Monday, April 30, 2018

যে খাদ্যগুলো কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক


কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত ওজন ছাড়া আরো নানা কারণে কিডনি রোগ হতে দেখা যায়।

পরবর্তীকালে যা কিডনি বিকলও করে দিতে পারে। তবে আগে থেকে সচেতন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু খাবার আছে যা কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলুন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে যেনে নিই:

রসুন
রসুন শরীরের জ্বালা এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা দেহের বিভিন্ন অসুবিধা দূরে রাখে। তবে রান্না করে খেলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না।

বাঁধাকপি
বাঁধাকপি কিডনিকে আরও কার্যকরী করে তুলতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার, ফলিক এসিড। এটি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল হার্টের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিও ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণ ওলিক এসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা অক্সিডেসন কমিয়ে কিডনি সুস্থ রাখে।

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে যা কিডনির রোগ প্রতিরোধ করে কিডনিকে সুস্থ রাখে।

আপেল
আপেল উচ্চমাত্রায় ফাইবারযুক্ত খাবার। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

পেঁয়াজ
কিডনি সুস্থ রাখার আর একটি অন্যতম উপাদান পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। যা রক্তের চর্বি দূর করে। এ ছাড়া এতে কুয়ারসেটিন আছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম ও প্রোটিন আছে যা কিডনির জন্যও বেশ উপকারী।

মাছ
মাছ খেলে দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি ‌এসিড আছে যা জ্বালা কমিয়ে কিডনিকে সুস্থ রাখে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Saturday, April 21, 2018

ধূমপানের ক্ষতি থেকে বাঁচার ঘরোয়া ওষুধ


ধূমপান করলেই যে কেবল ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এমন নয় কিন্তু! পরোক্ষ ধূমপান এর কারণেও কিন্তু ধূমপানসংশ্লিষ্ট নানা রোগ হতে পারে। আর আজকাল যেভাবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!

সিগারেটের তামাকে থাকা নিকোটিন ধীরে ধীরে ফুসফুসকে খারাপ করে। ফলে একটা সময়ে গিয়ে ফুসফুস এর ক্যান্সার সহ একাধিক মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুলফুস। এটি বিশুদ্ধ অক্সিজেনকে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। এরপরই লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেনকে বহন করে পৌঁছে দেয় শরীরের বাকি অংশে। এই প্রক্রিয়াটির করণেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন তো ফুসফুস যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।

তাহলে এখন প্রশ্ন নিকোটিনের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে কেমন ভাবে বাঁচবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে এই লেখাটি পড়তে হবে। এই লেখায় এমন একটি ঘরোয়া ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হল, যা প্রতিদিন খেলে ধুমপান-এর খারাপ প্রভাব কমতে শুরু করে। তাহলে আপেক্ষা কীসের! ঝটপট পড়ে ফেলুন বাকি লেখাটুকু।

১. একটা বড় মাপের আদার টুকরো নিন
আদায় জিঞ্জেরল নামের একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যা শরীরে প্রদাহ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ফুসফুসকে চাঙ্গা করতেও দারুন কাজে আসে।
২. দুই চামচ হলুদ
এতে রয়েছে কার্কিউমিন নামের একটি উপাদান। এটিতে একই সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৩. চারটে ছোট পিঁয়াজ
অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ থাকার কারণে নিকোটিনের প্রভাব কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পিঁয়াজ ফুসফুসের থেকে সব ক্ষতিকর বিষ বের করে দেয়। ফলে ফুসফুস ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৪. চিনি
ওষুধটি বানাতে প্রায় ২৫০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন পড়বে।
৫. পানি
এক লিটার পানি লাগবে ফুসফুস পরিষ্কার করার এই ঘরোয় ওষুধটি বানাতে।

ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি
১. একটা প্যানে এক লিটার পানি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি মেশান। তারপর পানিটা ফোটান।
২. পানি ফুটতে থাকাকালীনই আদার টুকরোটা পানিতে দিয়ে দিন।
৩. এবার পেঁয়াজটা মেশান। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজগুলি ছোট করে কেটে নিতে ভুলবেন না যেন!
৪. অল্প সময় পর হলুদ মেশান। ততক্ষণ পর্যন্ত পানিটা ফোটান যতক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
৫. এবার আঁচটা বন্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। যখন দেখবেন পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক চামচ করে এই পানিটি পান করুন টানা কয়েক মাস। তাহলেই দেখবেন ফুসফুস সুস্থ হয়ে উঠবে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Tuesday, April 10, 2018

আঙুল ছুঁলেই বুঝে যাবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত কি না!


আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানতে একটা সহজ পদ্ধতি আছে। কী সেই পদ্ধতি জানেন? একবার চেষ্টা করে দেখুন তো আপনার হাতের আঙুল পায়ের পাতা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না? এমনটা করার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার হার্ট অসুস্থ কি না। মানে! কীভাবে এমনটা সম্ভব?

একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়েছে যে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। তাই এই নিয়ে কোনও বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই যে এই পদ্ধতি বাস্তবিকই কার্যকরী। আসলে এই সব স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের সঙ্গে আর্টারির ইলাস্ট্রিসিটির একটা যোগ রয়েছে। তাই তো যারা পায়ের পাতা বা আঙুল ছুঁতে পারেন না, তাদের ব্লাড ভেসেল খুব স্টিফ হয়। ফলে এমন মানুষদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই যদি দেখেন আপনি পায়ের আঙুল ছুঁতে পারছেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেবেন। অপরদিকে যারা সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটি উপরে থেকে একেবারে নিচে এনে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্য যে বেজায় ভাল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Monday, April 9, 2018

এ নিয়মে বিট লবণ ব্যবহার করেই দেখুন!


সুন্দর কে হতে চায়। আর সেই কারণেই তো হাজার হাজার টাকা খরচ করে নানা প্রসাধনী কেনা, বিউটি পার্লারে দৌঁড়। কিন্তু জানেন কি? আপনার রান্না ঘরেই রয়েছে এমন অনেক কিছু যা আপনাকে সুন্দর করে তুলবে খুবই সহজে।

হ্যাঁ, এরকমই একটি জিনিস হল বিট লবণ। প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই পাওয়া যায় বিট লবণ। আর এই বিট লবণ খুবই কার্যকরী রূপচর্চার ব্যাপারে। তা কীভাবে ব্যবহার করবেন বিট লবণ।

> ত্বক থেকে দাগ তুলতে খুবই সাহায্য করে বিট লবণ। তাই বিট লবণ দিয়ে তৈরি প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে, খুবই কাজ দেয়।
> ত্বক থেকে মরা কোষ দূর করতেও খুবই কাজে আসে বিট লবণ।
> বিট লবণের সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্ক্রাবারের মতো ব্যবহার করুন। ত্বক থেকে দাগ দূর করতে খুবই সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
> বিট লবণের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। হালকা করে মুখে মেখে নিন। একটু পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। রোদে পড়া দাগ তুলতে এটা খুবই সাহায্য করবে।
> বিট লবণের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। ড্রাই স্কিনের জন্য এই মিশ্রণ খুবই ভালো।
> বিট লবণের সঙ্গে কিছুটা আটা মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই কার্যকরী।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Saturday, April 7, 2018

শসা খান বুঝেশুনে, ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ!


গরম পড়ছে। বাড়ছে শসার চাহিদা। কিন্তু এবার একটু বুঝেশুনে খান শসা। বলছেন চিকিৎসকরাই। শসা মানেই সহজে হজম। এটাই চলতি ধারণা। কিন্তু শসা থেকেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ! আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার তথ্য।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, তিতা শসার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর বিষ। যা থেকে হার্ট অ্যাটাক বা কিডনিও বিকল হতে পারে।

তিতা শসার বিপদ
তিতা শসা খাওয়া বিপজ্জনক। কারণ তিতা শসা মানেই তা টক্সিক, বিষাক্ত বেশি শসা খেলে ডিহাইড্রেশন সমস্যা হতে পারে। শরীরে ওজন অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। শরীরে ভিটামিন সি এর আধিক্য কোষের ক্ষতি করে। শসায় পটাসিয়ামের পরিমাণও থাকে অনেকটাই বেশি।  বেশি শসা শরীরে পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা থেকে তলপেটে ব্যথা, পেটের রোগ, এবং কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। শসায় পানির ভাগ প্রায় ৯০ শতাংশ। পানির পরিমাণ বাড়ালে শরীরে ভারসাম্য নষ্ট হয়। বিঘ্নিত হয় পাচন প্রক্রিয়া।

তাই শসা খান পরিমিত। শসার তিতা অংশ অবশ্যই বাদ দিন।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Friday, April 6, 2018

মানসিক চাপ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সাত রকম ফল ও সবজি খান


ফল ও সবজির নানাবিধ স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। পুষ্টিবিদ, ডায়েট বিশেষজ্ঞরা আবারও নতুন করে নিত্যদিনের খাবারের সঙ্গে সবজি ও ফল যুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

বিশেষ করে মানসিক চাপের ঝুঁকি এড়াতে বেশি করে ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন গবেষকেরা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ফল ও সবজি খাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষকরা বলছেন, দৈনিক পাঁচ থেকে সাত রকম ফল ও সবজি খাবারে যুক্ত করলে মানসিক চাপ ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে। গবেষণায় দেখে গেছে, যাঁরা দিনে তিন বা চার পদের সবজি খান তাঁদের মানসিক চাপের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ কম থাকে। সে তুলনায় যাঁরা দিনে দুই রকম ফল খান তাঁদের মানসিক চাপের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিন নুয়েন এ-সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ লিখেছেন। যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা সাময়িকী ‘ওপেন’-এ গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।

বিন নুয়েন বলেছেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে ফল ও সবজি বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। তাই তাঁর প্রস্তাব, নারীরা ফল ও সবজি থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে পারেন।

অবশ্য, শুধু ফল খাওয়ার সঙ্গে মানসিক চাপ কমার তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি গবেষকেরা।
গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দিনে তিন-চার রকম সবজি খেলে মানসিক চাপ ১২ শতাংশ কমে। যদি সবজি ও ফল মিলে পাঁচ থেকে সাত পদ হয় তবে মানসিক চাপের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে দেখা যায়।

এ গবেষণার জন্য ৪৫-ঊর্ধ্ব ৬০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের ফল ও সবজি খাওয়ার হার, জীবনযাপনের অন্যান্য অনুষঙ্গ ও মানসিক চাপের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন 

রক্তে চর্বির মাত্রা কমাবেন কীভাবে?


রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে তা ধমনিতে জমা হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। আর এ থেকেই হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ইত্যাদির উৎপত্তি হয়। তাই রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরল যাতে বেড়ে না যায়, সে বিষয়ে আজকাল অনেকেই সচেতন। তাহলে চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন? কেউ বলেন রসুন চিবিয়ে খাও, কেউ বলেন অলিভ তেলে রান্না করো। আসল কথা হলো, চর্বি যাতে না বাড়ে সে জন্য কিছু খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে, কিছু খাবার খেতে হবে কম। জেনে নিন কয়েকটি তথ্য:
১. সম্পৃক্ত চর্বি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। গরু বা খাসির মাংস এবং ঘি-মাখনে যে চর্বি থাকে, সেটাই সম্পৃক্ত চর্বি। এগুলো বর্জন করুন। আর উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বি আছে মাছের তেল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে। ট্রান্সফ্যাটও কম খেতে হবে। বেকারির খাবার ও ফাস্ট ফুডে তেল উচ্চতাপে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড হয়ে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়।

২. আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খাবেন। যেমন: যব, ভুট্টা, লাল আটার রুটি, ফলমূল, শাকসবজি। এগুলো আপনার রক্তে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

৩. উদ্ভিজ্জ স্টেরল ও স্টেনল উপাদান রক্তে চর্বি শোষণে বাধা দেয় ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ফলের রস, টক দই, তাজা শাকসবজিতে পাওয়া যাবে এই উপাদান।

৪. নিজের জন্য জুতসই খাদ্যতালিকা নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। অন্যের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে অনেক সময় লাভ হয় না। কঠোর খাদ্যতালিকার চেয়ে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন আনলেই উপকার মেলে।

৫. তারপরও রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে এবং আপনার হৃদ্রোগের অন্যান্য ঝুঁকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে চর্বি কমানোর ওষুধ সেবন করাই ভালো।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Wednesday, April 4, 2018

ঘি খাওয়ার নামে হাড়ের গুড়ো খাচ্ছেন না তো!


