মূলো
প্রতিদিনের আটপৌরে সস্তা তরকারি। সস্তা ও সুলভ বলেই কিন্তু হেলাফেলার নয় – মূলোর অনেক গুণ, অনেক রোগ সারবার
ক্ষমতা রয়েছে।
ক) মূলো
কাজে উৎসাহ বাড়ায়।
খ) ভাত,
রুটি খাওয়ার সঙ্গে মূলো লবণ দিয়ে খেলে রুচি বাড়ে।
গ) কচি
মূলোর স্যালাড খেলে খিদে বেড়ে যায়।
ঘ) মূলোর
মধ্যে আছে জ্বর সারাবার গুণ।
ঙ) পিলের
রোগে পরম উপকারী।
চ) শীতকালে
কাঁচা মূলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।
ছ) মূলোর
শাক বেশি মাত্রায় খেলে প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার হয়ে গিয়ে শরীরের গ্লানি বেরিয়ে যায়।
জ) অর্শ
রোগীরা মূলোর পাতা (শাক) বা মূলো শাকের রস খেলে উপকার পাবেন।
ঝ) মূলোর
চেয়ে মূলোর শাকেরই গুণ বেশি। মূলোর শাক সহজে হজম হয় ও খাওয়া দাওয়ায় রুচি বাড়ায়।
ঞ) মূলোর
শাক কাঁচা খেলে পিত্ত বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঘিয়ে বা তেলে সাঁতলে নিয়ে শাক রান্না করে খেলে
শরীরের পক্ষে সব দিক থেকে উপকারী।
মূলোর আরোগ্য গুণ
ক) শুকনো
মূলোর ঝোল রান্না করে এক ঘন্টা অন্তর আধকাপ করে গরম গরম পান করালে খিঁচুনি সারে।
খ) দুপুর
বা রাত্রে গুরুপাক ভোজনের পরে মূলোর রসে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা ও
গ্যাস কমে যায়।
গ) মূলো
আর তিল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর-ফোলা কমে আর যদি ত্বকের নিচে কোনো কারণে পানি জমে
তাও সেরে যায়। মূলোর পাতার ৫/৬ চামচ রস খাওয়ালেও ফুলো তাড়াতাড়ি কমে যায়।
ঘ) শুকনো
মূলোর স্যুপ খাওয়ালে এবং শুকনো মূলো একটা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে তার সেঁক দিলেও অর্শের
কষ্টে আরাম পাওয়া যায়।
ঙ) মূলো
পাতার রসে একটু সোডি-বাই-কার্ব মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং কোন কারণে
প্রস্রাব জমে থাকার কষ্ট (মূত্রাবরোধ)দূর হয়। মূলো পাতার রসে সোডা মিশিয়ে খাওয়ালে পাথরি
সারে। ৮ চা চামচ মূলোর বীজ আধ লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে পানি কমে অর্ধেক হয়ে গেলে সেই
পানি পান করালেও পাথরি রোগ (কিডনি বা গলব্লাডারে পাথর হওয়া) সারে।

No comments:
Post a Comment