Thursday, August 30, 2018

চটজলদি ওজন কমাবে এই দুটি জিনিস


আপনি কি খুব কম সময়ে ওজন কমাতে চান? তাহলে আপনার জন্যই এই লেখাটি। কারণ এই লেখায় এমন দুটি খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে, যা ওজন কমাতে দারুণ কাজে আসে। ওজন বেশি হোক কি কম, সুস্থ থাকতে চর্বির বাড়বাড়ন্ততে লাগাম টানাটা একান্তই জরুরি। কেননা ওজন বাড়লেই নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যার অন্যতম হলো- জয়েন্ট পেইন, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি ডিজিজ বা হার্টের রোগ প্রভৃতি।

ওজন বাড়ে কেন? অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন, ঠিক মতো খাওয়-দাওয়া না করা, শরীচর্চার প্রতি অনিহা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জিনগত কারণ প্রভৃতি। তবে যে কারণেই ওজন বাড়ুক না কেন। আমরা যদি আমাদের লক্ষ সম্পর্কে সচেতন হই, তাহলে যে কোনো বাঁধা সত্ত্বেও খুব সহজেই ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

তাহলে এখন প্রশ্ন, কীভাবে চটজলদি ওজন কমানো সম্ভব? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পড়বে :
১. কমলা লেবুর রস- ১ গ্লাস
২. শসার রস- ১ গ্লাস

এই ঘরোয়া ওষুধটি প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়ম করে শরীরচর্চা করা যায় এবং ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখা যায়, তাহলে ওজন কমতে বাধ্য। প্রসঙ্গত, কমলা লেবুর রসে ভিটামিন- সি রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে, শসার রস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি হজম ক্ষমতা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে চর্বি পুড়িয়েও ওজন কমায়।

কীভাবে বানাবেন এই ঘরোয়া ওষুধটি :
১. একটা গ্লাসে পরিমাণ মতো উপাদানগুলি মেলান।
২.ভালকরে মেশান দুটি উপকরণ।
৩. আপনার ওষুধ তৈরি হয়ে গেছে।
৪. প্রতিদিন সকালে নাশতার আগে খালি পেটে এই ওষুধটি ১ বা ২ গ্লাস খেলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন। তবে অন্তত ১ মাস ওষুধটা খেতে হবে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Thursday, August 2, 2018

কাশি হলে যা খাবেন না


ঋতু পরিবর্তন বা আবহাওয়া বদলের সময় শুষ্ক বা কফ-কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিরক্তিকর এই কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিছু খাবার আছে, যা কাশি নিরাময় করে। আবার কিছু খাবার আছে, যা খেলে কাশি বেড়ে যেতে পারে। কাশির সময় যে খাবারগুলো এড়ানো দরকার, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিনিউজ। জেনে নিন সেই তালিকায় থাকা খাবারগুলো সম্পর্কে:

ক্যাফেইনযুক্ত পানি: কাশি হলে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে কফি। কাশির সময় কফি খাওয়া হলে তা গলা শুকিয়ে ফেলে। এতে কোনো কিছু গিলতে অস্বস্তি হয়।

ভাজা খাবার: যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তবে তেলে ভাজাপোড়া খাবার অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কারণ, তেল কাশি বাড়িয়ে দেয়। কড়া ভাজা খাবারও এ সময় এড়ানো উচিত, কারণ তা কাশিবর্ধক ও গলা চুলকানোর জন্য দায়ী।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং শরীরের সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, চিপস, প্যাকেটজাত নাশতার মতো খাবার কাশির সময় অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

অ্যালকোহল: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় অ্যালকোহল। এটি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে বলে এ পানীয় ঠান্ডার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কাশি হলে তাই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত।

ঠান্ডা খাবার: কাশি হলে আইসক্রিম বা শীতল পানীয়ের মতো কোনো ঠান্ডা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি শ্বাসনালি শুষ্ক করে ফেলে এবং প্রদাহ তৈরি করে। কফ ও কাশি বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা খাবার।

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন

Monday, April 30, 2018

যে খাদ্যগুলো কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক


কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত ওজন ছাড়া আরো নানা কারণে কিডনি রোগ হতে দেখা যায়।

পরবর্তীকালে যা কিডনি বিকলও করে দিতে পারে। তবে আগে থেকে সচেতন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু খাবার আছে যা কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলুন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে যেনে নিই:

রসুন
রসুন শরীরের জ্বালা এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা দেহের বিভিন্ন অসুবিধা দূরে রাখে। তবে রান্না করে খেলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না।

বাঁধাকপি
বাঁধাকপি কিডনিকে আরও কার্যকরী করে তুলতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার, ফলিক এসিড। এটি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল হার্টের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিও ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণ ওলিক এসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা অক্সিডেসন কমিয়ে কিডনি সুস্থ রাখে।

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে যা কিডনির রোগ প্রতিরোধ করে কিডনিকে সুস্থ রাখে।

আপেল
আপেল উচ্চমাত্রায় ফাইবারযুক্ত খাবার। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

পেঁয়াজ
কিডনি সুস্থ রাখার আর একটি অন্যতম উপাদান পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। যা রক্তের চর্বি দূর করে। এ ছাড়া এতে কুয়ারসেটিন আছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম ও প্রোটিন আছে যা কিডনির জন্যও বেশ উপকারী।

মাছ
মাছ খেলে দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি ‌এসিড আছে যা জ্বালা কমিয়ে কিডনিকে সুস্থ রাখে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Saturday, April 21, 2018

ধূমপানের ক্ষতি থেকে বাঁচার ঘরোয়া ওষুধ


ধূমপান করলেই যে কেবল ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এমন নয় কিন্তু! পরোক্ষ ধূমপান এর কারণেও কিন্তু ধূমপানসংশ্লিষ্ট নানা রোগ হতে পারে। আর আজকাল যেভাবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!

