নিগ্ধ করে, মূত্র ও রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।এই শ্রেণীর অন্য তরকারির মধ্যে তেলাকুচোর পুষ্টিমূল্য বেশি।

No comments:

Post a Comment