১) করোলার পাতা মূত্র বৃদ্ধি করে, জ্বর সারায় ও কৃমি নাশ করে। ওষুধ হিসেবেও এর অনেক গুণ আছে।
২) বিখ্যাত প্রাচীন বৈদ্য সুশ্রুতের মতে করোলার পাতা জোলাপের কাজ করে এবং প্রয়োজনে বমিও কমায়।
৩) করোলা পাতার রস নুন মিশিয়ে খাওয়ালে পিত্তের বিষ, বমন ও মলত্যাগ দ্বারা বেরিয়ে যায়।
৪) ম্যালেরিয়ায় করোলা পাতার রস শরীরে লাগালে এবং সাড়ে তিনটি করোলার পাতা ও সাড়ে তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়ম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫) করোলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে বা কাঁচাই নুন মিশিয়ে খেলে অম্লপিত্তের জন্যে যদি ভাত খাওয়ার পরই বমি হয়ে যায় তাহলে তার নিবারণ হয়।
৬) তিনটি করোলার বিচি ও তিনটি গোলমরিচ একসঙ্গে অল্প জল দিয়ে পিষে খাওয়ালে বাচ্চাদের বমি বন্ধ হয়।
৭) দশ চা চামচ করোলা পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনো কারণে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটা ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করা যায়।
৮) কচি করোলা টুকরো করে কেটে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে পিষে চার মাস ধরে সকালে ও সন্ধ্যেবেলায় নিয়মিত দু’ চা চামচ করে চূর্ণ খেলে ডায়াবেটিস নিশ্চয় সারবে। সেই সঙ্গে অবশ্য ডায়াবেটিসের খাওয়া-দাওয়ারও বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এইভাবে করোলা-চূর্ণ খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে শর্করা বা চিনি বেরোনো একবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
৯) করোলার রস এক চা চামচ নিয়ে তাতে অল্প চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অর্শ ও অর্শ থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
No comments:
Post a Comment