Friday, December 30, 2016

২০১৬ সালের শীর্ষ ৫ ওজন নিয়ন্ত্রণ টিপস


আপনি কি কখনো খারাপ খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত পরামর্শের ভিকটিম হয়েছেন? তাহলে আপনি একা নন। মৌসুম পরিবর্তনের মতোই ওজন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পরামর্শও পরিবর্তিত হয়।

কোনো মাসে এটি থাকে কার্বোহাউড্রেট কর্তন সংক্রান্ত। পরের মাসে হয় চর্বি বাদ দেওয়া সংক্রান্ত।

আর বোধগম্যভাবেই সব অস্থির ওজন নিয়ন্ত্রণ তথ্যের খবর রাখাটা একটু কঠিনই বটে। আর এ কারণেই পুষ্টি উপাদানগত বিষয়গুলো দূরে সরিয়ে রেখে বরং আরো বেশি বাস্তবসম্মত সমাধানের ওপর মনোযোগ দেওয়া ভালো। এখানে রইল ২০১৬ সালের শীর্ষ ৫ ওজন নিয়ন্ত্রণ টিপস:

১. প্রতিদিন খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করুন
প্রতিবেলা খাবারের পরে নয় বরং শুধু প্রতিদিন রাতের খাবারের ৩০ মিনিট পর দাঁত ব্রাশ করুন। এতে শেষরাতে এসে জলখাবার খেতে ইচ্ছা করবে না। দাঁত ব্রাশ করার পর ‍মুখে যে সতেজ অনুভূতি সৃষ্টি হয় তা আরো খাবার গ্রহণের আকাঙ্খা তৈরিতে বাধা দেয়।

২. বড় ধরনের খাদ্যাভ্যাসগত পরিবর্তন করবেন না
খাদ্যাভ্যাসে হুট করেই নাটকীয় কোনো পরিবর্তন সাধন না করে বরং অল্প অল্প করে পরিবর্তন আনুন। যেমন প্রথমে মিষ্টি পানীয় ত্যাগ করুন। এরপর নাস্তার খাবারে পরিবর্তন আনুন। এভাবে এক এক করে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আনুন। দেখতে কম মনে হলেও একসঙ্গে এই পরিবর্তন অনেক বড় আকারের প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

৩. উচ্চ পানি উপাদান যুক্ত খাদ্য খান
পানির প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। পানি দেহের তরল উপাদানগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করে। ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মাংসপেশিগুলোকে শক্তিশালি করে। তবে একের পর এক পানির গ্লাস গেলার ফলে একঘেঁমেয়েমি তৈরি হতে পারে। অতএব পানির উপকারিতাগুলো পাওয়ার জন্য উচ্চ পানি উপাদানযুক্ত ফল এবং সবজি খান। যেমন আপেল, কিউই ফল, শাক এবং শসা।

৪. আধা প্লেট নিয়ম অনুসরণ করুন
আধা প্লেট নিয়ম- রাতের খাবারের প্লেটের অর্ধেক ফলমূল এবং শাকসবজিতে পূর্ণ করা- একটি সহজ এবং আরো বেশি কার্যকর ওজন নিয়ন্ত্রণ কৌশল। অন্তত ক্যালোরির হিসাব রাখা এবং পুষ্টি উপাদানের হার বিশ্লেষণের তুলনায়। কারণ এটি নিয়ন্ত্রণমূলক নয়। সৌভাগ্যক্রমে এই কৌশল অনুসরণ কোনো বোঝা নয়। সবজি রান্নার কয়েকটন সন্তোষজনক এবং সুস্বাদু উপায় রয়েছে।

৫. নাস্তায় ডিম খান
নাস্তায় ডিম খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি গোপন রহস্য। ডিমে সাধারণত ক্যালোরি কম থাকে এবং প্রোটিন বেশি থাকে। আর ডিমে রয়েছে প্রচুর সংখ্যক জরুরি পুষ্টি উপাদান। ডিমের নাস্তায় অভ্যস্থ হলে অন্যান্য ক্ষতিকর নাস্তা এড়িয়ে চলা যাবে।

সূত্র: ফক্স নিউজ

ইনহেলার ব্যবহার করবেন কীভাবে


বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে হাঁপানি রোগীর সমস্যা। এ সময় তাঁদের নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু অনেকেই ইনহেলার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন না। ব্যবহারের ভুলের কারণে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ওষুধ ফুসফুসে না-ও পৌঁছাতে পারে। এতে কাঙ্ক্ষিত ফলও মিলবে না। তাই জেনে নিন ইনহেলার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি:
১. মাউথপিস থেকে কভারটি সরান। মুখটি পরিষ্কার কি না, লক্ষ করুন।
২. তর্জনী ও বুড়ো আঙুলের মধ্যে ইনহেলারটি ধরুন। এবার ভালোভাবে ঝাঁকান।
৩. মাউথপিস মুখের ভেতর এমনভাবে স্থাপন করুন যেন দুই ঠোঁটের মধ্যে ফাঁক না থাকে। কামড়ানো যাবে না। এবার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে বাতাস বের করুন, যতক্ষণ না ফুসফুস খালি হয়।
৪. মাথা পেছনে হেলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে গভীর শ্বাস নিন ও ক্যানিস্টারটি চাপ দিয়ে এক মাত্রা ওষুধ নিন।
৫. ইনহেলারটি মুখ থেকে সরিয়ে ফেলুন। ১০ সেকেন্ড বা যতক্ষণ সম্ভব শ্বাস ধরে রাখুন। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।
৬. দ্বিতীয় চাপ বা আরেক মাত্রা ওষুধ নিতে হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার একই পদ্ধতিতে নিন।
৭. মাউথপিসের ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন।

Wednesday, December 28, 2016

দিনে কত কাপের বেশি চা খাওয়া ভালো নয়?



