Thursday, August 30, 2018

চটজলদি ওজন কমাবে এই দুটি জিনিস


আপনি কি খুব কম সময়ে ওজন কমাতে চান? তাহলে আপনার জন্যই এই লেখাটি। কারণ এই লেখায় এমন দুটি খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে, যা ওজন কমাতে দারুণ কাজে আসে। ওজন বেশি হোক কি কম, সুস্থ থাকতে চর্বির বাড়বাড়ন্ততে লাগাম টানাটা একান্তই জরুরি। কেননা ওজন বাড়লেই নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যার অন্যতম হলো- জয়েন্ট পেইন, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি ডিজিজ বা হার্টের রোগ প্রভৃতি।

ওজন বাড়ে কেন? অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন, ঠিক মতো খাওয়-দাওয়া না করা, শরীচর্চার প্রতি অনিহা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জিনগত কারণ প্রভৃতি। তবে যে কারণেই ওজন বাড়ুক না কেন। আমরা যদি আমাদের লক্ষ সম্পর্কে সচেতন হই, তাহলে যে কোনো বাঁধা সত্ত্বেও খুব সহজেই ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

তাহলে এখন প্রশ্ন, কীভাবে চটজলদি ওজন কমানো সম্ভব? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পড়বে :
১. কমলা লেবুর রস- ১ গ্লাস
২. শসার রস- ১ গ্লাস

এই ঘরোয়া ওষুধটি প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়ম করে শরীরচর্চা করা যায় এবং ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখা যায়, তাহলে ওজন কমতে বাধ্য। প্রসঙ্গত, কমলা লেবুর রসে ভিটামিন- সি রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে, শসার রস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি হজম ক্ষমতা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে চর্বি পুড়িয়েও ওজন কমায়।

কীভাবে বানাবেন এই ঘরোয়া ওষুধটি :
১. একটা গ্লাসে পরিমাণ মতো উপাদানগুলি মেলান।
২.ভালকরে মেশান দুটি উপকরণ।
৩. আপনার ওষুধ তৈরি হয়ে গেছে।
৪. প্রতিদিন সকালে নাশতার আগে খালি পেটে এই ওষুধটি ১ বা ২ গ্লাস খেলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন। তবে অন্তত ১ মাস ওষুধটা খেতে হবে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Thursday, August 2, 2018

কাশি হলে যা খাবেন না


ঋতু পরিবর্তন বা আবহাওয়া বদলের সময় শুষ্ক বা কফ-কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিরক্তিকর এই কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিছু খাবার আছে, যা কাশি নিরাময় করে। আবার কিছু খাবার আছে, যা খেলে কাশি বেড়ে যেতে পারে। কাশির সময় যে খাবারগুলো এড়ানো দরকার, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিনিউজ। জেনে নিন সেই তালিকায় থাকা খাবারগুলো সম্পর্কে:

ক্যাফেইনযুক্ত পানি: কাশি হলে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে কফি। কাশির সময় কফি খাওয়া হলে তা গলা শুকিয়ে ফেলে। এতে কোনো কিছু গিলতে অস্বস্তি হয়।

ভাজা খাবার: যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তবে তেলে ভাজাপোড়া খাবার অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কারণ, তেল কাশি বাড়িয়ে দেয়। কড়া ভাজা খাবারও এ সময় এড়ানো উচিত, কারণ তা কাশিবর্ধক ও গলা চুলকানোর জন্য দায়ী।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং শরীরের সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, চিপস, প্যাকেটজাত নাশতার মতো খাবার কাশির সময় অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

অ্যালকোহল: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় অ্যালকোহল। এটি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে বলে এ পানীয় ঠান্ডার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কাশি হলে তাই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত।

ঠান্ডা খাবার: কাশি হলে আইসক্রিম বা শীতল পানীয়ের মতো কোনো ঠান্ডা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি শ্বাসনালি শুষ্ক করে ফেলে এবং প্রদাহ তৈরি করে। কফ ও কাশি বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা খাবার।

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন