Tuesday, January 31, 2017
সুস্থ থাকতে তেলাকুচো
তেলাকুচোর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। তাই আজকের বিষয় তেলাকুচো।
১। পিত্তির রোগ ও নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া সারায়, বায়ু দূর করে।
২। তেতো তেলাকুচোও মল নি:সরণ করায়। অরুচি নাশ করে। শ্বাসের কষ্ট, কাশি ও জ্বর সারিয়ে তোলে। বমিভাব দূর করে। স্বাদে তেতো হওয়ার জন্যে খিদে বাড়িয়ে দেয়।
৩। রক্তবিকার অর্থাৎ রক্তের দোষ শোধন করে।
৪। বমন করাবার শক্তি আছে।
৫। কফ এবং জন্ডিস রোগ আরোগ্য করে।
৬। এই গাছের মূল বমি করায় এবং জোলাপের কাজও করে।
৭। শোথ রোগ সারিয়ে দেয়।
৮। ডায়বেটিস রোগের পক্ষে তেলাকুচোর পাতা অত্যন্ত উপকারী ও হিতকর। প্রতিদিন নিয়ম করে শুকনো পাতা চূর্ণ বা টাটকা রস খেলে উপকার পাওয়া যাবেই।
৯। তেতো তেলাকুচোর মূলের চূর্ণ খাওয়ালে সঙ্গে সঙ্গে শ্বেত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়।
১০। কোনো কারণে জিভ যদি ফেটে যায় তাহলে তেলাকুচো চিবিয়ে সেই রস মুখে রাখলে উপকার হয়।
১১। বিছে কামড়ালে তেতো তেলাকুচো পাতার প্রলেপ দিলে জ্বালা বন্ধ হয়।
১২। তেতো তেলাকুচোর মূলের একটি বিশেষ উপকারিতা আছে। এটি জোলাপের কাজ করে।
১৩। তেলাকুচো পাতার রস বা পাতার পুলটিস তৈরী করে লাগালে ফোঁড়া সারে। ব্রণও সারে এই পাতার রসে।
বৈজ্ঞানিক মতো: তেলাকুচোর প্রভাব জননেন্দ্রিয় ও মূত্রাশয়ের ওপর বেশি। শরীর স্নিগ্ধ করে, মূত্র ও রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।এই শ্রেণীর অন্য তরকারির মধ্যে তেলাকুচোর পুষ্টিমূল্য বেশি।
Monday, January 30, 2017
পোড়া মাংসে বিপদ
পোড়া মাংসস্তন ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা নারীর জন্য পোড়া মাংস খাওয়া বিপজ্জনক। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যানসারের চিকিৎসার পর যদি পোড়া মাংস খাওয়া হয়, তাতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার গবেষকেরা এ গবেষণা করেন। গবেষক হামবার্তো পারাডা জুনিয়র ও তাঁর সহকর্মীরা গ্রিল, বারবিকিউ ও স্মোকড মাংসের সঙ্গে স্তন ক্যানসার রোগীদের যোগসূত্র খুঁজতে এ গবেষণা করেন।
‘জেএনসিআই: জার্নাল অব দ্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট’-এ গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় ১ হাজার ৫০৮ জন নারীর চার ধরনের পোড়া মাংস খাওয়াসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, অতিমাত্রায় পোড়া মাংস খেলে ২৩ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
Sunday, January 29, 2017
কাজের উদ্যম ফেরাবে যেসব খাবার
কর্মক্ষেত্রে অনেকেই নানা কারণে উদ্যম হারিয়ে ফেলেন। এতে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হন কর্মীরা।
আর এ পরিস্থিতি কাটাতে পারে কিছু খাবার। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবার, যা কাজের উদ্যম ফেরাতে পারে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. ডিম
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ডিম হতে পারে উদ্যম ফেরানোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। আপনার দিনের কর্মব্যস্ততার উদ্যম যোগাতে পারে ডিম। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিন। আর এ পুষ্টিগুণ আপনার এনার্জি যোগাবে। আগে অনেকেরই ধারণা ছিল ডিমের বাড়তি কোলস্টেরল স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। যদিও এখন গবেষকরা জানিয়েছেন দৈনিক দুটি ডিম খেলে ক্ষতি নেই।
২. হোল গ্রেন ব্রেড
সাদা ব্রেডের বদলে আপনার প্লেটে রাখুন বাদামি বা হোল গ্রেন ব্রেড। এটি ফাইবারের পাশাপাশি আপনার ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ও এনার্জি যোগাবে।
২. কমলা
প্রতিদিন রসালো কমলা ও এ জাতীয় ফল খান। কর্মক্ষেত্রে এটি আপনার উদ্যম যোগাবে। কমলাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামি সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও ফলেট। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৩. রসালো ফল
বিভিন্ন ধরনের রসালো ফলমূল আপনার উদ্যম যোগাবে। তাই কর্মস্থলে উদ্যমের জন্য নিয়মিত নানা ধরনের রসালো ফলমূল খান।
৪. ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে এমন খাবার আপনার শুধু উদ্যমই ফেরাবে না আরও বহু উপকার করবে। তাই এ ধরনের খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৫. দেশি ফলমূল
বিভিন্ন ধরনের দেশি ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও জলীয় অংশ। পেয়ারা, বড়ই, কলা ইত্যাদি ফলমূল নিয়মিত খেতে ভুলবেন না।
Saturday, January 28, 2017
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা? বুঝবেন কী করে
সাধারণ পেটে ব্যথা এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার পার্থক্য জানা আছে আপনার? হঠাৎ পেটে ব্যথা শুরু হলে আমরা বুঝেই উঠতে পারি না ব্যথাটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কি না। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয় বলে এর উপসর্গ সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা প্রয়োজন।
> নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তা অন্যত্র অর্থাৎ তলপেটে স্থানান্তরিত হয়।
> পেটের ডানপাশে অথবা পিছনে তীব্র ব্যথা দেথা দেয়।
> ওই স্থানে চাপ দিলে অসহ্য ব্যথা হয়।
> শরীর হঠাৎ ঠান্ডা হয়ে যায়।
> কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
> পেটের ব্যথায় জ্বর হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্বরের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
> খাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়।
> বমি বমি ভাব থাকে। মাঝে মধ্যে বমিও হয়।
Friday, January 27, 2017
ইয়োগার ৫ আসন দূর করবে হজমের সমস্যা
শীতকালটা ব্যায়ামের দারুণ এক সময়। এ সময় যা খাচ্ছেন তা হম করতে বেশ শ্রম দিতে হয় দেহকে।
আবার শীতকালকা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর আয়োজনের সময়ও বটে। তাই দেহের হজম প্রক্রিয়াটা সুষ্ঠু রাখাটা ভালো। এখানে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু ইয়োগা আসনের কথা বলেছেন। এগুলোর চর্চায় হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
১. ক্যামেল পোজ: অস্বাভাবিক ভঙ্গীতে দেহের আড়মোড়া ভাঙলে হজম প্রক্রিয়া উপকৃত হয়। এতে পেটের মাঝে নড়াচড়া ঘটে। এই স্ট্রেচিংয়ের জন্য ক্যামেল পোজ দারণ কাজের। মেঝেতে হাঁটু মুড়ে বসে পেছনের দিকে হেলে পড়তে হবে। পেছনে হেলে দুই হাত দিয়ে ধরুন দুই পায়ের গোড়ারি। এই আসনে পেটে এক ধরনের ম্যাসাজ ঘটে যাতে করে বাড়তি চর্বির মজুত বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে। তবে মনে রাখতে হবে, হার্নিয়া, সিয়াটিকা, ব্যাক পেইন এবং সম্প্রতি পাকস্থলী বা অন্য কোথাও সার্জারি হয়ে থাকলে এই ইয়োগা ব্যায়ামটি করা যাবে না। তবে একই উপায়ে দুই হাত দুই কোমরে রাখার মাধ্যমেও কাজটি সারা যায়। এতে হাফ ক্যামেল পোজ বলে।
২. হাফ স্পাইনাল টুইস্ট: মেরুদণ্ডের আড়মোড়া ভাঙতে হবে। এই পদ্ধতিতে প্যানক্রিয়াস, লিভার এবং ইনটেস্টাইন মতো প্রত্যঙ্গগুলো উপকৃত হয়। হজমের সমস্যায় বেশ ভালো কাজ করে। মেঝেতে বসে পড়ুন। বাম পা সোজা রেখে তার ওপর দিয়ে ডান পা আনুন ছবির মতো করে। বাম হাত দেহের পেছনে মেঝেতে রাখুন। বাম হাতে ডান পা ধরুন। এবার বাম হাতে ভর করে দেহকে পেছনের দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। নিঃশ্বাস শেষ হলে সামনের দিকে ঘুরিয়ে ফেলুন দেহকে।
৩. কোবরা পোজ: কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যায় বেশ কাজের এই ভঙ্গী। উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো একসঙ্গে করে সোজা রাখুন। কাঁধ বরাবর দুই হাত মেঝেতে রাখুন। এবার ছবির মতো করে কোমর থেকে মাথার অংশ ওপরে ওঠানোর চেষ্টা করুন। এ সময় ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকুন। নিঃশ্বাস বন্ধ করে এই পোজে যাবেন। নিঃশ্বাস ছেড়ে আবার শুয়ে পড়ুন।