সিগারেটের তামাকে থাকা নিকোটিন ধীরে ধীরে ফুসফুসকে খারাপ করে। ফলে একটা সময়ে গিয়ে ফুসফুস এর ক্যান্সার সহ একাধিক মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুলফুস। এটি বিশুদ্ধ অক্সিজেনকে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। এরপরই লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেনকে বহন করে পৌঁছে দেয় শরীরের বাকি অংশে। এই প্রক্রিয়াটির করণেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন তো ফুসফুস যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।

তাহলে এখন প্রশ্ন নিকোটিনের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে কেমন ভাবে বাঁচবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে এই লেখাটি পড়তে হবে। এই লেখায় এমন একটি ঘরোয়া ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হল, যা প্রতিদিন খেলে ধুমপান-এর খারাপ প্রভাব কমতে শুরু করে। তাহলে আপেক্ষা কীসের! ঝটপট পড়ে ফেলুন বাকি লেখাটুকু।

১. একটা বড় মাপের আদার টুকরো নিন
আদায় জিঞ্জেরল নামের একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যা শরীরে প্রদাহ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ফুসফুসকে চাঙ্গা করতেও দারুন কাজে আসে।
২. দুই চামচ হলুদ
এতে রয়েছে কার্কিউমিন নামের একটি উপাদান। এটিতে একই সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৩. চারটে ছোট পিঁয়াজ
অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ থাকার কারণে নিকোটিনের প্রভাব কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পিঁয়াজ ফুসফুসের থেকে সব ক্ষতিকর বিষ বের করে দেয়। ফলে ফুসফুস ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৪. চিনি
ওষুধটি বানাতে প্রায় ২৫০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন পড়বে।
৫. পানি
এক লিটার পানি লাগবে ফুসফুস পরিষ্কার করার এই ঘরোয় ওষুধটি বানাতে।

ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি
১. একটা প্যানে এক লিটার পানি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি মেশান। তারপর পানিটা ফোটান।
২. পানি ফুটতে থাকাকালীনই আদার টুকরোটা পানিতে দিয়ে দিন।
৩. এবার পেঁয়াজটা মেশান। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজগুলি ছোট করে কেটে নিতে ভুলবেন না যেন!
৪. অল্প সময় পর হলুদ মেশান। ততক্ষণ পর্যন্ত পানিটা ফোটান যতক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
৫. এবার আঁচটা বন্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। যখন দেখবেন পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক চামচ করে এই পানিটি পান করুন টানা কয়েক মাস। তাহলেই দেখবেন ফুসফুস সুস্থ হয়ে উঠবে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Tuesday, April 10, 2018

আঙুল ছুঁলেই বুঝে যাবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত কি না!


আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানতে একটা সহজ পদ্ধতি আছে। কী সেই পদ্ধতি জানেন? একবার চেষ্টা করে দেখুন তো আপনার হাতের আঙুল পায়ের পাতা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না? এমনটা করার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার হার্ট অসুস্থ কি না। মানে! কীভাবে এমনটা সম্ভব?

একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়েছে যে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। তাই এই নিয়ে কোনও বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই যে এই পদ্ধতি বাস্তবিকই কার্যকরী। আসলে এই সব স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের সঙ্গে আর্টারির ইলাস্ট্রিসিটির একটা যোগ রয়েছে। তাই তো যারা পায়ের পাতা বা আঙুল ছুঁতে পারেন না, তাদের ব্লাড ভেসেল খুব স্টিফ হয়। ফলে এমন মানুষদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই যদি দেখেন আপনি পায়ের আঙুল ছুঁতে পারছেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেবেন। অপরদিকে যারা সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটি উপরে থেকে একেবারে নিচে এনে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্য যে বেজায় ভাল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Monday, April 9, 2018

এ নিয়মে বিট লবণ ব্যবহার করেই দেখুন!


সুন্দর কে হতে চায়। আর সেই কারণেই তো হাজার হাজার টাকা খরচ করে নানা প্রসাধনী কেনা, বিউটি পার্লারে দৌঁড়। কিন্তু জানেন কি? আপনার রান্না ঘরেই রয়েছে এমন অনেক কিছু যা আপনাকে সুন্দর করে তুলবে খুবই সহজে।

হ্যাঁ, এরকমই একটি জিনিস হল বিট লবণ। প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই পাওয়া যায় বিট লবণ। আর এই বিট লবণ খুবই কার্যকরী রূপচর্চার ব্যাপারে। তা কীভাবে ব্যবহার করবেন বিট লবণ।

> ত্বক থেকে দাগ তুলতে খুবই সাহায্য করে বিট লবণ। তাই বিট লবণ দিয়ে তৈরি প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে, খুবই কাজ দেয়।
> ত্বক থেকে মরা কোষ দূর করতেও খুবই কাজে আসে বিট লবণ।
> বিট লবণের সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্ক্রাবারের মতো ব্যবহার করুন। ত্বক থেকে দাগ দূর করতে খুবই সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
> বিট লবণের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। হালকা করে মুখে মেখে নিন। একটু পরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। রোদে পড়া দাগ তুলতে এটা খুবই সাহায্য করবে।
> বিট লবণের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। ড্রাই স্কিনের জন্য এই মিশ্রণ খুবই ভালো।
> বিট লবণের সঙ্গে কিছুটা আটা মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুবই কার্যকরী।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Saturday, April 7, 2018

শসা খান বুঝেশুনে, ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ!


গরম পড়ছে। বাড়ছে শসার চাহিদা। কিন্তু এবার একটু বুঝেশুনে খান শসা। বলছেন চিকিৎসকরাই। শসা মানেই সহজে হজম। এটাই চলতি ধারণা। কিন্তু শসা থেকেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ! আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার তথ্য।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, তিতা শসার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর বিষ। যা থেকে হার্ট অ্যাটাক বা কিডনিও বিকল হতে পারে।

তিতা শসার বিপদ
তিতা শসা খাওয়া বিপজ্জনক। কারণ তিতা শসা মানেই তা টক্সিক, বিষাক্ত বেশি শসা খেলে ডিহাইড্রেশন সমস্যা হতে পারে। শরীরে ওজন অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। শরীরে ভিটামিন সি এর আধিক্য কোষের ক্ষতি করে। শসায় পটাসিয়ামের পরিমাণও থাকে অনেকটাই বেশি।  বেশি শসা শরীরে পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা থেকে তলপেটে ব্যথা, পেটের রোগ, এবং কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। শসায় পানির ভাগ প্রায় ৯০ শতাংশ। পানির পরিমাণ বাড়ালে শরীরে ভারসাম্য নষ্ট হয়। বিঘ্নিত হয় পাচন প্রক্রিয়া।

তাই শসা খান পরিমিত। শসার তিতা অংশ অবশ্যই বাদ দিন।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Friday, April 6, 2018

মানসিক চাপ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সাত রকম ফল ও সবজি খান


ফল ও সবজির নানাবিধ স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। পুষ্টিবিদ, ডায়েট বিশেষজ্ঞরা আবারও নতুন করে নিত্যদিনের খাবারের সঙ্গে সবজি ও ফল যুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

বিশেষ করে মানসিক চাপের ঝুঁকি এড়াতে বেশি করে ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন গবেষকেরা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ফল ও সবজি খাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষকরা বলছেন, দৈনিক পাঁচ থেকে সাত রকম ফল ও সবজি খাবারে যুক্ত করলে মানসিক চাপ ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে। গবেষণায় দেখে গেছে, যাঁরা দিনে তিন বা চার পদের সবজি খান তাঁদের মানসিক চাপের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ কম থাকে। সে তুলনায় যাঁরা দিনে দুই রকম ফল খান তাঁদের মানসিক চাপের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিন নুয়েন এ-সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ লিখেছেন। যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা সাময়িকী ‘ওপেন’-এ গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।

বিন নুয়েন বলেছেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে ফল ও সবজি বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। তাই তাঁর প্রস্তাব, নারীরা ফল ও সবজি থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে পারেন।

অবশ্য, শুধু ফল খাওয়ার সঙ্গে মানসিক চাপ কমার তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি গবেষকেরা।
গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দিনে তিন-চার রকম সবজি খেলে মানসিক চাপ ১২ শতাংশ কমে। যদি সবজি ও ফল মিলে পাঁচ থেকে সাত পদ হয় তবে মানসিক চাপের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমতে দেখা যায়।

এ গবেষণার জন্য ৪৫-ঊর্ধ্ব ৬০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের ফল ও সবজি খাওয়ার হার, জীবনযাপনের অন্যান্য অনুষঙ্গ ও মানসিক চাপের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন 

রক্তে চর্বির মাত্রা কমাবেন কীভাবে?


রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে তা ধমনিতে জমা হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। আর এ থেকেই হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ইত্যাদির উৎপত্তি হয়। তাই রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরল যাতে বেড়ে না যায়, সে বিষয়ে আজকাল অনেকেই সচেতন। তাহলে চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন? কেউ বলেন রসুন চিবিয়ে খাও, কেউ বলেন অলিভ তেলে রান্না করো। আসল কথা হলো, চর্বি যাতে না বাড়ে সে জন্য কিছু খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে, কিছু খাবার খেতে হবে কম। জেনে নিন কয়েকটি তথ্য:
১. সম্পৃক্ত চর্বি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। গরু বা খাসির মাংস এবং ঘি-মাখনে যে চর্বি থাকে, সেটাই সম্পৃক্ত চর্বি। এগুলো বর্জন করুন। আর উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বি আছে মাছের তেল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে। ট্রান্সফ্যাটও কম খেতে হবে। বেকারির খাবার ও ফাস্ট ফুডে তেল উচ্চতাপে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড হয়ে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়।

২. আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খাবেন। যেমন: যব, ভুট্টা, লাল আটার রুটি, ফলমূল, শাকসবজি। এগুলো আপনার রক্তে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

৩. উদ্ভিজ্জ স্টেরল ও স্টেনল উপাদান রক্তে চর্বি শোষণে বাধা দেয় ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ফলের রস, টক দই, তাজা শাকসবজিতে পাওয়া যাবে এই উপাদান।

৪. নিজের জন্য জুতসই খাদ্যতালিকা নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। অন্যের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে অনেক সময় লাভ হয় না। কঠোর খাদ্যতালিকার চেয়ে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন আনলেই উপকার মেলে।

৫. তারপরও রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে এবং আপনার হৃদ্রোগের অন্যান্য ঝুঁকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে চর্বি কমানোর ওষুধ সেবন করাই ভালো।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Wednesday, April 4, 2018

ঘি খাওয়ার নামে হাড়ের গুড়ো খাচ্ছেন না তো!


সাম্প্রতীক বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, রাস্তার বেশিরভাগ খাবারে যে তেল, ঘি বা ডালডা ব্যবহার করা হয়, তার বেশিরভাগই হাড়ের গুঁড়ো, পাম তেল এমনকী মারাত্মক সব কেমিকেল দিয়ে বানানো হয়। যা দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে ভয়ঙ্কর সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়।

নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন? দাঁড়ান দাঁড়ান অবাক হতে তো এখনও ঢের দেরি। একবার যদি চোখ রাখেন বাকি লেখায়, তাহলে একথা হলফ করে বলতে পারি আর কোনও দিন রাস্তার খাবার খাবেন না। এমনকী ঘি-ও মুখে তুলবেন কিনা সন্দেহ।
তথ্য ১:
বিষাক্ত ঘি বারে বারে খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বহু গুণে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, রক্ত প্রবাহ বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। তাই এখন থেকে আর যেখান-সেখান থেকে ঘি কিনবেন না। না হলে যে কোনও সময় যে কোনও একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে।

তথ্য ২:
হাড়ের গুঁড়ো মেশান ঘি খেলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, এমন বিষাক্ত ঘি থেকে সারা শরীরে ঘা হতে পারে, হজম ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমনকী লিভার এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

তথ্য ৩:
ঘি-তে যদি লিড অ্যানিমিয়ার মতো টক্সিনের মাত্রা যদি বেশি থাকে, তাহলে তা থেকে মস্তিষ্কের নানা রোগ হতে পারে।

তথ্য৪:
বিষাক্ত ঘিতে যদি ক্যাডমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, তাহলে তা শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়। এই বিষাক্ত উপাদানটি ইউরিনারি ট্রাক্ট এবং কিডনিরও মারাত্মক ক্ষতি করে।

তথ্য ৫:
আর যদি ক্রোমিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে লিভার আর হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর যদি এই ক্ষতিকর উপাদানটি প্রতিদিন শরীরে প্রবেশ করে তাহলে বিষক্রিয়া হয়ে মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে।

তথ্য ৬:
ঘি-তে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের যদি এই খাবারটি খেতে খুব ইচ্ছা হয়, তাহলে ভাল কোম্পানির ঘি কিনে খাবেন, যেখান সেখান থেকে একেবারেই কিনবেন না।

তথ্য ৭:
বিষাক্ত ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ, যেমন- ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ প্রভৃতিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন 

লো প্রেশার হলে কী করবেন?