যারা চা একেবারেই পছন্দ করেন না, তারাও দিনে অন্তত এক-দুইবার চায়ের কাপে চুমুক দেন। কিন্তু যারা রীতিমতো চা-প্রেমী তাদের দিনে কত কাপ চা খাওয়া উচিত? কিংবা তাদের কত কাপ চায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত? সামাজিকভাবেই হোক বা চায়ের রাসায়নিক বিক্রিয়ার দিক থেকেই হোক, এ প্রশ্নের জবাব নেই।

এর উত্তর বের করতে বিস্তারিত গবেষণা হয়নি। তবে ছোট পরিসরের কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ৪-৬ কাপের মধ্যে নিয়মটা বেঁধে ফেলা দরকার।
তবে কত কাপ খাবেন তার অনেকটাই নির্ভর করে যার যার দৈহিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। চায়ে বেশ কয়েক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এ ছাড়া আপনার দেহ কি পরিমাণ ফ্লুরাইড এবং ক্যাফেইন গ্রহণ করতে সক্ষম তার ওপরও নির্ভর করে বিষয়টি।

যদি আপনার দেহ ফ্লুরাইড গ্রহণ করতে সক্ষশ থাকে, তবে খোলা চা অনেক খেতে পারবেন। কিন্তু টিব্যাগ বা ইনস্ট্যান্ট মিক্স চায়ের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।

২০১৩ সালে কয়েকটি গবেষণা বিশ্লেষণ করে বলা হয়, গ্রিন টি কয়েক ধরনের হৃদরোগ নিরাময়ে কাজ করে। এ ছাড়া হার্ট ফেইলুওর বা উচ্চরক্তচাপ সামলাতেও কাজ করে গ্রিন টি। আলঝেইমার্স ডিজিস সংশ্লিষ্ট প্লাক সৃষ্টিতেই বাধা দেয় এই চা।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের এক গবেষণায় বলা হয়, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় বিশেষ করে গ্রিন টি উপকারী ভূমিকা পালন করে।

অন্য আরক গবেষণায় বলা হয়, দিনে অন্তত ৩ কাপ চা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে ৪.৬ শতাংশ।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলস এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি গবেষক ড. জুও ফেং ঝ্যাং প্রতিদিন ২-৩ কাপ চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

গ্রিন টি খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপকারিতা মিলবে। এখানে জেনে নিন কিছু উপকারিতার কথা।

১. ইঁদুরকে গ্রিন টি খাইয়ে দেখা গিয়েছে, তাদের ওজন কমছে এবং দেহে চর্বি কম জমছে।

২. লিভারে চর্বি জমলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্থূলতার জিন রয়েছে এমন ইঁদুরকে গ্রিন টি এর নির্যাস খাইয়ে দেখা গেছে, তাদের লিভারে চর্বি জমার হার কমে এসেছে।

৩. কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে আসে গ্রিন টি পান করলে। যারা স্থূলকায় তাদের দেহে এসব প্রচুর পরিমাণে থাকে।

যাদের খুব বেশি চা না হলে দিন চলে না, তাদের জন্য গবেষকরা দিনে ১০ কাপের বেশি চা না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। এখানেই লাগাম টানতে হবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Tuesday, December 27, 2016

একজিমা হলে কী করবেন?


যাঁদের একজিমা বা চর্মরোগ আছে, তাঁদের জন্য সময়টা খারাপ। এই রোগীর ত্বক এমনিতেই শুষ্ক ও খসখসে থাকে, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় তা আরও প্রকট হয়। চুলকানি থাকে প্রচণ্ড, আর নখ দিয়ে চুলকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। অনেক সময় সংক্রমণও হয়ে যায়। ধুলাবালু, ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস, অনেক সময় ডিটারজেন্ট বা সাবানএসব জিনিস ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানি ও ফুসকুড়িদুটোই বাড়ে।

একজিমা রোগীদের ত্বককে আর্দ্র রাখতে হবে। গোসলে বেশি গরম পানি ব্যবহার করবেন না, বেশি বেশি সাবান বা শ্যাম্পুও নয়। গোসলের পর অতিরিক্ত ঘষাঘষি করে না শুকিয়ে তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে পানি সরিয়ে নিন ও আর্দ্র অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা তেল মেখে নিন। পুরু ময়েশ্চার যা দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখে, সেটাই ভালো। যেসব ক্রিম বা লোশনে বাড়তি সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদান নেই, সেগুলোই বেছে নিন।


চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন খেতে পারেন। এরপরও যাঁদের ভীষণ চুলকানি হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু স্টেরয়েড মলম ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজিং লোশন ও এই স্টেরয়েড ক্রিম একই জায়গায় একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না।

সমস্যা আরও বেশি প্রকট হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইমিউন মডুলেটর ওষুধ ব্যবহার করা যায়। একজিমা কখনো পুরোপুরি সারবে না। তবে একে নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।


ডা. তাহমিনা আক্তার
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

Monday, December 26, 2016

নিয়মিত গাঁজা সেবনে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে


নিয়মিত গাঁজা সেবনে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
ওই গবেষণার বরাত দিয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সে গবেষকেরা ২৮ জন গাঁজাসেবী ও মাদক সেবন করেন না এমন ২৪ জনকে নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁরা ওই ব্যক্তিদের চোখের রেটিনার কোষগুলোতে বৈদ্যুতিক সংকেতে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় তা পরীক্ষা করেন। তাঁরা দেখেছেন, গাঁজাসেবীদের চোখের রেটিনার কোষগুলো তুলনামূলক দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এই দেরির মাত্রা খুব সামান্য হলেও তা উল্লেখযোগ্য।
জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (জামা) গবেষকেরা বলেছেন, ‘গাঁজা সেবন করেন না, এমন ব্যক্তিদের চেয়ে গাঁজাসেবীদের চোখের রেটিনার কোষ থেকে প্রতিক্রিয়া ১০ মিলিসেকেন্ড পরে পাওয়া গেছে। গণস্বাস্থ্যসেবায় আমাদের গবেষণায় পাওয়া এই ফল গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। রেটিনাতে গাঁজার প্রভাব কী, সেটা জানার মাধ্যমে আমরা গাঁজা ব্যবহারের কারণে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এর স্নায়বিক প্রভাব কী, সেটা জানা সম্ভব হতে পারে।’
তবে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকী এক বিবৃতিতে ওই গবেষণাকে ‘ছোট’ ও ‘প্রাথমিক’ বলে উল্লেখ করেছে।
চোখের রেটিনায় গাঁজার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা গবেষকেরা বলেছেন, গাঁজার বৈধতা দেওয়া নিয়ে বিতর্কের স্বাধীনতার জন্য এর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব সম্পর্কে আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। যাতে জনগণ বিষয়টি জানতে পারে। তাঁরা বলেন, ‘ভবিষ্যতে গবেষণায় রেটিনার ওই প্রতিক্রিয়ার সম্ভাব্য প্রভাব কী এবং এই অস্বাভাবিকতা স্থায়ী, নাকি গাঁজা সেবন বাদ দেওয়ার পর আবার সেটি স্বাভাবিক হয়, তা ভবিষ্যৎ গবেষণায় জানা যাবে।’

Saturday, December 24, 2016

ত্বক ভাল রাখতে নাভির যত্ন নিন


শীতের শুরুতে ত্বকের হাজার ঝামেলা হয়। কখনো ঠোঁট ফাটা, কখনো কালো ছোপ পড়ে ত্বক নির্জীব দেখানো, তো কখনো অ্যাকনে বা সাদা দাগের সমস্যা।
বিউটিশিয়ান অম্বিকা পিল্লাই জানাচ্ছেন, আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে নাভির। সারাবছর নিয়মিত নাভির যত্ন নিলে রেহাই পেতে পারেন ত্বকের নানা সমস্যা থেকে। জেনে নিন এমনই কিছু টোটকা।
* সাদা ছোপ, ব্রণ: ত্বকে ব্রণ, সাদা দাগের সমস্যা থাকলে নাভিতে লাগান নিম তেল।
* ফাটা ঠোঁট: শীতকালে নিয়মিত নাভিতে সর্ষের তেল লাগালে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা হবে না।
* সর্দি, জ্বর: ঠান্ডা লেগে সর্দি, জ্বর হলে অ্যালকোহলে তুলা ভিজিয়ে নাভিতে দিয়ে রাখুন। কমে যাবে।
* মেনসট্রুয়াল যন্ত্রণা: তুলা ব্র্যান্ডিতে ভিজিয়ে নাভিতে রাখুন। কমে যাবে ঋতুর ব্যথা।
* উজ্জ্বল ত্বক: দাগহীন, সুন্দর, উজ্জ্বল ত্বক কে না পেতে চায়? নিয়মিত নাভিতে আমন্ড অয়েল লাগালে পেতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক।
* শুষ্ক ত্বক: গোটা শীতকাল নাভিতে ঘি লাগালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
* লেমন তেল: ত্বক, কালো নির্জীব দেখালে নাভিতে লেমন অয়েল লাগান।
সূত্র: আনন্দবাজার

Friday, December 23, 2016

পাঁচ কারণে এখনই বাদ দিন এনার্জি ড্রিংক


১. সাময়িক উত্তেজনা, পরে অবসাদ
এনার্জি ড্রিংকে রয়েছে ক্যাফেইনের মতো কিছু উপাদান, যা গ্রহণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ কারণে মনে হয় অনেক শক্তি চলে এসেছে।

এই প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদান কাজ শুরু করে ৫-১০ মিনিটের মধ্যে। প্রভাব থাকে দু-তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। অর্থাৎ এনার্জি ড্রিংক আপনাকে বাড়তি শক্তি প্রদান করছে না বলে জানান বইসের ফ্যামিলি মেডিসিন রেসিডেন্সি অব আইডাহোর প্রেসিডেন্ট এবং সিইও টেড ইপার্লি। এগুলো স্নায়ুতন্ত্রকে স্রেফ উত্তেজিত করে দেয়। বরং প্রভাব কেটে গেলে আপনি আরো অবসাদ ও দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবেন।
 

২. চিনির বোমা
প্রতিদিন একটি বা তিনটি পর্যন্ত এনার্জি ড্রিংক পানকারী মানুষের সংখ্যা কম নয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৮ দশমিক ৪ আউন্স রেড বুল এনার্জি ড্রিংকে ২৭ গ্রাম চিনি থাকে। আমেরিকার ডায়েটারি গাইডলাইন্সের পরামর্শ হলো, আপনার প্রতিদিনের খাবার থেকে যে পরিমাণ ক্যালোরি আসে, তার ১০ শতাংশ আসতে পারে চিনি থেকে। কিন্তু এর বেশি নয়। কাজেই এক দিনে দুই হাজার ক্যালোরি খাবার খেলে সর্বোচ্চ ২০০ ক্যালোরির উৎস হতে পারে চিনি।
 

৩. দাঁতের ক্ষয় ঘটায়
মানুষের দাঁতের এনামেলের কিছু নমুনা ব্যবহার করা হয় পরীক্ষায়। বেশ কয়েক ধরনের জনপ্রিয় এনার্জি ড্রিংকে এনামেল রাখা হয় ১৫ মিনিট ধরে। টানা পাঁচ দিন এই পরীক্ষা  চলে। এতে ভীতিকর ফলাফল বেরিয়ে আসে। এনার্জি ড্রিংক এনামেলকে যেন শ্লেষ্মা বানিয়ে দেয়। কাজেই দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে এসব শক্তিবর্ধক পানীয়। শুধু চিনিই নয়, এসব ড্রিংকের উচ্চমাত্রার এসিডও দাঁতের ক্ষয় ঘটায়।
 

৪. কৃত্রিম চিনিতে ক্ষুধা বৃদ্ধি
কোনো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কখনোই কৃত্রিম চিনিকে স্বাস্থ্যকর বলে মত দেননি। তাঁরা একে
ভুয়া চিনি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এনার্জি ড্রিংক তৈরির মূল উপকরণের একটি কৃত্রিম চিনি। এই আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার ক্যালোরি শূন্য থাকে। আর এগুলো খেলে ক্ষুধা বেড়ে যায়। 

৫. অতিরিক্ত ক্যাফেইন
ইপার্লি জানান, প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ যেকোনো মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এই পরিমাণ ক্যাফেইন আসে তিন কাপ কফি থেকে। একটি এনার্জি ড্রিংকে ২০-৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকতে পারে। এর সঙ্গে যোগ হয় সুপ্রা সিট্রিম্যাক্স, ইয়োহিমব্লাইন ও গ্লুকুরনল্যাক্টনের মতো উপাদান। এগুলো ক্যাফেইনের ক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করে।
 

--হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার

Thursday, December 22, 2016

শীতে যা অবশ্যই পান করবেন

শীত জেঁকে বসছে। শীতের এই আমেজে মোটা কাপড়চোপড় ছাড়াও শরীর গরম রাখতে পুষ্টিকর খাবার ও পানীয় খুব দরকার। সুস্বাদু এক কাপ চা শীতের সকালটাকে মধুর করে তুলতে পারে। এ শীতে কয়েক ধরনের চা খেলে স্বস্তির পাশাপাশি বেশ কিছু উপকার পাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে আছে আদা চা, দারুচিনি চা, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি ও হারবাল চা। এই চা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখে।  
Ginger Tea
আদা চা: শীতের সকালে এক কাপ আদা চা উৎকৃষ্ট পানীয়। আদার আছে নানা গুণ। সাধারণ সর্দি-কাশি সারানো থেকে শুরু করে হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী আদা। মাথাব্যথা কিংবা বদহজম দূর করতে কাজ করে আদা। আদা চায়ের সঙ্গে একটু লেবুর রস দিয়ে সকালে এই চা খেতে পারেন।
Cinnamon Tea

দারুচিনি চা: শীতে দারুচিনি চা দারুণ স্বাস্থ্যকর পানীয়। বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর মসলা দারুচিনি। এটি রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। দারুচিনিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান। মধু, লেবুর রস ও দারুচিনি সেদ্ধ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন সুগন্ধযুক্ত চমৎকার পানীয়। এতে পেটের সমস্যা ও মাথাব্যথা দূর হয়। এই চা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।

Tea Coffee

কফি: যাঁরা কফি পছন্দ করেন, তাঁরা এই শীতে পরিমিত কফি পান করতে পারেন। টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের পাশাপাশি পারকিনসন, যকৃতের সমস্যা, ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে কফি। হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে পারে কফি।

Green Tea

গ্রিন টি: গ্রিন টি যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভর্তি, এ কথা সবাই জানেন। শরীরের জন্য দারুণ উপকারী গ্রিন টি। ওজন কমানো ছাড়াও দিনের বেলা দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে উষ্ণ পানীয় হিসেবে বা সন্ধ্যায় নিজেকে চাঙা করতে গ্রিন টি কার্যকর। সবুজ চায়ে বিদ্যমান অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষভাবে ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই চা নিয়মিত পান করলে আপনার ত্বক থাকবে টান টান সতেজ। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

Black Tea

ব্ল্যাক টি: বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ব্ল্যাক টি বা কালো চা। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কালো চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া এই চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে তা হতে হবে দুধ ছাড়া রং চা। যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য অবশ্যই রং চাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। 


তথ্যসূত্র: জিনিউজ।


Wednesday, December 21, 2016

এই ৬ সুপার ফুড ক্যানসারের শত্রু


চারদিকে শুধুই ক্যানসার সতর্কবাণী। এটা খেয়ো না, সেটা খেয়ো না।
এটা খেলে ক্যানসার হয়। ওই খাবারে ক্যানসারের আশঙ্কা থেকে যায়। কী থেকে যে আসলে ক্যানসার হয়, আমরা বোধহয় নিজেরাও জানি না। যে কারণে সবসময় ক্যানসার ভীতি কাজ করে। তবে, আমরা খাদ্যতালিকায় এমন কয়েকটি খাবার রাখতেই পারি, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। নীচে এমনই ছটি সুপার ফুডের উল্লেখ করা হল। এই সমস্ত খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি তো কমায়ই পাশাপাশি শরীরও চনমনে রাখে।
১. রেড ওয়াইন
রেড ওয়াইনে রয়েছে রেসভারাটল নামে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। কোষকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি ডিএনএ-র ত্রুটি মেরামত করে। অকালবার্ধক্য দূর করতেও রেড ওয়াইন ভালো দাওয়াই।
২. টমেটো
গবেষকদের দাবি, নিয়মিত টমেটো খেলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% কমে যায়। তার কারণ, এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় লাইকোপেন। রান্নায় তো দেবেনই, তেমন হলে ডিনারের প্লেটেও গ্রিলড টমেটো রাখুন।
৩. ব্লুবেরি ও রাস্পবেরি
সর্বত্র পাওয়া যায় না-বলেই হয়তো আমাদের এখানে ব্লুবেরি ও রাস্পবেরি খাওয়ার চল তেমন ভাবে নেই। কিন্তু ক্যানসারবিরোধী গুণ থাকায় ব্লুবেরি ও রাস্পবেরির কদর কম নয়। বিশেষত মেয়েদের জন্য এই দুই ফল অন্তত উপকারী। জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ফাইটোকেমিক্যাল থাকার কারণেই এই ফলের রং এত গাঢ়। এই উপাদানটাই ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
৪. ডার্ক চকলেট
ডায়েটের কথা ভেবে যাঁরা চকলেট ছুঁয়েও দেখেন না, তাঁরা স্বাস্থ্যের খাতিরে নিশ্চিন্ত মনে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। কারণ, ডার্ক চকলেটে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। হার্টকে ভালো তো রাখেই সেইসঙ্গে আপনার মেজাজও ফুরফুরে রাখে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল ক্ষতিগ্রস্ত ক্যানসার কোষগুলোর সঙ্গে লড়াই করে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
৫. কফি ও গ্রিন টি
দেখা গিয়েছে কফি ও গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই গোটা দিনে কয়েক বার নিশ্চিন্তে কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিতেই পারেন।
৬. কাঁচা হলুদ
স্বাস্থ্যের জন্য আক্ষরিক অর্থেই কাঁচা হলুদের কোনও তুলনা হয় না। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য তো করেই, বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সাধারণ সর্দিকাশি থেকে প্রদাহ, সবেতেই দুর্দান্ত কাজ দেয়। স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখে। কোষকে রক্ষা করে।