৪. হাফ লোকাস্ট পোজ: পেটের অংশে বাড়তি মেদ ঝরাতে কাজের একটি পোজ। যাদের থাই চর্বতে পূর্ণ তাদের জন্যও উপকারী ইয়োগা পোজ এটি। পেটের ওপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো দেহ বরাবর পায়ের দিকে রাখুন। এবার নিঃশ্বাস নিয়ে মাথা ও দুই এবং দুই হাত ওপরের দিকে ওঠান ছবির মতো করে। এ অবস্থায় সামনের দিকে তাকিয়ে থাকুন। কিছুক্ষণ স্থির থাকার চেষ্টা করুন। তবে দেহের কোন অংশের পেশিতে খুব বেশি জোর খাটাবেন না। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় শুয়ে পড়ুন। প্রথমে শুধু ডান পা তুলে কাজটি করতে পারেন। পরেরবার বাম পা তুলে কাজটি করুন।
৫. সিটেড ফরওয়ার্ড বেন্ড: এই পোজে লিভার, কিডনি, প্যানক্রিয়াস এবং ওভারির মতো প্রত্যঙ্গগুলো ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়। হজমে সহায়ক এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। মেঝে বসে পড়ুন। ডান পা সোজা রেখে বাম পা ডান থাইয়ের ওপর দিয়ে দিন। এবার দুই হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা ধরার চেষ্টা করুন সামনের দিকে ঝুঁকে। যদি ধরতে না পারেন তো ডান পায়ের যেকোনো অংশে ধরে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করুন। চর্চায় পায়ের পাতা ধরতে পারবেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
সৌজন্যে- কালের কন্ঠ অনলাইন
Thursday, January 26, 2017
কচু, চকুপাতা ও কচুশাকের গুণাগুণ
কচু রক্তপিত্ত (নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া) দূর করে, মল রোধ করে, বায়ুর প্রকোপ দূর করে। কচু শীতল, খিদে বাড়ায়, শরীরের বল বৃদ্ধি করে, মলের বেগ কমিয়ে দেয়। কচু খেলে প্রস্রাব বেশি হয় কিন্তু সেই সঙ্গে কফ ও বায়ুও বেড়ে যায়। কচু গাছের শেকড়ে আছে ধাতু বৃদ্ধির শক্তি।
১। কচুপাতা বা কচুর শাক খেলে স্তনের দুধ বাড়ে।
২। কচু পাতা সেদ্ধ করে ভাতের সঙ্গে মেখে পর পর তিন দিন খেলে প্রস্রাবের জ্বালা দূর হয়ে যায়।
৩। কচু শাক পুড়িয়ে তার ছাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফোড়ায় লাগালে ফোড়া ফেটে যায়।
৪। শরীরের কোনো স্থানে কেটে গেলে সেখানে কচুর ডাঁটার আঠা লাগালে রক্তপড়া বন্ধ হয় এবং ক্ষতও সারে।
৫। কচুর ডাঁটা ছেঁচে নিয়ে তার প্রলেপ অর্শ বা যে জায়গায় আঘাতের জন্যে রক্ত জমে আছে সেখানে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
৬। কচুর ডাঁটার রসে একটু নুন মিশিয়ে শরীরের যে জায়গা ফুলে আছে সেখানে লাগালে ফোলা তাড়াতাড়ি কমে।
৭। কানে পুঁজ হলে কচুর আঠা দিলে উপকার হয়।
তবে কুষ্ঠ, দাদ, পেটের অসুখ, আমাশা, রক্তপিত্ত প্রভৃতি অসুখে কচু খাওয়া একেবারেই নিষেধ। অজীর্ণ রোগে কচু খাওয়া উচিত নয়।
নিজের অজান্তেই ভিটামিন ও মিনারেল ঘাটতিতে ভুগছেন? ৪ লক্ষণে জেনে নিন
নিজের অজান্তেই ভিটামিন ও মিনারেল ঘাটতিতে ভুগছেন? ৪ লক্ষণে জেনে নিন
নিজের অজান্তেই অনেকে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিতে ভুগে থাকেন। যদিও এ বিষয়ে বহুদিন জানতে না পারলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব দেহে ঠিকই পড়ে।
আর এ কারণে নানা ধরনের রোগে ও অপুষ্টিতে ভুগতে হয় বহু মানুষকে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন চারটি লক্ষণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. ভঙ্গুর চুল
চুল মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হতে পারে। মানুষের দেহের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি চুলে ধরা পড়ে। কারো যদি দেহে প্রোটিন ও আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয় তাহরে চুল ভঙ্গুর ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। আর দেহে আয়রন ও প্রোটি ঠিকঠাক গ্রহণ করলে চুলের মূল মজবুত হয় এবং সুস্থ চুল গজায়। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে এমন খাবার বেশি করে খেলে যথেষ্ট উপকার হবে।
২. ডায়রিয়া
ডায়রিয়া শুধু দূষিত খাবার খেলেই হয় না, এটি দেহের পুষ্টির অভাবেরও একটি লক্ষণ হতে পারে। ঘন ঘন ডায়রিয়া হলে বুঝতে হবে দেহে কোনো পুষ্টির অভাবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমেই কার্বনেটেড পানীয় (সফট ড্রিংক্স), অ্যালকোহল ও তৈলাক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ও পানি পান করতে হবে।
৩. হাড় ভাঙা
কারো দেহে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে সামান্য আঘাতে হাড় ভেঙে যেতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকের ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার পরে তা দেহে সঠিকভাবে কাজে নাও লাগতে পারে। তাই যদি এক বা একাধিকবার হাড় ভেঙে যায় তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এক্ষেত্রে বেশি করে ক্যালসিয়াম গ্রহণের বিকল্প নেই। দেহে ক্যালসিয়াম গ্রহণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো দুগ্ধজাত সামগ্রী। ক্যালসিয়ামের অভাবে দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী গ্রহণ করা উচিত বেশি করে।
৪. উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন রোগের কারণে হতে পারে। তবে অনেকেরই জানা নেই, পটাসিয়ামের অভাবেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। তাই দেহ যেন পর্যাপ্ত পটাসিয়াম গ্রহণ করতে পারে সেজন্য মনোযোগী হোন। এক্ষেত্রে কলা ও আলু খেতে হবে পর্যাপ্ত। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, স্থূলতা ও মানসিক চাপের কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
Tuesday, January 24, 2017
ক্যানসার প্রতিরোধী কিছু খাবার সম্পর্কে জানুন
গবেষণায় এসেছে পেঁয়াজ ও রসুন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ছবি: অধুনাকিছু খাবার ক্যানসার প্রতিরোধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সব ধরনের ক্যানসারের সঙ্গেই পুষ্টিকর খাদ্যের এবং শারীরিক ব্যায়ামের একটা যোগ রয়েছে। সাম্প্রতিককালে ১৭টি দেশের ১৭০টি গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যতালিকা একটু পাল্টে নিলেই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে। ক্যানসার প্রতিরোধী বিভিন্ন খাবার প্রতিদিন কিছু পরিমাণে গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে। আসুন জেনে নিই সেই খাদ্যতালিকা।
রসুন ও পেঁয়াজ:
নিয়মিত রসুন খেলে পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, পেঁয়াজে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান, যা টিউমারের বেড়ে ওঠাকে বিলম্বিত করে। রসুনের নির্যাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির প্রায় ৭১ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
আদা:
আদা একটি উদ্ভিদ মূল, যা মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্যানসার নিরাময়ের প্রতিষেধক হিসেবে প্রচলিত কেমোথেরাপি থেকে আদা ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী মেডিসিন, যা শরীরের নির্দিষ্ট ক্যানসারগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
মাশরুম:
মাশরুমে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান। রয়েছে পুষ্টি ও ভেষজ গুণ, যা রোধ করবে ক্যানসার।
বেদানা:
বেদানায় ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদানের পাশাপাশি এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিইনফ্লামেটরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল:
যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল খায়, তাদের অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধ:
স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন এ, সি, ডি প্রভৃতি উপাদান, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
হলুদ:
এটি ক্যানসার কোষকে শরীরের ভালো কোষকে নষ্ট করতে বাধা দেয়। ক্যানসার কোষকে নিস্তেজ করতে সাহায্য করে।
লেখক: কামরুদ্দোহা শিরিন, পুষ্টিবিদ
Monday, January 23, 2017
শীতে নিউমোনিয়া হলে কী করবেন?