নিম্ন রক্তচাপ হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

রক্তচাপ কমে যাওয়া, লো প্রেশার, লো ব্লাড প্রেশার কিংবা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। অনেকেই মনে করেন দুর্বল স্বাস্থ্য যাঁদের, তাঁরা নিম্ন রক্তচাপে ভুগে থাকেন। এটা সত্য নয়। স্থূল মানুষেরও নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেশার থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মু. সালাউদ্দিন বলেন, সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি. মি. মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি. মি. মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। প্রেশার যদি খুব বেশি নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে অসুস্থতা দেখা দেয়। তাই প্রেশার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। আমাদের শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেশারও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেশার হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের কারণ
* কোনো কারণে পানিশূন্যতা হওয়া।
* ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া।
* খাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খাওয়া।
* ম্যাল অ্যাবসরবশন বা হজমে দুর্বলতা।
* কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত থাকা।
* শরীরে হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা।
* রক্তশূন্যতা।

শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেশার দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ছয় মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেশার হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ
মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা বা সরষে ফুলের মতো দেখা বা চোখে ঝাপসা দেখা, শারীরিক দুর্বলতা এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃৎস্পন্দন, নাড়ি বা পালসের গতি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনি লো ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত হয়েছেন।

লো নাকি হাই প্রেশার—কোনটি বেশি খারাপ?
দুটোই খারাপ, তবে যখন প্রশ্ন করা হয় কোনটি বেশি খারাপ? নিঃসন্দেহে লো প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপ বেশি খারাপ। কারণ, হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে বা কোনো কারণে প্রেশার কমে গেলে তাৎক্ষণিক শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে। এ জন্যই ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা রোধে শিরায় স্যালাইন দেওয়া হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

চিকিৎসা
লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয়, তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই লো প্রেশার ঠিক হয়ে যায়। তবে যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপ আছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়
* নিম্ন রক্তচাপের ভুক্তভোগীরা অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকবেন না।
* অনেকক্ষণ ধরে বসে বা শুয়ে থাকার পর ওঠার সময় সাবধানে ও ধীরে ধীরে উঠুন।
* ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
* খাবার সময় পাতে এক চিমটি করে লবণ খেতে পারেন।
* দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।


লেখক: মো. শরিফুল ইসলাম, চিকিৎসক
সৌজন্যে- প্রথম-আলো অনলাইন


Sunday, April 1, 2018

কেন ঘুম আসে না?


সারা দিন কর্মব্যস্ত থেকে বিছানায় যেতে মন ছটফট করে। বালিশে মাথা পেতে আরাম করে শুয়েও পড়েন অনেকে। এরপরই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক কিংবা মেইল বা নোটিফিকেশনগুলো দেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে আবার টিভিতে সিরিয়াল দেখতে শুরু করেন। কেউবা আগামী দিনের কাজগুলো মোবাইল ফোন বা ট্যাবে দেখে নেন। কেউবা গেম খেলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসগুলো শুধু ঘুম নষ্ট করে না, শরীরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঘুমিয়ে পড়া ও জেগে ওঠার বিষয়টি মস্তিষ্কের নানা সংকেতের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। নির্দিষ্ট কিছু খাবার, ওষুধ ও অভ্যাস—এই সংকেতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। রাতের ঘুম নষ্ট করে—এমন কিছু কাজ অনেকেই করেন। এ ধরনের অভ্যাস ছাড়লে সহজেই ঘুমাতে পারবেন। এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এখানে তা তুলে ধরা হলো:

১. বিছানা শুধু ঘুমের জন্য: টিভি দেখতে, ম্যাগাজিন পড়তে পছন্দ করেন? এ সময় আবার টুকটাক খাবারও খান। যাঁরা এভাবে একটু অবসর কাটান, তাঁরা অবশ্যই তা বিছানায় করবেন না। মনে করুন, বিছানা শুধু ঘুমের জন্য। অন্য কাজ অন্য ঘরে সেরে তারপর ঘুমানোর জন্য বিছানায় আসুন।

২. রাতে চা-কফি নয়: সকালটা শুরু করার জন্য চা-কফি দারুণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাতের খাবারের পর চা-কফি পান করা ঠিক নয়। মস্তিষ্কের অ্যাডিনোসিন নামের প্রাকৃতিক রাসায়নিকের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটনায় ক্যাফেইন। এই রাসায়নিক মস্তিষ্ককে তন্দ্রা জাগায় এবং পরে সক্রিয় করে।

৩. অ্যালকোহল নয়: রাতে যাঁদের ঘুম হয় না, তাঁরা ভুলেও অ্যালকোহল ছোঁবেন না। এটি গভীর ঘুম নষ্ট করে। হালকা ঘুম ও সহজে জেগে ওঠার জন্য অ্যালকোহল পান দায়ী। এতে মাথাব্যথা হয়।

৪. রাতে ধূমপান নয়: যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাঁদের ঘুম হয় হালকা। র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেম) ঘুমের পর্যায় তাঁদের কম হয়। নিকোটিনের অভাবে তাঁরা তিন-চার ঘণ্টা পরপর জেগে যান। ভালোমতো ঘুমাতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে।

৫. ঘুমের সময় ঠিক না থাকা: ঘুমের সময় নিয়মিত না হলে শরীর তা মানিয়ে নিতে পারে না। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা জরুরি। এতে মস্তিষ্ক ভালো ঘুমের জন্য প্রস্তুত থাকে।

৬. স্মার্টফোন: ঘুমানোর আগে স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার বাদ দিন। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়, যা ঘুমাতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এতে মস্তিষ্ক উত্তেজিত থাকে।

৭. ঘুম না এলেও শুয়ে থাকা: অনেক সময় আসে ঘুম আসে না। এ সময় জোর করে বিছানায় থাকলে খুব বেশি লাভ হয় না। বিছানায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালেও ঘুম আসে না। মন উদ্বিগ্ন বা বিষণ্ন থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। মস্তিষ্ক এমন কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যা ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এ অবস্থা কাটাতে মন ভালো করার বা মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। চাপ কমলে তারপর বিছানায় যান।

৮. পেটের ওপর ভর দিয়ে শোয়া: অনেকেই পেটের ওপর ভর দিয়ে শুয়ে থাকেন। এতে কাঁধ, পিঠ ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। এতে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

৯. অতিরিক্ত খাওয়া: বিছানায় যাওয়ার কাছাকাছি সময়ে অতিরিক্ত খাওয়া মানেই বদহজম ও বুকজ্বালা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি। এতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। বিছানায় যাওয়ার আগে হালকা খাবারও ঠিক নয়।

১০. ব্যায়াম বাদ দেওয়া: দৈনন্দিন ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। এতে সঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস গড়ে উঠবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় ভালো ও দীর্ঘ ঘুম দিতে পারেন।

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন

Saturday, March 31, 2018

কোলেস্টেরল কমানোর সঠিক খাবার


শরীরে উচ্চমাত্রায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি রসুন, আমলকী ও মেথির মতো খাবার কাজে লাগতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার দৈনন্দিন ডায়েট ভালো স্বাস্থ্যের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উচ্চমাত্রার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে যেসব খাবার কাজে লাগাতে পারেন, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। চলুন জেনে আসি এসব খাবার সম্পর্কে:

রসুন

রসুন
রান্নাঘরেই পাবেন রসুন। স্বাস্থ্যকর রসুনের গুণাগুণ অনেকের জানা। রসুনে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ ও অর্গানোসালফার যৌগ। এই যৌগ ঔষধি গুণ হিসেবে কাজ করে। বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে বাজে কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর রসুন। এটি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর রসুন দৈনিক অর্ধেক বা এক কোয়া করে খেলে কোলস্টেরলের মাত্রা ৯ শতাংশ কমতে দেখা যায়।

গ্রিন টি
গ্রিন টি
গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে আছে পলিফেনল। এটি মানুষের শরীরে দারুণ উপকার দেয়। এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেদ কোষে বেশি শর্করা ঢুকতে পারে না। ফলে এই চা আমাদের শরীরের ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ধনে
ধনে
আমাদের দেহে এলডিএল নামক একধরনের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে, যা দেহের শিরা-উপশিরার দেয়ালে জমে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলে সমস্যা বাড়ায়। এর কারণে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ধনে এই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। আবার দেহের জন্য ভালো বা উপকারী একধরনের কোলেস্টেরল, এইচডিএলর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে এই ধনে।

মেথি
মেথি
মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটিই বলা চলে। স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি ও তারুণ্য ধরে রাখার বিস্ময়কর এক ক্ষমতা। যাঁরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের বুড়িয়ে যাওয়ার গতিটা অত্যন্ত ধীর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে। বিশেষত কৃমি মরে। রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। ডায়াবেটিসের রোগী থেকে শুরু করে হৃদ্‌রোগের রোগী পর্যন্ত সবাইকে তাঁদের খাবারে মেথি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আমলকী
আমলকী
টক আর তেতো স্বাদে ভরা আমলকী গুণে-মানে অতুলনীয়। ফলটি শুধু ভিটামিন আর খনিজ উপাদানেই ভরপুর নয়, বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করায়ও রয়েছে অসাধারণ গুণ। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আমলকীর জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা। নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় হৃদ্‌যন্ত্র ভালো থাকে।

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন

Friday, March 30, 2018

ক্যান্সারের আগাম কিছু লক্ষণ জানুন


সারা বিশ্বেই বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে দিন দিন। খাবারে ভেজাল, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনসহ নানা কারণে কান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন যেকোনো মানুষ। অনেক সময় ক্যান্সারের লক্ষণ ভালোভাবে না জানার কারণে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্সার। যা বেশিমাত্রায় ছড়ানোর পর চিকিৎসা করে ভালো করা সম্ভব হয় না। ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে ভালোভাবে জানলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সারকে নির্মূল করা সম্ভব হয়। তাই সঠিক সময়ে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু লক্ষণ। 

১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
সমস্যা হলো কোনো প্রকার ডায়েটিং কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে ওজন কমতে থাকলে। এবং বেশিমাত্রায় কমতে থাকলে। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য যাওয়া দরকার। 

২. ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি হওয়া
হঠাৎ যদি টানা জ্বর ওঠা এবং কাশি থাকা শুরু করে তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারন ক্রমাগত জ্বর ওঠা এবং কাশি হতে পারে ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমা, লিউকোমিয়ার লক্ষণ। ক্রমাগত জ্বর এবং কাশি থাকা অবহেলা করবেন না কখনোই। 

৩. মাথা এবং মেরুদণ্ড ব্যথা
একটানা অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। ডাক্তারের কাছে পরামর্শর জন্য চেকআপ করান। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হতে পারে 'ব্রেইন ক্যান্সারের' লক্ষণ। আবার একটানা বসে থাকলে পিঠ না মেরুদণ্ড ব্যথা হয় বলে আমরা মেরুদণ্ড ব্যথাকে পাত্তা দেই না। কিন্তু এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ।

৪. চামড়ার নিচে ফোলা বা দলা
ক্যান্সারের প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শরীরের চামড়ার নিচে গুটি গুটি হয়ে ফুলে ওঠা বা দলা পাকানো গোটার মতো অনুভব করা। তবে এই গুটিগুলো বুক বা বুকের আশপাশে অথবা যৌনাঙ্গে দেখা দিলে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন হাত, পায়ে দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই। 

৫. অস্বাভাবিক রক্তপাত
কফ বা কাশির সাথে রক্ত যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া প্রস্রাব-পায়খানার সাথে রক্ত পড়াও হতে পারে ব্লাডার ক্যান্সারের কারণ। স্তন থেকে রক্ত পড়া স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব লক্ষণ দেখার সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। 

৬. ত্বকে পরিবর্তন
চামড়ায় ছোট ছোট দানা হওয়া কিংবা শরীরের চামড়ার মাঝে মাঝে রংয়ের পরিবর্তন, কোনো কারণ ছাড়াই জখমের মতো দাগ হওয়া সবই মেলানোমার লক্ষণ। অর্থাৎ চামড়ার ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসব দাগ কিংবা পরিবর্তনের দিকে লক্ষ রাখুন। চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তনে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। 

৭. দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া
বিশ্রাম নেওয়ার পরও এই ক্লান্তি দূর হয় না বলে আমরা ভাবি আমাদের পরিমিত বিশ্রাম হচ্ছে না। কিন্তু আমরা ভাবতেও পারি না এটিও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। সামান্যতেই ক্লান্ত এবং অবসাদবোধ হওয়াকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Sunday, March 25, 2018

পেট কমাবেন কীভাবে?


ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি থেকে শুরু করে নানা কসরত করছেন, তবু পেটের চর্বি বা মেদ কমছে না। এ সমস্যা অনেকের। এ বিষয়ে কয়েকটি তথ্য:

* সাঁতার কাটুন, হাঁটুন। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামে ধীরে ধীরে পেটের মেদ কমবে। 

* বিনোদনমূলক ব্যায়াম হিসেবে নাচের অভ্যাস মন্দ নয়। ঘরের ভেতর একা একা এটা করা যায়। 

* যাঁদের পেট খুব থলথলে, তাঁদের কখনোই পেটে চাপ দিয়ে ব্যায়াম করা উচিত নয়। বেশি চাপের কারণে হার্নিয়া হয়ে যেতে পারে। 

* বসা, শোয়া বা যেকোনো অবস্থায়ই পেটের মাংসপেশির সংকোচন করতে পারেন। প্রতিদিন দু-তিন দফায় পাঁচবার করে এ ব্যায়াম অনুশীলন করুন। 

* সাইকেল চালাতে পারেন অথবা শোয়া অবস্থায় দুই পায়ের সাহায্যে সাইকেল চালনার অঙ্গভঙ্গি করুন। 

* শোয়া অবস্থা থেকে মাথা উঠিয়ে ধীরে ধীরে দুই হাতের সাহায্যে দুপায়ের পাতা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। প্রথমে পায়ের পাতা পর্যন্ত যেতে না পারলে হাঁটু ভাঁজ করা অবস্থায় শুয়ে ব্যায়ামটি শুরু করুন। ধীরে ধীরে মাথা উঠিয়ে দুই হাতের সাহায্যে দুই হাঁটু স্পর্শ করুন। ব্যায়ামটি করতে করতে আপনি শোয়া থেকে বসা অবস্থায় চলে আসবেন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পা সোজা রেখে পায়ের পাতা স্পর্শ করতে চেষ্টা করুন। আবার এই ব্যায়ামে ডান হাত দিয়ে বাম পায়ের পাতা এবং বাম হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতাও ধরতে চেষ্টা করতে পারেন। 

* উপুড় হয়ে শুয়ে শরীরটাকে ধনুকের মতো বাঁকা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে সোজা হোন। 

* দাঁড়ানো অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে ঝুঁকতে থাকুন। হাঁটু ভাঁজ না করে দুপায়ের পাতা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে দুই পা ফাঁকা করে ডান হাত দিয়ে বাম পায়ের পাতা এবং বাম হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতাও ধরতে চেষ্টা করুন। প্রতিদিন দুই দফায় পাঁচবার করতে পারেন।

* শুয়ে থেকে পা দুটোকে সোজাভাবে ওপরের দিকে ওঠান। পা ওঠানোর সময় ঘাড় ওঠালে আরও ভালো। একবার বাম পা এবং একবার ডান পা উঠিয়েও ব্যায়ামটি করা যায়। প্রতিদিন দুই দফায় পাঁচবার।

* শুয়ে থাকা অবস্থায় দু-পা, দু-হাত ও মাথা ওঠান। এই ব্যায়ামের সময় হাত ও পা বেশ কাছাকাছি আনতে হবে। প্রতিদিন দুই দফায় পাঁচবার।

অধ্যাপক সোহেলী রহমান
বিভাগীয় প্রধান
ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলইন

Friday, March 23, 2018

ঘুম থেকে উঠে কখনোই যা করবেন না!


কথাই তো আছে, সকারটাই বলে দেবে আপনার আজকের দিন কেমন যাবে। দিনটা আপনি কীভাবে শুরু করছেন তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। জানি, সবটা আমাদের হাতে থাকে না। কিন্তু এমন অনেক কিছুই আছে, যা দিয়ে শত ব্যস্ততার মধ্যেও নির্ঝঞ্ঝাট রাখতে পারে আপনার গোটা দিন। যেকোনো চ্যালেঞ্জই আপনি কেড়ে নিতে পারেন হাসি মুখে…

১. সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠাটা কিন্তু খুব জরুরি। শুধু শরীর ভালো থাকে, তেমনটাই নয়। মনও চাঙা রাখে।

২. চোখ খুলেই দুই হাত পাশাপাশি রেখে তালুর দিকে তাকান। চোখ খুলেই প্রথম দেখুন নিজের হাতের রেখা। মনে মনে স্রষ্টার নাম স্মরণ করুন। এর ফলে ভাগ্যর বাধা কেটে যায়, এমনটাই বলছে শাস্ত্র।

৩. ঘুম ভেঙে উঠে অন্য কারও মুখ না দেখাই ভালো। তবে সকাল সকাল আয়নায় নিজের মুখ দেখাকেও অনেকেই দিনভর নেগেটিভ এনার্জির কারণ বলে মনে করেন।

৪. যে শক্তিতে আপনার সবথেকে বেশি ভরসা, প্রথম তাকেই দেখুন। হতে পারেন তিনি স্রষ্টা বা হতে পারেন তিনি আপনার মা।

৫. ঘুম ভাঙতেই গুটিসুটি মেরে বিছানায় পড়ে থাকবেন না। হাত-পা মেলুন। নিজেকে যত প্রসারিত করবেন ততই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। দিনভর তা আপনাকে খুশি রাখবে।

৬. চোখ খুলতেই কি হাতের সামনে এক কাপ গরমাগরম কফি আপনার চাই-ই? প্লিজ! এই অভ্যাসটা এখনই বদলান। কারণ সকাল ৮-৯টার মধ্যে আমাদের শরীরে এনার্জিবর্ধক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ হয়। তাই সকাল সাড়ে ৯টার আগে যদি আপনি কফির কাপে চুমুকখানা মেরে দেন, তা হলে সবই গেল!

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন

Friday, March 16, 2018

হৃদরোগের আগাম লক্ষণগুলো জেনে নিন


স্বাস্থ্যগত কোনো গোলযোগ দেখা গেলেই আমাদের শরীর নানাভাবে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তেমনি হৃৎপিণ্ড ঠিকমতো কাজ না করলেও নানা লক্ষণ দেখা দেয়। কী সেই সব লক্ষণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক:
১. গোড়ালি ফুলতে শুরু করবে
হার্ট ঠিকমতো কাজ না করলেই শরীরে পানি জমবে। বিশেষত পায়ের গোড়ালিতে। ফলে শরীরের এই অংশটা ফুলতে শুরু করবে। এই অবস্থাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় ইডিমা বলা হয়ে থাকে।

২. মাথা যন্ত্রণা
যদি দেখেন টানা ২ মাস ধরে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ অনেক সময় হার্টের রোগের লক্ষণ হিসেবেই এমন সমস্যা দেখা যেতে পারে।

৩. ক্লান্তি
হার্ট ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে অনেক সময়ই ক্লান্তি বোধ খুব বেড়ে যায়। তাই যদি দেখেন বেশ কয়েক দিন ধরেই কাজ করার ইচ্ছা একেবারে চলে গেছে, সেই সঙ্গে সব সময়ই শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে, তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আসলে হার্ট ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তর অভাব দেখা দেয়। ফলে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যে কারণে ক্লান্তি বোধ খুব বেড়ে যায়।

৪. তলপেটে যন্ত্রণা
হার্টের অবস্থা ভালো না হলে অনেক সময়ই তলপেটে ক্র্যাম্প বা যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। তাই যদি দেখেন মাঝে মধ্যেই এমন সমস্যা হচ্ছে, একেবারেই হালকা ভাবে নেবেন না।

৫. পিঠের ওপরের দিকে ব্যথা
যেমনটা আগেও বলেছি যে হার্ট যখন ঠিকমতো নিজেকে পাম্প করতে পারে না, তখন শরীরে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের অভাব দেখা দেয়। আর এমনটা হলেই যে যে লক্ষণ দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো, পিঠের উপরিঅংশে ব্যথা বা স্টিফনেস। তাই যদি দেখেন দীর্ঘদিন ধরে এমন সমস্যা হচ্ছে, সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

৬. কাশি
রেসপিরেটরি ইনফেকশন হয়নি, তাও রাত্রি-দিন কাশি হয়ে চলেছে! সাবধান হন এখন থেকেই। কারণ হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করলেই সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে।

৭. খিদে কমে যাওয়া
হার্ট যে দুর্বল হয়ে পরছে, তা বোঝার প্রথম উপায় হলো, খেয়াল রাখুন খিদে আগের মতো আছে কিনা। যদি দেখেন খাওয়ার ইচ্ছা একেবারেই চলে গেছে, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। তাহলে এক্ষুনি সাবধান হন। না হলে কিন্তু বিপদ!

সূত্র : ফক্স নিউজ অবলম্বনে কালের কণ্ঠ অনলাইন 

Wednesday, March 14, 2018

মন প্রফুল্ল রাখার ৮ উপায়


সবাই তো সুখী হতে চায়—মান্না দের সেই চিরন্তন গানের কথা যদি আসলেই বাস্তব হতো! ইশ্‌! সুখ—কোথায়? মনোবিজ্ঞান বলে, উৎফুল্ল জীবনই আপনি কতটা সুখী অনেকটা তাই প্রকাশ করে। সুখী হতে চাইলে উৎফুল্ল মনন আর শরীর তৈরি করুন, তখনই মান্না দের গানের সেই সুখী মানুষটি হতে পারবেন আপনি। কীভাবে প্রফুল্ল মনন তৈরি আর সুখী হওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হয় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ হেলালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আবেগের ওপর আমরা আসলে কতটা সুখী, তা নির্ভর করে। আপনি যদি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে দারুণ এক উৎফুল্ল জীবন তৈরি করতে পারবেন। সুখী হওয়ার জন্য ইতিবাচক জীবনধারা বিকাশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। একদিন হুট করেই সকালবেলা আপনি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে সুখী দাবি করতে পারবেন না। আপনার নিয়মিত অভ্যাস আর জীবনধারার ওপর নির্ভর করে আপনার উৎফুল্ল মননের শক্তি, এই শক্তিই আসলে আপনার সুখ!’ হার্ভার্ড সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ট্যাল বেন-শাহারের নিবন্ধ অনুসারে জানা যায়, নেতিবাচক কিছু আচরণ ও আবেগ পরিহারে উৎফুল্ল মন তৈরি করা যায়। সুখী হওয়ার জন্য নেতিবাচক আচরণ পরিহারের অভ্যাস আপনার সুখের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেবে।

উৎফুল্ল ও সুখী হতে যে আবেগ ও অভ্যাস পরিহার করবেন

১. নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন। নিজেকে নিয়ে হুমকি কিংবা অনিরাপদবোধ করবেন না। কর্মস্থলে নিজেকে নিয়ে অনিরাপদ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কিছু চিন্তা করলে তা আপনার শরীর আর মনের ওপর ভর করে বসবে। এতে আপনি আরও বেশি হতাশ ও নিরুৎসাহী হয়ে যাবেন। ফলাফল হিসেবে ইনসমনিয়া হতে পারে আপনার।

২. ক্রমাগত আত্মগ্লানিতে ভুগবেন না। এ ধরনের অভ্যাসে আপনি অমনোযোগী হয়ে উঠবেন। এতে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা কমে যাবে।

৩. অতৃপ্তিতে ভুগবেন না। এ ধরনের অভ্যাস একবার আপনার ওপর ভর করলে তা ছাড়ানো অনেক কষ্টের। কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য অতৃপ্তি আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়। কিন্তু কারণ ছাড়া সবকিছুতে অতৃপ্তি, ‘আমার কিছু নাই’, ‘আমার কিছু হবে না’—এমন ভাবনা আমাদের মনে হতাশা তৈরি করে।

৪. ক্ষতিকর আসক্তি তৈরি করবেন না। নিজের কাজে দেয় না এমন কোনো অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়লে আমাদের মন বিগড়ে যায়। মন থেকে তখন মস্তিষ্কে বার্তা পাঠানো হয়, ‘আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না।’

৫. রেগে গেলে হারিয়ে যাবেন! রাগলে হেরে যায় মানুষ, এমনটা সব সময় শুনি আমরা। কিন্তু রাগলে আসলে আমরাই হারিয়ে যাই। যারা অল্পতেই রেগে যায় তাদের সঙ্গে কেউ আড্ডা দেয় না, গল্প করে না—তারা আসলে এভাবেই অন্যদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।

৬. পরশ্রীকাতরতা এড়িয়ে চলুন। অন্যকে হিংসা করলে আপনি সুখী হতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, অন্যকে হিংসা করলে আপনি নিজেকে নিচু ভাবা শুরু করবেন। অন্যের সাফল্যকে হিংসা করলে নিজেকেই ছোট করা হয়।

৭. অহেতুক ভয় পাবেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমরা অনেক কিছুর ভয় কল্পনা করি। একটা কাগজে ভয় আর ঝুঁকিগুলো লিখে ফেলুন, তারপর দেখুন কোনটি বাস্তবায়ন করলে ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।

৮. লজ্জার ভয় করবেন না। নতুন কোনো কাজ করার সময় অন্যরা কী বলবে, সেই লজ্জায় আমরা অনেক কিছু করতে চাই না। বিব্রত হওয়ার ভয়ে আসলে নিজের লক্ষ্যকে ছোঁয়া যায় না। যারা আপনাকে লজ্জা দেয়, তাদের সঙ্গ পরিহার করুন।

গ্রন্থনা: জাহিদ হোসাইন খান

ক্র্যাশ ডায়েট, করব নাকি করব না!


