Thursday, March 31, 2016

বুকের এদিক–ওদিক ব্যথা?

বুকে ব্যথা হলেই হৃদরোগের ব্যথা ভেবে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। হৃদরোগজনিত ব্যথার কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর বাইরেও নানান কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে।


সাধারণত বুকের মাঝের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা, বুক ভারী লাগা, বুকে তীব্র চাপ বা মোচড় দিয়ে ধরার মতো অনুভূতি, ৩০ মিনিটের অধিক সময় ধরে ব্যথা থাকা, বিশ্রাম নিলেও ব্যথা না কমা, ব্যথার সঙ্গে ঘাম বা বমি বমি ভাব হৃদ্রোগজনিত ব্যথার লক্ষণ। হাঁটাচলা, পরিশ্রম ভারী খাবারের পরে ব্যথা বাড়তে পারে। ঘাড়, হাত বা চোয়ালের দিকেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ


ফুসফুস বক্ষপিঞ্জরের বিভিন্ন সমস্যায় বুকে ব্যথা হতে পারে। নিউমোনিয়া, ফুসফুসের পর্দার প্রদাহ, হাঁপানি, ফুসফুসে রক্তসঞ্চালন কমে যাওয়া, ফুসফুসের পর্দায় বাতাস জমা, বক্ষপিঞ্জরের তরুণাস্থি বা পেশির প্রদাহের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। ফুসফুসের ক্যানসার ছড়িয়ে গিয়ে ফুসফুসের পর্দা বক্ষপিঞ্জর আক্রান্ত হলেও বুকের একপাশে ব্যথা হতে পারে।



যকৃতে সংক্রমণ বা পুঁজ, পিত্তথলির প্রদাহ এবং তীব্র রক্তশূন্যতা হলে বুকে ব্যথা হতে পারে। পেটের প্রদাহ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও বুকে চিন চিন ব্যথা হতে পারে। মনে রাখতে হবে, বুকের বাম দিকে ইনফ্রাম্যামারি লাইনের নিচে ব্যথা হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার লক্ষণ।

কী করবেন?


বুকে ব্যথা হলেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। সমস্যাগুলো গুছিয়ে চিন্তা করুন। হৃদ্রোগের ব্যথার যেকোনো বৈশিষ্ট্য দেখা দিলে, হাঁটাচলা করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলে কিংবা ব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হলে বা জ্বর কাশি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সৌজন্যে- প্রথমআলো অনলাইন     

মুখের গন্ধ দূর করার সহজ উপায়

ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই দুর্গন্ধ দূরে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার।
নিয়মিত প্রতিটি দাঁতের মাঝে ব্রাশ বা পরিষ্কার না করা হলে তা পচে ব্যাকটেরিয়ার জন্মের পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এ ছাড়াও কিছু খাবার যেমন পেঁয়াজ, রসুন, চীনাবাদামের তেল ইত্যাদি তীব্র গন্ধের খাবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
ওয়েবসাইটটি দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার কিছু নিয়ম :
  • দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। এতে মুখ এবং জিহ্বা আর্দ্র থাকে। মুখের ভিতরে লালা সৃষ্টি হয়। এই লালা মুখকে দ্রুত পরিষ্কার করে গন্ধ হওয়া রোধ করে।
  • গন্ধকে দূর করতে দই একটি শক্তিশালী উপাদান।
  • পানিতে টইটুম্বুর এমন সব ফল সবজি যেমন- তরমুজ, শসা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। এগুলো দাঁতের ফাঁকে জমা ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাধতে বাঁধা দেয়।
  • মিষ্টি খাবারকে বিদায় করে দিলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মুখে বাসা বাঁধার পরিবেশই পাবে না। চিনি ছাড়া যে সেগুলো বাঁচতেই পারে না।
  • কফি খাওয়া বাদ দিলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যায়। তবে যদি কফি একদম বাদ না দেওয়া যায় তবে কফির পরে তৈরি হওয়া গন্ধ দূর করতে সঙ্গে সঙ্গেই পানি বা কোনো ফল খেয়ে ফেললে গন্ধ জাদুর মতো মিলিয়ে যায়।
  • ধূমপান যে শুধু ঠোঁট কালো করে তাই নয়। পাশাপাশি মুখেও গন্ধ রেখে যায়। ধূমপানের গন্ধ দূর করাও সহজ বিষয় নয়। 



সৌজন্যে-কালের কণ্ঠ অনলাইন 

৩ কারণে আপনি কি বাড়তি খাচ্ছেন?

খাবারকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার অভাবে অনেকেরই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে শুধু শরীরের খাবারের প্রয়োজন নয়, নানা কারণে ক্ষুধা ছাড়াই আমরা বাড়তি খেতে পারি। এ ক্ষেত্রে মজার খাবার দেখে লোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা কিংবা অন্যমনস্কভাবে বাড়তি খেয়ে ফেলার মতো ঘটনা অনেকেই ঘটান। এ লেখায় রয়েছে তিনটি কারণ, যে কারণে অনেকেই বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

১. মজাদার খাবার

বর্তমানে কেউই এক বাটি চিনি বা লবণ খেতে চান না। কিন্তু এ চিনি, ফ্যাট ও লবণ ব্যবহার করে যখন নানা মজাদার খাবার তৈরি করা হয় তখন তা অনেকেই বাদ দিতে পারেন না। এ বিষয়ে লেখক ড.  ডেভিড কেসলার দ্য অ্যান্ড অব ওভারইটিং নামে একটি বই লিখেছেন। তিনি জানান, চিনি/লবণ/ফ্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর হিসেবে পরিচিত খাবারকেও বাড়তি আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। এতে এসব খাবার বাদ দিতে অনেকেই অপারগ হয়ে পড়েন। ফলে এসব খাবার বাড়তি খাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়।


তিনি জানান, এসব মজাদার খাবার আপনি একবার একটু খেলেই আরও খাওয়া শুরু করেন। এতে খাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। বহু খাবারই আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর বলে প্রচলিত। কিন্তু বিক্রেতারা এসব খাবারে বাড়তি চিনি, লবণ ও ফ্যাট যোগ করে উপাদেয় করে তোলেন। ফলে এটি আর স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় পড়ে না। তবে এটি ভোক্তাদের বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করে।

২. কৃত্রিম চিনি

বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে জিরো ক্যালরি খাবার ও পানীয়। এসব খাবার আপনার মেদ কমানোর জন্যই তৈরি, এমনটাই প্রচার করা হয়। যদিও এ ধরনের পণ্যে ব্যবহৃত হয় কৃত্রিম চিনি। যেমন আইস টি। অনেকেই জিরো ক্যালরির আইস টি পান করতে চান। এটি সুক্রালোস নামে কৃত্রিম একধরনের চিনি ব্যবহার করে মিষ্টি করা হয়। এটি দেহের জন্য মোটেই ভালো নয়। কারণ এর কিছু উপাদান দেহে ক্যালরির গণ্ডগোল ঘটায়। এতে আপনার দেহের নানা সমস্যা হতে পারে।


আপনি যখন চিনি দ্বারা তৈরি খুব মিষ্টি কোনো খাবার গ্রহণ বা পানীয় পান করবেন তখন দেহ স্বাভাবিকভাবেই তা বেশি গ্রহণ করতে গেলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক চিনির খাবার স্বাভাবিকভাবেই বেশি খাওয়া যায় না। কিন্তু কৃত্রিম চিনির বিষয়টি আলাদা। দেহ এ জিনিসটি বেশি খেলেও তাতে বাধা দেয় না। ফলে কৃত্রিম চিনির সঙ্গে দেহে বাড়তি খাবার প্রবেশ করতে পারে। এতে দেহের নানা প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

৩. অপর্যাপ্ত ঘুম

ঘুমের সঙ্গে খাবারের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম কম হলে মানুষের খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। শুধু ঘুমের পরিমাণ কম হলেই নয়, ঘুমে যদি ব্যাঘাত ঘটে তাহলেও তাতে খাওয়ার মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে। এ কারণে দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত ঘুমাতে বলেন।


গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের পরিমাণ কমে গেলে কিংবা অপর্যাপ্ত ঘুম হলে তা খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। এতে ওজনবৃদ্ধি ও স্থূলতার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ঘুমের পরিমাণ কমে গেছে দেহের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সও বেড়ে যায়। ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।


সৌজন্যে-কালের কণ্ঠ অনলাইন   



Wednesday, March 30, 2016

হাঁটুর ক্ষতি এড়াতে ১০ বিষয় জেনে নিন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাঁটুর আঘাত লাগতে পারে বা এর ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্য ভালো কিংবা খারাপ যাই হোক না কেন, হাঁটুর ঝুঁকি থেকেই যায়। এ লেখায় রয়েছে হাঁটুর তেমন কিছু ঝুঁকির কথা।

১. চেয়ারের উচ্চতা

এখন আগের তুলনায় বহু মানুষই চেয়ারে বসতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর তাই এ কাজে এখন চেয়ারের উচ্চতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। সারাদিন যদি আপনি চেয়ারে বসে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেয়ারের উচ্চতা লক্ষ্য করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আপনার উরু যেন হাঁটু থেকে এক বা দুই ইঞ্চি উঁচুতে থাকে। এছাড়া পায়ের ওপর পা তুলে বসার অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে।

২. কয়েকটি অনুশীলন

হাঁটুর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে কয়েকটি শারীরিক অনুশীলন বেশ কার্যকর। এগুলো হলো-


রেকটাস স্ট্রেচ- এজন এক পাশ হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং আপনার নিচের হাঁটু ও পা সোজা রাখুন। এবার ওপরের পা হাঁটু মুড়িয়ে যথাসম্ভব পেছনে নিয়ে আসুন। আপনার ওপরের পা টান টান করে কিছুক্ষণ রাখুন। এরপর তা আবার স্বাভাবিক করুন এবং অন্য পা একই প্রক্রিয়ায় স্ট্রেচ করুন।

কাফ স্ট্রেচ- দেয়াল থেকে এক বাহু সমান দূরত্বে দাঁড়ান। এরপর আপনার উভয় হাত দিয়ে দেয়াল ধরে দাঁড়িয়ে বাম পা সামনে এবং ডান পা পেছনে রাখুন। এরপর আপনার বাম হাঁটু কিছুটা মুড়িয়ে ডান পায়ের পাতার ওপর চাপ দিন। ডান পা সোজা রেখে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড স্ট্রেচটি করুন। এরপর পা বদলে এ প্রক্রিয়া কয়েকবার করুন।

হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ- সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর আপনার বাম হাঁটু বুকের ওপর নিয়ে আসুন। দুই হাত দিয়ে থাই টেনে ধরুন। এ সময় হাঁটু যথাসম্ভব সোজা রাখার চেষ্টা করুন। কিছুক্ষণ পর পা বদলে নিন।

৩. জগিং

জগিং হাঁটুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে এটি বেশি হয় আপনি যদি শক্ত রাস্তায় কিংবা ফুটপাথে জগিং করেন। তাই নরম ঘাসের ওপর জগিং করতে পারেন। এমনকি ট্রেডমিলের ওপরের অংশ যদি শক্ত হয় তাহলে তাও হাঁটুর ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া জগিংয়ের পর স্ট্রেচ করা উচিত।

৪. ব্যথা হলে করণীয়

জগিং, শারীরিক অনুশীলন বা যে কোনো ধরনের পরিশ্রমের পর যদি হাঁটুতে ব্যথা হয়ে যায় তাহলে সে কাজটি বন্ধ রাখতে হবে। অনেকেই বিষয়টি সঠিকভাবে মেনে না চলায় ব্যথা বেড়ে যায়।

৫. হাঁটার ভঙ্গি ঠিক করুন

আপনার হাঁটার মূল শক্তি আসা উচিত পেলভিস থেকে। এছাড়া আপনার দেহ সামান্য সামনে ঝুঁকে থাকতে পারে। এছাড়া হাঁটার সময় আপনার হাঁটু ও পায়ের আঙুল সোজা থাকতে হবে। বহু মানুষকে আঙুলের ওপর ভর করে হাঁটতে দেখা যায়, যা পায়ের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। তাই হাঁটার ভঙ্গিতে যদি এসব ভুল থাকে তা ঠিক করে নিন।

৬. নিচু হয়ে বসবেন না

নিচু সোফা, চেয়ার কিংবা টুল দেখতে যতই ভালো হোক না কেন, বাড়িতে রাখবেন না। এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে হাঁটুর সমস্যা হতে পারে। এগুলো হাঁটুতে চাপ সৃষ্টি করে।

৭. ভালো জুতা কিনুন

নরম ও উন্নতমানের জুতা ব্যবহার করুন। হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর জন্য উপযুক্ত জুতার গুরুত্ব ভুলে যাবেন না।

৮. মেনোপজের সময় সতর্ক হোন

মেনোপজের সময় নারীদের দেহের নানা অংশে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এ সময় হাড়ের ঘনত্বও কমে যায়। ফলে এ সময় শারীরিক অনুশীলনে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

৯. উপযুক্ত খাবার

হাঁটুর সুস্থতার জন্য উপযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি অপর্যাপ্ত খাবার খান তাহলে তা শরীরের অন্যান্য অংশের মতো হাঁটুরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে হাঁটুর জন্য ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন মিনারেলের গুরুত্ব রয়েছে।

১০. সমস্যা খুঁজে দেখুন

আপনার যদি হাঁটুর কোনো সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সমস্যা নির্ণয় করুন। হাঁটুতে সামান্য ব্যথা হলেও হেলাফেলা করবেন না।

সৌজন্যে-কালের কণ্ঠ অনলাইন   

Tuesday, March 29, 2016

৫ স্বাস্থ্যগত অবস্থা যার কোনো অস্তিত্ব নেই


মানুষের যাবতীয় রোগবালাইয়ের তালিকাটি দীর্ঘ। তবে এদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকটিকে বাদ দিতে পারেন। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এমন কয়েকটি চেনা জানা রোগের নাম যাদের অস্তিত্ব আসলে নেই। এদের চিনে নিন।

১. স্টমাক ফ্লু :

সংজ্ঞা অনুযায়ী বিশেষ এক ভাইরাস (ইনফ্লুয়েঞ্জা) দেহের রেসপাইরোটরি সিস্টেমে আক্রমণ করলে তাকে ফ্লু হয়েছে বলা হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে জ্বর হয় যার তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ায় বলে জানান নিউ ইয়র্কের গোহেলথ আর্জেন্ট কেয়ার প্রতিষ্ঠানের ফিজিসিয়ান ড. জিল সোয়ার্জ। এটি হলে ডায়রিয়া বা পাকস্থলীর বমি বলতে যা বোঝায় তা হওয়া বিরল।

২. ওয়াকিং নিউমোনিয়া :

অনেক বিশেষজ্ঞ রোগীকে এই রোগটির কথা বলে থাকেন। কিন্তু এটা আসলে নেই। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়, সামান্য নিউমোনিয়া হয়েছে যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। আবার টানা এক মাস ধরে ক্রনিক কাশি হতে থাকলে এবং চিকিৎসক এর কোনো কারণ খুঁজে না পেলে অনেকেই সমস্যাকে 'ওয়াকিং নিউমোনিয়া' বলে থাকেন।

৩. গ্লুটেন অ্যালার্জি :

যদি গম, রাই বা বার্লিতে থাকা গ্লুটেন বা প্রোটিন খাওয়ার পর আপনার খারাপ লাগে, তবে একে গ্লুটেন অ্যালার্জি বলা হয়। আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিওনলজির মুখপাত্র ড. জানা টাক বলেন, গ্লুটেনের কারণে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থায় মারাত্মক এক অবস্থার সৃষ্টি হয় যাকে সেলিয়াক ডিজিস বলে। কিন্তু এমন অবস্থা আসলে গ্লুটেন অ্যালার্জি নয়।

৪. নার্ভাস ব্রেকডাউন :

ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিক্যাল সেন্টারের মনোচিকিৎসক ড. টামার গার বলেন, যখন আমরা অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, তখন মনে হয় অচেতন হয়ে পড়বো। কিন্তু আসলে কখনোই তা হয় না। এ অবস্থানে চিকিৎসকরা নার্ভাস ব্রেকডাউন বলতে পছন্দ করেন। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়, মানুষটির মানসিক স্বাস্থ্য ভালো পর্যায়ে নেই। হয়তো তার অ্যানজাইটি, বিষণ্নতা বা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. হেড কোল্ড :


হঠাৎ করেই খুব শীত লাগতে পারে। কিন্তু অনেক সময় শীতল অনুভূতিটা মস্তিষ্ক বা বুকে অনুভূত হচ্ছে বলে মনে হয়। অথচ এমন কোনো অসুখ নেই। হেড কোল্ড ও সাধারণ ঠাণ্ডার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। অস্বস্তিবোধ দেহের যেকোনো স্থানে অনুভূত হতে পারে। আবার সাইনাস টিস্যুর প্রদাহের কারণেও এমনটা হয়ে থাকে। যদি সত্যিই মনে হয় আপনার মস্তিষ্ক আলাদাভাব শীতল হয়ে গেছে বা তরলে পূর্ণ হয়ে গেছে বলে অনুভূত হচ্ছে, তবে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। 

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন   

Monday, March 28, 2016

অকালে 'বয়স্ক' হতে না চাইলে ৪ খাবার বাদ দিন


আপনি যা খাচ্ছেন, তার প্রভাব আপনার চেহারার ওপর পড়ে। কিছু খাবার ত্বকের বলিরেখা সৃষ্টি করে এবং নানাভাবে ত্বকের প্রকৃত বয়সের চেয়ে বেশি বয়স দেখায়। ত্বকের এ বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার পেছনে যে খাবারগুলোর ভূমিকা রয়েছে সেগুলো নির্ণয় করে সতর্কভাবে সেগুলো গ্রহণ করলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা সহজ হয়। এ লেখায় রয়েছে তেমন কিছু খাবারের তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।

১. গ্লুটেন

ময়দার খাবারে গ্লুটেন পাওয়া যায়। এটি মূলত এক ধরনের প্রোটিন, যা পেটের নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি রক্তে মিশে যায় এবং পরবর্তীতে তা দেহ ফুলে যাওয়ার মতো প্রভাব সৃষ্টি করে। সাধারত গ্লুটেনের প্রভাবে দেহে কালো দাগ পড়ে। বিশেস করে মুখমণ্ডল ও থুতনিতে গ্লুটেনের প্রভাবে কালো দাগ পড়ে। অতিরিক্ত গ্লুটেন খাওয়ায় অনেককেই তাই বয়সের তুলনায় বেশি বয়স্ক দেখা যায়। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি গ্লুটেন খাবার থেকে বাদ দিয়ে তার বিকল্প খাবার গ্রহণ করতে হবে।

২. ডেইরি পণ্য

গরুর দুধ মূলত এমন একটি খাবার, যা গরুর জন্যই সবচেয়ে উপযোগী। মানুষের জন্য গরুর দুধ খুব একটা উপযোগী নয়। কারণ গরুর দুধে রয়েছে প্রায় ৬০ ধরনের হরমোন। এটি মানুষের দেহে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এসব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে দেহে ব্রণ সৃষ্টি ও চোখের পর্দা ফুলে যাওয়া। এ ছাড়া মুখেও বয়সের ছাপ পড়ে অতিরিক্ত দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণে। চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কল তৈরির জন্যও অনেকাংশে দুগ্ধজাত সামগ্রী দায়ী। এসব কারণে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে ডেইরি পণ্য গ্রহণ সীমিত করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

