১. স্টমাক ফ্লু :
সংজ্ঞা
অনুযায়ী বিশেষ এক ভাইরাস (ইনফ্লুয়েঞ্জা) দেহের রেসপাইরোটরি সিস্টেমে আক্রমণ করলে
তাকে ফ্লু হয়েছে বলা হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে জ্বর হয় যার তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি
সেলসিয়াস ছাড়ায় বলে জানান নিউ ইয়র্কের গোহেলথ আর্জেন্ট কেয়ার প্রতিষ্ঠানের
ফিজিসিয়ান ড. জিল সোয়ার্জ। এটি হলে ডায়রিয়া বা পাকস্থলীর বমি বলতে যা বোঝায় তা
হওয়া বিরল।
২. ওয়াকিং নিউমোনিয়া :
অনেক
বিশেষজ্ঞ রোগীকে এই রোগটির কথা বলে থাকেন। কিন্তু এটা আসলে নেই। এর মাধ্যমে বোঝানো
হয়, সামান্য নিউমোনিয়া হয়েছে যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। আবার টানা
এক মাস ধরে ক্রনিক কাশি হতে থাকলে এবং চিকিৎসক এর কোনো কারণ খুঁজে না পেলে অনেকেই
সমস্যাকে 'ওয়াকিং নিউমোনিয়া' বলে থাকেন।
৩. গ্লুটেন অ্যালার্জি :
যদি
গম, রাই বা বার্লিতে থাকা গ্লুটেন বা প্রোটিন খাওয়ার পর আপনার খারাপ লাগে, তবে একে
গ্লুটেন অ্যালার্জি বলা হয়। আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড
ইমিওনলজির মুখপাত্র ড. জানা টাক বলেন, গ্লুটেনের কারণে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থায়
মারাত্মক এক অবস্থার সৃষ্টি হয় যাকে সেলিয়াক ডিজিস বলে। কিন্তু এমন অবস্থা আসলে
গ্লুটেন অ্যালার্জি নয়।
৪. নার্ভাস ব্রেকডাউন :
ওহিও
স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিক্যাল সেন্টারের মনোচিকিৎসক ড. টামার গার বলেন,
যখন আমরা অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, তখন মনে হয় অচেতন হয়ে পড়বো। কিন্তু আসলে
কখনোই তা হয় না। এ অবস্থানে চিকিৎসকরা নার্ভাস ব্রেকডাউন বলতে পছন্দ করেন। এর
মাধ্যমে বোঝানো হয়, মানুষটির মানসিক স্বাস্থ্য ভালো পর্যায়ে নেই। হয়তো তার
অ্যানজাইটি, বিষণ্নতা বা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. হেড কোল্ড :
হঠাৎ
করেই খুব শীত লাগতে পারে। কিন্তু অনেক সময় শীতল অনুভূতিটা মস্তিষ্ক বা বুকে অনুভূত
হচ্ছে বলে মনে হয়। অথচ এমন কোনো অসুখ নেই। হেড কোল্ড ও সাধারণ ঠাণ্ডার মধ্যে কোনো
পার্থক্য নেই। অস্বস্তিবোধ দেহের যেকোনো স্থানে অনুভূত হতে পারে। আবার সাইনাস
টিস্যুর প্রদাহের কারণেও এমনটা হয়ে থাকে। যদি সত্যিই মনে হয় আপনার মস্তিষ্ক
আলাদাভাব শীতল হয়ে গেছে বা তরলে পূর্ণ হয়ে গেছে বলে অনুভূত হচ্ছে, তবে আরো
পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

No comments:
Post a Comment