Tuesday, April 11, 2017
মুখে দুর্গন্ধ? জেনে নিন কীভাবে দুর করবেন
লোকসমাজে মুখের গন্ধ আপনার সম্মানে যে ছেদ ফেলতে পারে তা কী আর বলে দিতে হবে! তাই আপনিও যদি এমন সমস্যার শিকার হন, তাহলে সাবধান! এখন প্রশ্ন কীভাবে দূরে পালাবেন এর থেকে? আরে সেই উত্তর দিতেই তো এই লেখা। নানা কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। যেমন ঠিক করে দাঁত না মাজলে বা মুখে কোন রোগ দেখা দিলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, দাঁতের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধলেই গন্ধ বেরুতে শুরু করে। আর এমনটা হয় তখনই, যখন মুখগহ্বরে অক্সিজেনের অভাব ঘটে। মুখ থেকে গন্ধ বেরলে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আসলে নিজের গন্ধ তো নিজে পাওয়া যায় না, লোকের নাকে লাগে। ফলে সম্মানহানী হওয়ার আশঙ্কাটা যায় বেড়ে। তবে চিন্তা নেই! উপায় আছে। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্য় নিলেই দেখবেন দুর্গন্ধ, সুগন্দে পরিণত হয়েছে। তাহলে অপেক্ষা কিসের। এখুনই জেনে নিন না সেই সব কার্য়করি ঘরোয়া উপায়গুলি সম্পর্কে।
১. দারুচিনি: মুখের ভিতরে তৈরি হওয়া জীবানুদের মেরে ফলতে দারুচিনির কোনও বিকল্প নেই। তাই মুখ থেকে গন্ধ বেরলেই এক চামচ দারচিনির পাউডারের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে গরম করে নিন। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ চলে যাবে।
২. মৌরি: এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা মুখ গহ্বরে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। ফলে দুর্গন্ধে বদলে যায় সুগন্ধে। যখনই মনে হবে মুখ থেকে গন্ধ বেরুচ্ছে, এক মুঠো মৌরি নিয়ে চিবিয়ে নেবেন। এমনটা করলে লালার উৎপাদন বেরে যাবে, ফলে বাজে গন্ধ বেরনো বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. পার্সলে পাতা: এতে রয়েছে ক্লরোপিল নামে একটি উপাদান যা মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। কয়েকটি পার্সলে পাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।
৪. মেথি বীজ: এক চামচ মেথি বীজ নিয়ে পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেই পানিটাকে ফোটান। তারপর বীজগুলিকে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি চায়ের মতো পান করুন। কয়েকদিন এমনটা করলে দেখবেন মুখের গন্ধ কমে গেছে।
৫. লবঙ্গ: এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা মুখে গন্ধ তৈরি করা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ১-২ টো লবঙ্গ নিয়ে চুসতে থাকুন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন গন্ধ একেবারে চলে গেছে।
৬. টি ট্রি অয়েল: টুথপেস্টে কয়েক ড্রপ টি-ট্রি তেল মিশিয়ে ব্রাশ করুন। প্রতিদিন এমনটা করলে দেখেবন সমস্যা কমতে শুরু করেছে। কারণ এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ, যা বাজে গন্ধ উৎপন্নকারি ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে।
৭. মিন্ট পাতা: একে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা যেতে পারে। তাই মুখে গন্ধ হলে ২-৩ টে মিন্ট পাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। তাহলেই কেল্লাফতে!
৮. এলাচ: ২-৩ টে এলাচ নিয়ে মুখে ফেলে দিন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন গন্ধ একেবারে দূরে পালাবে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Monday, April 10, 2017
বেশি বেশি চর্বি কমাতে প্রতিদিন ১৮ ঘন্টা উপোস করুন
নতুন একটি গবেষণায় বেশি বেশি চর্বি কমানোর আরো সহজ উপায় আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে এ জন্য আপনাকে সারাদিনের সব খাবার গ্রহণ মাত্র ৬ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে আনার জন্য ইচ্ছুক হতে হবে।
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যারা সকাল ৮টা থেকে ২টার মধ্যে তাদের সব ক্যালরি গ্রহণ সীমাবদ্ধ করে আনেন তারা যারা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্যালরি গ্রহণ করেন তাদের চেয়ে ৬% বেশি চর্বি পোড়ান।
গবেষকরা বলেছেন, ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা টানা উপোস করার পর দেহের চর্বি পোড়ানোর সক্ষমতা তুঙ্গে ওঠে।
কারণ, উপোস থাকার প্রথম ১২ ঘণ্টায় মানবদেহ গ্লাইকোজেন পোড়ায়। আর ১২ ঘণ্টা উপোসের পর মানবদেহ এর জমে থাকা চর্বি পোড়ানো শুরু করে।
তবে, গবেষকরা মাত্র ৬% হেরফেরকে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন না। ফলে এই গবেষণাকে শুধু প্রাথমিক স্তরের একটি গবেষণা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এবং এ বিষয়ে আরো গবেষণার দরকার আছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যারা ৬ ঘণ্টার মধ্যেই দিনের সব খাবার গ্রহণ করেন তাদের ক্ষুধার অনুভূতির তীব্রতা যারা ১২ ঘণ্টাজুড়ে খাবার খান তাদের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়ে থাকে।
গবেষকরা এর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানতে পারেননি। তবে তাদের ধারণা যারা ১২ ঘণ্টাজুড়ে তাদের সব খাবার খান তারা দিনের প্রথমভাগে মাত্র দুই তৃতীয়াংশ খাবার গ্রহণ করেন। আর এ কারণেই হয়ত তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খান। তারা যদি দিনের প্রথমভাগেই পুরো দিনের জন্য প্রয়োজনীয় সব খাবার খেয়ে ফেলতেন তাহলে তাদের আর অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা তৈরি হতো না।
তবে গবেষকরা শিশু এবং গর্ভবতী নারীদেরকে উপোস করতে নিষেধ করেছেন। আর যাদের কোনো দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে তাদেরকে উপোস করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার উপদেশ দিয়েছেন গবেষকরা।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Friday, April 7, 2017
জেনে রাখুন, গোসল করার সঠিক নিয়ম
সকাল-বিকাল গোসল করি আমরা অনেকেই। এতে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়। মনে করি, কত পরিষ্কার হলাম। আবার আমাদের মধ্যেই অনেকে আছেন, দিনে তিনবার গোসল করেন, কিন্তু দায়সারাভাবে। কোনো মতে গায়ে ঝুপঝুপ করে পানি ঢেলে চলে আসেন। আবার অনেকে আছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গোসল করেও পরিস্কার হন না। তাঁদের দেখে মনে হয় না, কস্মিনকালেও তাঁরা গোসল করেন না। আর যাঁরা কুঁড়ের বাদশা, তাঁরা এসবের ঊর্ধ্বে! সে যাই হোক, গোসলেরও একটা নিয়ম আছে। সঠিকভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে চাইলে হাতে ১৫ মিনিট সময় চাই। দায়সারাভাব ত্যাগ করতে হবে, আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করাও বন্ধ করতে হবে।
শরীর পরিস্কার
রুল ১ : প্রথমে একবালতি ইষদুষ্ণ গরম পানি নিন। ঠান্ডা পানিতে গোসল করে আরাম আছে, কিন্তু ঠান্ডা পানি ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বক রুক্ষ করে তোলে। ফলে হালকা গরম পানিই ভালো। এতে ত্বকেরও ক্ষতি হবে না আবার ক্লান্তিও দূর হবে। যাঁদের ঘুমের সমস্যা, তাঁদের সকলেরই হালকা গরম পানিতে গোসল করা জরুরি। কিন্তু মাথা ধোয়ার সময় কিন্তু গরম পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করুন। গরম পানি চুল রুক্ষ করে তোলে।
রুল ২ : গোসলের সময় কাচা তোয়ালে বা গামছা নিয়ে বাথরুম যান। প্রথমে ভালো করে শরীরে পানি দিন। তারপর সাবান মাখুন। ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করুন। রুক্ষ ত্বকের জন্য গ্লিসারিন ব্যসড্ সাবান আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মিল্ক সোপ। যাঁদের সাধারণ বা নর্মাল ত্বক, তাঁরা যে কোনো সাবানই বেছে নিতে পারেন।
রুল ৩ : শরীর থেকে ময়লা দূর করতে স্ক্রাবিং খুব জরুরি। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, সাবান মাখার সময় স্ক্রাবিং করে নিন লুফার সাহায্যে। এতে ময়লা দূর হয়। রোমকূপ থেকে অতিরিক্তি তেল বেরিয়ে আসে। তৈলাক্ত ত্বক পরিস্কার করতে স্ক্রাবার কাম বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
রুল ৪ : স্ক্রাবিং করে সাবান মাখা হয়ে গেলে ভালো করে গা ধুয়ে নিন। এখানেই শেষ নয়। ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে তেল মাথা অত্যন্ত জরুরি। ৭০ শতাংশ মানুষ তেল মাখেন না। কিন্তু এটা খুব জরুরি। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক রুক্ষ, তেল মাথা খুব জরুরি। বাজারে অনেক ধরনের বডি অয়েল কিনতে পাওয়া যায়। চন্দন দেয়া বডি অয়েল বেছে নিন। মাখতে পারে অলিভ অয়েল। তা না হলে বাড়িতে রাখা সরষের তেলও মাখতে পারেন।
তেল মাখার পর ছেড়ে দেবে না। মনে করবেন না গোসল সমাপ্ত। এরপর পরিস্কার তোয়ালে বা গামছা দিয়ে গা মুছে নিন।
চুল পরিস্কার :
রুল ৫ : গোসলের সময় মুখ ও পায়ের পাতায় বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। মুখে কখনোই গায়ে মাখার সাবান মাখবেন না। মুখের ত্বক অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসওয়াশ বেছে নিন। স্নান করার পর দু’ফোটা ফেসওয়াশ আস্তে আস্তে মুখে মেখে ধুয়ে ফেলুন। পায়ের পাতা ও তলার জন্য স্ক্রাবিংয়ের ব্যবস্থা করুন। বাজারে পিউমিক স্টোন কিনতে পাওয়া যায়। তার সঙ্গে ব্রাশও পাওয়া যায় গোসলের শেষে হাতে সামান্য শ্যাম্পু নিয়ে পায়ের গোড়ালি ও তলায় ভালো করে মাখিয়ে নিন। তারপর প্রথমে পিউমিক স্টোন ও ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিস্কার করুন। দেখবেন পা ফাঁটার সমস্যা দূর হয়েছে নিমেষে।
রুল ৬ : শ্যাম্পু করার প্ল্যান থাকলে আগে শ্যাম্পু করা সেরে নিতে হবে। SLSযুক্ত শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন। Sodium lauryl sulphate। এটি শ্যাম্পুতে ফেনা তৈরি করে। এর সাহায্যে ক্ষণিকের জন্য চুল চকচকে হলেও চুলের ডগা ফাটিয়ে দেয়, স্বাভাবিক রংও নষ্ট করে। তাই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যাতে SLS উপাদানটি নেই। চুলের ধরন বুঝে বেছে নিন হার্বাল শ্যাম্পু।
রুল ৭ : অনেকে মনে করেন শ্যাম্পু করা মানেই চেটোয় অনেকটা শ্যাম্পু নিয়ে ফেনা তৈরি করে চুলে লাগানো, আর তারপর ধুয়ে ফেলা। এটা কিন্তু সঠিক পদ্ধতি নয়। আগের দিন রাতে তেল মেখে পরদিন শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা-
