Wednesday, March 20, 2019
পাতার রসে বেরিয়ে আসবে কিডনির পাথর!
পাতার এমন গুণ যে, পাতার রসে কিডনির পাথর গলে বেরিয়ে আসে! কথাটি বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি। আজ রয়েছে এমন বিস্ময়কর কয়েকটি গুণাগুণের কথা।
এসব পাতার মধ্যে অন্যতম হলো তুলসী। এটি আমাদের সবার পরিচিত একটি ঔষধিগাছ। এই গাছের পাতায় বহু রোগ সারানোর উপকারিতা বিদ্যমান। তুলসী পাতার রস কিংবা চা প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা একেবারেই কমে যায়। যদি কিডনিতে পাথর জমে তাহলে তুলসী পাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই পাথর এক সময় গলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে!
তাছাড়াও সর্দি, কাশি, কৃমি, প্রস্রাবে জ্বালা কমায়, হজমকারক এবং কফ গলাতে দারুন উপকারী এই তুলসী পাতা। এটি ক্ষত সারাতেও এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। কোথাও কেটে গেলে সেখানে এটি বেটে দিয়ে দিলে ক্ষত সারে।
১) তুলসিপাতা দিয়ে চা ও মিশ্রণ তৈরির প্রণালী :
উপকরণ: দুই কাপ পানি এবং কয়েকটি পাতা।
প্রস্তুত করবেন যেভাবে: প্রথমে একটি পাত্রে দুই কাপ পানি নিন। তারসঙ্গে কয়েকটি তুলসিপাতা সিদ্ধ করুন। এটি ফুটে উঠলে নামিয়ে পান করতে পারেন। এই মিশ্রণটি গলা ব্যথা এবং খুসখুসে কাশি কমিয়ে আপনাকে খুব আরাম দেবে।
২) তুলসী-চা
যা যা লাগবে: ১০-১৫টি তুলসীপাতা, গুড়, পানি এবং লেবুর রস।
প্রস্তুত করবেন যেভাবে: প্রথমে গুড় ও তুলসীপাতা ভালো করে বেটে নিন। এখন এরমধ্যে দেড় কাপ পানি এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। এই চা পান করলে আপনার শরীর বেশ উষ্ণ থাকবে।
৩) ভেষজ তুলসী-চা এর ব্যবহার
যা যা লাগবে: এক টুকরো আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসীপাতা, দারুচিনি এবং এলাচ নিন পরিমাণ মতো।
যেভাবে বানাবেন: পরিমাণমতো পানিতে উপরের উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে জ্বাল দিন। ১০ মিনিট পর নামিয়ে ছেকে তা পান করতে পারেন।
এই ভেষজ তুলসী-চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ হতে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে এটি।
৪) তুলসীপাতার হার্বাল জুস
যা যা লাগবে: আজওয়াইন, তুলসীপাতা, জিরা, আমচুর গুঁড়া, লবণ ও পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো।
কিভাবে বানাবেন: চার কাপ পানিতে উপরের উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর পান করুন। এই জুস প্রতিদিন পান করেল হজমশক্তি বাড়বে, আবার পানিশূন্যতা হতেও আপনি রক্ষা পাবেন।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Friday, February 8, 2019
জেনে নিন মশার কয়েলের ভয়াবহতা
ফাল্গুন মানেই দিনের বেলা প্রখর রোদ, আর রাতে মৃদু দক্ষিণা বাতাস। এই সময়টাই হলো অবাঞ্ছিত অতিথিদের আগমনের একেবারে মোক্ষম সময়। শুধু সন্ধ্যে নামলেই হল, দরজা জানালা খোলা থাকলেই সৈনিকের মতো ঘরে ঢুকে তারা। তারপর সুযোগ বুঝে হুল ফোটানো। এর মধ্য দিয়েই তারা নিপুণ কায়দায় শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি মারাত্মক সব রোগ। শেষমেষ মশার হাত থেকে রেহাই পেতে কয়েল জ্বালাচ্ছেন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়না। বারোটা বাজছে ফুসফুস ও হার্টের। ফলে পরিবারের সকল সদস্যের মৃত্যু ডেকে আনছেন আপনিই।
সম্প্রতি গবেষকরা বলেছেন, মশা মারতে আপনি তো আর বাড়িতে কামান দাগতে পারেন না। অগত্যা মশা মারার কয়েল। সেই কয়েল ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে ডেকে আনছেন নিজের মৃত্যু।
তারা বলেন, কয়েল ব্যবহারে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আবার কয়েলের সূক্ষ্ম গুঁড়ো শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়। এতে করে বিষাক্ত সংক্রমণ হয়। আবার দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়ানক ক্ষতি হয়। মানুষের শরীরে স্লো পয়জনিং করে। হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।
প্রায় সমস্ত মশার কয়েলেই থাকে অ্যালেট্রিন। এটি মস্তিষ্ক ও রক্তের ভেদ্যতা বাড়িয়ে দেয়। কয়েলের ধোঁয়া শিশুদের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এছাড়া মশার কয়েলে আরও নানা বিপদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এর ফলে ডেঙ্গু, প্রচণ্ড জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশিতে ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, র্যাশ, বমি বমি ভাব, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি হতে পারে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, August 30, 2018
চটজলদি ওজন কমাবে এই দুটি জিনিস
আপনি কি খুব কম সময়ে ওজন কমাতে চান? তাহলে আপনার জন্যই এই লেখাটি। কারণ এই লেখায় এমন দুটি খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে, যা ওজন কমাতে দারুণ কাজে আসে। ওজন বেশি হোক কি কম, সুস্থ থাকতে চর্বির বাড়বাড়ন্ততে লাগাম টানাটা একান্তই জরুরি। কেননা ওজন বাড়লেই নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যার অন্যতম হলো- জয়েন্ট পেইন, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি ডিজিজ বা হার্টের রোগ প্রভৃতি।
ওজন বাড়ে কেন? অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন, ঠিক মতো খাওয়-দাওয়া না করা, শরীচর্চার প্রতি অনিহা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, জিনগত কারণ প্রভৃতি। তবে যে কারণেই ওজন বাড়ুক না কেন। আমরা যদি আমাদের লক্ষ সম্পর্কে সচেতন হই, তাহলে যে কোনো বাঁধা সত্ত্বেও খুব সহজেই ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
তাহলে এখন প্রশ্ন, কীভাবে চটজলদি ওজন কমানো সম্ভব? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পড়বে :
১. কমলা লেবুর রস- ১ গ্লাস
২. শসার রস- ১ গ্লাস
এই ঘরোয়া ওষুধটি প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়ম করে শরীরচর্চা করা যায় এবং ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখা যায়, তাহলে ওজন কমতে বাধ্য। প্রসঙ্গত, কমলা লেবুর রসে ভিটামিন- সি রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে, শসার রস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি হজম ক্ষমতা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে চর্বি পুড়িয়েও ওজন কমায়।
কীভাবে বানাবেন এই ঘরোয়া ওষুধটি :
১. একটা গ্লাসে পরিমাণ মতো উপাদানগুলি মেলান।
২.ভালকরে মেশান দুটি উপকরণ।
৩. আপনার ওষুধ তৈরি হয়ে গেছে।
৪. প্রতিদিন সকালে নাশতার আগে খালি পেটে এই ওষুধটি ১ বা ২ গ্লাস খেলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন। তবে অন্তত ১ মাস ওষুধটা খেতে হবে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Thursday, August 2, 2018
কাশি হলে যা খাবেন না
ঋতু পরিবর্তন বা আবহাওয়া বদলের সময় শুষ্ক বা কফ-কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিরক্তিকর এই কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিছু খাবার আছে, যা কাশি নিরাময় করে। আবার কিছু খাবার আছে, যা খেলে কাশি বেড়ে যেতে পারে। কাশির সময় যে খাবারগুলো এড়ানো দরকার, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জিনিউজ। জেনে নিন সেই তালিকায় থাকা খাবারগুলো সম্পর্কে:
ক্যাফেইনযুক্ত পানি: কাশি হলে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে কফি। কাশির সময় কফি খাওয়া হলে তা গলা শুকিয়ে ফেলে। এতে কোনো কিছু গিলতে অস্বস্তি হয়।
ভাজা খাবার: যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন, তবে তেলে ভাজাপোড়া খাবার অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কারণ, তেল কাশি বাড়িয়ে দেয়। কড়া ভাজা খাবারও এ সময় এড়ানো উচিত, কারণ তা কাশিবর্ধক ও গলা চুলকানোর জন্য দায়ী।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং শরীরের সুরক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। সাদা পাস্তা, সাদা রুটি, চিপস, প্যাকেটজাত নাশতার মতো খাবার কাশির সময় অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
অ্যালকোহল: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় অ্যালকোহল। এটি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে বলে এ পানীয় ঠান্ডার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কাশি হলে তাই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত।
ঠান্ডা খাবার: কাশি হলে আইসক্রিম বা শীতল পানীয়ের মতো কোনো ঠান্ডা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটি শ্বাসনালি শুষ্ক করে ফেলে এবং প্রদাহ তৈরি করে। কফ ও কাশি বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা খাবার।
সৌজন্যে- প্রথম আলো অনলাইন
Monday, April 30, 2018
যে খাদ্যগুলো কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক
কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত ওজন ছাড়া আরো নানা কারণে কিডনি রোগ হতে দেখা যায়।
পরবর্তীকালে যা কিডনি বিকলও করে দিতে পারে। তবে আগে থেকে সচেতন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু খাবার আছে যা কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলুন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে যেনে নিই:
রসুন
রসুন শরীরের জ্বালা এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা দেহের বিভিন্ন অসুবিধা দূরে রাখে। তবে রান্না করে খেলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি কিডনিকে আরও কার্যকরী করে তুলতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার, ফলিক এসিড। এটি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল হার্টের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিও ভালো রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণ ওলিক এসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা অক্সিডেসন কমিয়ে কিডনি সুস্থ রাখে।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে যা কিডনির রোগ প্রতিরোধ করে কিডনিকে সুস্থ রাখে।
আপেল
আপেল উচ্চমাত্রায় ফাইবারযুক্ত খাবার। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
পেঁয়াজ
কিডনি সুস্থ রাখার আর একটি অন্যতম উপাদান পেঁয়াজ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। যা রক্তের চর্বি দূর করে। এ ছাড়া এতে কুয়ারসেটিন আছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম ও প্রোটিন আছে যা কিডনির জন্যও বেশ উপকারী।
মাছ
মাছ খেলে দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আছে যা জ্বালা কমিয়ে কিডনিকে সুস্থ রাখে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Saturday, April 21, 2018
ধূমপানের ক্ষতি থেকে বাঁচার ঘরোয়া ওষুধ
ধূমপান করলেই যে কেবল ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এমন নয় কিন্তু! পরোক্ষ ধূমপান এর কারণেও কিন্তু ধূমপানসংশ্লিষ্ট নানা রোগ হতে পারে। আর আজকাল যেভাবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!
সিগারেটের তামাকে থাকা নিকোটিন ধীরে ধীরে ফুসফুসকে খারাপ করে। ফলে একটা সময়ে গিয়ে ফুসফুস এর ক্যান্সার সহ একাধিক মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুলফুস। এটি বিশুদ্ধ অক্সিজেনকে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। এরপরই লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেনকে বহন করে পৌঁছে দেয় শরীরের বাকি অংশে। এই প্রক্রিয়াটির করণেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন তো ফুসফুস যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।
তাহলে এখন প্রশ্ন নিকোটিনের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে কেমন ভাবে বাঁচবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে এই লেখাটি পড়তে হবে। এই লেখায় এমন একটি ঘরোয়া ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হল, যা প্রতিদিন খেলে ধুমপান-এর খারাপ প্রভাব কমতে শুরু করে। তাহলে আপেক্ষা কীসের! ঝটপট পড়ে ফেলুন বাকি লেখাটুকু।
১. একটা বড় মাপের আদার টুকরো নিন
আদায় জিঞ্জেরল নামের একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যা শরীরে প্রদাহ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ফুসফুসকে চাঙ্গা করতেও দারুন কাজে আসে।
২. দুই চামচ হলুদ
এতে রয়েছে কার্কিউমিন নামের একটি উপাদান। এটিতে একই সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৩. চারটে ছোট পিঁয়াজ
অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ থাকার কারণে নিকোটিনের প্রভাব কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পিঁয়াজ ফুসফুসের থেকে সব ক্ষতিকর বিষ বের করে দেয়। ফলে ফুসফুস ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৪. চিনি
ওষুধটি বানাতে প্রায় ২৫০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন পড়বে।
৫. পানি
এক লিটার পানি লাগবে ফুসফুস পরিষ্কার করার এই ঘরোয় ওষুধটি বানাতে।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি
১. একটা প্যানে এক লিটার পানি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি মেশান। তারপর পানিটা ফোটান।
২. পানি ফুটতে থাকাকালীনই আদার টুকরোটা পানিতে দিয়ে দিন।
৩. এবার পেঁয়াজটা মেশান। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজগুলি ছোট করে কেটে নিতে ভুলবেন না যেন!
৪. অল্প সময় পর হলুদ মেশান। ততক্ষণ পর্যন্ত পানিটা ফোটান যতক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
৫. এবার আঁচটা বন্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। যখন দেখবেন পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক চামচ করে এই পানিটি পান করুন টানা কয়েক মাস। তাহলেই দেখবেন ফুসফুস সুস্থ হয়ে উঠবে।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Tuesday, April 10, 2018
আঙুল ছুঁলেই বুঝে যাবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত কি না!
আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানতে একটা সহজ পদ্ধতি আছে। কী সেই পদ্ধতি জানেন? একবার চেষ্টা করে দেখুন তো আপনার হাতের আঙুল পায়ের পাতা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না? এমনটা করার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার হার্ট অসুস্থ কি না। মানে! কীভাবে এমনটা সম্ভব?
একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়েছে যে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। তাই এই নিয়ে কোনও বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই যে এই পদ্ধতি বাস্তবিকই কার্যকরী। আসলে এই সব স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের সঙ্গে আর্টারির ইলাস্ট্রিসিটির একটা যোগ রয়েছে। তাই তো যারা পায়ের পাতা বা আঙুল ছুঁতে পারেন না, তাদের ব্লাড ভেসেল খুব স্টিফ হয়। ফলে এমন মানুষদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই যদি দেখেন আপনি পায়ের আঙুল ছুঁতে পারছেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেবেন। অপরদিকে যারা সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটি উপরে থেকে একেবারে নিচে এনে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্য যে বেজায় ভাল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ অনলাইন
Subscribe to:
Comments (Atom)