কয়েক দিন পরই একটা উৎসব বা অনুষ্ঠান। অথচ ওজনটা একটু বেশিই লাগছে। কমাতে চাইছেন খুব দ্রুত তাই বেছে নিলেন একটা ক্র্যাশ ডায়েট, যা সাত দিন বা পনেরো দিনে ওজন কমিয়ে দেবে। তাতে কমেও গেল অনেকটা ওজন। কিন্তু খুব তাড়াহুড়ো করে ওজন কমানোর এই ডায়েট আসলে শরীরের জন্য কতটা উপকারী আর কতটা ক্ষতি করছে, সেটাও জেনে নিতে হবে আগে থেকেই।

ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘আপনি সাত দিন বা পনেরো দিনের একটা ডায়েট চার্ট দেখে বা তাদের দেওয়া পদ্ধতিতে ব্যায়াম করে ওজনটা কমিয়ে নিলেন। তাতে কিছুদিনের মধ্যেই আগের কমানো ওজন বেড়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় কয়েক দিনের মধ্যে ওজন কমানোতে অনেকেই আবার সেই পুরোনো ডায়েট চার্ট অনুসরণ করছেন। ভাবছেন, একবার যখন এতটা কমেছে, আবার করি আবার কমবে। এতে কিন্তু উপকার হচ্ছে না বরং শরীরে তৈরি হচ্ছে নানা উপাদানের অভাব। পুষ্টিহীনতা থেকে তৈরি হতে পারে মাথা ঘোরানো, বমি হওয়াসহ আরও নানা ধরনের অসুস্থতা।’

ক্র্যাশ ডায়েটে অনেকেই না খেয়ে থাকেন। খুব অল্প সময়ে ওজন কমানোর জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়। অতিরিক্ত না খেয়ে থাকা আর পরিশ্রমকে একধরনের নেতিবাচক কাজ হিসেবেই দেখেছেন শামসুন্নাহার নাহিদ। তিনি বলেন, ওজন কমানোর জন্য কেউ যখন হুট করে তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলে, তখন তা শরীরে নানা ঘাটতি তৈরি করে। নানা ধরনের সমস্যা তৈরির এই ডায়েটের থেকে কেউ যদি নিয়মিত ব্যায়াম করে আর পরিমিত খাবার খায়, তাহলে কিন্তু এমনিতেই অনেকটা ওজন কমতে শুরু করবে।

তাই ওজন কমাতে ক্র্যাশ ডায়েট বা অতিরিক্ত দ্রুত সময় ওজন কমানোর কথা না ভেবে না কাজ না করে পরিমিত খাবার খেয়ে, ব্যায়াম করে আর ডিটক্স ওয়াটারের সাহায্যে ওজন কমানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন অবলম্বনে দিলরুবা শারমিন

Tuesday, March 13, 2018

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যে ১০টি খাদ্য


আধুনিক শহুরে নিষ্ক্রিয় জীবনযাপনপদ্ধতি আমাদের জন্য একটি নতুন স্বাস্থ্যবিষয়ক টার্ম উপহার দিয়েছে। আর সেটি হলো জীবনযাপনের ধরনসংশ্লিষ্ট রোগবালাই। তবে জীবনযাপনপদ্ধতিতে সামান্য একটু পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই রোগবালাইগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব।

জীবনযাপন পদ্ধতিসংশ্লিষ্ট সচরাচর একটি রোগ হলো উচ্চরক্তচাপ। খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করা এবং কিছু খাবার খাওয়া বাদ দেওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আপনি হয়ত লবণ খাওয়া কমিয়ে দিয়ে বা প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এ ছাড়াও আপনার অজানা এবং কার্যকর কিছু পদ্ধতি আছে।

এখানে রইল এমন ১০টি খাদ্যের বিবরণ যেগুলো রক্তচাপ কমাতে সহায়ক:

১. আঙুর
পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের বড় একটি উৎস আঙুর। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আঙুর খুবই কার্যকর ওষুধ। পটাশিয়াম একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক উপাদান। যা আপনার কিডনিকে বেশি বেশি সোডিয়াম ত্যাগে উৎসাহিত করবে। এবং রক্তের শিরা-উপশিরাগুলো শিথিলকরণেও ভূমিকা পালন করে এটি। আর দুটি উপাদানই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

২. কলা
পটাশিয়ামের আরেকটি বড় উৎস হলো কলা। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেশিয়াম। সুতরাং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই কলা খান। জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিনি ১,৬০০ গ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণ করেন তাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ২১% কমে আসে।

৩. কাঁচা পেয়াজ/পিয়াজের জুস
রসুনে আছে মাংসপেশি শিথিলকারী উপাদান অ্যাডেনোসিন যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রতিদিন কাঁচা পেয়াজ খান। অথবা দিনে দুবার এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। এভাবে দুই সপ্তাহ খেলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

৪. রসুন
ধমনী এবং রক্তের শিরা-উপশিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল গলাতে কার্যকর রসুন। প্রতিদিন রসুনের দুটি কোয়া চূর্ণ করে বা চিবিয়ে খান। রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে রসুন বেশ কার্যকর। আপনি যদি কাঁচা রসুন খেতে না পারেন তাহলে রস বের করে পানিতে মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন দুবার রসুন খান।

৫. নারকেলের পানি
নারকেলের পানিতে আছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যেগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসার সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ।

৬. তরমুজ/তরমুজ বীজ
তরমুজের রসে আছে আরজিনিন নামের একটি অ্যামাইনো এসিড যা রক্তচাপ কমাতে বেশ সহায়ক। এটি রক্তের জমাটবদ্ধতা কমায় এবং স্ট্রোকসহ হৃদপিণ্ডের নানা রোগ প্রতিরোধ করে। তরমুজের বীজও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজের বীজে রয়েছে কিউকারবোট্রিন নামের একটি গ্লুকোসাইড যা রক্ত প্রসারণে সহায়ক এবং ফলত রক্তচাপ কমায়।

৭. ধনিয়া
ধনিয়া পাতাতে আছে জীবাণুনাশক এবং মানসিক অবসাদ, প্রদাহ ও উদ্বেগপ্রতিরোধী উপাদানসমুহ। ধনিয়া পাতা রক্তে সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ কমায় প্রাকৃতিকভাবেই। আর এতে আরো রয়েছে মূত্রবর্ধক উপাদান।

৮. পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতাতে রয়েছে এমন উপাদান যা ধমনির প্লাক দূর করে। ধমনিতে জমা হওয়া প্লাক উচ্চরক্তচাপের একটি বড় কারণ। প্লাক দূর হলে রক্ত চলাচলের গতি বাড়ে। যার ফলে রক্তচাপও কমে আসে।

৯. লেবু
লেবু ভিটামিন সির বড় একটি উৎস। ভিটামিন সি কৈশিক নাড়ি শক্তিশালীকরণে সহায়ক। যার ফলে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমে।

১০. সেলারি শাক
এতে রয়েছে এনবিপি নামের একটি নির্যাস। যা ধমনির দেয়ালগুলোকে শিথিল করে এবং রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। ফলে রক্তচাপও কমে। এতে রয়েছে আঁশ, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

সৌজন্যে- টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে কালের কণ্ঠ অনলাইন