রুল ৮ : প্রথমে ঠান্ডা পানিকে চুলে ধুয়ে মাথার তেল বের করে নিতে হবে। তারপর হাতে সামান্য শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে। ফেনা হতে শুরু করলে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চুলকে জটমুক্ত রাখতে কন্ডিশনাক মাস্ট। সামান্য কন্ডিশনার চুলে মাখিয়ে মিনিট দুই অপেক্ষা করুন। দেখবেন, চুলের গোড়ায় যাতে কন্ডিশনার না লেগে যায়। তারপর পানি দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।
* শরীর পরিস্কারের তোয়ালে আর মাথা মোছার তোলায়ে আলাদা করাই ভালো।
রোজ এভাবেই গোসল করুন। এতে বেশি সময় ব্যয় হয় না। কিন্তু আপনি পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যাতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার পরিচ্ছন্নতা আপনার দায়িত্ব। ভেতর থেকে পরিস্কার না হলে, চারপাশটাকেও পরিস্কার মনে হয় না।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, April 6, 2017
ব্যায়াম করার কিছু নিয়ম খেয়াল রাখুন
সময়সীমা
প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলেন, ডাম্বেল আর বারবেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সময়সীমা বেঁধে নেওয়া উচিত। কারণ এগুলো ব্যবহারের কিছু সময় পর পেশিতে অবসাদ দেখা দেয়। তখন হাজারো ব্যায়াম করলেও বিন্দুমাত্র উপকার মেলে না। তাই যত বেশি ব্যায়াম করবেন, তত উপকার মিলবে—এমন ভাবার সুযোগ নেই। বিশেষ করে যাঁরা পেশি গঠনের ব্যায়াম করছেন, তাঁদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই ব্যায়াম করা দরকার।
বিশেষ অংশের জন্য নির্দিষ্ট দিন
যাঁরা ব্যায়ামে অভিজ্ঞ, তাঁদের এ পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে দেখা যায়। দেহের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা আলাদা ব্যায়াম রয়েছে। একেক অংশের পেশির জন্য একেক ধরনের ব্যায়াম। অভিজ্ঞরা একেকটা দিনকে একেক ধরনের ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে নেন। যেমন, হাতের পেশির জন্য একটা দিন বা পেটের মেদ কমাতে অন্য কোনো দিন।
প্রবলতা
ফুটবল দলের কোচ কোনো খেলোয়াড়কে এমন উপদেশ দিতে পারেন—হয় কঠিন শ্রম দাও, কিংবা একেবারে হালকা থাকো। আসলে শরীরচর্চাকেন্দ্রের জন্যও একই পরামর্শ প্রযোজ্য। হয় কঠিন, নয়তো হালকা।
হাইড্রেশন
অবশ্যই দেহকে পানিপূর্ণ রাখতে হবে। তার মানে এই নয় যে ব্যায়ামের সময় প্রচুর পানি খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, দেহ যেন পানিশূন্য না হয়ে পড়ে। তাই এক বোতল পানি সঙ্গে রাখুন। তৃষ্ণা পেলে খেয়ে নেবেন। বিশেষ করে ট্রেডমিল ব্যবহার করলে গলা শুকিয়ে আসে। এ সময়টাতে পানি প্রয়োজন।
ব্যর্থতা
ধরুন, ভারী কোনো ওজন তুলতে যাচ্ছেন প্রথমবারের মতো। সেখানে ব্যর্থতা আসবেই। পুশ-আপ, পুল-আপ, কার্ল বা অন্যান্য ব্যায়াম প্রথম প্রথম করতে দারুণ পেরেশানি পোহাতে হবে। এখানে ব্যর্থতা না এলেই বরং সফল হতে পারবেন না। তাই ব্যর্থতাকে গ্রহণ করে নিন।
কার্ডিও
আপনার হৃদস্পন্দন বাড়াতে হবে। এই ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি খোয়ানো হয়। অবশ্য এ কাজ করতে আপনাকে পাহাড় বেয়ে উঠতে হবে না। এমনকি ট্রেডমিলেরও দরকার নেই। শুধু দড়িলাফ খেলে যেতে পারেন খানিকটা সময় ধরে। কিংবা দুটি সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করতে থাকুন।
ঠেলা ও টানা
ব্যায়ামের সময় কিছু মৌলিক কাজ আছে, যা পেশি গঠনে এবং ওজন কমাতে অত্যাবশ্যকীয়। শক্তি দিয়ে কিছু ঠেলছেন এবং শক্তির প্রয়োগে কিছু টানছেন—এগুলো কার্যকর ব্যায়ামের মূল পদ্ধতি।
বিশ্রাম
ওজন কমাতে বা সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম যতটা জরুরি, ব্যায়ামের উপকারিতা পেতে ততটাই জরুরি বিশ্রাম। যেকোনো ব্যায়ামের পর কিছু সময় জিরিয়ে নিতে হয়। ভারী ব্যায়ামের পর ৫ থেকে ১০ মিনিট হালকা মেজাজে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। পুরো ব্যায়াম শেষেও বিশ্রাম দিতে হবে দেহকে। এতে গোটা শ্রম কাজে লাগবে। নয়তো দেহ ভেঙে পড়বে।
--চেস্টশিট অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার, সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Monday, April 3, 2017
ভিটামিন ডি ও আমিষের উৎস শুঁটকি
ভর্তা কিংবা তরকারি যেমনই হোক, শুঁটকি সমান সুস্বাদু। তবে এই সুস্বাদু খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। সামুদ্রিক ও মিঠাপানির দুই রকম মাছের শুঁটকিতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি ও খনিজ লবণ। এ ছাড়া প্রচুর আমিষ থাকায় এটি আমিষের ঘাটতিও পূরণ করে।
লবণ দিয়ে রোদে শুকানো হয় বলে শুঁটকি মাছে জীবাণু জন্মাতে পারে না। রোদে শুকানো টাটকা শুঁটকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি হাড়, দাঁত, নখের গঠন মজবুত করে।
টাটকা শুঁটকি যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, এতে কোনো সন্দেহ নেই। টাটকা শুঁটকিতে প্রচুর আমিষ থাকলেও এর ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এই কারণে ওজন না বাড়িয়েই শুঁটকি পেশি, হাড় ও চুলের গঠন ভালো রাখে। এদিক থেকে মাংসের চেয়েও শুঁটকি আমিষের ভালো উৎস। কারণ, মাংসে প্রচুর আমিষ থাকলেও এর কোলেস্টেরল ও ক্যালরির পরিমাণ শুঁটকির চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম শুঁটকিতে শতকরা ৮০ গ্রামের মতো আমিষ থাকলেও মাত্র ৩০০ ক্যালরি খাদ্যশক্তি রয়েছে। অপর দিকে গরুর মাংসে আমিষের হার এর চেয়ে অনেক কম এবং ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি।
বেশির ভাগ শুঁটকি মাছেই কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব কম থাকে। পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং উপকারী খনিজ উপাদান। সামুদ্রিক মাছের শুঁটকিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লোহা রয়েছে। ফলে যাঁরা মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে মাংস খাওয়া ছেড়েছেন, তাঁরা কম কোলেস্টেরলযুক্ত শুঁটকি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। নিয়মিত শুঁটকি খেলে ওজন বাড়বে না, হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
যাঁরা খাদ্যতালিকায় সারা জীবন মাছ ও শুঁটকিকে প্রাধান্য দেন, তাঁরা অনেক রোগ এড়াতে সক্ষম। শুঁটকি মানুষকে দীর্ঘায়ু করে।
সতর্কতা: অনেক ক্ষেত্রে শুঁটকি তৈরিতে অতিরিক্ত লবণ ও রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। শুঁটকি সংরক্ষণে ডিডিটির মতো কীটনাশক ও ফরমালিনও ব্যবহার করেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে শুঁটকি কিনতে হলে এসব দেখে কিনতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, ঘরে নিজেরাই শুঁটকি তৈরি করলে। বাড়ির ছাদে বা আঙিনায় শীতের রোদে নিরাপদ উপায়ে শুঁটকি তৈরি করে নিতে পারেন।
অনেকেরই অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণে সমস্যা হয়। বিশেষ করে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে শুঁটকি খেলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শুঁটকি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া জন্ডিস, লিভার সিরোসিস ও ফ্যাটি লিভারের রোগীরাও এই খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন।
হাসিনা আকতার
প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষ কানে কম শোনে
রক্তাল্পতা ও শ্রবণ সমস্যার মধ্যে সম্পর্ক আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, লোহার ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষ কানে কম শোনে। গবেষকেরা বলছেন, রক্তাল্পতা দ্রুত চিহ্নিত ও চিকিৎসা করা গেলে হয়তো শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১ দশমিক ৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষ শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত। এদের একটি অংশ মধ্য কানের হাড়ের সমস্যার কারণে কম শোনে (কমবাইন্ড হেয়ারিং লস)। অন্য অংশটি স্নায়বিক কারণে কানে কম শোনে, জন্মত্রুটির কারণেও এটা হতে পারে। অন্যদিকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রক্তাল্পতায় আক্রান্ত।
গবেষণা ফলাফলকে বাংলাদেশের নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদেরা গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, রক্তে লোহার পরিমাণ কম থাকলে রক্ত অক্সিজেন কম বহন করে। রক্তে অক্সিজেন কম থাকলে শ্রবণ ইন্দ্রিয়গুলো স্বাভাবিক কাজ করে না। এটাই কানে কম শোনার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশে কত মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, জন্মগত ত্রুটি, কানের পর্দায় ফুটো, মুঠোফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার, ডায়াবেটিস, শব্দদূষণ এবং রক্তস্বল্পতার কারণে মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছে। কমপক্ষে ২০ শতাংশ মানুষের এ সমস্যা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমা শাহীন জাতীয় জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের ৭ শতাংশ মানুষ লোহাজনিত রক্তাল্পতায় ভুগছে। গ্রামে ও শহরে এই হার যথাক্রমে ৬ ও ১০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বস্তিতে, ১৪ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ২১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৩৯ জন মানুষের ওপর এই গবেষণা হয়েছে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল পুরুষ। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষ ও শ্রবণ সমস্যায় ভোগা মানুষ অন্তর্ভুক্ত ছিল। গবেষকেরা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, লোহাজনিত রক্তাল্পতায় ভোগা মানুষের মধ্যে শ্রবণ সমস্যা বেশি। গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিন। গবেষণা ফলাফল ২৯ ডিসেম্বর আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের অটোর্যারিঙ্গোলোজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণে ছাপা হয়েছে।
গবেষকেরা বলেছেন, লোহাজনিত রক্তাল্পতার সঙ্গে শ্রবণ সমস্যার সম্পর্ক আছে এটা এই গবেষণা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন দেখা দরকার রক্তাল্পতা দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করলে তার প্রভাব শ্রবণ সমস্যায় থাকা মানুষের কতটা উন্নতি হয়।
অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, এ দেশের মানুষ প্রাণিজ খাদ্য (মাছ, মাংস) থেকে লোহা কম পায়। অন্যদিকে গর্ভবতী মায়েদের বড় অংশ রক্তাল্পতায় ভোগে, এর প্রভাব পড়ে গর্বের শিশুর ওপর। নীতিনির্ধারকদের এসব দিকে নজর দিতে হবে।
Saturday, April 1, 2017
শক্তিশালী হাড়ের জন্য নারীদের কী খাওয়া উচিত?