Saturday, December 17, 2016

রোগ আরোগ্যে কাঁচা পেঁপের ব্যবহার


১) প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাতে রুটি খাওয়ার এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস জল খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয় অম্বল ও বদহজমের কষ্ট দূর হয়।
২) ১০ ফোঁটা করে কাঁচা পেঁপের দুধ বা আঠা প্রতিদিন অল্প পানিতে মিশিয়ে খেলে দাদ ও চর্মরোগ সারে, কৃমি নাশ হয়।
৩) ২০/২৫ ফোঁটা কাঁচা পেঁপের আঠা অল্প চিনির সঙ্গে মিশিয়ে কিছুদিন নিয়ম করে খেলে পিলে (প্লীহা) রোগ সারে ও পেটের ভিতর টিউমার এবং বায়ু রোগে খুব উপকার পাওয়া যায়।
৪) দুই চা চামচ কাঁচা পেঁপের আঠা ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে কিছুদিন ধরে দিনে তিনবার করে খেলে পিলের আয়তন ক্রমশ কমে যায়।
৫) দুই চা চামচ পেঁপের আঠায় ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে দুধের সঙ্গে খেলে অম্বল ও অজীর্ণ রোগে উপকার হয়।
৬) যে সব মায়েদের সদ্য বাচ্চা হয়েছে কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাঁদের স্তনের দুধ বাড়বে।
৭) কাঁচা পেঁপে বা পেঁপের গাছের আঠা পুরোনো অজীর্ণ রোগে, পেটের অসুখে (অতিসার),পুরনো পেটের অসুখে কোষ্টবদ্ধতা (মল না হওয়া) প্রভৃতি রোগের পক্ষে উপকারী।
) পিলে লিভার বেড়ে যাওয়া, তার সঙ্গে জ্বর দুর্বলতার অষুধ হিসেবে দিনে ও রাত্তিরে খাওয়া-দাওয়ার পর নিয়মিত ৫/১০ ফোঁটা  করে পেঁপের আঠা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
) ওষুধ হিসেবে কাঁচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশি। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অশেষ।
১০) গর্ববতী মহিলাদের এবং যাঁদের মাসিক বেশি হয় তাঁদের পেঁপে খাওয়া উচিত কারণ পেঁপে রজঃ (রক্ত)ও ভ্রুণ নিঃসারক।
১১) বড় কাঁচা পেঁপে চিরে নিয়ে তার নীচে একটি কাপ বা ডিশ রাখুন। এইভাবে দুধ বের করে নিন। এই দুধ বা আঠা তৎক্ষণাৎ রোদ্দুরে শুকিয়ে নিন। এই আঠা গুঁড়ো করে শিশিতে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। গ্যাষ্ট্রিক আলসার বা গ্যাষ্ট্রিকের অসুখে এই চুর্ণ আশ্চর্য ভাল ফল দেয়। পাকস্থলীর দাহ, বায়ু গোলক, ব্রণ, অম্লপিত্ত, বদহজম প্রভৃতি অসুখও এই চূর্ণ নিয়মিত খেলে সেরে যায়।
১২) আধ চামচ পেঁপের দুধ চিনি মিশিয়ে খেলে অজীর্ণতা সারে।
১৩) কাঁচা পেঁপের বীজ কৃমি নাশক।
১৪) এই বীজ খেলে মেয়েদের ঋতু নিয়মিত হয় এবং বেশি পরিমাণে খেলে গর্ভপাত হয়।
১৫) পেঁপের পাতা হার্ট সবল করে এবং জ্বর নাশ করে।
১৬) পেঁপের পাতা জলে সেদ্ধ করে চায়ের মতো তৈরী করে খাওয়ালে হৃদরোগে ভাল ফল দেয়। 

সুস্থ থাকতে কাঁচকলা ও কলাগাছ


১) পেটের অসুখে, আমাশয় ও রক্ত আমাশয়ে কাঁচকলা সেদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে মেখে খেলে রোগ সারে।
২) কলা গাছের শুকনো শেকড় গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে খেলে পিত্ত রোগ সারে। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগেরও এটি একটি মহৌষধ।
৩) অনেকের মতে কলা গাছের শেকড়ের রসের সঙ্গে ঘি ও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের অসুখ বা মেহ রোগ সারে।
৪) কাঁচকলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌন ব্যাধি সারে ও প্রস্রাবের অসুখ সারে।

৫) একেবারে কচি কলাপাতা মিহি করে বেটে দুধে মিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতো করে খাওয়ালে মেয়েদের প্রদর রোগে উপকার হয়।

Friday, December 16, 2016

সুস্থ থাকতে করোলা

১) করোলার পাতা মূত্র বৃদ্ধি করে, জ্বর সারায় ও কৃমি নাশ করে। ওষুধ হিসেবেও এর অনেক গুণ আছে।
২) বিখ্যাত প্রাচীন বৈদ্য সুশ্রুতের মতে করোলার পাতা জোলাপের কাজ করে এবং প্রয়োজনে বমিও কমায়।
৩) করোলা পাতার রস নুন মিশিয়ে খাওয়ালে পিত্তের বিষ, বমন ও মলত্যাগ দ্বারা বেরিয়ে যায়।
৪) ম্যালেরিয়ায় করোলা পাতার রস শরীরে লাগালে এবং সাড়ে তিনটি করোলার পাতা ও সাড়ে তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়ম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫) করোলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে বা কাঁচাই নুন মিশিয়ে খেলে অম্লপিত্তের জন্যে যদি ভাত খাওয়ার পরই বমি হয়ে যায় তাহলে তার নিবারণ হয়।
৬) তিনটি করোলার বিচি ও তিনটি গোলমরিচ একসঙ্গে অল্প জল দিয়ে পিষে খাওয়ালে বাচ্চাদের বমি বন্ধ হয়।
৭) দশ চা চামচ করোলা পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনো কারণে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটা ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করা যায়।
৮) কচি করোলা টুকরো করে কেটে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে পিষে চার মাস ধরে সকালে ও সন্ধ্যেবেলায় নিয়মিত দু চা চামচ করে চূর্ণ খেলে ডায়াবেটিস নিশ্চয় সারবে। সেই সঙ্গে অবশ্য ডায়াবেটিসের খাওয়া-দাওয়ারও বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এইভাবে করোলা-চূর্ণ খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে শর্করা বা চিনি বেরোনো একবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
৯) করোলার রস এক চা চামচ নিয়ে তাতে অল্প চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে অর্শ ও অর্শ থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