শীতে সব শিশুই থাকুক এমন সুস্থ সুন্দর। ছবি: অধুনানিউমোনিয়া হলো ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ। সংক্রমণ এবং এর পরবর্তী প্রদাহ থেকে এ রোগ হয়। সংক্রমণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি দিয়ে। সব সর্দি-কাশিই নিউমোনিয়া নয়। যখন জ্বর এবং এর সঙ্গে থাকে কফ এবং শ্বাসকষ্ট, তখনই কেবল শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ হয়েছে বলে ধরা হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবনহানিকরও হতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সামান্য শীতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কিওলাইটিস এমনকি নিউমোনিয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আল-আমিন মৃধা বলেন, প্রতিবছর একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ার কারণে বাংলাদেশে মারা যায়। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া চাই। সুখবর যে এখন থেকে শিশুদের সরকারিভাবেই নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুর শ্বাসকষ্ট বুঝবেন কীভাবে?
দুই মাসের নিচের শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মিনিটে ৬০ বারের বেশি, এক বছরের নিচে ৫০ বার বা তার বেশি এবং এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুর মিনিটে ৪০ বার তা তার বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস হলে তাকে শ্বাসকষ্ট বলা হয়। তাই জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত শিশু এ রকম ঘন ঘন শ্বাস নিলে বা শ্বাসের সঙ্গে বুক বা পাঁজর নিচে দেবে যেতে থাকলে সতর্ক হোন, হয়তো সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
কাদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে?
* ছোট্ট শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা
* বহুদিন ধরে ভুগছে এমন কোনো রোগ থাকলে যেমন: ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুসের অন্য কোনো রোগ, এইডস ইত্যাদি থাকলে
* যাদের অন্য কোনো কারণে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেছে যেমন: ক্যানসারের চিকিৎসা নিলে, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করলে
* যাঁরা ধূমপান করেন
চিকিৎসা
সাধারণ নিউমোনিয়ার চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। এ জন্য সঠিক ওষুধের পাশাপাশি এ সময় প্রচুর তরল খাবার, পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে। নিউমোনিয়া ভালো হতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। কুসুম গরম পানি, লবণপানি বা লাল চা দেওয়া যেতে পারে। নাকে নরমাল স্যালাইন, নরসল ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অন্য কোনো ওষুধজাতীয় ড্রপ দেওয়া যাবে না। দুই বছরের নিচের শিশুদের বুকের দুধ বন্ধ করা যাবে না। বুকে তেল বা বাম ব্যবহার করাও উচিত নয়। শিশুদের সামান্য কাশিতে অহেতুক সাকশন যন্ত্র দিয়ে কফ পরিষ্কার বা নেবুলাইজার যন্ত্র ব্যবহারও ঠিক নয়।
তবে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে অর্থাৎ খুব বেশি শ্বাসকষ্ট, সবকিছুই বমি করে দিলে, শিশু অজ্ঞান হয়ে গেলে বা খিঁচুনি হলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে?
* রক্তপ্রবাহে জীবাণুর সংক্রমণ
* ফুসফুসের চারপাশে তরল জমা এবং সংক্রমণ
* ফুসফুসে ঘা হয়ে ক্ষত হতে পারে
* তীব্র শ্বাসকষ্ট
* শীতে যারা খেলাধুলা করে
রাতে যারা বিভিন্ন খেলাধুলা করে, যেমন ব্যাডমিন্টন খেলে তাদের একটু সচেতন হওয়া উচিত। কারণ গা ঘেমে তা যদি আবার শরীরে শুকিয়ে যায় তাহলে তা থেকে সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি-কাশি হতে পারে। সেখান থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে। তবে সুখবর হলো যারা নিয়মিত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি থাকার কারণে সাধারণত এসব অসুখে কম ভোগে। আর এই তীব্র শীতে বাড়ি থেকে বের হলে মুখে মাস্ক পরা যেতে পারে। তাহলে শ্বাসনালিতে ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলো কম হবে।
প্রতিরোধ করা কি যায়?
হ্যাঁ, নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য রোগ। সচেতন হলে সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।
* নিতে হবে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিনসহ অন্য রোগেরও ভ্যাকসিন। বিশেষ করে ৫ বছরের নিচে বা ৬৫ বছরের ওপরে বয়সীদের অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।
* নিয়মিত হাত ধুতে হবে। যেমন নাক পরিষ্কারের পর, বাথরুমে যাওয়ার পর, খাওয়ার আগে ও পরে।
* ধূমপান বন্ধ করতে হবে। কারণ ধূমপান ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। ফলে সহজেই সংক্রমণ ঘটতে পারে এবং নিউমোনিয়া হতে পারে। ধূমপায়ীদের নিউমোনিয়া সহজেই জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
* সাধারণ ঠান্ডা লাগলেও খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি খারাপ দিকে না যায়। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, পরিমিত বিশ্রাম নিতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিশু জন্মের পর ইপিআই শিডিউলের ভ্যাকসিনগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
* শিশুকে চুলার ধোঁয়া, মশার কয়েল ও সিগারেটের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখাও জরুরি।
লেখক: মো. শরিফুল ইসলাম
Sunday, January 22, 2017
ডায়েট এখন শীত খাবারে
নিজের সুস্থতার জন্যই মেনে চলতে হয় বিভিন্ন বিধিনিষেধ। আর এই বিধিনিষেধের মধ্যে প্রধান হলো ডায়েট। নিজের খাদ্যতালিকাকে কাটছাঁট করে নির্দিষ্ট কিছু খাবারের মধ্যে পরিসর সীমিত করে ফেলা। নিত্যদিনের ডায়েটে অনেকেই পানসে বোধ করেন। একই খাবার আর কদিন! তাঁদের জন্য কিন্তু এই শীতকালটা মোক্ষম সময়। কেননা, শীতের টাটকা সবজি এবং ফলমূল আহারে আপনার একঘেয়েমি যেমন দূর হবে তেমনি সমানতালে চলবে ডায়েট।
আপেল বাড়তি কোলেস্টেরলও কমাতে সাহায্য করেবিভিন্ন ধরনের শীতের খাবার
এত সব শীতের খাবারের মধ্য থেকে আপনি কোনটি বেছে নেবেন বা কী পরিমাণে খাবেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো। তিনি বলেন, ‘শীত যেমন মজার সব খাবার নিয়ে আসে, তেমনি এনে দেয় ওজন কমানোর মতো কিছু খাদ্য উপাদানও। আর এসব খাদ্য উপাদানে থাকে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণ পানীয়। আবার কিছু সবজি আছে যা আপনি অনায়াসেই ভাতের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন। ফলে আপনার ডায়েট তো হচ্ছেই পাশাপাশি আপনার ক্যালরির ঘাটতিও পূরণ হচ্ছে।’
আখতারুন্নাহার আলোর মতে, নির্দিষ্ট কয়েকটি সবজি এবং ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
ফুলকপি: ফুলকপি হলো শীতের একপ্রধান সবজি। ভাতের বিকল্প হিসেবে আপনি এটি বেছে নিতে পারেন। কেননা, এর অন্যতম খাদ্য উপাদান হলো লো ক্যালরি। সাধারণত এক কাপ ফুলকপিতে ২৯ শতাংশ লো ক্যালরি থাকে। তাই ভাতের বিকল্প শুনে ঘাবড়ে যাবেন না। লো ক্যালরি আপনার ডায়েট পূরণ করবে শতভাগ।
সবজি হিসেবে তো আছেই সঙ্গে স্যুপ, চালের গুঁড়ো দিয়ে ভেজেও খেতে পারেন এটি।
টমেটো: শীতে টমেটো খেতে পারেন। এতে আছে লো ফ্যাট, সোডিয়াম, ভিটামিন ই, বি ও সি। তাই খাবারের তালিকায় এটি রাখলে আপনার ওজন কমানো নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হবে না।
গাজর: প্রায় সারা বছর পাওয়া গেলেও গাজর মূলত শীতের সবজি। মাংসের পরিবর্তে এটি খাওয়া যেতে পারে। চাইলে নাশতা হিসেবেও কাঁচা খেতে পারেন। ডায়েটের পাশাপাশি এটি আপনার ত্বকের কোমলতাও বজায় রাখবে।
নিয়মিত শীতের সবজি খেলে ওজন বাড়বে না। ছবি: অধুনাবাঁধাকপি: ফুলকপির মতো এটিও আপনার ভাতের চাহিদা মিটিয়ে দেবে। এরও অন্যতম খাদ্য উপাদান লো ফ্যাট অথচ প্রচুর পরিমাণ ফাইবারে ভরপুর। অল্প তেলে ভাজি করে কিংবা স্যুপ, সালাদের সঙ্গে এটি খেতে পারেন। আর এর স্যুপ তো একেবারেই ক্যালরিবিহীন।
পালংশাক: অন্য যেকোনো সবুজ সবজির চেয়ে পালংশাকে রয়েছে দ্বিগুণ পরিমাণে আঁশ। তাই ডায়েটে এর গুরুত্বটাও বেশি। এর আরেকটি খাদ্য উপাদান হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা আপনার শরীরকে অধিক কর্মক্ষম করে তুলবে।
ব্রকোলি: দেশি সবজি না হলেও কিন্তু বিভিন্ন খাবারে আমরা এটি রান্না করছি। স্যুপ থেকে শুরু করে সবজি, সালাদ, নুডলস সবকিছুতেই এটি খাওয়া যায়। ব্রকোলিতেও রয়েছে প্রচুর আঁশ। এ ছাড়া এর ভিটামিন কে, সি আপনার ত্বকের জন্য উপকারী। সেই সঙ্গে এর ক্যালরির পরিমাণও খুব কম থাকে। যেমন, এক কাপ ব্রকোলিতে রয়েছে মাত্র ২৫ ক্যালরি।
কমলা এবং স্ট্রবেরি: ভিটামিন সির প্রসঙ্গ এলেই কমলার কথা বলতে হয়। সেই সঙ্গে আপনার ফলেট, পটাশিয়ামের চাহিদাও পূরণ হবে। শুধু ফল হিসেবেই নয়, কমলার তৈরি কেক, জুস, সালাদও খেতে পারেন স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য। কমলার চামড়াও খুব পুষ্টিকর। পরিষ্কার করে নিয়ে কেক বা সালাদের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে কমলার খোসা দিতে পারেন।
আমাদের এখানে স্ট্রবেরি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। এক কাপ স্ট্রবেরিতে রয়েছে মাত্র ৫০ ক্যালরি। ডায়েট খাবার না হয়ে আর যায় কোথায়! কমলার মতোই এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলোই সারা দিনব্যাপী আপনাকে চাঙা করে রাখতে যথেষ্ট।
আপেল: ডায়েটের খাদ্যতালিকায় একটা আপেল থাকবে না, তা কি হয়? এর মধ্যেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বহুমূত্র, ক্যানসার, পারকিনসনস রোগের জন্যও উপকারী। এটি আপনার দেহের বাড়তি কোলেস্টেরলও কমাতে সাহায্য করে।
মধু: শুধু শীত মৌসুমেই নয়, সারা বছরই আপনি ডায়েট হিসেবে মধু খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু দিয়েই নাহয় শুরু করলেন রোজকার ডায়েট। এটি ত্বক এবং ঠান্ডা-কাশির জন্য খুবই উপকারী।
গরম চকলেট: গরম কিংবা হট চকলেট, এটি আবার ডায়েট খাবার হয় কী করে! হ্যাঁ, আপনার ডায়েট এবং সেই সঙ্গে দুর্বলতা কাটিয়ে তুলবে এই হট চকলেট। বরং প্রতিদিনের কফি এবং চায়ের চেয়ে এটিই ডায়েট-বান্ধব। কেননা, চা কিংবা কফির চেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এতে।
অন্যান্য সবজি: এ ছাড়া শালগম, মুলা, লাউ, লালশাক, ধনেপাতা, বিটরুটও ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই সবজিগুলোও।
মনে রাখুন
শীতকালের অধিকাংশ সবজিতেই প্রচুর ভিটামিন থাকে। আর ফলের তুলনায় অনেক কম ক্যালরি থাকে। তাই খাদ্যতালিকায় সবজির পরিমাণটাও হতে হবে যথেষ্ট।
ডায়েট মানে শুধুই শাকসবজি এবং ফলমূলই নয় কিন্তু। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য মাংসও খাওয়া প্রয়োজন। তবে সবজির তুলনায় অবশ্যই কম পরিমাণে।
এবার তাহলে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন একই সঙ্গে মজাদার এবং ওজন কমানোর বিভিন্ন খাবার।
Saturday, January 21, 2017
শীতে পুরুষের ত্বকের যত্নে...