৩. অ্যালকোহল

বয়স্ক ব্যক্তিদের মাঝে যারা ওয়াইন কিংবা অ্যালকোহল জাতীয় অন্যান্য পণ্য গ্রহণ করেন তাদের চেহারায় সে ছাপ পড়ে যায়। অ্যালকোহল ত্বকের শুষ্কতা বাড়িয়ে দেয়। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়া সহ নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব লক্ষণের মাঝে রয়েছে ভ্রু ও মুখের মাঝে ভাঁজ পড়া ও স্থানে স্থানে সামান্য ফুলে ওঠা।  এছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে মুখে বেশ কিছু সূক্ষ্ম ভাজ বা বলিরেখার সৃষ্টি হয়। এসব প্রক্রিয়ার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বয়স্ক দেখায় অ্যালকোহন সেবনকারীদের।

৪. চিনি

চিনি শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই স্বাভাবিক খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে দেখা যায়। অনেকেই জানেন না, চিনি মানুষের চেহারায় বয়সের ছাপ বৃদ্ধি করে। চিনির বিপজ্জনক প্রভাব নিয়ে সচেতনতারও অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যত বেশি চিনি গ্রহণ করবেন, আপনার দেহে তত বেশি বয়সের ছাপ পড়বে। বেশি চিনি যারা খান তাদের মুখে দ্রুত বলিরেখা পড়ে। এতে চোখের পাতা ঝুলে পড়ে এবং সংলগ্ন ত্বকেও বয়সের ছাপ বৃদ্ধি করে। তবে অনেকেই চিনি সম্পূর্ণভাবে খাবার থেকে বাদ দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে যথাসম্ভব চিনি গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া উচিত।

কালের কণ্ঠ অনলাইন   


Sunday, March 27, 2016

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যথা কমানোর উপায়


ব্যথা কমানোর জন্য পেইনকিলার বিশ্বব্যাপী প্রচলিত সবচেয়ে সহজ চিকিৎসা প্রতিদিন প্রতি ১০ জনে একজন ব্যক্তি নানা কারণে ব্যথার শিকার হন এবং তাদের অনেকেই পেইনকিলারের দ্বারস্থ হন যদিও এটিই ব্যথা কমানোর একমাত্র উপায় নয় আরও বহু উপায়ে ব্যথা কমানো যায় লেখায় রয়েছে তেমন কিছু উপায় এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস

পেইনকিলার বর্জন করুন

মাত্রাতিরিক্ত পেইনকিলার কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ পেইনকিলারের অপব্যবহারের কারণে বহু মানুষ মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন তাদের অনেকেই কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি হন পেইনকিলার মূলত ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্কে যাওয়া বন্ধ করে দেয় ধরনের ওষুধের মধ্যে রয়েছে ওপিওইড পেইনকিলার এটি মস্তিষ্ক, পরিপাকতন্ত্র, স্পাইনাল কর্ড দেহের অন্যান্য এলাকায় কাজ করে ধরনের ওষুধের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে পেইনকিলার বাদ দিয়ে বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা খুব জরুরি না হলে পেইনকিলার এড়িয়ে চলা উচিত পেইনকিলার ছাড়াই ব্যথা নিরাময়ের উপায় প্রসার অত্যন্ত জরুরি বিষয়


প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন



পেইনকিলার নয় এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল আইবুপ্রোফেন ওষুধগুলো ব্যাক পেইন আথ্রাইটিসের মতো রোগ নিরাময়েও কার্যকর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক গাইডলাইনে ব্যাক পেইন আথ্রাইটিসের ব্যথাতেও আগে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ছাড়া ব্যথা নিরাময়ে চিকিৎসকদের পেইনকিলারের বদলে ফিজিওথেরাপি, শারীরিক অনুশীলনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অল্প সময়ের জন্য যেসব ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে সেসব ব্যথার জন্য ওপিওয়েডস শুধু তিন দিনের জন্য দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে ছাড়া ওষুধটির সবচেয়ে কম মাত্রা দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

বিকল্প চিকিৎসা

বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসায় ব্যথা-বেদনা নিরাময় করা সম্ভব এসব পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে মেডিটেশন ধরনের আরও কিছু উপায় এতে দেহের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক পদ্ধতি কার্যকর করা সম্ভব হয় এতে ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রাকৃতিকভাবেই বাধা পায় ধরনের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক পদ্ধতি গত সপ্তাহের জার্নাল অব নিউরোসায়েন্সে তুলে ধরা হয়েছে গবেষকরা জানাচ্ছেন, একাগ্রচিত্তে মেডিটেশনে মস্তিষ্ক শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি করা যায় এতে ব্যথার অনুভূতি দূর হয় ছাড়া মেডিটেশনে উদ্বেগ বিষণ্ণতা কমে এতে জীবনযাপনের মানও বৃদ্ধি পায় ব্যথানাশক ওষুধ যে পদ্ধতিতে ব্যথা মস্তিষ্কে পৌঁছাতে বাধা দেয়, সঠিক উপায়ে মেডিটেশনের মাধ্যমেও ব্যথা একইভাবে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে বাধা দেয়

ঠাণ্ডা গরম পদ্ধতি

ব্যথা কমাতে একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায় হলো গরম ঠাণ্ডা প্রয়োগ করা তবে পদ্ধতি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম রয়েছে এগুলো মেনে চলা জরুরি যেমন ক্রনিক ব্যথার ক্ষেত্রে গরম সেঁকা দেওয়া যেতে পারে ছাড়া আঘাতের ক্ষেত্রে তা যদি এক দিনের বেশি হয়ে যায় তখন গরম সেঁকা দেওয়া যেতে পারে

ঠাণ্ডা সেঁকা দেওয়া যায় কোনো একটি আঘাতের সূত্রপাতে কোনো স্থানের নতুন ব্যথায় ফুলে ওঠা কিংবা আঘাত পেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ঠাণ্ডা সেঁকা দেওয়া যায়

গরম সেঁকা দেওয়া যায় মাংসপেশির ব্যথায় এটি ক্রনিক দীর্ঘদিন পুনরায় শুরু হওয়া ব্যথার ক্ষেত্রে দেওয়া যায় এটি রক্তের কণাগুলোকে বৃদ্ধি করে রক্তচলাচল বাড়ায় এতে মাংসপেশির খিঁচুনি কমে যায় ছাড়া গরম সেঁকায় মাংসপেশির ফোলাভাব কাঠিন্য কমে যায় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়

তবে অনেক চিকিৎসক জানান, কোথাও ব্যথা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গরম সেঁকা দেওয়া উচিত নয় সময় বরফ ব্যবহার করা যাবে এটি পুরনো ব্যথার ক্ষেত্রে কার্যকর গরম পানির ক্ষেত্রে তা বোতলে ভরে, হিটিং প্যাডে বা গরম তোয়ালে ভিজিয়ে প্রয়োগ করা যায়

খেলতে গিয়ে বা দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে কোথাও ব্যথা পেলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে বরফ ব্যবহার করা যেতে পারে এটি সে স্থান লাল বা কালো হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে কার্যকর আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে রক্তের প্রবাহ কমিয়ে দেয় ঠাণ্ডা এতে সে স্থানে রক্ত এসে তা ফুলিয়ে দিতে পারে না তবে প্রক্রিয়া কখনোই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি চালানো উচিত নয় কোনো স্থানে আঘাতের পর সেখানে ১৫-২০ মিনিটের বেশি বরফ লাগিয়ে রাখলে তাতে টিস্যু ড্যামেজ হতে পারে

- কালের কণ্ঠ অনলাইন