সাম্প্রতীক বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, রাস্তার বেশিরভাগ খাবারে যে তেল, ঘি বা ডালডা ব্যবহার করা হয়, তার বেশিরভাগই হাড়ের গুঁড়ো, পাম তেল এমনকী মারাত্মক সব কেমিকেল দিয়ে বানানো হয়। যা দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে ভয়ঙ্কর সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়।

নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন? দাঁড়ান দাঁড়ান অবাক হতে তো এখনও ঢের দেরি। একবার যদি চোখ রাখেন বাকি লেখায়, তাহলে একথা হলফ করে বলতে পারি আর কোনও দিন রাস্তার খাবার খাবেন না। এমনকী ঘি-ও মুখে তুলবেন কিনা সন্দেহ।
তথ্য ১:
বিষাক্ত ঘি বারে বারে খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বহু গুণে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, রক্ত প্রবাহ বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। তাই এখন থেকে আর যেখান-সেখান থেকে ঘি কিনবেন না। না হলে যে কোনও সময় যে কোনও একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে।

তথ্য ২:
হাড়ের গুঁড়ো মেশান ঘি খেলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, এমন বিষাক্ত ঘি থেকে সারা শরীরে ঘা হতে পারে, হজম ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনকী লিভার এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

তথ্য ৩:
ঘি-তে যদি লিড অ্যানিমিয়ার মতো টক্সিনের মাত্রা যদি বেশি থাকে, তাহলে তা থেকে মস্তিষ্কের নানা রোগ হতে পারে।

তথ্য৪:
বিষাক্ত ঘিতে যদি ক্যাডমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, তাহলে তা শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়। এই বিষাক্ত উপাদানটি ইউরিনারি ট্রাক্ট এবং কিডনিরও মারাত্মক ক্ষতি করে।

তথ্য ৫:
আর যদি ক্রোমিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে লিভার আর হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর যদি এই ক্ষতিকর উপাদানটি প্রতিদিন শরীরে প্রবেশ করে তাহলে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে।

তথ্য ৬:
ঘি-তে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের যদি এই খাবারটি খেতে খুব ইচ্ছা হয়, তাহলে ভাল কোম্পানির ঘি কিনে খাবেন, যেখান সেখান থেকে একেবারেই কিনবেন না।

তথ্য ৭:
বিষাক্ত ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ, যেমন- ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ প্রভৃতিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন 

লো প্রেশার হলে কী করবেন?


নিম্ন রক্তচাপ হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

রক্তচাপ কমে যাওয়া, লো প্রেশার, লো ব্লাড প্রেশার কিংবা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। অনেকেই মনে করেন দুর্বল স্বাস্থ্য যাঁদের, তাঁরা নিম্ন রক্তচাপে ভুগে থাকেন। এটা সত্য নয়। স্থূল মানুষেরও নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেশার থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মু. সালাউদ্দিন বলেন, সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি. মি. মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি. মি. মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। প্রেশার যদি খুব বেশি নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে অসুস্থতা দেখা দেয়। তাই প্রেশার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। আমাদের শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেশারও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেশার হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের কারণ
* কোনো কারণে পানিশূন্যতা হওয়া।
* ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া।
* খাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খাওয়া।
* ম্যাল অ্যাবসরবশন বা হজমে দুর্বলতা।
* কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত থাকা।
* শরীরে হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা।
* রক্তশূন্যতা।

শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেশার দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ছয় মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেশার হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ
মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা বা সরষে ফুলের মতো দেখা বা চোখে ঝাপসা দেখা, শারীরিক দুর্বলতা এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃৎস্পন্দন, নাড়ি বা পালসের গতি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনি লো ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত হয়েছেন।

লো নাকি হাই প্রেশার—কোনটি বেশি খারাপ?
দুটোই খারাপ, তবে যখন প্রশ্ন করা হয় কোনটি বেশি খারাপ? নিঃসন্দেহে লো প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপ বেশি খারাপ। কারণ, হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে বা কোনো কারণে প্রেশার কমে গেলে তাৎক্ষণিক শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে। এ জন্যই ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা রোধে শিরায় স্যালাইন দেওয়া হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

চিকিৎসা
লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয়, তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই লো প্রেশার ঠিক হয়ে যায়। তবে যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপ আছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়
* নিম্ন রক্তচাপের ভুক্তভোগীরা অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকবেন না।
* অনেকক্ষণ ধরে বসে বা শুয়ে থাকার পর ওঠার সময় সাবধানে ও ধীরে ধীরে উঠুন।
* ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
* খাবার সময় পাতে এক চিমটি করে লবণ খেতে পারেন।
* দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।


লেখক: মো. শরিফুল ইসলাম, চিকিৎসক
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন


Sunday, April 1, 2018

কেন ঘুম আসে না?