Thursday, December 15, 2016

নানা রোগ সারাতে অব্যর্থ ডুমুর


১) ডুমুর পিত্ত ও আমাশয় অসুখ সারিয়ে দেয়।
২) ডুমুরে যথেষ্ট লোহা থাকায় রক্তপিত্ত (স্কার্ভি), রক্তপ্রদর, রক্তপড়া, অর্শ, রক্তস্রাব ও রক্তহীনতা (অ্যানিমিয়া) রোগে উপকারী।
৩) কচি ডুমুরের রসে মিছরি মিশিয়ে দিনে দুবার (১ চা চামচ ডুমুরের রস + অর্ধ চা চামচ মিছরি গুড়োঁ) খেলে মুখ থেকে রক্ত ওঠা বন্ধ হয়। তিন দিন এইভাবে ডুমুরের রস খেতে হবে।
৪) আমাশা রোগে ডুমুর পাতার একটি কুঁড়ি আতপ চালের সঙ্গে চিবিয়ে খেলে রোগের উপশম হয়। এইভাবে তিনদিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৫) ডুমুর গাছের থেঁতো করে মিছরির পানায় মিশিয়ে ভাল করে চটকে ছেঁকে খেতে হবে। প্রতিদিন ২ বেলা ২ চা চামচ করে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে সাদা আমাশা ও রক্ত আমাশা সারবে।
৬) যদি মাথা ঘোরে তাহলে ভাতের পাতে প্রথমে এক চা চামচ দুর্বা ঘাস ভাজা খেয়ে তার পরে বীজ বাদ দিয়ে ডুমুর ভাজা খেলে উপকার হয়।
৭) যজ্ঞ ডুমুরের রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মেয়েদের প্রদর রোগ সারে।

Monday, December 12, 2016

মূলোর গুণাগুণ


মূলো প্রতিদিনের আটপৌরে সস্তা তরকারি। সস্তা ও সুলভ বলেই কিন্তু হেলাফেলার নয় মূলোর অনেক গুণ, অনেক রোগ সারবার ক্ষমতা রয়েছে।
ক) মূলো কাজে উৎসাহ বাড়ায়।
খ) ভাত, রুটি খাওয়ার সঙ্গে মূলো লবণ দিয়ে খেলে রুচি বাড়ে।
গ) কচি মূলোর স্যালাড খেলে খিদে বেড়ে যায়।
ঘ) মূলোর মধ্যে আছে জ্বর সারাবার গুণ।
ঙ) পিলের রোগে পরম উপকারী।
চ) শীতকালে কাঁচা মূলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।
ছ) মূলোর শাক বেশি মাত্রায় খেলে প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার হয়ে গিয়ে শরীরের গ্লানি বেরিয়ে যায়।
জ) অর্শ রোগীরা মূলোর পাতা (শাক) বা মূলো শাকের রস খেলে উপকার পাবেন।
ঝ) মূলোর চেয়ে মূলোর শাকেরই গুণ বেশি। মূলোর শাক সহজে হজম হয় ও খাওয়া দাওয়ায় রুচি বাড়ায়।
ঞ) মূলোর শাক কাঁচা খেলে পিত্ত বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঘিয়ে বা তেলে সাঁতলে নিয়ে শাক রান্না করে খেলে শরীরের পক্ষে সব দিক থেকে উপকারী।

মূলোর আরোগ্য গুণ
ক) শুকনো মূলোর ঝোল রান্না করে এক ঘন্টা অন্তর আধকাপ করে গরম গরম পান করালে খিঁচুনি সারে।
খ) দুপুর বা রাত্রে গুরুপাক ভোজনের পরে মূলোর রসে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমে যায়।
গ) মূলো আর তিল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর-ফোলা কমে আর যদি ত্বকের নিচে কোনো কারণে পানি জমে তাও সেরে যায়। মূলোর পাতার ৫/৬ চামচ রস খাওয়ালেও ফুলো তাড়াতাড়ি কমে যায়।
ঘ) শুকনো মূলোর স্যুপ খাওয়ালে এবং শুকনো মূলো একটা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে তার সেঁক দিলেও অর্শের কষ্টে আরাম পাওয়া যায়।

ঙ) মূলো পাতার রসে একটু সোডি-বাই-কার্ব মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং কোন কারণে প্রস্রাব জমে থাকার কষ্ট (মূত্রাবরোধ)দূর হয়। মূলো পাতার রসে সোডা মিশিয়ে খাওয়ালে পাথরি সারে। ৮ চা চামচ মূলোর বীজ আধ লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে পানি কমে অর্ধেক হয়ে গেলে সেই পানি পান করালেও পাথরি রোগ (কিডনি বা গলব্লাডারে পাথর হওয়া) সারে।

চালকুমড়োর যতগুণ

চালকুমড়োর যতগুণ 
 
* কুমড়ো বা চাল কুমড়ো খেলে পরিশ্রম করকার ক্ষমতা বেড়ে শরীর পুষ্ট হয়।
* এই সবজি বলকারক, পুষ্টিকর, ফুসফুসও ভাল রাখে। চালকুমড়োর বীজ কৃমি নাশ করে।
* দু-চার চা চামচ চাল কুমড়োর রস বের করে নিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে খেলে অম্বল বা অজীর্ণ রোগ সারে।
* মৃগী ও উন্মাদ রোগের পক্ষেও এটি উপকারী।
* চালকুমড়োর রস একটু চিনি ও জাফরানের সংঙ্গে পিষে খেলে এই সব রোগে উপকার পাওয়া যায়।
* কোন কোন চিকিৎসকের মতে যক্ষ্মা, অর্শ, গ্রহণী (একটানা পেটের অসুখ) প্রভৃতি অসুখেও চালকুমড়ো খেলে উপকার হয়। 
* ডায়বেটিসে চালকুমড়োর রস খাওয়া অতি হিতকর।চালকুমড়োর মোরব্বা, হালুয়া, অবলেহ ও চালকুমড়োর বীজের লাড্ডু অনেক রোগ সারিয়ে তোলে।