বয়স্ক নারীদের হাড়ের দুর্বলতায় অত্যন্ত ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আর এ সমস্যা দূর করার জন্য তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি ও মাছ হতে পারে আদর্শ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
গবেষকরা জানান, তারা ছয় বছর ধরে গবেষণা করেছেন এ বিষয়টি জানার জন্য যে, বয়স্ক নারীদের হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য কোন ধরনের খাবার প্রয়োজন। এতে দেখা যায়, যে নারীরা ইনফ্লেমেটরি ডায়েট সবচেয়ে কম পরিমাণে খান তাদের হাড়ের ঘনত্ব সবচেয়ে ভালো থাকে।
এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এক্ষেত্রে তারা নারীদের হাড়ের ঘনত্ব নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের খাবারের তালিকাও সংরক্ষণ করেন। আর এতে উঠে আসে খাবারের সঙ্গে হাড়ের ঘনত্বের সম্পর্কের বিষয়টি।
গবেষকদলের প্রধান তনিয়া অরকার্ড জানান, তারা দেখেছেন যে খাবারগুলোতে উপকারি ফ্যাট রয়েছে সেসব খাবার হাড়ের জন্য ভালো। এছাড়া রয়েছে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসা খাবার ও হোল গ্রেইন খাবার।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এক লাখা ৬০ হাজারেরও বেশি নারীর বিভিন্ন তথ্য এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আর এ থেকে ৩২টি খাবারের ফলে তাদের দেহে কী ধরনের প্রভাব পড়ে তার একটি তালিকা করেছেন।
আর এতেই উঠে এসেছে খাবারের ক্ষেত্রে শুধু আমিষ নয়, নিরামিষ কিছু খাবারও নারীদের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এজন্য বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল ও বাদামি আটার মতো খাবার খাওয়া উচিত।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, March 30, 2017
স্মার্টফোন চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে, সাবধান!
স্মার্টফোন ব্যবহারে চোখের ক্ষতি হয়, এ বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। কিন্তু কিভাবে এ ক্ষতি হয়, সে সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা ছিল না।
সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন চোখের একটি বিশেষ পরিস্থিতির জন্য দায়ী স্মার্টফোনের স্ক্রিন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
বহু মানুষই বলেন, স্মার্টফোনের দিকে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকেন তারা। আর এতে চোখের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, চোখের ওপর স্মার্টফোনের প্রভাব আগে যে ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি। এক্ষেত্রে মূল যে সমস্যাটি হয় তা হলো ড্রাই-আই ডিজিজ বা চোখ শুকিয়ে যাওয়া সমস্যা। এ রোগে মানুষের চোখ শুকিয়ে যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা প্রায় সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাদের মাঝে এ সমস্যা বেশি হয়। তবে কয়েক মাস স্মার্টফোন ব্যবহার না করলে এ সমস্যা আবার হ্রাস পায়।
মূলত চোখের অভ্যন্তরে পানি উৎপাদিত হয় নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট মাত্রায়। কিন্তু অতিরিক্ত স্মার্টফোন ও অন্যান্য স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে এ উৎপাদন কমে যায়। ফলে চোখ শুকিয়ে যায়। এর লক্ষণ প্রকাশিত হয় চোখ লাল ও ফুলে যাওয়ার মাঝে। এছাড়া চোখে জ্বালাপোড়াও করতে পারে। বয়স্ক ও তরুণ, উভয়ের মাঝেই হতে পারে এ সমস্যা। তবে শিশুরাও এর বাইরে নয়। আর শিশুদের এ সমস্যা প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে।
এ রোগের কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের চোখের পলক কম পড়ে। আর এতেই শুরু হয় যাবতীয় সমস্যা। চোখের পলক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ আর্দ্রও থাকে। এতে সুস্থ থাকে চোখ। অন্যদিকে পলক না পড়লে চোখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ফলে সমস্যাগুলো তৈরি হয়।
চোখের এ সমস্যাটি শিশুদের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তারা বর্তমানে বেশি বেশি করে স্ক্রিনের সামনে সময় দিচ্ছে। আর এতে তাদের চোখের ঝুঁকি বাড়ছে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন স্ক্রিনের সামনে ব্যয় করা সময় নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। কোনো স্ক্রিনেই দুই ঘণ্টার বেশি সময় দেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া একটানা বেশিক্ষণ স্মার্টফোন ও অন্যান্য স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকাও উচিত নয়।
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বিএমসি অপথ্যালমোলজি জার্নালে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Wednesday, March 29, 2017
কী খেয়ে শতায়ু হলেন তাঁরা
বয়স ১০০ পেরিয়েছে তো কী হয়েছে? অনেকেই আছেন, যাঁরা ১০০-র কোঠায় গিয়েও শরীর ঠিক রাখতে পেরেছেন। কী খেয়ে তাঁরা শতায়ু হলেন? চলুন জেনে আসি সেই তথ্য:
![]() |
| এমা মোরানো প্রতিদিন তিনটি করে ডিম খান। |
![]() |
| সুসানা মুসাত জোন্স নাশতায় চার টুকরো বেকন ও ডিম খান। |
![]() |
| জাপানের মিসাও ওকাওয়া প্রচুর সুসি খেতেন। |
![]() |
| টাও পর্চন-লিঞ্চ সবজি খান। |
![]() |
| ইসরায়েল ক্রিস্টাল খান হেরিং মাছ। |
![]() |
| অ্যাডেলে ডানলপের পছন্দ ওটমিল। |
![]() |
| ধর্মপাল সিং খান দুধ। |
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
Monday, March 27, 2017
সাডেন ডেথ এড়াতে করণীয় কী?
খাস কলকাতায় ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হঠাৎ-মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৪ কোটি মানুষ সাডেন ডেথের শিকার। কীভাবে এড়ানো যাবে এই বিপদ? চিকিত্সকদের পরামর্শ, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা মাস্ট।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এর অন্যতম কারণ। ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড, নিয়মিত ব্যায়াম না করা বা কম ঘুমানোর কারণেই হঠাত্ ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। হয়ত শরীরে তেমন কোনো সমস্যাই নেই। তাই ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। টেস্টের তো বালাই-ই নেই। ভাবছেন বিন্দাস আছেন। নাহ। অজান্তেই আপনার শরীরে থাবা বসিয়েছে বিপদ। পরিণতি? হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বছরে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের হঠাত্ মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৪২ শতাংশ মানুষের অকাল মৃত্যু। স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ৫২.৮ শতাংশ। ৪০.৯ শতাংশের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। চমকে ওঠার মতো তথ্য জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায়। হার্টের অসুখের কিছু কিছু ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগই ডেকে আনতে পারে হঠাত্ মৃত্যু। তাহলে উপায়?
চিকিত্সকদের পরামর্শ, হঠাত্ মৃত্যু এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হবে। কী সেই টেস্ট? সিবিসি অর্থাত্ শরীরের হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা ও প্লেটলেট গণনা। এইচবিএওয়ানসি অর্থাত্ ডায়াবেটিসের পরীক্ষা। টিএসএইচ অর্থাত্ শরীরে থাইরয়েড আছে কি না। সিরাম লিপিড প্রোফাইল অর্থাত্ রক্তে চর্বির পরিমাণ কেমন। কিডনি ফাংশন টেস্ট অর্থাত্ কিডনির কার্যক্ষমতা নির্ণয়। সিরাম ইউরিক অ্যাসিড অর্থাত্ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ দেখা। ইউরিন ফর আর, এম অথবা ই। লিভার ফাংশন টেস্ট অর্থাত্ লিভারের কার্যক্ষমতা নির্ণয়। হেপাটাইটিস বি শরীরে আছে কি না, তা দেখার জন্য এইচবিএসএজি এবং অ্যান্টিএইচবিএস। হার্টের অবস্থা দেখতে ইসিজি। সাধারণত শ্বাসনালির সংক্রমণ বা নিউমোনিয়া শনাক্তকরণে এক্সরে টেস্ট। হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকের চেয়ে বড় কি না বা ফুসফুসে জল জমেছে কি না। আল্টাসোনোগ্রাম অর্থাত্ পিত্তথলি বা পিত্তনালিতে পাথর আছে কি না। সার্বিকভাবে পেটের ভিতরের অঙ্গগুলোর গঠনগত সমস্যা আছে কি না, নিয়মিত তার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। সূত্র: জিনিউজ
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
বিশেষজ্ঞদের দাবি, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এর অন্যতম কারণ। ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড, নিয়মিত ব্যায়াম না করা বা কম ঘুমানোর কারণেই হঠাত্ ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। হয়ত শরীরে তেমন কোনো সমস্যাই নেই। তাই ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। টেস্টের তো বালাই-ই নেই। ভাবছেন বিন্দাস আছেন। নাহ। অজান্তেই আপনার শরীরে থাবা বসিয়েছে বিপদ। পরিণতি? হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বছরে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের হঠাত্ মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৪২ শতাংশ মানুষের অকাল মৃত্যু। স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ৫২.৮ শতাংশ। ৪০.৯ শতাংশের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। চমকে ওঠার মতো তথ্য জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায়। হার্টের অসুখের কিছু কিছু ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগই ডেকে আনতে পারে হঠাত্ মৃত্যু। তাহলে উপায়?
চিকিত্সকদের পরামর্শ, হঠাত্ মৃত্যু এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হবে। কী সেই টেস্ট? সিবিসি অর্থাত্ শরীরের হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা ও প্লেটলেট গণনা। এইচবিএওয়ানসি অর্থাত্ ডায়াবেটিসের পরীক্ষা। টিএসএইচ অর্থাত্ শরীরে থাইরয়েড আছে কি না। সিরাম লিপিড প্রোফাইল অর্থাত্ রক্তে চর্বির পরিমাণ কেমন। কিডনি ফাংশন টেস্ট অর্থাত্ কিডনির কার্যক্ষমতা নির্ণয়। সিরাম ইউরিক অ্যাসিড অর্থাত্ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ দেখা। ইউরিন ফর আর, এম অথবা ই। লিভার ফাংশন টেস্ট অর্থাত্ লিভারের কার্যক্ষমতা নির্ণয়। হেপাটাইটিস বি শরীরে আছে কি না, তা দেখার জন্য এইচবিএসএজি এবং অ্যান্টিএইচবিএস। হার্টের অবস্থা দেখতে ইসিজি। সাধারণত শ্বাসনালির সংক্রমণ বা নিউমোনিয়া শনাক্তকরণে এক্সরে টেস্ট। হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকের চেয়ে বড় কি না বা ফুসফুসে জল জমেছে কি না। আল্টাসোনোগ্রাম অর্থাত্ পিত্তথলি বা পিত্তনালিতে পাথর আছে কি না। সার্বিকভাবে পেটের ভিতরের অঙ্গগুলোর গঠনগত সমস্যা আছে কি না, নিয়মিত তার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। সূত্র: জিনিউজ
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
গাঁজা সেবনে রহস্যময় রোগের বিস্তার
আমেরিকার হাসপাতালগুলোর ইমার্জেন্সি রুমে ক্রমেই ভিড় বাড়ছে। একটি বিশেষ রোগের লক্ষণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন তারা।
আর এরা সবাই গাঁজা সেবন করেন। বিশেষ করে আমেরিকার যেসব স্থানে গাঁজাকে বৈধ করা হয়েছে, সেখানে এমন ঘটনা বেশি চোখে পড়ছে।
লক্ষণের মধ্যে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং মারাত্মক বমি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে। এদের চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বেশ ধাঁধায় পড়ে গেছেন। এ অবস্থাকে বলা হচ্ছে ক্যানাবিনয়েড হাইপারএমেসিস সিনড্রোম (সিএইচএস)। অতিরিক্ত ও দীর্ঘমেয়াদে গাঁজা খাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ক্ষেত্রে গরম পানিতে গোসলের পর ব্যথা ও বমি কমে আসছে।
২০০৯ সাল থেকে আমেরিকার ফেডারেল গর্ভমেন্ট গাঁজাকে বৈধ করেছে চিকিৎসার প্রয়োজনে। কিন্তু কলোরাডোর কয়েকটি হাসপাতালে গাঁজা খাওয়ার ফলে এই বিশেষ সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষ ছুটে আসছেন। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো হসপিটালের ফিজিশিয়ান ড. কেনোন হার্ড এসব তথ্য দেন।
সিএইচএস সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এক যুগ আগে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই রোগটি পরিচিতি পায়নি। এ সমস্যার পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণও বের করা হয়নি বলে জানানো হয় ডেনভার চ্যানেলে। সেখানে আরো বলা হয়, যারা বেশি পরিমাণ ও অনেক দিন ধরে গাঁজা সেবন করে আসছেন, তাদেরই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। গাঁজার অতিরিক্ত ডোজ দেহের অনুভূতি গ্রহণকারী অংশগুলোতে পরিবর্তন ঘটায়। এগুলো পানিশূন্যতায় ভুগতে থাকে। এতে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
কলোরাডো স্প্রিং মেমোরিয়াল হসপিটালের ফিজিশিয়ান ড. ডেভিড স্টেইনবার্নার জানান, সিএইচএস হয় মাত্রাতিরিক্ত গাঁজা সেবনের কারণে। এ রোগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কিডনি ফেইলিওরের মতো সমস্যা হতে পারে।
যে রোগীরা আসছেন তাদের আইভি স্যালাইন এবং অন্যান্য ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। এতে বমি এবং ব্যথা কমে আসছে। এভাবে গাঁজা সেবনের কারণে যেকোনো মানুষে এ রোগ গতে পারে। এ রোগ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় গাঁজা সেবন বন্ধ করে দেওয়া।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Saturday, March 25, 2017
ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবারে কমবে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
আপনি যদি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে চান তাহলে ম্যাগনেসিয়াম যেসব খাবারে রয়েছে সেসব খাবার বেশি করে খান। সম্প্রতি এক গবেষণায় ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
ম্যাগনেসিয়াম বেশি রয়েছে এ ধরনের কয়েকটি খাবার হলো সবুজ পাতাযুক্ত শাক, মাছ, বাদাম ও দানাদার খাবার। এসব খাবার বেশি করে খেলে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে বলে জানা গেছে গবেষণায়।
মূলত নতুন একটি গবেষণায় নয় বরং পুরনো কিছু গবেষণার ফলাফল একত্রিত করেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন গবেষকরা। তারা জানান, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), ডায়াবেটিস অ্যালঝেইমার্স, হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি কমে যায় ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণে।
এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ড. জুইজিয়ান ফ্যাং। তিনি চীনের ঝেনঝু ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন গবেষক।
এ বিষয়ে গবেষণার জন্য গবেষকরা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রনিক রোগ বিষয়ে ৪০টি গবেষণার ফলাফল একত্রিত করেন। এ গবেষণাটিতে ব্যবহৃত হয় ১৯৯৯ থেকে শুরু করে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ের বিভিন্ন গবেষণা।
গবেষকরা জানান, যারা দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে সবচেয়ে কম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে তাদের সঙ্গে যারা বেশি ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে তাদের তুলনা করে দেখা গেছে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণকারীদের হৃদরোগের আশঙ্কা ১০ শতাংশ কম।
এ ছাড়া পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণকারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ১২ শতাংশ কম এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৬ শতাংশ কম।
ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের সঙ্গে এসব রোগের সম্ভাবনার পার্থক্য হওয়ায় গবেষকরা জানিয়েছেন, বেশি করে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস ছাড়াও স্ট্রোকের মতো শারীরিক জটিলতা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব।
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বিএমসি মেডিসিন জার্নালে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Friday, March 24, 2017
ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম
নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসকে সুস্থ রাখে। বিশেষত হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম উপকারী। এ ছাড়া এতে শিথিলায়ন হয় বা মানসিক চাপ কমে। এ রকম কয়েকটি ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন:
৪-৭-৮ রিলাক্সিং ব্রিদিং
পিঠ সোজা রেখে আরাম করে বসুন। ‘হুস’ আওয়াজ করে মুখ দিয়ে ফুসফুসের সবটুকু বাতাস বের করে দিন। এবার চোখ বন্ধ করে নিঃশব্দে নাক দিয়ে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গুনতে গুনতে গভীর শ্বাস নিন। সেটা ভেতরে আটকে রাখুন, মনে মনে ৭ পর্যন্ত গুনুন। এবার ঠোঁট গোল করে আবার ‘হুস’ করে পুরোটা বাতাস বের করে দিন ৮ পর্যন্ত গুনতে গুনতে। কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পর পর চারবার এভাবে শ্বাস নিন। এই ব্যায়াম দিনে দুবার করা ভালো। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক চাপ কমে। ঘুমও ভালো হয়।
শ্বাস গোনার ব্যায়াম
এই ব্যায়ামে ক্রমান্বয়ে প্রশ্বাসের সময় ধীর করে আনতে হয়। মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। চোখ বন্ধ করে পর পর কয়েকবার গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে এর গতি কমে আসবে। প্রথমে প্রশ্বাস ছাড়ার সময় এক গুনবেন, তার পরের বার দুই, এভাবে পাঁচ পর্যন্ত। তারপর আবার নতুন করে এক দিয়ে শুরু করুন। এই ব্যায়ামটি দিনে ১০ মিনিট করবেন। এটি এক ধরনের মেডিটেশন বা ধ্যান। এটি মস্তিষ্ককে সজাগ করে ও মনঃসংযোগ বাড়ায়। মানসিক চাপ কমায়।
বেলো ব্রিদিং
মুখ বন্ধ করে চটপট নাক দিয়ে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম এটি। প্রতি সেকেন্ডে তিনবার শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার চেষ্টা করুন। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময়টি সমান থাকবে। এতে বুকের ও বক্ষচ্ছদার মাংসপেশির দ্রুত ব্যায়াম হবে। তারপর কিছুক্ষণ স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ১৫ সেকেন্ডের বেশি নয়। এটি যোগব্যায়ামের একটি কৌশল। এতে ক্লান্তি ঝরে যায় এবং কর্মস্পৃহা ও উদ্যম বাড়ে।
ডা. মো. আজিজুর রহমান
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে না তো?
ভেজালের এই যুগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। খেয়াল করলে দেখতে পারবেন এখন মানুষের বয়স ২০-২৫ হতে না হতেই রোগবালাই জেঁকে ধরে। অথচ এক সময় মানুষের বয়স ৫০ হলেও শরীরে কোনো সমস্যা থাকতো না।
এই যুগে তাহলে কীভাবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবেন? চলুন দেখে নেই-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ৮টি উপায়
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহন করুন
প্রোটিন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে। সুতরাং শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রার প্রোটিন থাকা জরুরী। ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়লে বুঝবেন আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে। প্রোটিনের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়।
নিয়মিত ঘুমান
আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে যা ঘুমের সময় সবচেয়ে বেশি কাজ করে। সুতরাং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
খুব বেশি দুশ্চিন্তা করছেন?
যখন আমরা চিন্তা করি তখন করটিসল এবং অ্যাড্রেনালীন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। যদিও এই হরমোনগুলো মাংসপেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তবে এদের মাত্রা বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন।
হাঁটাচলা করুন নিয়মিত
নিয়মিত হেঁটে আপনি অনেক বড় বড় রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে শরীরের অ্যান্টিবডি এবং শ্বেত রক্ত কনিকা সচল থাকে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কোন রোগ সহজে আপনাকে আক্রমণ করতে পারেনা।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবারকে না বলুন!