শীতকালে কেবল যে মেয়েরাই ত্বকের যত্ন নেবে এমন কোনো কথা নেই। পুরুষদেরও সচেতন হতে হবে।
এ সময় সঠিক ফেসওয়াশ এবং শেভিং ক্রিম বেছে নেওয়াটা খুবই জরুরি বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পারসোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড ভি-জন গ্রুপের বিশেষজ্ঞ অচিন কোচার পুরুষদের প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে দিয়েছেন কিছু টিপস।
১. ভালো ফেসওয়াশ বেছে নিন: বেশিরভাগ পুরুষই মুখের ময়লা সাফে কেবলমাত্র সাবান এবং পানি ব্যবহার করে থাকেন। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে মুখের ত্বক একেবারে শুকনো হয়ে যায়। তাই এবার সময় হয়েছে ভালোমানের একটা ফেসওয়াশ বেছে নেওয়ার। শুষ্কতা দূর করে এমন পণ্য কিনবেন। মুখ ধোয়ার কাজে গরম পানির পরিবর্তে হালকা উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন।
২. শীতের ক্রিম ব্যবহার করুন: মুখ ধোয়ার পর ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি। এতে করে ত্বকের ময়েশ্চার চলে যায় না। এ ছাড়া যেসব ত্বক এমনিতেই শুষ্ক, তাতে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার প্রয়োজন। শীতের বাতাস, ধুলোবালি, সূর্য থেকে নিরাপদ রাখতে তাই ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম খুবই জরুরি।
৩. উন্নতমানের রেজর: ত্বকের ধরন অনুযায়ী রেজর নিন। অধিকাংশ পুরুষই এক-দুই দিন পর পরই শেভ করেন। এমন রেজর নেবেন যা আপনার ত্বকের জন্য আরামদায়ক হয়। আবার রেজরের পরিবর্তে ভালো মানের ইলেকট্রিক রেজরও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. টি ট্রি ওয়েলপূর্ণ শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন: প্রথমে মুখ ভালোমতে ধুয়ে নিন। এরপর শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন। এমন শেভিং ক্রিম কিনুন যাতে টি ট্রি ওয়েল রয়েছে। এতে করে শেভিং অনেক মসৃণ হবে। জ্বালা-পোড়া অনুভব হবে না। এই তেল দাড়ি-গোঁফকেও কোমল করে দেয়। এতে দ্রুত ও আরামদায়ক শেভিংয়ের অনুভূতি পাবেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ক্রেডিট- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Wednesday, January 18, 2017
জেনে নিন, ভোরে ওঠার ১০ উপায়
এই শীতে ঘুম থেকে ওঠা সত্যিই বেশ কষ্টের। লেপের আশ্রয় ছেড়ে কার আর উঠতে ইচ্ছে করে? কিন্তু ভোরে উঠতে শুরু করলে তখন দেখবেন ভোরটা সত্যিই সুন্দর।
সবাইকে উঠতেই হবে, এমন নয়। কিন্তু যাঁরা উঠতে চান, অথচ উঠতে পারেন না, তাঁদের জন্য কয়েকটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
❏ ভোরে উঠতে হবে বলে বেশি চাপ নেবেন না। রাতে যদি বারবার এটাই ভাবতে থাকেন, তাহলে ঠিকঠাক ঘুম হবে না। বরং ভাবুন, না উঠলেও মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। নিজেকে হালকা রাখুন।
❏ ভোরে উঠতে গেলে রাতে ঠিকঠাক ঘুমানোটা খুবই জরুরি। চেষ্টা করুন রোজ একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার।
❏ ঘুমানোর জন্য পরিশ্রম জরুরি। সারাদিন যদি কাজের মধ্যে থাকেন, দেখবেন সহজেই ঘুম এসে যাবে।
❏ রাতে সোশ্যাল সাইট একেবারেই নয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপকে গুডবাই বলতে শিখুন।
❏ সম্ভব বলে রাতে বই নিয়ে শুতে যান। পড়তে পড়তে ভাল ঘুম হয়। তবে খুব বেশি বইয়ে ডুবে যাবেন না।
❏ জিও সিম বা ফ্রি কলের দৌলতে অনেকে হয়ত ফোন করবে। রাতের দিকে সেগুলো না ধরাই ভাল। অন্যের ফোন ফ্রি বলে আপনি ঘুম নষ্ট করবেন কেন? পারলে ফোনটা বন্ধই রাখুন।
❏ সকালে একটা লক্ষ্য থাকলে ওঠাটা সহজ হয়। লক্ষ্য না থাকলে শিথিলতা এসে যায়। তাই নিজেই কোনও একটা লক্ষ্য ঠিক করে নিন।
❏ অনেকেই অ্যালার্ম দিয়ে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ লোকই অ্যালার্ম বাজার পর তা বন্ধ করে দেন। তাই ফোনে বা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিলে তা দূরে রাখুন।
❏ অনেকেই রাতে বারবার প্রস্রাবে ওঠেন। সারাদিন পর্যাপ্ত পানি খান। তবে সন্ধ্যার পর পানি কম খাওয়াই ভাল। এতে ঘুমের বিঘ্ন ঘটবে না। পারলে সকালে উঠে স্নান করে নিন। দেখবেন, অনেক ঝরঝরে লাগছে।
❏ হাঁটার লক্ষ্য রাখুন। পারলে ভাল সঙ্গী জুটিয়ে নিন। দেখবেন সেই সঙ্গীর হাতছানিতে আপনি ঠিক উঠে পড়েছেন।
সূত্র: আজকাল
ক্রেডিট- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Tuesday, January 17, 2017
মিষ্টি আলু নাকি গোল আলু?
মিষ্টি আলু ও গোল আলু প্রায় সব সময় আমাদের খাওয়া হয়। আলুকে ভাতের বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ ভাতের বিকল্প হিসেবেও কেউ আলু খেতে পারে। এ দুই ধরনের আলুতেই রয়েছে বিভিন্ন গুণ। আলুর বিভিন্ন গুণ নিয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো।
মিষ্টি আলু
১. মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।
২. প্রচুর আঁশ আছে।
৩. মিষ্টি আলুতে চিনি থাকলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তা বিশেষ উপকারী।
৪. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গোল আলু
১. গোল আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
২. পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি।
৩. গোল আলু খুব দ্রুত হজম হয় যেকোনো বয়সের মানুষের।
৪. ভাতের বিকল্প হিসেবে গোল আলু খাওয়া যায়।
অপকারিতা
এ দুই ধরনের আলুতেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি, যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের এড়িয়ে চলা উচিত।
ক্রেডিট- প্রথম-আলো অনলাইন
মিষ্টি আলু
১. মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।
২. প্রচুর আঁশ আছে।
৩. মিষ্টি আলুতে চিনি থাকলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তা বিশেষ উপকারী।
৪. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গোল আলু
১. গোল আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
২. পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি।
৩. গোল আলু খুব দ্রুত হজম হয় যেকোনো বয়সের মানুষের।
৪. ভাতের বিকল্প হিসেবে গোল আলু খাওয়া যায়।
অপকারিতা
এ দুই ধরনের আলুতেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি, যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের এড়িয়ে চলা উচিত।
ক্রেডিট- প্রথম-আলো অনলাইন
Monday, January 16, 2017
উচ্চতা বাড়াতে ব্যায়াম
বয়স বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না উচ্চতা। এমনটা হলে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না।
লম্বা হওয়ার জন্য তখন কতই না চেষ্টা! হা-হুতাশেরও শেষ নেই। ইস, আরেকটু যদি লম্বা হতে পারতাম! অথচ সহজ কিছু ব্যায়াম করে নিজের উচ্চতা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু সে সময়টা কোথায়। আজকাল তো ছেলেমেয়েরা সাধারণ ব্যায়ামের সময় পায় না। একটার পর একটা ব্যস্ততা তাদের ঘিরে আছে। স্কুলের পড়াশোনা, বাড়ির কাজ আর টেলিভিশন বা কম্পিউটার গেমস নিয়ে সময় কেটে যায়। তার পরও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা লম্বা হওয়ার ব্যায়ামের জন্য বাড়তি কোনো সময়ের প্রয়োজন নেই। অথচ পড়াশোনার মাঝেও হালকা ব্যায়ামে নিজের উচ্চতার উন্নতি করা যায়।
এক পায়ে লাফ পদ্ধতি : এটা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থানে এটি সহজে করা যায়। প্রয়োজন নেই কোনো নির্দিষ্ট জায়গার। ঘরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে ব্যায়ামটি করা যেতে পারে; এমনকি পড়াশোনার সময়ও। পর্যাপ্ত সময় পাওয়া না গেলে কোথাও যাওয়ার পথেও সেরে নেওয়া যায় ব্যায়ামটি। পড়াশোনা তৈরি কিংবা খেলাধুলার সময় একটু মনে করলেই ব্যায়ামটি করা যায়। দুই হাত আকাশের দিকে রেখে এক পায়ে লাফাতে হবে। অন্তত ৮ বা ১০ পদক্ষেপ এক পায়ে লাফাতে হবে। এবার অন্য পায়ে এটি করতে হবে। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে দারুণ ফল পাওয়া যাবে।
এই অনুশীলনে ব্রেনের উপকার হয়। এটা পায়ের শক্তি যেমন বাড়ায়, তেমনি উচ্চতা বৃদ্ধির হরমোনকে প্রভাবিত করে।
ঝোলা ব্যায়াম : একটা রড বা কোনো কিছু ধরে ঝুলতে হবে। এ সময় পায়ের আঙুল মাটির দিকে রাখতে হবে; মুখ ওপরের দিকে থাকবে।
এই ব্যায়াম উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা হাত ও কাঁধ শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, January 12, 2017
কাঁধের ব্যথাও হৃদরোগের আগাম বার্তা
আপনি যদি কাঁধের সমস্যায় ভোগেন, তবে এর কারণ শুধু শারীরিক ধকল না-ও হতে পারে। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, হৃদ্রোগের উপসর্গের কারণেও আপনি এ সমস্যায় পড়তে পারেন। আজ বুধবার আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহ স্কুল অব মেডিসিনের প্রফেসর কার্ট হেগম্যান বলেন, ‘যদি কেউ কাঁধের অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভোগেন, তবে তা ওই ব্যক্তির শরীরের অন্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। কাঁধের এ সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের হৃদ্রোগের ঝুঁকির উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ জরুরি।’
এই গবেষণার জন্য গবেষকেরা ১ হাজার ২২৬ জন দক্ষ শ্রমিককে বেছে নেন। ওই শ্রমিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেছেন, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টরেল এবং ডায়াবেটিসসহ যাঁদের শরীরে হৃদ্রোগের উপসর্গ বেশি, তারা সবচেয়ে বেশি কাঁধের সমস্যায় ভুগছেন।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের কাঁধের অস্থিসন্ধিতে সমস্যা নেই, তাঁদের তুলনায় যাঁদের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্রোগের অন্য উপসর্গের মাত্রা ৪ দশমিক ৬ গুণ বেশি। আর কাঁধের অস্থিসন্ধির মাংসপেশির সঙ্গে যুক্ত মোটা তন্তুতে যাঁদের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্রোগের উপসর্গের মাত্রা প্রায় ৬ গুণ বেশি।
তবে যাঁরা হৃদ্রোগের মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁদের কাঁধের সমস্যা কম দেখা গেছে।
এ গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক হেগম্যান বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে হৃদ্রোগের উপসর্গের মাত্রা বেশি হলে তা অস্থিসন্ধিতে সমস্যার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তবে অস্থিসন্ধির এসব সমস্যা হৃদ্রোগের প্রাথমিক উপসর্গ নয়।’ তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপসহ হৃদ্রোগের অন্য উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কাঁধের এ ধরনের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
Wednesday, January 11, 2017
থাইরয়েড ভালো রাখতে যা খাবেন
থাইরয়েড গ্রন্থিটি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কয়টি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি দেহের সামগ্রিক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, থাইরয়েড তাদের অন্যতম। থাইরয়েডের সমস্যা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করে, যা দেহের থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে। এখন অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে, নারীর ঝুঁকি বেশি।
গলার ওপরে প্রজাপতি আকৃতির এই থাইরয়েড গ্রন্থি যে হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, তা নানা উপায়ে শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে কত দ্রুত ক্যালরি পোড়ানো হবে বা কত দ্রুত হৃৎস্পন্দন হবে, এ বিষয়টিও রয়েছে।
কিছু খাবার আছে, যা এই থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারে। থাইরয়েড ভালো রাখার সহায়ক খাবার সম্পর্কে জেনে নিন:
সবুজ পাতা: পালং শাক আর লেটুস আপনার খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখুন। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও নানা খনিজ। সবুজ পাতা আপনার থাইরয়েডকে সুস্থ রাখবে। ফলে শরীরও থাকবে সুস্থ।
বাদাম: বাদামজাতীয় খাবার নিয়মিত খাবেন। বিশেষ করে কাজুবাদাম। এ ছাড়া কুমড়ার বীজও কাজের। এতে আছে আয়রন ও সেলেনিয়াম, যা থাইরয়েড ভালো রাখে।
সামুদ্রিক খাবার: সামুদ্রিক খাবারে প্রচুর আয়োডিন থাকে বলে তা থাইরয়েড ভালো রাখে। এ গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বাড়াতে আয়োডিন গুরুত্বপূর্ণ বলে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ির মতো খাবার খেতে পারেন।
আয়োডিনযুক্ত খাবার: ঠিকমতো কাজ চালাতে থাইরয়েডে আয়োডিনের প্রয়োজন পড়ে। বাড়িতে আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে পারেন।
ডিম: ডিমে আছে সেলেনিয়াম। এই খনিজ থাইরয়েডের টি৪ হরমোনকে রূপান্তর করে কার্যকর টি৩ হরমোনে পরিণত করে। তাই থাইরয়েড সুস্থ রাখতে ডিম খেতে পারেন।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ।
Tuesday, January 10, 2017
যেভাবে হাঁটলে সঠিক ব্যায়াম
শরীর ঠিক রাখার জন্য হাঁটাহাঁটির নতুন অভ্যাস শুরু করতে চান? ঠিক কীভাবে হাঁটলে পর্যাপ্ত ব্যায়াম হবে, মাংসপেশি বা সন্ধির ওপর বাড়তি চাপ পড়বে না কিংবা শরীরে ব্যথা হবে না—সেসব নিয়ে আপনার হয়তো সংশয় আছে। চলুন, এ বিষয়ে কিছু জেনে নিই:
১. ফিটনেস, রক্তে শর্করা বা চর্বির মাত্রা এবং ওজন ঠিক রাখার জন্য সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটাহাঁটিই যথেষ্ট। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট হাঁটলে এই কোটা পূর্ণ হয়। কেউ চাইলে প্রতিদিন না হেঁটে একদিন পরপর একটু বেশি হাঁটলেও চলবে, কিন্তু এর চেয়ে বেশি বিরতি দেওয়া যাবে না।
২. হাঁটার গতি হবে মাঝারি। দৌড়ানোর মতো নয়, আবার একেবারে হেলেদুলে হাঁটাও নয়। প্রথমে পাঁচ মিনিটের হালকা গতিতে হেঁটে শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ভালো। তারপর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। পরিশ্রম এমন হবে যে আপনি একসময় ঘামতে শুরু করবেন, হৃৎস্পন্দন দ্রুত হবে, শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন হবে। হাঁটা শেষে পাঁচ মিনিট জিরিয়ে নিন।
৩. হাঁটার শুরুতে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করে নিতে পারেন। নাক দিয়ে জোরে শ্বাস নিন, ফুসফুস বাতাস দিয়ে ভরে ফেলুন। নিশ্বাস ছাড়ার সময় পেট খালি করে মুখ দিয়ে জোরে ছাড়ুন। এ রকম কয়েকবার করুন।
৪. হাঁটার সময় হাত দুটো সামনে-পেছনে নাড়বেন। ৯০ ডিগ্রি কোণে হাত রেখে গতির সঙ্গে সামনে-পেছনে সুইং করবেন। এতে ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
৫. হাঁটার সময় সামনে কিছুটা ঝুঁকে হাঁটবেন। কাঁধ এবং কোমর যথাসম্ভব সমান্তরালে রাখার চেষ্টা করবেন।
৬. আরামদায়ক, ঠিক মাপের কেডস জুতো পরে হাঁটুন। স্যান্ডেল বা খোলা জুতো পরে হাঁটবেন না।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
Monday, January 9, 2017
ওয়াই-ফাই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি!
ইন্টারনেটের জালে আজ গোটা বিশ্ব আবদ্ধ। ইন্টারনেট ছাড়া জীবন ভাবাটাই দায়।
আর WiFi-এর দৌলতে তা আরও হাতের মুঠোয়। কিন্তু, এই WiFi কি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়? এত বেশি WiFi ব্যবহারের কোনো প্রভাব কি আমাদের শরীরে পড়ে না?
উত্তর হল হ্যাঁ, করে। কারণ, কোনো ডিভাইস-এর সঙ্গে WiFi-কে কানেক্ট করতে হলে কেবল লাগে না। WLAN-এর মাধ্যমে তা কানেক্ট করা হয়। এই WLAN সিগন্যাল বা ইলেক্ট্র ম্যাগনেটিক ওয়েভ মানব শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর মোটেই নয়। বরং এর জেরে মানব শরীরের বৃদ্ধির ক্ষতি হয়। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে এক ব্রিটিশ হেলথ্ এজেন্সি। শুধু প্রাণী নয়, উদ্ভিদও এর প্রভাব থেকে বাঁচতে পারে না।
WLAN-এর সিগন্যালের ফলে যে ল্যুপ সৃষ্টি হয়, তার প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে নিম্নের সমস্যাগুলি দেখা যেতে পারে –
মনোযোগের সমস্যা
ঘুমের সমস্যা
মাঝেমধ্যেই মাথা যন্ত্রণা
কানে ব্যথা
ক্লান্তি
অথচ WiFi-এর ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়ত এখনই সম্ভব নয়। তবে তা WiFi-এর কু-প্রভাব কমানোর কিছু উপায় রয়েছে।
১. বেডরুম বা রান্নাঘরে WiFi-এর রাউটার বসাবেন না।
২. যখন ব্যবহার করছেন না WiFi বন্ধ রাখুন
৩. মাঝেমধ্যে কেবল-এর সাহায্যে ফোন ব্যবহার করুন। WiFi বন্ধ রাখুন সে সময়ে।
৪. শোওয়ার সময় WiFi কানেকশন বন্ধ রাখুন।
ব্রিটিশ হেলথ্ এজেন্সির পক্ষে দাবি, বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, উক্ত পদক্ষেপে WiFi-এর প্রভাব কমানো সম্ভব। তাই আপনার বাড়িতে WiFi থাকলে, আপনিও শুরু করুন।
সূত্র: এই সময়
Saturday, January 7, 2017
রক্তের চর্বি কমানোর ছয় উপায়
বয়স ৩০ বছরের বেশি হলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একবার রক্তের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। চর্বির মাত্রা বেশি হলে তা হৃদ্রোগ ও পক্ষাঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবনাচরণ পরিবর্তন করে ও প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করে রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এবার জেনে নিন কীভাবে রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
হাঁটুন এবং হাঁটুন: কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমায়, আর উপকারী চর্বি এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায়। নৈশভোজের পর কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। যাঁরা অফিসে সারা দিন বসে কাজ করেন, তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় একবার পাঁচ মিনিট হাঁটা বা চলাফেরা করুন।
লাল মাংস ও চর্বি বাদ: সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন: ঘি, মাখনের তৈরি খাবার, গরু ও খাসির লাল মাংস বাদ দিন। আমিষের উৎস হিসেবে মাছ বেছে নিন।
আঁশযুক্ত খাবার চাই: প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩৫ গ্রাম আঁশ খাওয়া উচিত। এই আঁশ পাবেন তাজা খোসাসহ ফলমূল, সবজি, গোটা শস্যের তৈরি খাবারে। এই আঁশ রক্তের চর্বি কমাবে।
বেশি বেশি মাছ: মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল কমায়। এতে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার মাছ খাওয়া উচিত।
ধূমপানকে না: ধূমপান চিরতরে ছেড়ে দিন। নিকোটিন রক্তনালির আরও ক্ষতি করে ও উপকারী চর্বি কমায়।
শর্করা রাখুন নিয়ন্ত্রণে: অনিয়ন্ত্রিত শর্করা রক্তে ও যকৃতে চর্বি হিসেবে জমা হতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায়
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
Friday, January 6, 2017
রাতে খাবার পরই ঘুমাতে গেলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ
এক একজন মানুষের রাত্রিকালীন অভ্যাস এক এক রকমের হয়। খাওয়ার পরে কেউ গান শুনতে ভালবাসেন, কেউ বা বই নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন, কেউ আবার খেয়ে উঠেই সটান লম্বা হন ঘুমাবেন বলে।
এই সমস্ত অভ্যাসের মধ্যে কোনগুলি শরীরের পক্ষে ভাল, কোনগুলোই বা অস্বাস্থ্যকর?
সেগুলি নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু অন্তত একটি কাজ খেয়ে উঠে শুতে যাওয়ার আগে না
করলে হতে পারে গুরুতর শারীরিক সমস্যা— এমনটাই মনে করছেন ডায়েটিশিয়ান লেজলি ব্যাক।
‘দা গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ নামের দৈনিকে লেজলি জানাচ্ছেন, রাতে খেয়ে ওঠার
পরে আর কিছু করুন না করুন, দু’তিন ঘন্টার বেশি কিছুতেই জেগে থাকবেন না। যদি খাওয়ার
পরে চার বা পাঁচ ঘন্টা বাদে শুতে যান, তাহলে শরীরে মেটাবলিজম রেটে যেমন গুরুতর পরিবর্তন
আসে, তেমনই ঘুমেও সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে রক্তচাপের ইতরবিশেষ ঘটে এবং হার্টের রোগ
দেখা দিতে পারে। কাজেই লেজলির পরামর্শ, যদি রাততে খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকতেই
হয় তাহলে ফল কিংবা অন্য কোনও সহজপাচ্য খাবার খেয়ে নিন।
কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমাতে যাওয়ার কথা বলছেন
লেজলি। তাঁর বক্তব্য, খেয়ে উঠেই ঘুমিয়ে পড়লে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল রিফ্লাক্সের
ফলে গ্যাস, অম্বল বা বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই খাওয়া এবং ঘুমাতে যাওয়ার
মধ্যে ঘণ্টা দেড়-দুই ব্যবধান রাখাই আদর্শ, এমনটাই মত লেজলির।
সূত্র: এবেলা
Thursday, January 5, 2017
ঘুমানোর আগে ১০ খাবার একেবারেই খাবেন না
ঘুমানোর আগে বেশ কিছু খাবার খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবার যেমন ঘুমানোর সময় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে তেমন আরও কিছু শারীরিক অসুবিধার কারণ হতে পারে।
এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবারের কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
১. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই প্রতিদিনই সীমিত পরিমাণে এটি খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ঘুমানোর আগে ডার্ক চকলেট খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডার্ক চকলেটে রয়েছে ক্যাফেইন। আর এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ফ্যাট গ্রহণের একটি স্বাস্থ্যকর উপায় হলো নাট বাটার খাওয়া। কিন্তু এটি খুব ধীরে হজম হয়। এ কারণে এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি পেটব্যথারও কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের আগে নয়, দিনের অন্য যে কোনো সময় এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
ঘুমানোর আগে মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি পেটে গ্যাস সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার ঘুমানোর আগে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এ ধরনের খাবার আপনার পেটে হজম হতে বহু সময় নেয়। আর এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
চাইনিজ খাবারে বেশ কিছু উপাদান ব্যবহৃত হয় যাতে ব্যবহার করা হয় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট ও ফ্লেভার এনহ্যান্সার। এসব অনেকটা ক্যাফেইনের মতোই কাজ করে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর পরিমাণে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে যা ঘুমে সমস্যা তৈরি করে। আর তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
ঘুমানোর কমপক্ষে চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে রেড মিট বা লাল মাংস খাওয়া শেষ করতে হবে। কারণ এটি বিএমআর রেট বাড়িয়ে শরীরের তাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গাঢ় ঘুম আসে না।
অনেকেই মনে করেন ঘুমানোর আগে ভাত খেতে সমস্যা নেই। বাস্তবে ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই ভাত বা এ ধরনের ভারি খাবার খাওয়া শেষ করতে হবে। কারণ এতে দেহে বাড়তি ফ্যাট গ্রহণের প্রবণতা তৈরি হয়। এতে দেহের ওজনও বেড়ে যায়।
আঁশযুক্ত খাবার রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া উচিত নয়। ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই এসব খাবার খাওয়া শেষ করা উচিত। এ তালিকায় রয়েছে সবুজ শাকসবজিও। এগুলোতে যেমন দেহের পুষ্টি হয় তেমনই শাকসবজিতে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা ধীরে পরিপাক হয়। এর ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।
আইসক্রিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও সুগার। ঘুমানোর আগে আইসক্রিম খাওয়ায় শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে এটি ঘুমানোর আগে খাওয়া উচিত নয়।
Wednesday, January 4, 2017
শীতকালে দেহের ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায় জেনে রাখুন
শীতকালে
অনেকেই নানা ধরনের ব্যথায় আক্রান্ত হন। এ কারণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় বহু মানুষকে।
কিন্তু
কি উপায়ে এ ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস
অব ইন্ডিয়া।
১. ভারসাম্যপূর্ণ খাবার
শীতকালে
ব্যথা-বেদনা মুক্ত থাকার জন্য ভিটামিন ডি, সি ও কে গ্রহণ করতে হবে বেশি করে। এজন্য
কমলা, বাধাকপি, পালং শাক, টমেটো ইত্যাদি খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এছাড়া সালফারযুক্ত
খাবারও খেতে হবে।
২. পর্যাপ্ত পানি পান
শীতকালে
আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় অনেকেরই পানির তৃষ্ণা পায় না। তবে দেহের পানির চাহিদা পূরণ করার
বিকল্প নেই। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। অন্যথায় মাথাব্যথাসহ দেহে নানা ধরনের
ব্যথা হতে পারে।
৩. নি গার্ড
ঝুঁকিপূর্ণ
কাজে অনেকেই হাঁটুতে আঘাত পান, যা থেকে পরবর্তীতে ব্যথা হয়ে যায়। আর এ ধরনের ইনজুরি
যেন না হয় সেজন্য নি গার্ড ব্যবহার করুন।
৪. ফিজিওথেরাপি
যাদের
দেহের কোনো অংশে ব্যথা আছে তাদের সে ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক
ব্যথারই ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তাই সে কারণ নির্ণয় করার পর ফিজিওথেরাপি দেওয়া
যেতে পারে।
৫. নিয়মিত অনুশীলন
দেহের
ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। আর এ জন্য নিয়মিত শারীরিক
অনুশীলন করা যেতে পারে।
৬. প্রথমে হালকা অনুশীলন
অনেকে
শারীরিক অনুশীলনের কারণে দেহের ব্যথায় আক্রান্ত হন। এ ক্ষেত্রে প্রথমে হালকা অনুশীলন
করে তারপর তার মাত্রা বাড়াতে হবে।
৭. পোশাক সাবধান
বিভিন্ন
ধরনের পোশাক ও পরিধেয়র কারণে আমরা অনেকে ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারি। এ কারণে অস্বস্তিকর
পোশাক ও জুতা পরা উচিত নয়। কারো টাইট জিন্স ও উঁচু হিলে যদি অসুবিধা হয় তাহলে তা ত্যাগ
করতে হবে।
৮. দীর্ঘক্ষণ একইভাবে বসবেন না
অফিসে
বসে যারা কাজ করেন তারা অনেকেই দীর্ঘক্ষণ একইভাবে বসে থাকেন। এতে দেহের ব্যথা হতে পারে।
তাই দীর্ঘক্ষণ একইভাবে না বসে কিছুক্ষণ পর পর ভঙ্গি পরিবর্তন ও নড়াচড়া বা একটু হেঁটে
নেওয়া উচিত।
৯. ধূমপান ত্যাগ
ধূমপানের
কারণে অনেক সময় দেহের ব্যথা হতে পারে। কারণ ধূমপানের ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় এবং হাড়ের
সংযোগস্থলে ব্যথা হতে পারে।
১০. ক্যালসিয়াম
দেহে ক্যালসিয়াম কমে গেল হাড়ের ভেতর নানা সমস্যা হতে
পারে। এ কারণে বেশি করে ক্যালসিয়াম খেতে হবে।
Monday, January 2, 2017
আধা সেদ্ধ চিকেন খেলে হতে পারে প্যারালাইসিস!
চিকেন
খেতে কে না ভালোবাসে। এমন সহজপাচ্য, সুস্বাদু অথচ সহজে রান্না হয়ে যাওয়া মাংস আর কিছু
রয়েছে কি? সে কারণেই এত জনপ্রিয় চিকেন।
তবে সহজে
রান্না হয়ে গেলেও চিকেন সিদ্ধ করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ গবেষকরা জানাচ্ছেন,
আধ সেদ্ধ চিকেনে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরে গেলে তা থেকে প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে!নিয়মিত
আধ সেদ্ধ চিকেন খেলে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে হওয়া গালিয়ান বারে সিন্ড্রোম থেকে অ্যাকিউট
নিউরোমাসকুলার প্যারালিসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। চিকেন সহজলভ্য, সহজপাচ্য, ওজন
কমাতে সাহায্যকারী, স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে সারা বিশ্বেই চিকেন খাওয়ার চল যেমন বেশি,
তেমনই জনপ্রিয়তাও বেশি। আর তাতেই ক্রমশই বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ।
- আনন্দবাজার
Sunday, January 1, 2017
দুধ খাওয়া কি স্বাস্থ্যসম্মত? ৮ তথ্য জেনে নিন
দুধ খাওয়া
স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন। অনেকে নানা কারণে দুধ হজম করতে
পারেন না।
আর এ
কারণে দুধ পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেন। এ লেখায় থাকছে দুধের বিষয়ে কয়েকটি তথ্য। এক প্রতিবেদনে
বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. পুষ্টিগুণ
দুধের
পুষ্টিগুণ অসাধারণ। এটি সবচেয়ে পুষ্টিকর পানীয় বললেও ভুল হবে না। শুধু শিশুদের জন্যই
নয়, এটি বড়দের জন্যও উপকারী। আর বিভিন্ন গবেষণাতেও দুধের এ পুষ্টিগুণ প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় কোনো সমস্যা না হলে সবাই দুধ খেতে পারেন।
২. মজবুত হাড়
দুধ পান
করলে হাড় শক্ত হয়। মূলত দুধের ক্যালসিয়াম এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। শিশুরা
নিয়মিত দুধ পান করলে তা তাদের মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে। পরবর্তীতে সহজে হাড় ভাঙে
না তাদের।
৩. শক্তিশালী দাঁত
দুধের
ক্যালসিয়াম শুধু মজবুত হাড়ই গঠন করে না এটি মজবুত দাঁত গঠনেও সহায়তা করে। যে শিশুরা
নিয়মিত দুধ পান করে তাদের দাঁত অন্যদের তুলনায় মজবুত হয়। এটি বেশি করে পান করলে অস্বাস্থ্যকর
সফট ড্রিংক্স থেকেও দূরে থাকা সহজ হয়।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ
দেহের
বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে দুধ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনেকেরই ধারণা দুধ খেলে দেহের
ওজন বাড়বে। যদিও বিষয়টি কিছুটা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করলে দেহের ওজন কমানো সম্ভব।
এ জন্য কম ফ্যাটযুক্ত স্কিমড দুধ পান করতে হবে। এ ছাড়া দুধে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ থাকায়
অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবার কম করে খেতে হবে। এতে দেহের ওজন কমানো যাবে।
৫. জলীয় অভাব পূরণ
শিশুরা
সব সময় কাজ করে। আর এ কারণে তাদের দেহে প্রচুর তরল পদার্থ থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া তাদের
দেহের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ করা প্রয়োজন। এ উভয় চাহিদা একত্রে সমাধান করতে পারে দুধ।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যে স্বস্তি
আপনার
যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে দুধ পান করতে পারেন। এতে স্বস্তি আসবে।
৭. মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে
অল্পবয়সী
মেয়েদের মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে পারে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। আর এ দুটি চাহিদা মেটাতে
পারে দুধ। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থায় দুধ পানের পরামর্শ দেন।
৮. মানসিক চাপ কমায়
দুধের
বিভিন্ন উপাদান মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান এক্ষেত্রে
খুবই কার্যকর।
Subscribe to:
Comments (Atom)






