Sunday, December 11, 2016

সুস্থ থাকতে পটল

সুস্থ থাকতে পটল
Image result for Trichosanthes dioica
* পটলের তরকারি খেলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়।
* কাশি, জ্বর ও রক্তের দোষ অর্থাৎ রক্তবিকার সারে।
* এর রস মাথায় লাগালে টাক পড়া বন্ধ হয় ও মাথায় নতুন চুল গজায়। 
পটলের গুণ‌‌‌:
সাধারণত পটল সহজে হজম হয় এবং অন্য খাবার হজমে সাহায্য করে। পটল হার্টের পক্ষে ভাল, লঘুপাক, খিদে বাড়ায়, শরীর স্নিগ্ধ করে অথচ গরম। কাশি, রক্তবিকার, শ্লেষ্মা, বাত, পিত্ত, জ্বর ও কৃমি সারিয়ে তোলে। 
রোগ সারাতে পটল:
১। এলাচ দারুচিনি ও লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
২। তেতো পটলের ক্বাথ তৈরি করে মধু মিশিয়ে খেলে পিত্তজ্বর সারে, তৃষ্ণা নিবারণ হয় আর শরীর জ্বালা কমে।
৩। তেতো পটলের শিকড় সেদ্ধ করে সেই জল চিনি মিশিয়ে খাওয়ালেও পিত্তজ্বরে উপকার হয়।
৪। ১০ গ্রাম ওজনের তেতো পলতা, ১০ গ্রাম ধনে এক রাত এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।সকালবেলা এই জল ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিয়ে তিনবার খান  সমস্ত কৃমি নাশ হবে।
৫। পটল খেলে ত্বকের রোগেও লাভ হয়।তেতো পটল ও তেতো নিম পাতার ক্বাথ দিয়ে ফোড়া ধুয়ে নিলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৬। তেতো পটলের পলতা পাতার রস টাকের পক্ষে উপকারী।

Friday, December 9, 2016

অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দেহের সর্বত্র



অ্যালকোহল পান করা যে মোটেই ভালো নয়, তা আগে অনেকেরই জানা ছিল না।কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় অ্যালকোহলের বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাব জানাগেছে।

এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে জানা গেছে ভয়ংকর তথ্য।বিশ্বের বেশকয়েকটি দেশে অ্যালকোহল পানের পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে।সংস্থাটিজানিয়েছে শুধু ভারতেই প্রতি ৯৬ মিনিটে একজন করে মানুষ মারা যায় অ্যালকোহলপানের কারণে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) জানিয়েছে শুধুনিয়মিত অ্যালকোহল পানেই ক্ষতি হয় তা নয়, এমনকি একবার অ্যালকোহল পানেওমারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হয়।অ্যালকোহলের যেসব ক্ষতি দেখা যায় তার একটিতালিকাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সে তালিকাটি তুলে ধরা হলোএখানে।
মস্তিষ্কের ক্ষতি

অ্যালকোহল পানের পর তা রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের পথেবাধা সৃষ্টি করে।এতে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে মানুষের মুড ওআচরণ পরিবর্তিত হয়ে যায়।চিন্তাভাবনায় জড়তা আসে এবং দেহের নড়াচড়ারওপরও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

হৃৎপিণ্ডে ক্ষতিকর প্রভাব
বেশিমাত্রায় অ্যালকোহল পানে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হতে পারে।এ ছাড়াএতে হৃৎপিণ্ডের যেসব ক্ষতি হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে :
- হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির অস্বাভাবিক সংকোচন ও প্রসারণ
- অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন
- স্ট্রোক
- উচ্চরক্তচাপ

লিভারের মারাত্মক ক্ষতি
অ্যালকোহল পানে লিভারের অত্যন্ত ক্ষতি হয়। প্রতিবছর বহু মানুষ অ্যালকোহলপানে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে মারা যায়। অ্যালকোহল লিভারের যেসব ক্ষতিকরে তার মধ্যে রয়েছে :
- লিভার ফুলে যাওয়া
- অ্যালকোহলজনিত হেপাটাইটিস
- লিভারের সূক্ষ্ম অংশুসমূহের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
- লিভার সিরোসিস

অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি
গবেষকরা বলছেন, অ্যালকোহল অগ্ন্যাশয় ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে।এক্ষতিকর প্রভাব বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে অগ্ন্যাশয়ে সংক্রমণ হয় এবং তাবিপজ্জনকভাবে ফুলে যায়। এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে হজমে গণ্ডগোলে।তবেএকপর্যায়ে তা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
ক্যান্সারে মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি

সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ অ্যালকোহল পানে নানা ধরনের ক্যান্সারের আশঙ্কাঅনেকাংশে বেড়ে যায়। এসব ক্যান্সারের মধ্যে কয়েকটি হলো :
- মুখের ক্যান্সার
- খাদ্যনালীর ক্যান্সার
- গলার ক্যান্সার
- লিভারের ক্যান্সার
- স্তন ক্যান্সার

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস
মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়।যারা নিয়মিতঅ্যালকোহল পান করেন তাদের নানা ধরনের ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।এ ছাড়া নিউমোনিয়া ও টিবিতেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।এমনকি একদিনবেশিমাত্রায় অ্যালকোহল পানেও দেহে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

