Tuesday, April 5, 2016

গাঁজর খাওয়া অতি জরুরি যে কারণে


এপ্রিলের ৪ তারিখ পালন করা হয় 'ইন্টারন্যাশনাল ক্যারোট ডে'। দারুণ পুষ্টিকর, মনোমুগ্ধকর রং আর স্বাদের জনপ্রিয় একটি খাবার গাঁজর। দিনটি বিশেষভাবে ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, সুইডেন এবং রাশিয়ায় পালিত হয় ২০০৩ সাল থেকে। দিনটি মূলত এই সবজির স্বাস্থ্যকর দিকটি ছড়িয়ে দিতেই পালন করা হয়।

রুট ভেজিটেবল হিসাবে গাঁজর পার্সলে, ফেনেল এবং ডিল গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বে প্রায় ১০০ প্রজাতির গাঁজর উৎপন্ন হয়। এটি মূলত রক্তবেগুনী রংয়ের। সতেরো শো শতক থেকে গাঢ়  কমলা রংয়ের গাঁজর পাওয়া যেতে শুরু করে। তবে ২০০২ সালেও ব্রিটেনের বহু দোকানে বাইরে গাঢ় বেগুনী এবং ভেতরে কমলা রংয়ের গাঁজর বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পুষ্টিগুণ পেতে... : গাঁজরের মধ্যে তার যাবতীয় পুষ্টিগুণ মূলত প্রোটিনের থলেতে ভরা থাকে। এদের ভাঙতে হয় রান্না বা কুচি করে বা জুস বানানোর মাধ্যমে। এতে ক্যারোটেনয়েডস ৬০০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। কাঁচা খাওয়ার চেয়ে রান্না করে খেলে এর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়েও ৩৯ শতাংশ বেশি সুবিধা মেলে যখন গাঁজরের ছাল ছাড়িয়ে তেলে সেদ্ধ করা হয়। আবার পানিতে সেদ্ধ করলেও চলে।        

তা ছাড়া সালাদের সঙ্গে এটি দারুণ একটি উপাদেয় খাবার। এটি খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এমনিতে লবণ-মরিচ দিয়ে  গাঁজর খেতে অনেক সুস্বাদু। যেকোনো সবজিতে গাঁজর ভিন্ন স্বাদ এনে দেয়।

গাঁজরের জুস সবচেয়ে পুষ্টিকর পানীয় বলে বিবেচিত হয়। স্যুপ, জুস বা জ্যাম তৈরিতে গাঁজর উপকরণ হিসাবে দারুণ কাজের। অন্যান্য বহু জনপ্রিয় খাবার তৈরিতে গাঁজর অনন্য।

গাঁজরের কেক সেই মধ্যযুগ থেকে অতি জনপ্রিয় খাবার। তখন চিনি বা মিষ্টিকরণের উপাদান প্রায় বিরল ছিল। তখন মূলত কেকে মিষ্টি স্বাদ আনতে গাঁজর ব্যবহার করা হতো। এক সময় গাঁজরের কেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর নরম ও ঘন স্বাদের কথা কখনোই ভোলার নয়। এতে শুকনো ফল মেশালে স্বাদে ভিন্ন তা আসে।

আমাদের দেশে গাঁজরের হালুয়া খুবই বহুল প্রচলিত খাবার। বিশেষ উপলক্ষে ঘরে ঘরে এটি তৈরি হয়। গোটা ভারতীয় উপমহাদেশেই গাঁজরের হালুয়া অতি পরিচিত খাবার। অতি সাধারণ দেখতে, কিন্তু নজরকাড়া রং এর প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে। অল্প আঁচে সেদ্ধ করে তাতে দুধ, চিনি ও শুকনো ফলের কুচি মিশিয়ে এ হালুয়া তৈরি হয়। ঘি বা মাওয়া মিশিয়েও এটি তৈরি করা যায়। এর পুষ্টিগুণ অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন  

No comments:

Post a Comment