রান্নায় অতিরিক্ত সয়াবিন তেল ব্যবহার করা উচিৎ নয়। সয়াবিন তেল অলিভ অয়েল বা ক্যানোলা অয়েলের থেকে তিন গুন বেশি খারাপ কোলেস্টেরল বহন করে। সয়াবিন তেল না খেয়ে রাইস ব্যান অয়েল বা অলিভ অয়েল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বেশি বেশি সবুজ এবং পাতাজাতীয় শাকসবজি খান
শাকসবজির মধ্যে থাকে খাদ্যআঁশ এবং প্রোটিন যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং খাদ্যাভাসে শাকসবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত।
মাদক বা সিগারেট জাতীয় পণ্য বর্জন করুন
সিগারেট বা মদ জাতীয় পণ্য গ্রহণ করলে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায়। দিনে ২-৩ পেগ মদ খেলে শরীরের ইনফেকশন রোধের ক্ষমতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে থাকে এবং ঠাণ্ডা ও ফ্লু ভাইরাস দেখা দেয়।
ভিটামিন এবং মিনারেল গ্রহণ করুন
শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেল সঠিক মাত্রায় রাখা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন এ যেমন দরকার তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন এ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও।
সৌজন্যে- আরএক্স৭১
Thursday, March 23, 2017
এইচআইভি ও ডায়াবেটিসে অত্যন্ত কার্যকর যে ডায়েট
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বিশেষ খাবারের নাম মেডিটেরিয়ান খাবার। এ খাবারের বহু গুণের কথা বর্তমানে মানুষ জানতে পারছে। আর এ খাবার খেয়ে সেখানকার মানুষেরা বহু বছর বাঁচে। সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন মেডিটেরিয়ান খাবারের আরও কিছু গুণের কথা। এ গুণের বাইরে নয় এইচআইভি ও ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা খাবারে ব্যবহার করেন প্রচুর বৈচিত্র্যময় গাছপালার উপাদান। এ ছাড়া গবেষকরা বলছেন, তাদের খাবারে ব্যবহৃত হয় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটি নানা ধরনের ক্যান্সার রোধ করার জন্য কার্যকর।
এ ছাড়া সাম্প্রতিক গবেষণাতে উঠে এসেছে এ খাবারের সুষম পুষ্টিগুণ এইচআইভি ও টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের পুষ্টি ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
গবেষকরা লিখেছেন, এ গবেষণার ফলাফলে জানা যায়, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলসহ মেডিটেরিয়ান খাবার ছয় মাস খেলে বিভিন্ন রোগে ভোগার পরও রোগীর ভালো থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া এটি বিষণ্ণতা, ডায়াবেটিসের বিভিন্ন জটিলতা নিরসন করে এবং এইচআইভি রোগীদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কার্তিকা পালার। তিনি বলেন, আমরা খাদ্যতালিকার সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ মিল পেয়েছি।
মেডিটেরিয়ান ডায়েটে রয়েছে এইচআইভি ও টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনিক চাহিদা পূরণের ১০০ শতাংশ ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান গবেষকরা।
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন জার্নাল অব আরবান হেলথ এ।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Tuesday, March 21, 2017
শিশুর হাতে সব খেলনা নয়
ছোট শিশুরা হাতের কাছে যা পায় তা-ই মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। কোনো জিনিস মুখের ভেতরে ঢোকার পর ধীরে ধীরে তা খাদ্যনালি, পাকস্থলী ও নাড়ি অতিক্রম করে পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু বস্তুটি এই স্বাভাবিক গতিপথে না গিয়ে কখনো শ্বাসনালিতে ঢুকে বাতাস চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে এবং শিশুর আকস্মিক করুণ মৃত্যু হতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা আচমকা এ ধরনের বিপদের শিকার হয়। কেননা, এ বয়সে তাদের চিবানোর ক্ষমতা, খাদ্যনালি ও শ্বাসনালির স্নায়বিক বোঝাপড়া সুদৃঢ় হয়ে ওঠে না। এর ফলে এ বয়সী বাচ্চাদের মুখের ভেতর থেকে কোনো বস্তু অতি সহজেই শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে। শ্বাসনালিতে এগুলোর প্রবেশের কারণে মৃত্যু এড়াতে পারলেও ধীরে ধীরে তা ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি ও জটিলতা সৃষ্টি করে।
এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়-
১. শিশুদের ছোট ছোট খেলনা দেবেন না। বড় আকারের খেলনা দিতে হবে, যাতে তা মুখের ভেতরে বা অন্য কোনো ছিদ্র পথে ঢোকাতে না পারে।
২. জোর করে খাওয়াবেন না, জোরাজুরিতে খাবারের অংশবিশেষ হঠাৎ শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে।
৩. ছোট ছোট জিনিস যা ঘরেই থাকে যেমন ওষুধ (বড়ি/ক্যাপসুল), ছোট ব্যাটারি, জেমস ক্লিপ, কলম বা বল পয়েন্টের মাথা বা পেছনের দিক, গাড়ির ভাঙা ছোট অংশ ইত্যাদি শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। এ ছাড়া আমাদের খাবারদাবারের অংশ যেমন বরই, বরইয়ের আঁটি, জাম, আঙুর, খেজুর, খই, মুড়ি, কাঁঠালের বিচি, নারকেলের টুকরা, বাদাম, চকলেট, ছোলা ইত্যাদিও শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে। কখনোই আদর করে বা খেলাচ্ছলেও এসব ছোট জিনিস শিশুর হাতে বা মুখের ভেতরে দেবেন না।
৪. খেলার সময় যদি হঠাৎ বাচ্চার কাশি শুরু হয়, শ্বাসকষ্ট বা দমবন্ধ হয়ে আসছে বলে মনে হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে মুখের ভেতরে কিছু ঢুকে আছে কি না, তা দেখুন এবং জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিন।
অধ্যাপক মো. আবিদ হোসেন মোল্লা
বিভাগীয় প্রধান, শিশু বিভাগ, বারডেম
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন
Monday, March 20, 2017
বছর বছর ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি দেবে নতুন এক ভ্যাক্সিন
একটি ভ্যাক্সিনের প্যাটেন্ট রেজিস্টার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই ভ্যাক্সিনের প্রয়োগে সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে দূরে থাকা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার তেমন কোনো কার্যকর উপায় নেই। এতদিন ধরে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ঠাণ্ডা-সর্দিতে কেবলমাত্র বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খেতে হবে।
মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ রুডল্ফ ভ্যালেন্টা রাইনোভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিলেন। এই জীবাণুর কারণেই গলায় চুলকায় আর নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে। সাধারণ সর্দিকে সহজে দূরে রাখা যায় না। এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধী ব্যবস্থাও নেই। কারণ এই ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে।
প্রফেসর ভ্যালেন্ট জানান, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে সহজাতভাবেই ভাইরাসের কেন্দ্রে আঘাত হানে প্রতিরোধীব্যবস্থা। কিন্তু এটা খুব বেশি কার্যকর পন্থা নয়। কিন্তু এই ভ্যাক্সিন ভাইরাসের শেল টার্গেট করে। এর মাধ্যমেই ভাইরাস আপনার মুখের মিউকাস মেমব্রেন, গলা, নাসারন্দ্র এবং পাকস্থলীতে সংক্রমণ ঘটায়।
প্রফেসর আরো বলেন, আমরা রাইনোভাইরাসের শেল নমুনা হিসাবে জোগাড় করেছি। এতে যোগ করা হয়েছে বহনকারী প্রোটিন। জীবাণুর প্রতিক্রিয়া দেখতে এটা পুরনো একটি পদ্ধতি।
এই ভ্যাক্সিনটি রাইনোভাইরাসের বাইরের অংশকে সুষ্ঠুভাবে শনাক্তকরণ ও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ধরনের রাইনোভাইরাসের বাইরের অংশ প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে।
ঠাণ্ড-সর্দি হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করলে কিংবা আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে। আক্রান্তের হাঁচি বা কাশি থেকে অন্যদের মাঝে ছড়ায়।
প্রফেসর ভ্যালেন্টা জানান, এই ভ্যাক্সিন রাইনোভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে ৬-৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। যে প্রোটিন তৈরি করা হয়েছে তার ব্যবহারে দারুণ ফলাফল মিলেছে। ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে দূরে থাকতে এই ভ্যাক্সিনটি শতভাগ কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদি নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা চালানো যায়, খুব দ্রুত এর ব্যবহার শুরু করতে পারবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। তা ছাড়া এটা মোটেও খরচবহুল হবে না।
ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের মলিকিউলার ভাইরোলজি বিভাগের প্রফেসর জোনাথন বলেন, বিশেষজ্ঞরা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভ্যাক্সিনটি মানুষকে বহুদিন ধরে ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে দূরে রাখবে। রাইনোভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে রীতিমতো বিখ্যাত এক ভাইরাস। সারাজীবন এটা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে আসছে। কিন্তু একে থামানোর কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনো মেলে নাই।
একটি ভ্যাক্সিন দেহের জন্য শতভাগ কার্যকর কিনা তা বুঝতে শতাধিক ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আর এ কাজটি বেশ কঠিন।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
সৌজন্যে- কণ্ঠ অনলাইন
Sunday, March 19, 2017
ডিমের কুসুম সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক!
ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট টেবিলে সেদ্ধ ডিম থাকবে না! এটা হয় নাকি? কানাডার ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, ধূমপান করার থেকেও প্রতিদিন ডিম খাওয়া আরও বেশি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী ১২০০ জন নারী, পুরুষকে নিয়ে সমীক্ষা করেন। দেখা গেছে অতিরিক্ত সেদ্ধ ডিম খাওয়াতে তাঁদের শরীরে ক্যারোটিড আর্টারি স্টেনোসিস তৈরি হয়েছে। এতে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েসনের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জর্ডন তোমাসেলি জানান, অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার পর ক্যারোটিড প্লেক যতটা তৈরি হয় ধূমপান করলেও সেই পরিমাণ প্লেক তৈরি হয় ধমনীতে। এতে রক্তচাপ বাড়ে। এমন কী ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
এতকিছু শোনার পরও কিন্তু ব্রেকফাস্ট টেবিলে সেদ্ধ ডিম চাই। তাহলে কী ভাবে খাবেন সেদ্ধ ডিম? তার সমাধানও বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসক জর্ডন তোমাসেলি। প্রতিদিন আমাদের শরীরে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয় সেখানে একটি সেদ্ধ ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল থাকে ১৮৫ মিলিগ্রাম। সেদ্ধ ডিম ছাড়াও সারাদিন আমরা কোলেস্টেরল, প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খেয়ে থাকি। এতে প্রতিদিনই ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল জমা হয়। তাই জর্ডনের পরামর্শ ডিমের কুসুমের বাদ দিয়ে সাদা অংশ যদি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে পরিমাণ মতো কোলেস্টেরল, ভিটামিন ই পৌঁছবে। মদ্দা কথা, অতিরিক্ত ডিমের কুসুম খাওয়াতে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Saturday, March 18, 2017
ব্যথা প্রতিরোধ করুন খাবারেই
তীব্রতা কম আর বেশি হোক অধিকাংশ মানুষ সারা বছরই কোনো না কোনো ব্যথায় ভোগেন।
কেউ চটজলদি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে নেন, কেউ দাঁতে দাঁত চেপে নিজের সহ্যক্ষমতার পরীক্ষা নেন।তবে খাবারের মাধ্যমেই এসব ব্যথা রোধ করা সম্ভব।জেনে নিন, কোন ব্যথায় কী খাবেন। পায়ের পেশিতে টান পড়লে কিংবা যন্ত্রণা হলে টমেটোর রস খান। মুখে ঘা হয়ে ব্যথা হলে বা গলা ব্যথা হলে খেয়ে নিন মধু।কাটা, ছেঁড়া এবং ক্ষতের ব্যথা তাড়াতাড়ি কমিয়ে ক্ষতস্থান শুকোতে চাইলে বেশি করে পানি খান।পিঠ, কোমরের যন্ত্রণায় নিয়মিত ভুগতে থাকলে প্রতি দিন আঙুর রাখুন। পেশির যন্ত্রণায় গরম পানিতে ১০ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল দিয়ে গোসল করুন বা পুদিনা পাতা খান।হজমের সমস্যা দূর করতে আনারস খান।
পায়ের পাতার যন্ত্রণা কমাতে প্রতি গ্লাস পানির সঙ্গে এক চামচ লবণ মিশিয়ে খান।পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে নিয়মিত ওটস খান।যে কোনও ক্রনিক ব্যথার সমস্যায় প্রতিদিন হলুদ খান।নিয়মিত দই খেলে মহিলাই মেনস্ট্রুরেশনের সমস্যা দূর করা যায়।পেট ব্যথা উপশমে খান মাছ।রোজ মাছ খেলে হজম ক্ষমতাও বাড়ে।মাথা যন্ত্রণা ও গাঁটের ব্যথায় চেরি খান।দিনে প্রতি বার খাবারের আগে আট আউন্স পানির সঙ্গে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে বুকে ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।কানের ব্যথায় কষ্ট পেলে রসুন খান। দাঁতের যন্ত্রণা সামলাতে মুখে রাখুন লবঙ্গ।পেশির টান দূরে রাখতে প্রতি দিন খান কাঁচা আদা।
সৌজন্যে- এইবেলাডটকম/এবি
Thursday, March 16, 2017
হেপাটাইটিস-বি এর যে ১০টি লক্ষণ কখনোই অবহেলা করবেন না
“আপনি হেপাটাইটিস-বি পজিটিভ” বাক্যটিতে পজিটিভ কথাটি থাকলেও বিষয়টি মোটেও পজিটিভ না। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যায় হেপাটাইটিস-বি তে আক্রান্ত হয়ে।
কিন্তু অবস্থা বেগতিক হয়ে যাওয়ার আগে সময়মতো এর লক্ষণগুলো বুঝতে পারলে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তাহলে চলুন এর লক্ষণগুলো সম্বন্ধে জেনে নিই-
হেপাটাইটিস-বি এর লক্ষণসমূহ
১। জণ্ডিস দেখা দিবে।
২। অ্যাবডোমিন বা তলপেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করবে।
৩। জ্বর হবে এবং সাথে সাথে মাথা ব্যথাও করতে পারে।
৪। অস্থিসন্ধিতে ব্যথা দেখা দিবে।
৫। খাবার গ্রহণের রুচি হারিয়ে যাবে।
৬। বমি বমি ভাব বা বমি হবে।
৭। শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং কোনো কাজে মন বসবে না।
৮। ত্বক এবং চোখের রং হলুদ হয়ে যাবে।
৯। মলের রং হালকা বা ফ্যাঁকাসে হয়ে যাবে।
১০। প্রস্রাব গাড় হলুদ বর্ণের হয়ে যাবে।
হেপাটাইটিস-বি হওয়ার কারণ
মূলত ভাইরাসের আক্রমণে এই সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং ভাইরাসের আক্রমণ যে সকল কারণে হয় সেসকল কারণেই হেপাটাইটিস-বি দেখা দেয়। যেমন-
১। আক্রান্ত মা গর্ভবতী হলে তার থেকে গর্ভের সন্তানের দেখা দেয়।
২। একই ইনজেকশনের সূচ বার বার ব্যবহার করলে।
৩। নিরাপদ যৌন মিলন না করলে।
৪। এই রোগের জীবাণু আছে এমন রক্ত দানের মাধ্যমে।
৫। একই টুথ ব্রাশ ব্যবহার করলে।
উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে দেরি না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব।
সৌজন্যে- আরএক্স-৭১
Wednesday, March 15, 2017
সকালের নাশতা কেন খাবেন? জেনে নিন ১০টি কারন
সকালে নিয়মিত নাশতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই নানা কারণে সকালে নাশতা বাদ দেন।
যদিও এ নাশতা খাওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে ১০ বিষয় তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১. সকালের নাশতা আপনার ওজন কমাতে সহায়ক। অনেকেই সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দেন বাড়তি ওজনের ভয়ে। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল। দেহের ওজন কমানোর জন্য বরং সকালে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত নাশতা খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
২. বুদ্ধি বাড়াতে প্রয়োজন সকালের নাশতা। এক্ষেত্রে যারা সকালের নাশতা বাদ দেন তাদের জেনে রাখা উচিত সকালের নাশতা বাদ দিলে এটি বুদ্ধিমত্তাও কমিয়ে দেয়।
৩. দিনটি ভালোভাবে শুরুর জন্য যে উদ্যম প্রয়োজন তা পাওয়া যায় সকালের নাশতা থেকে।
৪. সকালের নাশতা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে নতুন করে শক্তিশালী করে।
৫. সকালের নাশতা আপনার উদ্বেগ কমাতে সহায়ক। এতে মানসিক চাপও কমে।
৬. সকালের নাশতা আপনার শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে আপনি যদি অ্যাথলেট হন তাহলে আপনার পারফর্মেন্সও বাড়বে।
৭. বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে ভালো একটি নাশতা।
৮. আপনার মুড ভালো করার জন্যও প্রয়োজন সকালের নাশতা।
৯. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য প্রয়োজন সকালের ভালো একটি নাশতা।
১০. নাশতা আপনার পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করবে। এজন্য প্রতিদিন সকালে একসঙ্গে পুষ্টিকর নাশতা খান।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Tuesday, March 14, 2017
অকালে মৃত্যু না চাইলে মেনে চলুন ৭ নিয়ম
দীর্ঘ জীবন চাইলে কয়েকটি ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জন করতে হবে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের কথা।
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়
শিল্প-কারখানায় যেসব খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সেগুলোতে অতিরিক্ত সোডিয়াম, চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। ফলে খাবারগুলো আদতে ক্ষতির কারণ হয়। এ খাবারগুলো খাওয়ার কারণে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ হৃদরোগ, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এ ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে হলে তাজা ও স্থানীয়ভাবে পাওয়া খাবার কিংবা বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
২. ধূমপান বাদ দিন
ধূমপান যাঁরা শুরু করেন তাঁরা নেশার কারণে এটি সহজে ত্যাগ করতে পারেন না। এটি মানুষের আয়ু ১০ বছর পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এটি অকালে মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
৩. দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা নয়
কর্মক্ষেত্রে কিংবা পড়াশোনাসহ নানা কাজে অনেকেরই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস রয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য সর্বদা শরীর সচল রাখা উচিত। যদিও বসে থাকার এ অভ্যাস মানুষের শারীরিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর অনেকাংশে কর্মহীন হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হয় মানুষ। তাই সুস্থ থাকার জন্য সারাক্ষণ চেয়ারে বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করার কথা বলছেন গবেষকরা।
৪. রাগ ও হিংসা-বিদ্বেষ ত্যাগ
হিংসা-বিদ্বেষ কিংবা রাগের ফলে মানুষের আবেগগত নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়। আর এ সমস্যায় মানুষের হৃপিণ্ড যেমন অসুস্থ হয়ে পড়ে তেমন রক্তচাপ বাড়ে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।
৫. সামাজিকতা
সামাজিকতা মানুষের আয়ু বাড়ায়। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মজবুত বন্ধন তৈরি করে সামাজিকতা। আর এতে মানসিক চাপের মাত্রা কমে যায় এবং বিষণ্নতা ও হৃদরোগের আশঙ্কাও কমে। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।
৬. সঠিক ঘুম
সঠিক মাত্রায় ঘুম সুস্থ দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেউ যদি প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা না ঘুমায় তাহলে এটি নানাভাবে স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর শঙ্কাও বেড়ে যায়।
৭. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
মানসিক চাপের কারণে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর এসব রোগের কারণে মৃত্যুর হারও অনেক। যারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাদের অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
--ওয়েবসাইট অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
ফিট থাকতে জগিংয়ের চেয়েও কার্যকর ও সহজ অনুশীলন এটি
ফিট থাকতে অনেকেই জগিং কিংবা এ ধরনের নানা অনুশীলন করেন। এছাড়া জিমের সদস্য হয়ে নিয়মিত নানা শারীরিক অনুশীলন করেও অনেকে ফিট থাকতে পারেন না। এক্ষেত্রে সহজ ও কার্যকর একটি অনুশীলন হলো স্কিপিং। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
স্কিপিংয়ের রয়েছে বহু উপকারিতা। এটি আপনার হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিক রাখবে, প্রচুর ক্যালরি পোড়াবে এবং রক্তচলাচল বৃদ্ধি করবে। এছাড়া দেহ ফিট রাখতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর।
স্কিপিংয়ের উপকারিতা নিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় উঠে এসেছে আরও চমকপ্রদ তথ্য। গবেষকরা বলছেন মাত্র ১০ মিনিট স্কিপিং করলেই এর উপকারিতা পাওয়া যায়। কারণ ৩০ মিনিট দৌড়ানোর উপকার পাওয়া যায় মাত্র ১০ মিনিট স্কিপিংয়েই। কারণ স্কিপিংয়ে ৩৩০ ক্যালরি পোড়ালেও জগিংয়ে ২৭০ ক্যালরি পোড়ায়।
এছাড়া স্কিপিংয়ের আরও কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছেন তারা। এগুলো হলো-
১. স্কিপিংয়ে আপনার বেশ কিছু মাংসপেশি একত্রে কাজ করে। এটি আপনার বাহু, পা, পিঠ, অ্যাবস, বাম ও কাঁধের ওপর প্রভাব ফেলে।
২. শিশুরাও স্কিপিং করতে পছন্দ করে। ফলে সব বয়সীদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এর জুড়ি নেই।
৩. এটি আপনার শুধু মাংসপেশি নয়, ত্বকেরও উপকার করে। দেহের ভারসাম্য রক্ষার অনুশীলও হয় এতে।
৪. একা কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে এটি করা যায়। কয়েকজন মিলে স্কিপিং করলে তা মানসিকভাবেও স্বস্তিদায়ক হয়।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Friday, March 10, 2017
মুখগহ্বরে ক্যান্সার
মুখ, জিহ্বাসহ মুখগহ্বরের প্রতিটি অংশেই ক্যান্সার হতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়েই এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
তবে সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী পুরুষদের এ ধরনের ক্যান্সার বেশি হয়। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। অথবা আক্রান্ত স্থানে প্রথমে বিন্দু আকৃতির ছোট একটি ঘা বা পিণ্ড দেখা যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে এর আকার বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে নানা উপসর্গও। খাবার খেতে সমস্যা, স্বাদ না পাওয়া, কথা বলতে সমস্যা, পরবর্তী সময়ে এমনকি মুখ খুলতেও কষ্ট হতে পারে। খেতে না পারায় শরীরের ওজন হ্রাস পেতে থাকে, পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মুখের ক্যান্সার পার্শ্ববর্তী স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে বলে দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি ও ঘ্রাণশক্তির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ঠোঁট বা জিহ্বায় লাল বা সাদা ঘা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে চিকিৎসায় সাফল্য লাভ সম্ভব। এ ছাড়া মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়, যেমন—ধূমপান, পান, সুপারি, জর্দা, গুল প্রভৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
ক্রেডিট- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Wednesday, March 8, 2017
একজন ‘রবিন হুড’ চিকিৎসকের গল্প
হাসপাতালে শুয়ে আছেন ড. গোবিন্দ কেসি। ছবি: এএফপিসপ্তাহ তিনেক ধরে হাসপাতালের চাকাওয়ালা শয্যায় শুয়ে গোবিন্দ কেসি। তাই বলে তিনি রোগী নন। নেপালের একজন চিকিৎসক। কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ৬০ বছর বয়সী এই মানুষটার শুয়ে থাকার কারণ হচ্ছে অনশন। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানের উন্নতি চান তিনি। চান, চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা যেন কোনো দুর্ভোগ না পোহান। এ জন্য বেছে নিয়েছেন এই কর্মসূচি।
২০১৫ সালে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর অন্যান্য খাতের মতো স্বাস্থ্য খাতেও নানা সমস্যা লেগেই আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সে দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য মাত্র সাতজন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা সমাধান ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেশটির চিকিৎসকেরা গত চার বছরে ১০ বার অনশন করেছেন। গেল ডিসেম্বরে সর্বশেষ অনশন হয়েছে। এখনো সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জনকল্যাণে আত্মনিবেদিত গোবিন্দ কেসি নেপালের ‘রবিন হুড’ বলে নাম কিনেছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেন।
গোবিন্দ বলেন, হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোয় যথাযথ অবকাঠামো নেই। জনশক্তি এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জামেরও অভাব আছে।
২ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নেপাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য নেপালে সাতজন করে চিকিৎসক, নার্স ও ধাত্রী আছেন এবং হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা মাত্র ৫০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ১০ হাজার লোকের জন্য অন্তত ৩৪ দশমিক ৫ জন চিকিৎসক, নার্স ও ধাত্রী দরকার। কিন্তু ঘাটতি আছে নেপালে।
২০১৫ সালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নেপালের স্বাস্থ্য খাত সমস্যার মধ্যে পড়ে। ওই ভূমিকম্পে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ক্লিনিক ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে বাস করে। এরা স্বাস্থ্যসেবার জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত ক্লিনিকের ওপরই নির্ভরশীল। আরা যারা শহরে থাকে, তাদের ভরসা হাসপাতালগুলো, যার অধিকাংশই আবার বেসরকারি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর জস ভ্যান্ডেলার বলেন, এখানে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবার জন্য লোকদের পকেটের বেশ খানিকটা অর্থের ব্যয় হয়ে যায়। এভাবে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গিয়ে ব্যয়ের কারণে অনেকের বেহাল অবস্থাও হয়।
নেপালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গগন থাপা বলেন, নেপালে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি হয়েছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা সীমিত এবং ব্যয়বহুল। তিনি আরও বলেন, ‘লিভার সমস্যায় আক্রান্ত হলে ব্যয়ের কারণে আপনি ফতুর হয়ে যাবেন।’
গোবিন্দ কেসি বলেন, এটি একটি সেবা খাত হওয়ার কথা। কিন্তু এটা রাজনীতিবিদদের নিজেদের জন্য, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য মুনাফা তৈরির একটি খাত হিসেবে পরিণত হয়েছে।
চিকিৎসক গোবিন্দ স্বাস্থ্য খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চান না। তিনি চান ব্যবসায়িক স্বার্থ ছেড়ে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের জন্য সেবা খাত হিসেবে এগিয়ে যাক। গোবিন্দ ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ডে লোকদের সঙ্গে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বড় বড় উন্নত দেশে চিকিৎসা-শিক্ষা খাতের কোনো বাণিজ্যিকীকরণ নেই। আমাদের দেশে এটি অব্যাহতভাবে বাণিজ্যিক খাত হিসেবে গড়ে উঠছে।’
ক্রেডিট- প্রথম-আলো অনলাইন
Tuesday, March 7, 2017
এটা খেলেই সুস্থ থাকবেন ৩৬৫ দিন
কথায় আছে প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর ৷ আর শরীর সুস্থ রাখতে প্রিভেনশন নেওয়াটা খুবই দরকার ৷ একথার অর্থ এই নয়, যে মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে নিন ৷ বরং আমাদের রান্নাঘরেই এমন জিনিস রয়েছে, যা খেলে সুস্থ থাকবেন গোটা বছর৷ এরকমই একটা জিনিস হল রসুন ৷ যা খেলে কোনও রোগই আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না ৷
১) দাঁতের ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে রসুন ৷ রসুনের একটা কোয়া থেঁতো করে নিন ৷ দাঁতের ব্যথার জায়গায় রসুন লাগিয়ে নিন ৷ দেখবেন ঝট করে কমে যাবে আপনার দাঁতের ব্যথা ৷
এটা খেলেই সুস্থ থাকবেন ৩৬৫ দিন
২) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁদের জন্য খুবই কার্যকরী রসুন ৷ হৃদরোগ আটকাতে খুবই কাজ দেয় রসুন ৷
৩) যারা নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য রসুন খুব উপকারী৷
৪) ত্বকের সমস্যা কমাতে দারুণ কাজ করে রসুন ৷
৫) চুল পড়া থেকেও আটকাতে রসুনের রস খুব কাজ দেয় ৷
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Monday, March 6, 2017
ভালো ঘুম হয় না? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে আপনার
শরীর সুস্থতার জন্য সবারই পরিমিত ঘুম দরকার। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা চাকরি বা পড়াশুনার জন্য নিয়মিত ঘুমাতে পারেন না তারা জেনে রাখুন, আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে দিন দিন।
গবেষকরা বলছেন তারা ১১ জোড়া নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা করে দেখেছেন, যারা কম ঘুমান তারা নানা রকম রোগে ভোগেন। আর ঘুমের অভাবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই কমে যাচ্ছে।
যখন আমরা পরিমিত ঘুমাই তখন আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। আর না ঘুমালে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে করে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা অসুখ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাথানিয়েল ওয়াটসন বলেন ,একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য গড়ে প্রতিদিন সাত ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমানো দরকার।
গবেষকরা আরও বলছেন ৩১-৫৫ শতাংশ মানুষই প্রতিদিন পরিমিত ঘুমাতে পারেন না। আর এতে তাদের দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সুস্থ দেহের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে প্রমাণিত হলো।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Saturday, March 4, 2017
চুল স্ট্রেইট করছেন? ৫ ক্ষতি জেনে রাখুন
এখন কোকড়া চুল পাল্টে সোজা করে নেন। আর হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারের ফলে যে চুলের ক্ষতি হয়, সে বিষয়টি থেকে যায় উপেক্ষিত।
যদিও চুল এভাবে জোর করে সোজা করে দেওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো সে ক্ষতিকর বিষয়গুলো। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
১. চুল হয় শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল
চুল সোজা করতে গেলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে চুলের ওপর। হেয়ার স্ট্রেইটেনিং প্রক্রিয়া আপনার চুলকে শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল করে তোলে। আর এটি বোঝা যাবে চুল সোজা করার পর থেকেই। আপনি যখনই শ্যাম্পু করবেন তখনই বোঝা যাবে চুলের কতটা ক্ষতি হয়েছে। চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হবে। আর এতে চুল হয়ে ওঠে অনুজ্জ্বল ও শুষ্ক। এ ক্ষতি কাটাতে চুলের বহুদিন সময় প্রয়োজন হয়। তবে আপনি যদি নিয়মিত চুল স্ট্রেইট করেন তাহলে তা স্থায়ীভাবেই অনুজ্জ্বল ও শুষ্ক হয়ে উঠবে।
২. রাসায়নিক আপনার বন্ধু নয়
চুল সোজা করার জন্য আয়রনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহৃত হয়। তবে রাসায়নিক পদার্থ মানুষের দেহের জন্য ভালো নয়। আর এ কারণে অনেকেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন। এছাড়া রয়েছে চুলকানি ও খুশকির মতো সমস্যার আশঙ্কা।
৩. চুল পড়া
চুল সোজা করতে গিয়ে অনেকেই চুলের ক্ষতি করে ফেলেন। আর এতে চুল পড়া সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত কড়া রাসায়নিকের ব্যবহারে এ চুল পড়ার হার অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৪. সাজানোর সুযোগ কম
কোকড়া চুলের আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। এটি নানাভাবে সাজানো যায়। কিন্তু সোজা চুলের সাজানোর সুযোগ কম। আপনাকে সত্যিই যদি সোজা চুলে মানায় তাহলে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু অনেককেই কোকড়া চুলে দারুণ সুন্দর দেখায়। চুল সোজা করার ফলে সে সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
৫. নতুন চুলের বিপত্তি
অনেকেই চুল কোকড়া থেকে সোজা করার পর এ সমস্যায় পড়েন। এক্ষেত্রে চুল সোজা করার কিছুদিন পরই সমস্যাটি শুরু হয়। চুল বড় হলে নতুন চুল আগের মতোই কোকড়া থাকে। আর পুরনো চুলগুলো সোজা থাকে। এ অবস্থায় উভয় চুল নিয়ে সজ্জা করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। আর তাই নতুন চুলগুলোও স্ট্রেইট করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
Friday, March 3, 2017
না জেনে এভাবেই কি এতদিন কানের ক্ষতি করছিলেন?
অনেকেই কটন বাডস কানে ঢুকিয়ে ‘ময়লা’ বা ‘কানের খোল’ পরিষ্কার করেন৷ ভাবেন, এতে কানে জমা ময়লা পরিষ্কার হয়৷ কিন্তু এমনটা মোটেও হয় না৷ বরং এতে আপনার কানের মারাত্মক ক্ষতি হয়৷
দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ওটোল্যারিঙ্গোলজি, হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি ফাউন্ডেশন তাদের নয়া গাইডলাইনে জানিয়েছে, কানের ‘ময়লা’ কী করে নিরাপদে সাফ করবেন৷ সেখানে কিন্তু প্রথমেই কানে কোনও কটন বাডস বা দেশলাই কাঠি ঢোকাতে স্পষ্ট করে মানা করা হয়েছে৷ ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, শরীর নিজে থেকেই কানের ভিতরের ‘ময়লা’ সাফ করে৷ কানের ‘ময়লা’ নিজে থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, পুরনো ‘ময়লা’ নিজেই বেরিয়ে আসে৷
সবচেয়ে অবাক করা কথা হল, আপনি যে রোজ চিবিয়ে খাবার খান বা স্নান করেন, এতেই আপনার কানের ‘ময়লা’ বেরিয়ে যায়৷ চিবিয়ে খেলে চোয়ালের ছন্দবদ্ধ ওঠানামাতেই কানের ভিতরের ‘ময়লা’ পরিষ্কার হয়ে যায়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ পুরনো কোশ নষ্ট হয়ে গিয়ে কর্ণগহ্বরে নতুন কোশ তৈরি হওয়ার সময়ই কান পরিষ্কার হয়ে যায়৷
আর আপনি যখন কানে কিছু ঢুকিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন, তাতে হিতে বিপরীত হয়৷ কারণ কোনও কাঠি বা কটন বাডসের অংশ কানে ঢুকে গেলে সেটা বিপজ্জনক হতে পারে৷ ‘ইয়ার ওয়্যাক্স’ বা কানের ‘ময়লা’ই কিন্তু কানকে নানা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে। অনেকেই ভাবেন, এই ওয়্যাক্স অপরিচ্ছন্নতার লক্ষণ, ডাক্তাররা কিন্তু এই ভ্রান্ত ধারণা পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন৷
আর ওই ওয়্যাক্স পরিষ্কার করতে গিয়ে কানের ভিতর কাগজ, দেশলাই কাঠি, সেফটিপিন, টুথপিক ঢোকাতে গিয়ে আখেরে কানের বড় ক্ষতি করে ফেলেন অনেকে৷ এতে ইয়ার ওয়্যাক্স আরও ভিতরে ঢুকে যায়৷ যার প্রভাব পড়তে পারে আপনার শ্রবণশক্তির উপর৷ তাই কানকে সুস্থ রাখতে ওই ধরনের বিপজ্জনক অভ্যাস থেকে দূরে থাকায় শ্রেয়৷
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, March 2, 2017
ভ্রমণ খুলে দেবে শিশুর মনের জানালা
![]() |
| প্রতীকী ছবি |
এই শীতে সন্তানকে নিয়ে যেতে পারেন গাছগাছালিতে ভরা কোনো গ্রামে। নিজের গ্রাম হলে তো আরও ভালো। এতে সে গ্রামের সঙ্গে পরিচিত হবে। প্রকৃতি ও গ্রামের মানুষের সংগ্রামী জীবন তার মনে দাগ কাটবে। সে যদি চোখে দেখে, শহরে আমরা যে সবজি বা ভাত খাই, তা উৎপাদন করতে বা চাষ করতে কৃষকেরা কী কষ্ট করে, তখন পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে তার স্বচ্ছ ধারণা জন্মে। এ ছাড়া খাবার প্রতিও আগ্রহ জন্মে, খাবার নিয়ে বায়না কমবে। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে এবং ইতিবাচক ধারণা পেতেও সাহায্য করবে এই ভ্রমণ। বেড়াতে গেলে ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি দেখে অতিকেন্দ্রিকতা ও জড়তাও দূর হয়।
অনেকে ভাবেন, শিশুদের নিয়ে বেড়ানো ঝামেলা। বেড়াতে গেলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বে। রুটিন যাবে ভেঙে। কেউ ভয় পান খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হবে। আসলে বেড়াতে গেলে মুক্ত হাওয়ায় তাদের শরীর আরও সুস্থ হয়ে ওঠে। ছোটাছুটি আর শারীরিক কসরতে তাদের হাড়ের গঠন শক্ত হয়। রোদের আলোতে পাবে ভিটামিন ডি। আর মনোজগতেও আসে পরিবর্তন। রুটিন ভাঙা কখনো কখনো জরুরি।
বেড়াতে যাওয়ার সময় কিছু বিষয় লক্ষ রাখবেন। আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথেষ্ট জামাকাপড় নেবেন। যেখানেই যান, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করবেন। রাস্তাঘাটে খোলা খাবার কখনোই শিশুকে দেবেন না, আবদার করলেও না।
ভ্রমণে শিশু বমি করলে প্রয়োজনীয় ওষুধ খাইয়ে নিতে পারেন। সঙ্গে ওর স্যালাইন, প্যারাসিটামল ইত্যাদি জরুরি কিছু ওষুধপথ্য রাখুন। বেড়াতে গিয়েও এটা কোরো না, ওখানে যেয়ো না—এসব শৃঙ্খলে শিশুকে বেঁধে রাখবেন না। তাকে অবাধে খেলতে ও ছুটতে দিন। দেশের বা গ্রামের পথঘাট, অপরিচ্ছন্নতা বা নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ওর সামনে বিরক্তি বা ক্রোধ প্রকাশ করবেন না। সব জায়গায় সব পরিবেশে মানিয়ে নিতে সাহায্য করুন। এই ভ্রমণ পথের শিক্ষা তাকে পরে সহনশীল ও উন্নত জীবন গড়তে সাহায্য করবে।
ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সৌজন্যে - প্রথম-আলো অনলাইন
Wednesday, March 1, 2017
হ্যাক করা যায় পেসমেকারও!
শুধু কম্পিউটার বা অনলাইন অ্যাকাউন্টই হ্যাক হয় না, হ্যাক হয় আরও বহু সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষের জীবন রক্ষাকারী পেসমেকারও। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
পেসমেকার হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়। আর এটি জীবন রক্ষাকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস।
আর এ ডিভাইসটি যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে জীবনও চলে যেতে পারে হ্যাকারের হাতে। নিরাপত্তা গবেষকরা এ আশঙ্কা ব্যক্ত করে ওই ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। হ্যাকাররা যেন ক্লাউড-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডিভাইসটি হ্যাক করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গবেষকরা জানান, পেসমেকার বা ইনসুলিন পাম্পের মতো জীবন রক্ষাকারী ডিভাইসগুলো সর্বশেষ প্রযুক্তিনির্ভর (আপডেট) করার জন্য তারবিহীন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত, যেটি প্রায় অরক্ষিত। আর এই সুযোগে রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থার মাধ্যমে হ্যাকারদের পক্ষে ওই ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে গেলে তারা এর সুইচ বন্ধ করে দিতে পারে অথবা মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীর মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন।
ইন্টারনেট নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির বিশেষজ্ঞ বার্নাবি জ্যাকও এ গবেষণা চালান। তিনি গবেষণাগারে পরীক্ষা চালিয়ে পেসমেকার বা ইনসুলিন পাম্পের মতো চিকিৎসা সরঞ্জামের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এখনো কোথাও থেকে ওই ধরনের ডিভাইস হ্যাকড হওয়ার খবর তাঁদের কাছে নেই বলে তিনি জানান। এর পরও আগাম সতর্কতা হিসেবে তিনি ওই ধরনের ডিভাইসের নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এফডিএ জানিয়েছে, পেসমেকারের এ হ্যাকিং যদি বাস্তবে সম্ভব হয় তাহলে তা মানুষের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এটি জীবনের জন্য হুমকি, আঘাত কিংবা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
Tuesday, February 28, 2017
বাথরুমে ফোন? নিজেই বিপদ ডাকছেন
মোবাইল ফোনটা হাতে না থাকলে চোখে অন্ধকার দেখেন অনেকেই। এমনকী, বাথরুমে যাওয়ার সময়ও ফোনটা সঙ্গে নিয়ে যান তাঁরা।
কিন্তু এই অভ্যাস কি সত্যিই স্বাস্থ্যসম্মত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন একেবারেই না। বিশেষত কমোডে বসেই মোবাইল ঘাঁটা তো একেবারেই উচিত না। কারণ, যখনই কমোডে ফ্লাশ করা হয়, জল এবং বর্জ্য পদার্থ থেকে ছিটকে আসা নোংরা পদার্থগুলি বায়ুর মধ্যে মিশে যায়। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। অনেকেই জলের বদলে টিসু পেপার ব্যবহার করেন। সবথেকে বেশি জীবাণু বাসা বাঁধে তার মধ্যে গিয়েই। যদি বিশেষ দরকারে নিজের মোবাইল ফোনটিকে বাথরুমে নিয়েও যান, তাহলেও সেটা টিসু পেপার হোল্ডারের আশপাশে রাখবেন না। তাতে হ্যান্ডসেটে ই-কোলাই, সলমোনেলার মতো জীবাণু জমে। পাশপাপাশি বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, তবু যদি বাথরুমে ফোন নিয়ে যান, তাহলে অ্যালকোহল টিস্যু দিয়ে ফোনটি একবার মুছে নিন।
- আজকাল
Monday, February 27, 2017
পদ্ম বীজের গুণগুলো জেনে নিন
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় অত্যন্ত ভালোভাবে বাঁচতে পারে পদ্ম গাছ। আর পদ্ম গাছের যে বীজ হয়, তা খুবই পুষ্টিকর।
বাংলাদেশে অনেকে এ বীজ অল্পবিস্তর খেলেও তা খুব একটা পরিচিত নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পদ্মবীজ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধী গুণবিশিষ্ট। এ লেখায় তুলে ধরা হলো পদ্মবীজের কিছু গুণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
উপকারিতা
১. পদ্মবীজে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে যে উপাদানগুলো রয়েছে তা দেহের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
২. এর বীজে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। এছাড়া এতে রয়েছে কার্বহাইড্রেট ও কম মাত্রায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এ কারণে এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য যেমন উপকারী তেমন দেহের ওজন কমাতেও সহায়ক।
৩. আয়ূর্বেদিক তথ্যমতে এর বীজ ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে সহায়ক। এটি সামান্য মিষ্টি ও হজমে সহায়ক।
৪. এটি দেহের এসিডিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়া গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, রক্তপাতজনিত সমস্যা ও মাসিকের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। ৫. কিডনির রোগ ও হৃদরোগের জন্যও এটি উপকারি।
৬. সামান্য ঘিয়ের সঙ্গে এটি হালকা ভেজে নিয়ে নতুন মায়েদের খাওয়ানো হয়। এতে শিশুর জন্য দুধ উৎপাদন বাড়ে।
৭. এ বীজ উর্বরতা বাড়ায়।
৮. এতে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। এগুলোর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, আয়রন ও জিংক গুরুত্বপূর্ণ।
৯. এটি দেহের ত্বক সুন্দর করে এবং রক্তের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
Subscribe to:
Comments (Atom)









