সুস্থ থাকতে বেগুন

সুস্থ থাকতে বেগুন

* কচি বেগুন পুড়িয়ে রোজ সকালে খালি পেটে একটু গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার দরুণ লিভার বেড়ে যাওয়া কমে।
* লিভারের দোষের জন্যে চেহারায় হলদেটে ভাব এলে তা ক্রমশ কমে যায়।
* যাদেঁর ঘুম ভাল হয় না তাঁরা যদি একটু বেগুন পোড়ায় মধু মিশিয়ে সন্ধ্যেবেলা চেটে খান তাহলে তাঁদের রাত্রে ভালো ঘুম হবে।
* বেগুনের তরকারি, বেগুন পোড়া, বেগুনের স্যূপে রোজ যদি একটু হিং ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে বায়ুর প্রকোপ তো কমেই যদি কারো পেটে বায়ু গোলকের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেটাও কমে যায় বা সেরে যায়।
* মহিলাদের অনিয়মিত ঋতু হলে বা কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা যদি শীতকালে নিয়ম করে বেগুনের তরকারি, বাজরার রুটি এবং গুড় খান তাহলে উপকার পাবেন। অবশ্য যাঁদের শরীরে গরমের ধাত বেশি তাঁদের পক্ষে এটা না খাওয়াই ভালো।
* নিয়মিত বেগুন খেলে মূত্রকৃচ্ছ্রতা সারে।
* প্রস্রাব পরিষ্কার হওয়ার প্রারম্ভিক অবস্থায় কিডনির ছোট পাথরও গলে গিয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
* মুরগির ডিমের সাইজের ছোট গোল সাদা বেগুন অর্শের পক্ষে উপকারী।
* বেগুনের পুলটিস বাঁধলে ফোড়া তাড়াতাড়ি পেকে যায়।
* বেগুনের রস খেলে ধতুরার বিষ নেমে যায়।

Friday, November 11, 2016

আজব এক ফলের সন্ধান! পাঁচ মিনিটেই ধ্বংস হবে ক্যান্সার!


আবিষ্কার করা হল ক্যান্সার-বিরোধী ফল। অস্ট্রেলিয়ার একাংশের গাছে এই ফল পাওয়া যায় বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ফল দেখে রীতিমত বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।

আট বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর ব্রিসবেনের একটি ইন্সটিটিউট এই ফল আবিষ্কার করেছে।
ঘাড় ও মাথার টিউমার ধ্বংস করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের এমনটিই দাবী করছেন গবেষকরা। এখনও পর্যন্ত ওই ফল থেকে তৈরি একটি ওষুধ ৩০০টি প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না।

Saturday, May 14, 2016

সার্ভিকাল ক্যান্সার: লজ্জা নয়, আছে প্রতিরোধের উপায়


মালিহার বিয়ের প্রায় বছর খানেক হয়েছে। হঠাৎ একদিন সে খেয়াল করলো, এক সপ্তাহ পরপরই তার মাসিকের মতো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রক্তক্ষরণের মাত্রাও অনেক বেশি আর সেই সঙ্গে কেমন একটা দুর্গন্ধ। মালিহা লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারে না। এরপর শুরু হলো আরেক বিপদ। স্বামীর সঙ্গে যৌন মিলনে অসম্ভব ব্যাথা আর রক্তক্ষরণ হতে লাগলো। স্বামীই জোর করে তাকে নিয়ে যায় ডাক্তারের কাছে। পরীক্ষায় দেখা যায় সার্ভিকাল (জরায়ুমুখ) ক্যান্সারে আক্রান্ত মালিহা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে প্রতি বছর বাংলাদেশে সার্ভিকাল ক্যান্সারে মারা যায় প্রায় ৬,৫০০-এরও বেশি নারী। কিন্তু আশ্চর্য এদেশে সার্ভিকাল ক্যান্সার নিয়ে এখনও তেমন জনসচেতনতা তৈরি হয়নি। এর প্রধান কারণ সামাজিক সংস্কার এবং সংকোচ। বাংলাদেশে মেন্সট্রুয়েশন কিংবা যৌনাঙ্গ নিয়ে আলোচনা এখনও ট্যাবু। এনিয়ে প্রকাশ্যে তো নয়ই আপনজনের মাঝেও আলোচনা হয়না। যে কারণে মেয়েরা অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, যৌনক্রিয়ার সময় ব্যাথা অথবা মেনোপজের পর আবার রক্তক্ষরণ - এ ধরনের বিষয়গুলো ‘ঠিক হয়ে যাবে’ মনোভাব নিয়ে চেপে রাখে। অবশেষে যখন সার্ভিকাল অনেক খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে অথবা দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যায়, তখন ডাক্তারের কাছে গেলেও তেমন কিছু করার থাকে না।

অন্যান্য ক্যান্সারের সাথে সার্ভিকাল ক্যান্সারের অন্যতম পার্থক্য হলো টিকার মাধ্যমে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। সার্ভিকাল ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস নামক একধরণের ভাইরাস। টিকার মাধ্যমে এই ভাইরাসের সবচেয়ে কমন স্ট্রেইন গুলির বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। ফলে সার্ভিকাল ক্যান্সার থেকে অনেকখানি সুরক্ষা পাওয়া যায়। । তাই কিশোর বয়সে বিয়ের আগেই এই টিকা দেয়া উচিত। তবে বিয়ের পরেও অথবা বয়স ২৫ বা ৩৫ হলেও এ টিকা দেয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে টিকা দেবার আগে আপনার শরীরে ইতিমধ্যেই এই জীবাণু আছে কিনা পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রথমবার তিন ডোজ টিকা নেবার পর সাধারণত প্রতি ৫ বছর পরপর পুনরায় এ টিকা নিতে হয় যেন টিকার কার্যক্ষমতা বজায় থাকে।

টিকা ছাড়াও সার্ভিকাল ক্যান্সার থেকে বাচার উপায় হল নিয়মিত স্ক্রিনিং। স্ক্রিনিং এর ফলে এই ক্যান্সার প্রথম দিকে ধরা যায়, ফলে সহজে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। সারভাইকাল ক্যানসারের স্ক্রিনিং এর জন্য ৩০ বছর বয়স থেকে (অথবা বিয়ের পাঁচ বছর পূর্ণ হবার পর থেকে) প্রতি তিন বছর পর পর নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করানো উচিত। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে এই স্ক্রিনিং করা হয়। তবে ৬৫ বছরের পর এই ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়, সুতরাং তখন আর নিয়মিত এই স্ক্রিনিং করানোর প্রয়োজন নেই।

আর সার্ভিকাল ক্যান্সার হয়ে গেলে এর চিকিৎসা সম্ভব। আক্রান্ত রোগীরা হিস্টেরেকটমি বা জরায়ুতে অস্ত্রোপচার অথবা কেমো আর রেডিও থেরাপি নিয়ে সুস্থ হতে পারবেন।

সবার আগে দরকার অহেতুক লজ্জা ও ভয় দূর করা। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো, তাই না?

ক্রেডিট