সারা দিন কর্মব্যস্ত থেকে বিছানায় যেতে মন ছটফট করে। বালিশে মাথা পেতে আরাম করে শুয়েও পড়েন অনেকে। এরপরই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক কিংবা মেইল বা নোটিফিকেশনগুলো দেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে আবার টিভিতে সিরিয়াল দেখতে শুরু করেন। কেউবা আগামী দিনের কাজগুলো মোবাইল ফোন বা ট্যাবে দেখে নেন। কেউবা গেম খেলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসগুলো শুধু ঘুম নষ্ট করে না, শরীরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঘুমিয়ে পড়া ও জেগে ওঠার বিষয়টি মস্তিষ্কের নানা সংকেতের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। নির্দিষ্ট কিছু খাবার, ওষুধ ও অভ্যাস—এই সংকেতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। রাতের ঘুম নষ্ট করে—এমন কিছু কাজ অনেকেই করেন। এ ধরনের অভ্যাস ছাড়লে সহজেই ঘুমাতে পারবেন। এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এখানে তা তুলে ধরা হলো:

১. বিছানা শুধু ঘুমের জন্য: টিভি দেখতে, ম্যাগাজিন পড়তে পছন্দ করেন? এ সময় আবার টুকটাক খাবারও খান। যাঁরা এভাবে একটু অবসর কাটান, তাঁরা অবশ্যই তা বিছানায় করবেন না। মনে করুন, বিছানা শুধু ঘুমের জন্য। অন্য কাজ অন্য ঘরে সেরে তারপর ঘুমানোর জন্য বিছানায় আসুন।

২. রাতে চা-কফি নয়: সকালটা শুরু করার জন্য চা-কফি দারুণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাতের খাবারের পর চা-কফি পান করা ঠিক নয়। মস্তিষ্কের অ্যাডিনোসিন নামের প্রাকৃতিক রাসায়নিকের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটনায় ক্যাফেইন। এই রাসায়নিক মস্তিষ্ককে তন্দ্রা জাগায় এবং পরে সক্রিয় করে।

৩. অ্যালকোহল নয়: রাতে যাঁদের ঘুম হয় না, তাঁরা ভুলেও অ্যালকোহল ছোঁবেন না। এটি গভীর ঘুম নষ্ট করে। হালকা ঘুম ও সহজে জেগে ওঠার জন্য অ্যালকোহল পান দায়ী। এতে মাথাব্যথা হয়।

৪. রাতে ধূমপান নয়: যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাঁদের ঘুম হয় হালকা। র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেম) ঘুমের পর্যায় তাঁদের কম হয়। নিকোটিনের অভাবে তাঁরা তিন-চার ঘণ্টা পরপর জেগে যান। ভালোমতো ঘুমাতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে।

৫. ঘুমের সময় ঠিক না থাকা: ঘুমের সময় নিয়মিত না হলে শরীর তা মানিয়ে নিতে পারে না। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা জরুরি। এতে মস্তিষ্ক ভালো ঘুমের জন্য প্রস্তুত থাকে।

৬. স্মার্টফোন: ঘুমানোর আগে স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার বাদ দিন। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়, যা ঘুমাতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এতে মস্তিষ্ক উত্তেজিত থাকে।

৭. ঘুম না এলেও শুয়ে থাকা: অনেক সময় আসে ঘুম আসে না। এ সময় জোর করে বিছানায় থাকলে খুব বেশি লাভ হয় না। বিছানায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালেও ঘুম আসে না। মন উদ্বিগ্ন বা বিষণ্ন থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। মস্তিষ্ক এমন কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যা ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এ অবস্থা কাটাতে মন ভালো করার বা মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। চাপ কমলে তারপর বিছানায় যান।

৮. পেটের ওপর ভর দিয়ে শোয়া: অনেকেই পেটের ওপর ভর দিয়ে শুয়ে থাকেন। এতে কাঁধ, পিঠ ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। এতে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

৯. অতিরিক্ত খাওয়া: বিছানায় যাওয়ার কাছাকাছি সময়ে অতিরিক্ত খাওয়া মানেই বদহজম ও বুকজ্বালা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি। এতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। বিছানায় যাওয়ার আগে হালকা খাবারও ঠিক নয়।

১০. ব্যায়াম বাদ দেওয়া: দৈনন্দিন ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। এতে সঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস গড়ে উঠবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় ভালো ও দীর্ঘ ঘুম দিতে পারেন।

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন